Ajker Patrika

শেখ হাসিনার নামে স্ত্রীর হত্যা মামলা: আদালতে ‘নিহত’ স্বামীর জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভারপ্রতিনিধি, (সাভার) ঢাকা
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ১৭
আল-আমিন। ছবি: সংগৃহীত
আল-আমিন। ছবি: সংগৃহীত

৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে মামলা করেন এক নারী। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়। গত সোমবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন তার স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪)। পরে তাকে ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানা-পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।

আজ বুধবার তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে বাদী ওই নারী (২১) পলাতক রয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার স্বল্পসিংজুরী গ্রামের বাসিন্দা বলে আদালতে জমা দেওয়া মামলার বর্ণনায় উল্লেখ করেন। সেখানে গিয়ে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আর বর্তমান ঠিকানা দেখানো হয়েছে আশুলিয়ার জামড়গা এলাকায়। কিন্তু জামড়গার ঠিকানায় গিয়েও তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ওই এলাকার লোকজন তাকে চেনেন না বলে জানান।

আল-আমিনের পরিবার জানায়, আল-আমিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার থানার পিরিজপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তার স্ত্রীও (বাদী) সেখানেই থাকতেন। পেশার কারণে জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁরা মৌলভীবাজারের জুড়িতে ছিলেন। গত ১৩ আগস্ট আল-আমিনের সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী মানিকগঞ্জ চলে যান। এরপর থেকে আল-আমিন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ অক্টোবর এক নারী তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সকালে আল-আমিন মিয়া মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল ৪টার দিকে তিনি আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বিজয় মিছিলে যোগ দেন। তবে পরাজয় মেনে না নিতে পেরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বিচার গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তার স্বামী নিহত হন।

এতে আরও বলা হয়, অনেক খোঁজাখুঁজি করে তিনি স্বামীর সন্ধান পাননি। পরে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের ৬ আগস্টের এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারেন, এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিপুলসংখ্যক অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করেছে। এসব কাগজপত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আছে। পরে তিনি হাসপাতালে থাকা কাগজপত্র, ছবি ও ভিডিও দেখে তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছালাম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, আশুলিয়া থানার সাবেক ওসি এএফএম সায়েদ, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোখলেসুর রহমান ওরফে ইলিয়াস শাহীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এর মধ্যে ১৮ জনই মানিকগঞ্জের ঘিওর, শিবালয়, সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লিটন আইসসহ (৬০) বেশ কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর নামও রয়েছে।

লিটন আইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর কতিপয় ব্যক্তি ওই নারীর হয়ে মামলা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়া কথা বলে টাকা দাবি করে আসছিলেন। তাঁরা একটি চক্রের সদস্য। মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মামলার বাদী ওই নারী তাদের দলেরই।’

আল-আমিন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে মৃত দেখিয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছে। মামলা থেকে আসামির নাম প্রত্যাহার করার কথা বলে নাকি আমার স্ত্রী লোকজনের কাছ থেকে টাকা পয়সাও নিচ্ছে। আমার ভাইয়ের মাধ্যমে দুই-তিন দিন আগে বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের পরামর্শে আমি প্রথমে জুড়ি থানায় যাই।

সেখানকার পুলিশ বিষয়টি আমার নিজের এলাকা দক্ষিণ সুরমা থানায় জানানোর পরামর্শ দেয়। পরে গত সোমবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমি দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে সব খুলে বলি। তারা আমাকে আশুলিয়া থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আল-আমিন তার ভাই ও বাবাকে নিয়ে থানায় এসে ঘটনাটি জানান। বিষয়টি জানার পর আশুলিয়া থানাকে জানানো হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রকিবুল হোসেন তাকে নিয়ে যান।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদী ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছেন। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আটকের পর তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া আল আমিনকে সিলেট থেকে গত মঙ্গলবার আশুলিয়া থানায় আনা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য গতকাল বুধবার তাঁকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেভিল হান্ট অভিযানে শ্রীমঙ্গল আ.লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত
হরিপদ রায়। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হরিপদ রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের কলেজ রোডের জয়নগরপাড়া আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেভিল হান্ট ফেইজ-২-এর অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের চৌমুহনা চত্বরে প্রকাশ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুরগি মারার অভিযোগে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪৩
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত
মুরগি। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর বদলগাছীতে চালে বিষ মিশিয়ে প্রতিবেশীর মুরগি মারার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গত রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থানায় এই মামলা করা হয়। মুরগিগুলো মারা যায় গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)।

আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বদলগাছী উপজেলার কটকবাড়ী গ্রামের গৃহবধূ শাপলা বেগম জানান, মুরগিগুলোই ছিল সংসারের আয়ের অন্যতম ভরসা। মুরগি ও ডিম বিক্রি করে চলত তাঁর সংসারের খরচ। দীর্ঘদিন প্রতিবেশী আনিছুর রহমানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে চালে বিষ মিশিয়ে উঠানে রাখেন আনিছুর। ওই চাল খেয়ে মুরগিগুলো মারা যায়। তিনি বলেন, ‘মানুষে-মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মুরগিগুলো কী অপরাধ করেছে। আমার স্বামী একজন কৃষক। আমি ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালন-পালন করি। আমার এই ক্ষতির জন্য বিচার চাই।’

শাপলার জা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আমার ও শাপলার মিলে প্রায় ১৮টি মুরগি বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে আনিছুর রহমান। সে আমাদের প্রতিবেশী। তার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে, তাই বলে সে আমার বাড়ির উঠানে খাবারের সঙ্গে বিষ ছিটিয়ে মুরগি মেরে ফেলবে। আমি এর বিচার দাবি করছি।’

আনিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য মুরগিগুলো মেরে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা রিপা রাণী বলেন, মরা মুরগিগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রোহিতপুর ইউনিয়নের পুরাতন সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৪), মিজানুর রহমান (৩০), বদিউর রহমান (৪০) ও মামুন হোসেন (৩৪। অভিযানের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্য ডাকাতেরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, কাটার, দড়ি, স্কচটেপ, মুখ বাঁধার কাপড়সহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি বিশেষ টহল দল রোহিতপুর, শাক্তা, জিনজিরা, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। দায়িত্ব পালনকালে রোহিতপুরের সোনাকান্দা মোল্লাবাড়ির তিন রাস্তার মোড়ে একটি নীল রঙের গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এ সময় গাড়িটি সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আনুমানিক ২০০ গজ সামনে গিয়ে ব্যারিকেডের মাধ্যমে গাড়িটি আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধভাবে মহাসড়কে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের কোমরপুর পলাশবাড়ী শাখা থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ককটেল উদ্ধারের বিষয়টি আজ বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা–পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কোমরপুর এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে ককটেলসদৃশ চারটি বস্তু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ও র‍্যাব-১৩ রংপুরের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ককটেলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

র‍্যাব-১৩ রংপুর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের বোমা নিষ্ক্রিয় দলের সিনিয়র এএসপি তরিকুল ইসলাম বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত