ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উপাচার্য তাঁদের বলেছেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিধিদলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে, বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার। আমরা এ নিয়ম বাতিলের লক্ষ্যে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। গত কয়েক দিন আগে আমরা রোকেয়া দিবস পালন করেছি। যে জায়গায় অনেক আগে বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্তির কথা বলেছেন, সেই জায়গায় শতবর্ষী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে এ নিয়ম থাকা কখনো উচিত মনে করি না।’
পাশাপাশি বিবাহিতরা হলে থাকা এবং মাতৃত্বকালীন সব ধরনের পরিচর্যার বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন ড. সাদেকা হালিম।
আইনটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানে অনেক ভালো নিয়মও আছে। তবে বর্তমান সময়ে তা যৌক্তিক কি না, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে আলাপ করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।’
একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকার পরিপন্থি বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবাযত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত। মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য একটা আনন্দের বিষয়। মেয়েরা অন্তঃসত্ত্বা হয় বলেই তো আমাদের সমাজ-সভ্যতা টিকে আছে। কিন্তু এ কারণে যদি তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়, সেটা একটা মানবতা পরিপন্থি কাজ।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিরা হলে আরও কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি দাবি হলো—প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা; আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা এবং জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উপাচার্য তাঁদের বলেছেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিধিদলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে, বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার। আমরা এ নিয়ম বাতিলের লক্ষ্যে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। গত কয়েক দিন আগে আমরা রোকেয়া দিবস পালন করেছি। যে জায়গায় অনেক আগে বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্তির কথা বলেছেন, সেই জায়গায় শতবর্ষী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে এ নিয়ম থাকা কখনো উচিত মনে করি না।’
পাশাপাশি বিবাহিতরা হলে থাকা এবং মাতৃত্বকালীন সব ধরনের পরিচর্যার বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন ড. সাদেকা হালিম।
আইনটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানে অনেক ভালো নিয়মও আছে। তবে বর্তমান সময়ে তা যৌক্তিক কি না, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে আলাপ করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।’
একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকার পরিপন্থি বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবাযত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত। মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য একটা আনন্দের বিষয়। মেয়েরা অন্তঃসত্ত্বা হয় বলেই তো আমাদের সমাজ-সভ্যতা টিকে আছে। কিন্তু এ কারণে যদি তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়, সেটা একটা মানবতা পরিপন্থি কাজ।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিরা হলে আরও কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি দাবি হলো—প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা; আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা এবং জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।
ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উপাচার্য তাঁদের বলেছেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিধিদলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে, বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার। আমরা এ নিয়ম বাতিলের লক্ষ্যে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। গত কয়েক দিন আগে আমরা রোকেয়া দিবস পালন করেছি। যে জায়গায় অনেক আগে বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্তির কথা বলেছেন, সেই জায়গায় শতবর্ষী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে এ নিয়ম থাকা কখনো উচিত মনে করি না।’
পাশাপাশি বিবাহিতরা হলে থাকা এবং মাতৃত্বকালীন সব ধরনের পরিচর্যার বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন ড. সাদেকা হালিম।
আইনটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানে অনেক ভালো নিয়মও আছে। তবে বর্তমান সময়ে তা যৌক্তিক কি না, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে আলাপ করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।’
একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকার পরিপন্থি বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবাযত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত। মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য একটা আনন্দের বিষয়। মেয়েরা অন্তঃসত্ত্বা হয় বলেই তো আমাদের সমাজ-সভ্যতা টিকে আছে। কিন্তু এ কারণে যদি তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়, সেটা একটা মানবতা পরিপন্থি কাজ।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিরা হলে আরও কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি দাবি হলো—প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা; আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা এবং জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে ওঠার সময় একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। সেই অঙ্গীকারনামার একটি ধারায় উল্লেখ আছে ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তাঁর সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’
এ নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাঁচ ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাঁরা নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কাছে। এ নিয়ে পাঁচটি হলের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
উপাচার্য তাঁদের বলেছেন, কিছু লোকের হঠকারী চিন্তায় কিছু করা যাবে না। হল কর্তৃপক্ষ ও ডিনস কমিটির সভায় আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
তবে এই নিয়ম কবে থেকে চালু হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিনিধিদলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে, বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবেন না। এটা একটি অমানবিক বিষয়। বর্তমান সময়েও এ নিয়ম থাকার কোনো মানে হয় না। এ নিয়ম পরিবর্তন দরকার। আমরা এ নিয়ম বাতিলের লক্ষ্যে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশা করি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি বাইরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছি। সেখানে এ রকম কোনো নিয়ম দেখিনি। গত কয়েক দিন আগে আমরা রোকেয়া দিবস পালন করেছি। যে জায়গায় অনেক আগে বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্তির কথা বলেছেন, সেই জায়গায় শতবর্ষী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই মুহূর্তে এ নিয়ম থাকা কখনো উচিত মনে করি না।’
পাশাপাশি বিবাহিতরা হলে থাকা এবং মাতৃত্বকালীন সব ধরনের পরিচর্যার বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন ড. সাদেকা হালিম।
আইনটির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলছেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষেরা মূল্যবোধ ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়মগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সেখানে অনেক ভালো নিয়মও আছে। তবে বর্তমান সময়ে তা যৌক্তিক কি না, তা পর্যালোচনার দাবি রাখে। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় এ বিষয়ে আলাপ করতে হবে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।’
একজন শিক্ষার্থী বিবাহিত হলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়াটা নারী অধিকার পরিপন্থি বলে মনে করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘একটা মেয়ের বিয়ে হওয়া বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কেউ অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁকে হল থেকে বের করে না দিয়ে বরং কীভাবে তাঁকে প্রয়োজনীয় সেবাযত্ন করা যায়, সেই ব্যবস্থাটা করা উচিত। মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য একটা আনন্দের বিষয়। মেয়েরা অন্তঃসত্ত্বা হয় বলেই তো আমাদের সমাজ-সভ্যতা টিকে আছে। কিন্তু এ কারণে যদি তাঁকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়, সেটা একটা মানবতা পরিপন্থি কাজ।’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিনিধিরা হলে আরও কিছু নিয়মকানুন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি দাবি হলো—প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মর্যাদা রক্ষায় সব ছাত্রী হলে ‘লোকাল গার্ডিয়ান’ বা ‘স্থানীয় অভিভাবকের’ পরিবর্তে ‘ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট’ বা ‘জরুরি যোগাযোগ’ শব্দটি রাখা; আবাসিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা যেকোনো ধরনের হয়রানি ও অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা সাপেক্ষে অনাবাসিক ছাত্রীদের হলে প্রবেশের অধিকার পুনর্বহাল করা এবং জরুরি প্রয়োজনে তাঁদের হলে অবস্থান করতে দেওয়া।

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১৩ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৮ মিনিট আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।
তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।
সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।
আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।
জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রতিনিধি দলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদে সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবে না।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১৩ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৮ মিনিট আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’
এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।
বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

প্রতিনিধি দলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদে সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবে না।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৫ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১৩ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৮ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।
শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিনিধি দলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদে সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবে না।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
১৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম আজ রোববার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কাইউম হোসেন নয়ন।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে আব্দুল হান্নানকে গতকাল শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করে। গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওসমান হাদি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এতে গুরুতর জখম হন হাদি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। র্যাব-২ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) থেকে মালিকানা যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। আব্দুল হান্নান উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আছে সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলম আজ রোববার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কাইউম হোসেন নয়ন।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে আব্দুল হান্নানকে গতকাল শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা না হওয়ায় আব্দুল হান্নানকে আজ বিকেলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আব্দুল হান্নানকে র্যাব-২ আটক করে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করে। গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওসমান হাদি ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। এতে গুরুতর জখম হন হাদি।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে র্যাব-২ জানতে পারে, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো ল-৫৪-৬৩৭৫। র্যাব-২ বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) থেকে মালিকানা যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে চিহ্নিত করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। আব্দুল হান্নান উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আছে সন্দেহে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁর ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হান্নানকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

প্রতিনিধি দলের একজন হলেন শামসুন নাহার হল সংসদে সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিবাহিত জানলেই সিট কেটে দেয়। তবে লিখিত নিয়মে আছে বিশেষ বিবেচনায় থাকতে পারবে। আর অন্তঃসত্ত্বা কোনো নারী হলে থাকতে পারবে না।
১৪ ডিসেম্বর ২০২১
সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
৫ মিনিট আগে
মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি।
১৩ মিনিট আগে