Ajker Patrika

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আইন লঙ্ঘন, অব্যবস্থাপনা, পরিবেশ ধ্বংসের তদন্ত কমিশন দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ২০: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলের পরিবেশ ধ্বংস করে নির্মিতব্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন। একই সঙ্গে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, জনভোগান্তি, হতাহতের ঘটনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ উদ্‌ঘাটনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিও জানিয়েছে তারা। এই দাবিতে আন্দোলনকারীরা আজ সোমবার (৫ মে) প্রধান উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন।

এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত প্রাণ-প্রকৃতি ও জনবিরোধী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক বাতিল এবং পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের চলমান লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ ছিল ১৪৩তম দিন। তীব্র দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং বায়ু ও শব্দদূষণ উপেক্ষা করে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে পান্থকুঞ্জ পার্কে এই অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের মতে, বিগত সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন মডেলের একটি নিকৃষ্টতম উদাহরণ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। এটি প্রধান উপদেষ্টার ‘থ্রি-জিরো তত্ত্বের’ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য জিরো নেট কার্বন নিঃসরণের পরিপন্থী। কারণ, এটি গণপরিবহনের উন্নয়ন না ঘটিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের জন্য নির্মিত হচ্ছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই প্রকল্প ঢাকা শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশের শেষটুকুও কেড়ে নিচ্ছে; বিশেষ করে কাঁঠালবাগান, সেন্ট্রাল রোডসহ দিলু রোডের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হাতিরঝিল ভরাট করে এবং পান্থকুঞ্জ পার্কের ৪৫ প্রজাতির ২ হাজার গাছ ধ্বংস করে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তার নির্মাণকাজ চলছিল, যা তাদের কর্মীদের প্রচেষ্টায় সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।

প্রকল্পের নকশাতেও জনভোগান্তি বাড়বে বলে আন্দোলনকারীরা মনে করেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল করিডরের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার হলেও ৩১টি র‍্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তাঁদের অভিযোগ, মূল প্রকল্পের চেয়ে র‍্যাম্পের দৈর্ঘ্য (২৭ কিলোমিটারের বেশি) সাত কিলোমিটার বেশি। দ্রুতগতির এই উড়ালসড়ক শহরের ভেতর থেকে গাড়ি বের করার কথা থাকলেও ৩১টি র‍্যাম্প এটিকে শহরের সাধারণ সড়কে পরিণত করেছে, যা চালু হওয়া র‍্যাম্পগুলোর আশপাশে যানজট বাড়াচ্ছে।

তাঁরা বলেন, এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগের কারণে হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্কের পরিবেশ এরই মধ্যে ধ্বংস হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি কাঁঠালবাগান, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সামগ্রিক পরিবেশ ও পরিবহনব্যবস্থায় সীমাহীন সংকট তৈরি করবে। এই সংযোগ সড়ক বাতিল না করা হলে সার্ক ফোয়ারা, বাংলামোটর, কাঁটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত ও পলাশী মোড়গুলোতে যানজট মারাত্মকভাবে বেড়ে যাবে। এ ছাড়া নকশা পরিবর্তনের মাধ্যমে এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তা বাণিজ্যিক এলাকা থেকে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায়, এমনকি বাচ্চাদের স্কুলের পাশে নিয়ে আসা হয়েছে। রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ নগর-পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদ, বিশেষজ্ঞ ও এলাকাবাসী এই সংযোগ সড়কের তীব্র আপত্তি জানালেও বিগত সরকার এটি বাতিল করেনি বলে তাঁরা জানান।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে একটি অন্যায্য চুক্তির মাধ্যমে দেশীয় বিনিয়োগ ও অর্থ খাতকে পাশ কাটিয়ে বিদেশি কোম্পানির মুনাফাকে প্রাধান্য দিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় অর্থ, শ্রম ও পরিকল্পনার অপচয় করেছে। তাঁরা বলেন, ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালে অনুমোদন পাওয়া পিপিপি মডেলের এই প্রকল্প অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে এক যুগেও সম্পন্ন করা যায়নি। পিপিপি চুক্তি অনুযায়ী মূল কাঠামো নির্মাণের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগকারীর এবং ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারের দেওয়ার কথা থাকলেও জনগণ ও রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, সেবা সংস্থার লাইন সরানো এবং পরামর্শকদের ব্যয় মেটানোর জন্য ‘সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট’ নামে আরেকটি প্রকল্প নেয় সেতু বিভাগ কর্তৃপক্ষ। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকা ধরা হলেও তা বেড়ে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, যার পুরোটাই বহন করবে দেশের জনগণ। এই দুই প্রকল্পের ব্যয় যুক্ত করলে দেখা যায়, মোট প্রাক্কলিত ১৩ হাজার ৮৫৭ দশমিক ৫৭ কোটি টাকার মধ্যে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ বা ৭ হাজার ৩৩০ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা বহন করবে বাংলাদেশের জনগণ। আন্দোলনকারীরা এই প্রচেষ্টাকে জনগণের সঙ্গে স্রেফ প্রতারণা বলে অভিহিত করেন। এ ছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চুক্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের দেওয়া ১২৮ একর জমির আনুমানিক মূল্যমান ৬ হাজার কোটি টাকা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে টোলের কোনো অংশও পাবে না। এই প্রকল্পের কারণে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পও আটকে আছে বলে তাঁরা জানান।

আন্দোলনকারীরা পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সব অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত