নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
১৯ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
২৩ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যে ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাচ্ছে; যে ত্যাগের বিনিময়ে এসব অর্জন হয়েছে, সেখানে কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
‘গণতান্ত্রিক ভোট, সংসদ ও সরকার—এটা এখন বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষার মাঝে যারা আসবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জন্য একটা আনন্দের দিন। বিগত ১৫, ১৬, ১৭ বছর ধরে মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে; তারা জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে, নিঃস্ব হয়ে গেছে।
‘আজ বহু বছর পর বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছি। অনেক ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে অধিকার পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেয়েছে, এটা আজ আনন্দের দিন। আমরা আজ গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে পাওয়ার দিকে যাচ্ছি। এই দিনটা সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ করবে, নির্বাচিত সরকার গঠন করবে। যে সরকার জনগণের কাছে, যে সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সবাইকে জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই। পথ একটাই, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে, নাগরিকের ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর বাংলাদেশে চলতে হবে।
‘এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র, এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে দিতে হবে। অপরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও আমাদের তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে, সম্মান জানাতে হবে। একটা সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের চালু করতে হবে।’
প্রতিটি দলের নির্বাচনী কৌশলকে বিএনপি সম্মান করে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘সবার অধিকারকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের মানুষ দিন শেষে সিদ্ধান্ত নেবে। কাদের মাধ্যমে এ দেশে গণতন্ত্র আগে ফিরে এসেছিল, বিগত দিনে একদলীয় শাসনের পরে, এরশাদের সময় এবং বিগত এক-এগারোর পরে দীর্ঘ সময় আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাদের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো অজানা নেই।
‘আজ বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া। সুতরাং, কোন দলের মাধ্যমে বারবার গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, কারা গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত করেছে আর কারা গণতন্ত্রের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিতে রাজি আছে—বাংলাদেশের মানুষের কিছুই অজানা নেই।’
জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে তাঁকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে সেটি পরিবর্তন করে ওই আসনে দলটির প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যে ত্যাগের বিনিময়ে আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাচ্ছে; যে ত্যাগের বিনিময়ে এসব অর্জন হয়েছে, সেখানে কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
‘গণতান্ত্রিক ভোট, সংসদ ও সরকার—এটা এখন বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এই আকাঙ্ক্ষার মাঝে যারা আসবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জন্য একটা আনন্দের দিন। বিগত ১৫, ১৬, ১৭ বছর ধরে মানুষ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে; তারা জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে, চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে, নিঃস্ব হয়ে গেছে।
‘আজ বহু বছর পর বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছি। অনেক ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে অধিকার পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেয়েছে, এটা আজ আনন্দের দিন। আমরা আজ গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে পাওয়ার দিকে যাচ্ছি। এই দিনটা সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আমীর খসরু আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ করবে, নির্বাচিত সরকার গঠন করবে। যে সরকার জনগণের কাছে, যে সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সবাইকে জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এর বাইরে অন্য কোনো পথ নেই। পথ একটাই, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে হবে, নাগরিকের ওপর আস্থা রাখতে হবে এবং তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর বাংলাদেশে চলতে হবে।
‘এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র, এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। একে অপরের প্রতি সহনশীল হতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে দিতে হবে। অপরের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও আমাদের তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে, সম্মান জানাতে হবে। একটা সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের চালু করতে হবে।’
প্রতিটি দলের নির্বাচনী কৌশলকে বিএনপি সম্মান করে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘সবার অধিকারকে আমরা স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের মানুষ দিন শেষে সিদ্ধান্ত নেবে। কাদের মাধ্যমে এ দেশে গণতন্ত্র আগে ফিরে এসেছিল, বিগত দিনে একদলীয় শাসনের পরে, এরশাদের সময় এবং বিগত এক-এগারোর পরে দীর্ঘ সময় আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাদের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তো অজানা নেই।
‘আজ বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া। সুতরাং, কোন দলের মাধ্যমে বারবার গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, কারা গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত করেছে আর কারা গণতন্ত্রের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিতে রাজি আছে—বাংলাদেশের মানুষের কিছুই অজানা নেই।’
জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম-১১ আসনে বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে তাঁকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে সেটি পরিবর্তন করে ওই আসনে দলটির প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
১৯ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
২৩ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৪২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রুকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে পালাতে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন আমিনুল ইসলাম রাজু। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবিদুল ইসলাম রাজুকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমিনুল ইসলাম রাজু স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক বিধায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাঁর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪ ডিসেম্বর আমিনুল ইসলাম রাজুকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে আমিনুল ইসলাম রাজুকে রাজধানীর মিরপুর-১১ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে প্রত্যেককে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালকে সীমান্তে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম, রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন তারিখে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য
১১ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
২৩ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৪২ মিনিট আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা। মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পেরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে অঝোরে কাঁদেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাদশা বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ীর ইউএনও রেজওয়ানা আফরীনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার অনুরোধ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হওয়ায় ইউএনও তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে মনোনয়নপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর কক্ষেই তিনি কাঁদতে থাকেন।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ বাদশা ইউএনওকে অনুনয় করে বলেন, ‘আমি ৫টার মধ্যেই (ইউএনওর কার্যালয়) আসছিলাম। রাস্তায় গাড়ির একটু সমস্যা হয়েছিল, তাই বারবার ফোনও দিয়েছি। আমাকে একটু দয়া করুন।’
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘প্রার্থীর চোখের পানি আমি বুঝতে পারছি। তবে জাতীয় নির্বাচনে আইনগতভাবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। বিকেল ৫টার পর কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের সুযোগ নেই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
১৯ মিনিট আগে
আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
৪২ মিনিট আগেসুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি। তবে নির্বাচনে যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখবে, এমন প্রত্যাশা করছি। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদের সেই আগ্রহ ও প্রত্যাশার কথা বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই নির্বাচনের পথে এসেছি।’
শামীম হায়দার পাটোয়ারী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির তিনজন প্রার্থী এখনো রাজনৈতিক মামলায় কারাগারে আছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁদের জামিনের বিষয়ে সরকার বিবেচনা করবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় হবে।’
এ সময় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি মো. আনছার আলী সরদার, মাওলানা আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান মণ্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ টি এম এনামুল হক মন্টু, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি মো. রেজাউল হক রেজা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন মুক্তি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মোসলেম আলী, মহাসচিবের বিশেষ সহকারী নুর মোহাম্মদ রাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোটের মাঠে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ সোমবার চট্টগ্রাম-১১ আসনে (বন্দর-পতেঙ্গা) ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নগরীর লাভলেইনে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে তিনি এ মন্তব্য
১১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় আরেক আসামি আমিনুল ইসলাম রাজু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের খাস কামরায় তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
১৯ মিনিট আগে
নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট দেরি করায় শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ বাদশা।
২৩ মিনিট আগে