নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নতুন ডাটা সেন্টার ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য গত ১৭ ও ১৮ মার্চ দুই দিন বন্ধ ছিল ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। সরকারি ছুটির কারণে চার দিন পর আজ রোববার ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়। কিন্তু সেবা কার্যক্রম শুরুর দুই ঘণ্টা পরই আবারও বিকল হয়ে যায় সার্ভার। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সেবা পায়নি সাধারণ মানুষ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁ থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে আসেন আতাউর রহমান। তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। গত ৭ দিন ধরে শুনে যাচ্ছি সার্ভার সমস্যা। সকালে কয়েকজনের কাগজ জমা নিলেও অল্প কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। একটা প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ৭ দিন ধরে নষ্ট, কবে ঠিক হবে কেউ কিছু বলছে না। সকাল থেকে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছে। সমস্যা থাকলে বলে দেন। কবে আসলে সেবা পাব।
অন্য সবার মত লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন উজ্জ্বল চৌধুরী। বন্ধুকে নিয়ে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে এসেছেন। তিনি জানান, জরুরি পাসপোর্ট করতে হবে। গত ১৫ তারিখ ফিঙ্গার ও ছবি তোলার তারিখ ছিল। কিন্তু সে দিন ফিরে গেছেন। আজ আবারও এসেছেন। সকালে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এখনো সেখানেই আছেন। চলে যাবেন, নাকি থাকবেন সেটি নিশ্চিত হতে পারছেন না। কখন সার্ভার চালু হবে এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছেন না।
রাজধানীর বিএফ শাহিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন আজহারুল ইসলাম ইমন। এখন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। আগামী এপ্রিলের মধ্যে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার তারিখ। কিন্তু এখনো ফিঙ্গার ও ছবি তুলতে পারেননি।
ইমন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ তারিখ থেকে ঘুরেও ফিঙ্গার দিতে পারছি না। আজ সকাল থেকে ফিঙ্গার নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অফিস বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কারণ পাসপোর্ট জমা না দিতে পারলে আমার একটি বছর শেষ হয়ে যাবে।’
ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাগজ জমা নেওয়া কাউন্টারে গিয়ে জানা গেছে, সকালের প্রথম দুই ঘণ্টা সার্ভার চালু ছিল। এরপর হঠাৎ সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজ চলছে। সার্ভার চালু হলে আবারও কাগজ জমা নেওয়া শুরু হবে।
সকাল থেকে সার্ভারে সমস্যা থাকলেও বিষয়টি দুপুর দুইটার দিকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, ই-পাসপোর্টের সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। সমস্যা সমাধান হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই স্ব স্ব স্থানে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। আর যদি কেউ চলে যেতে চান, তাহলে যেতে পারেন। পরবর্তী যেকোনো কর্মদিবসে এসে সেবা নিতে পারবেন।
সার্ভার ডাউনের বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনি ই-পাসপোর্ট প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগযোগ করুন।’
তবে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নতুন ডাটা সেন্টার ও পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য গত ১৭ ও ১৮ মার্চ দুই দিন বন্ধ ছিল ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। সরকারি ছুটির কারণে চার দিন পর আজ রোববার ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়। কিন্তু সেবা কার্যক্রম শুরুর দুই ঘণ্টা পরই আবারও বিকল হয়ে যায় সার্ভার। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সেবা পায়নি সাধারণ মানুষ।
রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেশের উত্তরের জেলা নওগাঁ থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে আসেন আতাউর রহমান। তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। গত ৭ দিন ধরে শুনে যাচ্ছি সার্ভার সমস্যা। সকালে কয়েকজনের কাগজ জমা নিলেও অল্প কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। একটা প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ৭ দিন ধরে নষ্ট, কবে ঠিক হবে কেউ কিছু বলছে না। সকাল থেকে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছে। সমস্যা থাকলে বলে দেন। কবে আসলে সেবা পাব।
অন্য সবার মত লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন উজ্জ্বল চৌধুরী। বন্ধুকে নিয়ে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে এসেছেন। তিনি জানান, জরুরি পাসপোর্ট করতে হবে। গত ১৫ তারিখ ফিঙ্গার ও ছবি তোলার তারিখ ছিল। কিন্তু সে দিন ফিরে গেছেন। আজ আবারও এসেছেন। সকালে যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এখনো সেখানেই আছেন। চলে যাবেন, নাকি থাকবেন সেটি নিশ্চিত হতে পারছেন না। কখন সার্ভার চালু হবে এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছেন না।
রাজধানীর বিএফ শাহিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন আজহারুল ইসলাম ইমন। এখন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। আগামী এপ্রিলের মধ্যে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার তারিখ। কিন্তু এখনো ফিঙ্গার ও ছবি তুলতে পারেননি।
ইমন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ তারিখ থেকে ঘুরেও ফিঙ্গার দিতে পারছি না। আজ সকাল থেকে ফিঙ্গার নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অফিস বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কারণ পাসপোর্ট জমা না দিতে পারলে আমার একটি বছর শেষ হয়ে যাবে।’
ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাগজ জমা নেওয়া কাউন্টারে গিয়ে জানা গেছে, সকালের প্রথম দুই ঘণ্টা সার্ভার চালু ছিল। এরপর হঠাৎ সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাজ চলছে। সার্ভার চালু হলে আবারও কাগজ জমা নেওয়া শুরু হবে।
সকাল থেকে সার্ভারে সমস্যা থাকলেও বিষয়টি দুপুর দুইটার দিকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, ই-পাসপোর্টের সার্ভারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। সমস্যা সমাধান হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই স্ব স্ব স্থানে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। আর যদি কেউ চলে যেতে চান, তাহলে যেতে পারেন। পরবর্তী যেকোনো কর্মদিবসে এসে সেবা নিতে পারবেন।
সার্ভার ডাউনের বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনি ই-পাসপোর্ট প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগযোগ করুন।’
তবে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক সাইদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে