সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে।
গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এসব ঘটিয়ে বিএনপিকে মামলায় জড়াতে চাইছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক দেবাশীষ কণ্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০ থেকে ৫৫ জন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মিছিল থেকে তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের ৫ টুকরো অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত সাতটি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাচের অংশ।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন—নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জামায়াত সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ূর, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা আনিস, বিএনপির নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদলের নেতা মাসুম গাজী, বিএনপির নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেন।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—শওকত হোসেন, হারুন অর রশিদ, হাসিবুল ইসলাম সাঈদ, আশিকুল ইসলাম সাজিদ, মনির হোসেন সরদার, ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, সাহেদ, রহমান, মোজাম্মেল, বাবু, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, হারুন, ফারুক মাল, কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শাহ আলম, ফয়সাল, লিংকন খান, সেলিম মোল্লা, জাকির, আক্তার হোসেন অপু, মোহাম্মদ আলী, এম হান্নান মামুন, ডিস মিঠু, শাহজালাল সরদার, আরিফ হোসেন, কাজী সেজান, তোফাজ্জল হোসেন টিয়া, জুয়েল নূরসহ অজ্ঞাত ৪০ জন।
ফতুল্লা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক। মামলায় উল্লেখ করা হয়—আসামিরা ৩০ নভেম্বর সস্তাপুর এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা দেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিস্ফোরিত ককটেল, আটটি বাঁশের লাঠি, চারটি লোহার রড, একটি টায়ার ও কাচের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—কুতুবপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাতবর, ভুঁইগড় ইউনিট বিএনপির সভাপতি আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, তুষারধারা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, হাজি মো. শহীদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইকবাল, নুরুল হক সরদার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য জুয়েল আরমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক নয়নসহ ৬০ জন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমাদের তো এখন কোনো কর্মসূচি নেই। এসব মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে চায়। ক্ষমতাসীন দলের চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক মামলা দেওয়া হয়েছে।
একই বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা মামলা। গায়েবি ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কারণ তারা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব কর্মসূচি পালন করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে।’

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে।
গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এসব ঘটিয়ে বিএনপিকে মামলায় জড়াতে চাইছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক দেবাশীষ কণ্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০ থেকে ৫৫ জন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মিছিল থেকে তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের ৫ টুকরো অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত সাতটি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাচের অংশ।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন—নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জামায়াত সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ূর, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা আনিস, বিএনপির নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদলের নেতা মাসুম গাজী, বিএনপির নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেন।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—শওকত হোসেন, হারুন অর রশিদ, হাসিবুল ইসলাম সাঈদ, আশিকুল ইসলাম সাজিদ, মনির হোসেন সরদার, ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, সাহেদ, রহমান, মোজাম্মেল, বাবু, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, হারুন, ফারুক মাল, কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শাহ আলম, ফয়সাল, লিংকন খান, সেলিম মোল্লা, জাকির, আক্তার হোসেন অপু, মোহাম্মদ আলী, এম হান্নান মামুন, ডিস মিঠু, শাহজালাল সরদার, আরিফ হোসেন, কাজী সেজান, তোফাজ্জল হোসেন টিয়া, জুয়েল নূরসহ অজ্ঞাত ৪০ জন।
ফতুল্লা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক। মামলায় উল্লেখ করা হয়—আসামিরা ৩০ নভেম্বর সস্তাপুর এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা দেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিস্ফোরিত ককটেল, আটটি বাঁশের লাঠি, চারটি লোহার রড, একটি টায়ার ও কাচের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—কুতুবপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাতবর, ভুঁইগড় ইউনিট বিএনপির সভাপতি আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, তুষারধারা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, হাজি মো. শহীদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইকবাল, নুরুল হক সরদার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য জুয়েল আরমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক নয়নসহ ৬০ জন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমাদের তো এখন কোনো কর্মসূচি নেই। এসব মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে চায়। ক্ষমতাসীন দলের চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক মামলা দেওয়া হয়েছে।
একই বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা মামলা। গায়েবি ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কারণ তারা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব কর্মসূচি পালন করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে।
গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এসব ঘটিয়ে বিএনপিকে মামলায় জড়াতে চাইছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক দেবাশীষ কণ্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০ থেকে ৫৫ জন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মিছিল থেকে তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের ৫ টুকরো অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত সাতটি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাচের অংশ।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন—নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জামায়াত সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ূর, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা আনিস, বিএনপির নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদলের নেতা মাসুম গাজী, বিএনপির নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেন।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—শওকত হোসেন, হারুন অর রশিদ, হাসিবুল ইসলাম সাঈদ, আশিকুল ইসলাম সাজিদ, মনির হোসেন সরদার, ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, সাহেদ, রহমান, মোজাম্মেল, বাবু, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, হারুন, ফারুক মাল, কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শাহ আলম, ফয়সাল, লিংকন খান, সেলিম মোল্লা, জাকির, আক্তার হোসেন অপু, মোহাম্মদ আলী, এম হান্নান মামুন, ডিস মিঠু, শাহজালাল সরদার, আরিফ হোসেন, কাজী সেজান, তোফাজ্জল হোসেন টিয়া, জুয়েল নূরসহ অজ্ঞাত ৪০ জন।
ফতুল্লা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক। মামলায় উল্লেখ করা হয়—আসামিরা ৩০ নভেম্বর সস্তাপুর এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা দেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিস্ফোরিত ককটেল, আটটি বাঁশের লাঠি, চারটি লোহার রড, একটি টায়ার ও কাচের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—কুতুবপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাতবর, ভুঁইগড় ইউনিট বিএনপির সভাপতি আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, তুষারধারা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, হাজি মো. শহীদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইকবাল, নুরুল হক সরদার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য জুয়েল আরমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক নয়নসহ ৬০ জন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমাদের তো এখন কোনো কর্মসূচি নেই। এসব মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে চায়। ক্ষমতাসীন দলের চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক মামলা দেওয়া হয়েছে।
একই বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা মামলা। গায়েবি ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কারণ তারা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব কর্মসূচি পালন করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে।’

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে।
গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হলেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এসব ঘটিয়ে বিএনপিকে মামলায় জড়াতে চাইছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক দেবাশীষ কণ্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০ থেকে ৫৫ জন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। মিছিল থেকে তিন-চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের ৫ টুকরো অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত সাতটি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাচের অংশ।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন—নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জামায়াত সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ূর, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপির নেতা আনিস, বিএনপির নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদলের নেতা মাসুম গাজী, বিএনপির নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ৩০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা তৈরি করেন।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—শওকত হোসেন, হারুন অর রশিদ, হাসিবুল ইসলাম সাঈদ, আশিকুল ইসলাম সাজিদ, মনির হোসেন সরদার, ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, সাহেদ, রহমান, মোজাম্মেল, বাবু, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, হারুন, ফারুক মাল, কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শাহ আলম, ফয়সাল, লিংকন খান, সেলিম মোল্লা, জাকির, আক্তার হোসেন অপু, মোহাম্মদ আলী, এম হান্নান মামুন, ডিস মিঠু, শাহজালাল সরদার, আরিফ হোসেন, কাজী সেজান, তোফাজ্জল হোসেন টিয়া, জুয়েল নূরসহ অজ্ঞাত ৪০ জন।
ফতুল্লা থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক। মামলায় উল্লেখ করা হয়—আসামিরা ৩০ নভেম্বর সস্তাপুর এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে যান চলাচলে বাধা দেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিস্ফোরিত ককটেল, আটটি বাঁশের লাঠি, চারটি লোহার রড, একটি টায়ার ও কাচের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন—কুতুবপুরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাতবর, ভুঁইগড় ইউনিট বিএনপির সভাপতি আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, তুষারধারা ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, যুগ্ম-আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম টিটু, হাজি মো. শহীদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, যুবদলের নেতা জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইকবাল, নুরুল হক সরদার, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য জুয়েল আরমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক নয়নসহ ৬০ জন।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, ‘আমাদের তো এখন কোনো কর্মসূচি নেই। এসব মিথ্যা মামলায় আমাদের জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচাল করতে চায়। ক্ষমতাসীন দলের চক্রান্তের অংশ হিসেবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক মামলা দেওয়া হয়েছে।
একই বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘এগুলো মিথ্যা মামলা। গায়েবি ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কারণ তারা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রস্তুতি দেখে ভয় পেয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব কর্মসূচি পালন করেছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই কাজগুলো করছে।’

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৪১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে। গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ
০২ ডিসেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৪১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে। গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ
০২ ডিসেম্বর ২০২২
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৪১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেহাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে। গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ
০২ ডিসেম্বর ২০২২
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দিপু যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীরাই তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানায় কর্মরত ওই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
দিপু চন্দ্র দাস দুই বছর ধরে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডে কাজ করছিলেন। তিনি জেলার তারাকান্দা উপজেলার রবি চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিহত দিপুর স্ত্রী মেঘনা রানী বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান আজ বাবা-হারা। অভাবের সংসার নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। এই হত্যার বিচার চাই।’
আর দিপু চন্দ্র দাসের বোন চম্পা দাস বিলাপ করে বলেন, ‘আমার ভাই বিএ পাস। সে সাধারণ বাটন মোবাইল ব্যবহার করত। ধর্ম নিয়ে তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার মতো মানুষ সে নয়। উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল—এমন কথা শুনেছি। সেই কারণেই তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, কোম্পানির লোকজন চাইলে তাঁকে জনতার হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশের কাছে দিতে পারতেন। তাহলে এমন নির্মম মৃত্যু হতো না।
নিহত দিপুর বাবা রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে দেশে আইন আছে, আইনের মাধ্যমেই বিচার হতো। আমরা গরিব বলে ছেলের জীবন রক্ষা করতে পারিনি।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা মডেল থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৯৬ জন নেতা-কর্মীকে। গত বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, ফতুল্লার সস্তাপুর ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ
০২ ডিসেম্বর ২০২২
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১১ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
২৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
৪১ মিনিট আগে