রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করলেও সেগুলো বন্ধে নেই কোনো তৎপরতা। বরং পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থেকে এসব অবৈধ অটোরিকশাকে চলাচলের সুযোগ করে দিতে দেখা গেছে। তিন চাকার এসব যানবাহনের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান যাত্রী-পথচারী।
এক সপ্তাহ ধরে খোঁজখবর নিয়ে ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আক্তারুজ্জামান বসু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ ছোট ইস্যু (বিষয়) নয়। দেশে এখন ৪০ লোখ অটোরিকশা চলাচল করে। পুলিশ তো সব সময় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’ পুলিশের টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তো মানুষ। সুযোগ পেলে পুলিশও অপরাধ করে। পুলিশের এমন কিছু সদস্য রয়েছেন, আমরা স্বীকার করছি। পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। যত্রতত্র কারখানায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা। এগুলোও বন্ধ হওয়া দরকার। মহাসড়ক থেকে অটোরিকশা পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে ইউনিফর্ম পরা দুজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন। পাশ দিয়ে চলাচল করছে বহু অটোরিকশা। পাশেই একজন পুলিশ সদস্য অটোরিকশাকে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বৈধ গণপরিবহন। দুপুরের পর থেকে মহাসড়কের শ্রীপুর অংশের জৈনা বাজার থেকে মাধখলা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে পাল্লা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় তিনটি পুলিশ বক্স রয়েছে। এখানে সড়কের শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকে জেলা পুলিশ, থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের অর্ধশতাধিক সদস্য। এত পুলিশ সদস্যের সামনেই চলছে শত শত নিষিদ্ধ যানবাহন।
মহাসড়কের দুটি লেন দখল করে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে অটোরিকশা। মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে অটোচালকেরা লাইনে দাঁড়িয়ে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছিলেন। মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন খান বলেন, অটোরিকশার জন্য আজকাল হেঁটে চলাচলও দায়। অটোরিকশার চালকেরা যত্রতত্র পার্ক করে ভোগান্তির সৃষ্টি করে। ফুটপাত দখল করে শত শত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে।
কোনো কোনো অটোরিকশাকে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অনেক অটোরিকশা উল্টেও পড়ে।
এভাবে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। প্রভাতি পরিবহনের একটি বাসের চালক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অটোরিকশা আমাদের বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। হর্ন দিলেও ওরা সাইড দিতে চায় না। ওরা পুরোপুরি অদক্ষ চালক, কোনো প্রশিক্ষণ নেই। অটোরিকশার জন্য আমাদের অনেক সময় জ্যামে পড়ে থাকতে হয়।’
মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে কথা হয় অটোরিকশাচালক বশিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একজনের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে মান্থলি (মাসিক ভিত্তিতে) করে অটোরিকশা চালাতে হয়। মাসে মাসে টাকা দেওয়ার পরও মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়। এক মাস টাকা না দিলে অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা দিই। যাঁর মাধ্যমে টাকা দিই তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশকে কত টাকা দেয়। এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমি গরিব মানুষ, এত কিছু জানার চেষ্টা করি না। গাড়ি চালাতে পারলেই হলো।’
মহাসড়কে কেন অটো চালান—এমন প্রশ্নে এমসি বাজারে নিজাম উদ্দিন নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পুলিশকে টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাই। মহাসড়কে যাত্রী বেশি, গাড়িও ভালো থাকে—এ জন্য সবাই মহাসড়কে অটোরিকশা চালায়। আমি চালাই, সবাই বন্ধ করলে আমিও করব।’
শ্রীপুর পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রওশন হাসান রুবেল বলেন, ‘সামান্য সড়কে হাজার হাজার অটোরিকশা কী করে চলাচল করে? পুলিশের কয়েকটি টিম তো ২৪ ঘণ্টা দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের সামনে দিয়ে অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কই তারা তো কোনো ধরনের তৎপরতা দেখাচ্ছে না! কারণ কী? তাঁদেরও কী কোনো লাভ রয়েছে এখানে? এটা আমার প্রশ্ন।’
এ ব্যাপারে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে, তখন সব গাড়ির জন্য রাস্তা ক্লিয়ার (চলাচলের সুযোগ) করে। এত বেশি অটোরিকশা কয়টা আটক করবে। এ ছাড়া মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আপনাদের নামসর্বস্ব কয়েকজন সাংবাদিক। পাশাপাশি পুলিশের সদস্যও থাকতে পারে। ওসি আয়ুব আলী আরও বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি মহাসড়ক থেকে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে। কিন্তু অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করলে চালকেরা সবাই মিলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অটোরিকশা বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করলেও সেগুলো বন্ধে নেই কোনো তৎপরতা। বরং পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থেকে এসব অবৈধ অটোরিকশাকে চলাচলের সুযোগ করে দিতে দেখা গেছে। তিন চাকার এসব যানবাহনের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান যাত্রী-পথচারী।
এক সপ্তাহ ধরে খোঁজখবর নিয়ে ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আক্তারুজ্জামান বসু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ ছোট ইস্যু (বিষয়) নয়। দেশে এখন ৪০ লোখ অটোরিকশা চলাচল করে। পুলিশ তো সব সময় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’ পুলিশের টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তো মানুষ। সুযোগ পেলে পুলিশও অপরাধ করে। পুলিশের এমন কিছু সদস্য রয়েছেন, আমরা স্বীকার করছি। পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। যত্রতত্র কারখানায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা। এগুলোও বন্ধ হওয়া দরকার। মহাসড়ক থেকে অটোরিকশা পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে ইউনিফর্ম পরা দুজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন। পাশ দিয়ে চলাচল করছে বহু অটোরিকশা। পাশেই একজন পুলিশ সদস্য অটোরিকশাকে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বৈধ গণপরিবহন। দুপুরের পর থেকে মহাসড়কের শ্রীপুর অংশের জৈনা বাজার থেকে মাধখলা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে পাল্লা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় তিনটি পুলিশ বক্স রয়েছে। এখানে সড়কের শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকে জেলা পুলিশ, থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের অর্ধশতাধিক সদস্য। এত পুলিশ সদস্যের সামনেই চলছে শত শত নিষিদ্ধ যানবাহন।
মহাসড়কের দুটি লেন দখল করে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে অটোরিকশা। মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে অটোচালকেরা লাইনে দাঁড়িয়ে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছিলেন। মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন খান বলেন, অটোরিকশার জন্য আজকাল হেঁটে চলাচলও দায়। অটোরিকশার চালকেরা যত্রতত্র পার্ক করে ভোগান্তির সৃষ্টি করে। ফুটপাত দখল করে শত শত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে।
কোনো কোনো অটোরিকশাকে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অনেক অটোরিকশা উল্টেও পড়ে।
এভাবে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। প্রভাতি পরিবহনের একটি বাসের চালক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অটোরিকশা আমাদের বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। হর্ন দিলেও ওরা সাইড দিতে চায় না। ওরা পুরোপুরি অদক্ষ চালক, কোনো প্রশিক্ষণ নেই। অটোরিকশার জন্য আমাদের অনেক সময় জ্যামে পড়ে থাকতে হয়।’
মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে কথা হয় অটোরিকশাচালক বশিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একজনের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে মান্থলি (মাসিক ভিত্তিতে) করে অটোরিকশা চালাতে হয়। মাসে মাসে টাকা দেওয়ার পরও মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়। এক মাস টাকা না দিলে অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা দিই। যাঁর মাধ্যমে টাকা দিই তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশকে কত টাকা দেয়। এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমি গরিব মানুষ, এত কিছু জানার চেষ্টা করি না। গাড়ি চালাতে পারলেই হলো।’
মহাসড়কে কেন অটো চালান—এমন প্রশ্নে এমসি বাজারে নিজাম উদ্দিন নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পুলিশকে টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাই। মহাসড়কে যাত্রী বেশি, গাড়িও ভালো থাকে—এ জন্য সবাই মহাসড়কে অটোরিকশা চালায়। আমি চালাই, সবাই বন্ধ করলে আমিও করব।’
শ্রীপুর পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রওশন হাসান রুবেল বলেন, ‘সামান্য সড়কে হাজার হাজার অটোরিকশা কী করে চলাচল করে? পুলিশের কয়েকটি টিম তো ২৪ ঘণ্টা দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের সামনে দিয়ে অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কই তারা তো কোনো ধরনের তৎপরতা দেখাচ্ছে না! কারণ কী? তাঁদেরও কী কোনো লাভ রয়েছে এখানে? এটা আমার প্রশ্ন।’
এ ব্যাপারে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে, তখন সব গাড়ির জন্য রাস্তা ক্লিয়ার (চলাচলের সুযোগ) করে। এত বেশি অটোরিকশা কয়টা আটক করবে। এ ছাড়া মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আপনাদের নামসর্বস্ব কয়েকজন সাংবাদিক। পাশাপাশি পুলিশের সদস্যও থাকতে পারে। ওসি আয়ুব আলী আরও বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি মহাসড়ক থেকে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে। কিন্তু অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করলে চালকেরা সবাই মিলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অটোরিকশা বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
৮ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
২৪ মিনিট আগে
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা বালক সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি ‘ক্যারাভান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিক যেন নিজের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, এ বিষয়টি সবারই জানা। এটি আমি স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব কয়েকটি কারণে। এর মধ্যে একটি ১৫ বছরে সত্যিকারার্থে কোনো নির্বাচন হয়নি। যদি নির্বাচনের কথা বলা হয়, তাহলে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০৮ সালে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘৩০ বছরের নিচে যুবকেরা আজ পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি। তাঁরা সত্যিকারার্থে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এবার আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেকটি মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁরা যে দাবির লক্ষ্যে আত্মত্যাগ করেছেন, সে দাবিগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সে তালিকা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
ভোলা জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা বালক সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি ‘ক্যারাভান’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিক যেন নিজের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, এ বিষয়টি সবারই জানা। এটি আমি স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের বিশেষ গুরুত্ব কয়েকটি কারণে। এর মধ্যে একটি ১৫ বছরে সত্যিকারার্থে কোনো নির্বাচন হয়নি। যদি নির্বাচনের কথা বলা হয়, তাহলে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০০৮ সালে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘৩০ বছরের নিচে যুবকেরা আজ পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি। তাঁরা সত্যিকারার্থে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এবার আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেকটি মানুষ যাতে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁরা যে দাবির লক্ষ্যে আত্মত্যাগ করেছেন, সে দাবিগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সে তালিকা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
ভোলা জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
২৪ মিনিট আগে
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
২ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট ও ফকিরহাট প্রতিনিধি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ পরিদর্শন শেষে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে যদি হাদির ওপর আক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে অন্য প্রার্থীরাও শঙ্কায় আছেন। এর সঙ্গে যে গোষ্ঠীই জড়িত থাকুক না কেন, কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এর আগে সড়কপথে মৎস্য আড়ৎ মিলনায়তনে খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ, যুগ্ম সচিব আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ সবুর, খুলনা অঞ্চলের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক গোলাম হায়দার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাসেদুল ইসলাম রানা, ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ, চিতলমারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আনছারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ী ও চাষিরা গলদা চিংড়ির পোনা সংকট, নিম্নমানের খাবারসহ চিংড়িশিল্পের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। মৎস্য উপদেষ্টা চাষিদের সংকটের কথা শোনেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘গলদা চিংড়ি চাষে বড় সংকট এখন পোনার সহজলভ্যতা। পোনার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য বন্ধ থাকা বেসরকারি হ্যাচারিগুলো সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের গলদা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে, সেগুলোক আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, গলদার পোনাসংকট নিরসনে প্রয়োজনে যেসব দেশে চিংড়ির পোনা উৎপাদন হয়, সেখান থেকে আমদানি করা হবে। তবে আইনে নদীর পোনা ধরার যে নিষেধাজ্ঞা, সেটি ভঙ্গ করা যাবে না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ পরিদর্শন শেষে ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে যদি হাদির ওপর আক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে অন্য প্রার্থীরাও শঙ্কায় আছেন। এর সঙ্গে যে গোষ্ঠীই জড়িত থাকুক না কেন, কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এর আগে সড়কপথে মৎস্য আড়ৎ মিলনায়তনে খামারি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ, যুগ্ম সচিব আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ সবুর, খুলনা অঞ্চলের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক গোলাম হায়দার, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাসেদুল ইসলাম রানা, ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ, চিতলমারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আনছারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ী ও চাষিরা গলদা চিংড়ির পোনা সংকট, নিম্নমানের খাবারসহ চিংড়িশিল্পের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। মৎস্য উপদেষ্টা চাষিদের সংকটের কথা শোনেন।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘গলদা চিংড়ি চাষে বড় সংকট এখন পোনার সহজলভ্যতা। পোনার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য বন্ধ থাকা বেসরকারি হ্যাচারিগুলো সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের গলদা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে, সেগুলোক আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, গলদার পোনাসংকট নিরসনে প্রয়োজনে যেসব দেশে চিংড়ির পোনা উৎপাদন হয়, সেখান থেকে আমদানি করা হবে। তবে আইনে নদীর পোনা ধরার যে নিষেধাজ্ঞা, সেটি ভঙ্গ করা যাবে না।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
৮ মিনিট আগে
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
২ ঘণ্টা আগেমহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা-সদরের চার ইউনিয়ন) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সালিমুল হক কামাল রাজনীতি ও ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচন থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাজী সালিমুল হক কামাল জানান, দীর্ঘ সাত বছর কারাবাস, রাজনৈতিক অবহেলা এবং পরিবারের চরম ভোগান্তির কারণে তিনি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। জীবনের বাকি সময় পরিবার নিয়ে শান্তিতে কাটাতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কাজী সালিমুল হক কামাল তাঁর স্ট্যাটাসে স্মৃতিচারণা করেন, ২০০৮ সালের পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৭ সালে একটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাস শেষে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অসুস্থ শরীরে তিনি ২২ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পান। মুক্তির দিন নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও আবেগ তাঁকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
সালিমুল হক কামাল জানান, মুক্তির পর গত ১৬ মাসে মাত্র চারবার মাগুরায় আসেন এবং প্রতিবারই নেতা-কর্মীদের চোখে ভালোবাসার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের কষ্ট ও বেদনা দেখেছেন। ১৬ বছর ধরে মাগুরার ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মামলা, হামলা, জেল ও নির্যাতন সহ্য করেও বিএনপির পতাকা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
সালিমুল হক কামাল দাবি করেন, মাগুরা-২ আসনের ৫১৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে ৫০১ জন, ১৯টি ইউনিয়নের ১৮ জন সাবেক চেয়ারম্যান এবং দুজন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিতভাবে ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তৃণমূলের সেই মতামতকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
কাজী সালিমুল হক কামাল আরও বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের পুনর্বাসনের চেষ্টা দলকে আদর্শিকভাবে দুর্বল করছে। এতে ভবিষ্যতে দলের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আড়পাড়ার এক প্রতিবাদ সভার প্রসঙ্গ টেনে কাজী সালিমুল হক কামাল বলেন, তিনি কখনো নিজের জন্য মনোনয়ন চাননি। তৃণমূলের পছন্দ অনুযায়ী অন্য কোনো যোগ্য প্রার্থী দিলেও নেতা-কর্মীরা মেনে নিতেন। তবে দলের বর্তমান অনড় অবস্থান দেখে তিনি উপলব্ধি করেছেন, এখানে তৃণমূলের যুক্তি বা আবেগের কোনো মূল্য নেই।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি নেতা-কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষোভ থাকলেও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়, যাতে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ইতি টেনে সালিমুল হক কামাল লেখেন, তারুণ্যের জয় হোক। তবে মনে রাখবেন, কর্মীদের চোখের পানি কখনো দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।
উল্লেখ্য, কাজী সালিমুল হক কামাল ১৯৯৪ সালের বহুল আলোচিত উপনির্বাচনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করে নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেন। ওয়ান-ইলেভেন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।
সালিমুল হক কামালের অবসর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাগুরা-২ আসনে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
৮ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
২৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান ওরফে সিজু (২২)।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এই যুবক ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত যুবকের নাম আবু সুফিয়ান সিজু (২২)। বাবার নাম রবিউল ইসলাম। শিবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুর বাহাদুর মোড়লের টোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আবু সুফিয়ানের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে ২৪ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার উমরপুর ঘাট এলাকায়। সেদিন আবু সুফিয়ানকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এরপর দুই হাত ও এক পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, সুফিয়ানের বাঁ হাতের রগ কেটে গেছে। এই হাত কেটে ফেলতে হবে। ডান হাতটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। মাথা ও দুই পায়েও গুরুতর জখম আছে। চোখের ওপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। কালশিরা পড়ে চোখ এখনো ফুলে আছে।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন শাহ আলম ও তাঁর ভাই আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর খোঁচপাড়া গ্রামে। তাঁরা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। উমরপুর ঘাটে তাঁর ওষুধের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের ইনচার্জ শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ভর্তির পর রাতেই আবু সুফিয়ানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহত আবু সুফিয়ানের মা সুফিয়া খাতুন জানান, সুফিয়ানের এক নাবালিকা ভাতিজিকে কিছুদিন আগে এক যুবক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে মামলা করলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ছেলেটিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে আসার পর থেকে ছেলেটি আবার মেয়েটিকে বিরক্ত করছিল।
এ জন্য ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে আবু সুফিয়ান উমরপুর ঘাটে ওই ছেলেটিকে ডেকে তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত না করার জন্য শাসাচ্ছিলেন। তখন বদিউর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহ আলমসহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা ওই ছেলেটির পক্ষ নেন এবং আবু সুফিয়ানকে মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে যোগ দেন শিবিরের কর্মী আনোয়ার হোসেন ও নুর আলী। তাঁরা রাজ্জাকের দোকানের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে সুফিয়ানকে বেঁধে ফেলেন। এরপর লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুই হাত ও পা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেন। খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে রাতেই তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সুফিয়া খাতুন বলেন, তাঁর ছেলেকে জামায়াতের মিছিলে ডাকা হয়েছিল। সুফিয়ান তাদের মিছিলে না গিয়ে বিএনপির মিছিলে যেত। এই রাগে তার হাত-পা এভাবে কেটে দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার পর তার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকলেও জামায়াত-শিবিরের ভয়ে কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এমনকি কোনো গাড়িও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল না। পরে তারা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সুফিয়ানকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আহত আবু সুফিয়ান বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন, ওই ছেলেটি তাঁর ভাতিজিকে বিরক্ত করছে। কিন্তু কোনো কথা না শুনে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাঁকেই বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
জামায়াতের কর্মী শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আর অভিযুক্ত শিবিরের কর্মী নূর আলীর মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় দুজন কর্মী গ্রেপ্তার হলেও জামায়াত-শিবির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে না বলে দাবি করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির সাদিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাহ আলম ও আব্দুর রাজ্জাক আমাদের কর্মী। তবে জামায়াত-শিবির হাত-পা কাটার রাজনীতি করে না। এই ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও আমরা মনে করি না। তাই সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঘটনার পর রাতেই তিনজনের নামে মামলা করেন আবু সুফিয়ানের বাবা। এরপর আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকবেন। কোনো ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হবে।
৮ মিনিট আগে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করা বা না করার চেষ্টা থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের সব ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা দিতে হবে। কোনো গোষ্ঠী যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
২৪ মিনিট আগে
স্ট্যাটাসে দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আবেগ ও অনুভূতির কোনো মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য মাগুরা-২ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পর তৃণমূলে যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বঞ্চনার ফল।
১ ঘণ্টা আগে