Ajker Patrika

পুলিশকে টাকা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ যান

  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটারে অবাধে চলছে অটোরিকশা
  • নিষিদ্ধ যানবাহন থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
  • তিন চাকার যানবাহনের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের
রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ২৩
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন। গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন। গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের শ্রীপুর অংশের ১৩ কিলোমিটারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত কয়েক হাজার অটোরিকশা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করলেও সেগুলো বন্ধে নেই কোনো তৎপরতা। বরং পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থেকে এসব অবৈধ অটোরিকশাকে চলাচলের সুযোগ করে দিতে দেখা গেছে। তিন চাকার এসব যানবাহনের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান যাত্রী-পথচারী।

এক সপ্তাহ ধরে খোঁজখবর নিয়ে ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আক্তারুজ্জামান বসু মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ ছোট ইস্যু (বিষয়) নয়। দেশে এখন ৪০ লোখ অটোরিকশা চলাচল করে। পুলিশ তো সব সময় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’ পুলিশের টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তো মানুষ। সুযোগ পেলে পুলিশও অপরাধ করে। পুলিশের এমন কিছু সদস্য রয়েছেন, আমরা স্বীকার করছি। পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন। যত্রতত্র কারখানায় তৈরি হচ্ছে অবৈধ অটোরিকশা। এগুলোও বন্ধ হওয়া দরকার। মহাসড়ক থেকে অটোরিকশা পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে ইউনিফর্ম পরা দুজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছেন। পাশ দিয়ে চলাচল করছে বহু অটোরিকশা। পাশেই একজন পুলিশ সদস্য অটোরিকশাকে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে বৈধ গণপরিবহন। দুপুরের পর থেকে মহাসড়কের শ্রীপুর অংশের জৈনা বাজার থেকে মাধখলা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে পাল্লা দিয়ে শত শত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়।

মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় তিনটি পুলিশ বক্স রয়েছে। এখানে সড়কের শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকে জেলা পুলিশ, থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের অর্ধশতাধিক সদস্য। এত পুলিশ সদস্যের সামনেই চলছে শত শত নিষিদ্ধ যানবাহন।

মহাসড়কের দুটি লেন দখল করে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকে অটোরিকশা। মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে অটোচালকেরা লাইনে দাঁড়িয়ে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছিলেন। মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন খান বলেন, অটোরিকশার জন্য আজকাল হেঁটে চলাচলও দায়। অটোরিকশার চালকেরা যত্রতত্র পার্ক করে ভোগান্তির সৃষ্টি করে। ফুটপাত দখল করে শত শত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকে।

কোনো কোনো অটোরিকশাকে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। বাসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অনেক অটোরিকশা উল্টেও পড়ে।

এভাবে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। প্রভাতি পরিবহনের একটি বাসের চালক নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘অটোরিকশা আমাদের বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করে। হর্ন দিলেও ওরা সাইড দিতে চায় না। ওরা পুরোপুরি অদক্ষ চালক, কোনো প্রশিক্ষণ নেই। অটোরিকশার জন্য আমাদের অনেক সময় জ্যামে পড়ে থাকতে হয়।’

মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে কথা হয় অটোরিকশাচালক বশিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একজনের মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে মান্থলি (মাসিক ভিত্তিতে) করে অটোরিকশা চালাতে হয়। মাসে মাসে টাকা দেওয়ার পরও মাঝেমধ্যে সমস্যা হয়। এক মাস টাকা না দিলে অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাই বাধ্য হয়ে প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা দিই। যাঁর মাধ্যমে টাকা দিই তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশকে কত টাকা দেয়। এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমি গরিব মানুষ, এত কিছু জানার চেষ্টা করি না। গাড়ি চালাতে পারলেই হলো।’

মহাসড়কে কেন অটো চালান—এমন প্রশ্নে এমসি বাজারে নিজাম উদ্দিন নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পুলিশকে টাকা দিয়ে অটোরিকশা চালাই। মহাসড়কে যাত্রী বেশি, গাড়িও ভালো থাকে—এ জন্য সবাই মহাসড়কে অটোরিকশা চালায়। আমি চালাই, সবাই বন্ধ করলে আমিও করব।’

শ্রীপুর পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রওশন হাসান রুবেল বলেন, ‘সামান্য সড়কে হাজার হাজার অটোরিকশা কী করে চলাচল করে? পুলিশের কয়েকটি টিম তো ২৪ ঘণ্টা দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের সামনে দিয়ে অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, কই তারা তো কোনো ধরনের তৎপরতা দেখাচ্ছে না! কারণ কী? তাঁদেরও কী কোনো লাভ রয়েছে এখানে? এটা আমার প্রশ্ন।’

এ ব্যাপারে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করে, তখন সব গাড়ির জন্য রাস্তা ক্লিয়ার (চলাচলের সুযোগ) করে। এত বেশি অটোরিকশা কয়টা আটক করবে। এ ছাড়া মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে আপনাদের নামসর্বস্ব কয়েকজন সাংবাদিক। পাশাপাশি পুলিশের সদস্যও থাকতে পারে। ওসি আয়ুব আলী আরও বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি মহাসড়ক থেকে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে। কিন্তু অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করলে চালকেরা সবাই মিলে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অটোরিকশা বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুকুমার রঞ্জন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ) পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে নিহত দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণপিটুনিতে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে শোকের মাতম এখনো থামেনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর।

প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ নানা আশ্বাস। এ ছাড়া দিপুর পরিবারের জন্য বাড়িতে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান নিহত দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, শীতবস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন পরিবারটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতাসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় নিহতে দিপুর ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দিপু দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজ সচেতন ময়মনসিংহবাসীর ব্যানারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দিপু দাসের ছোট ভাই অপু দাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আল নুর মো. আয়াস, হৃদয় খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল খোকন, কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।

একই দাবিতে দিপু দাসের নিজ উপজেলা তারাকান্দায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্ট ও দিপু দাসের পরিবার। আজ সকালে তারাকান্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তারাকান্দা উপজেলা সভাপতি বিজন কুমার ভৌমিক রতন, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শর্মা সরকার কাঞ্চনসহ দিপুর পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা কারখানার মালিকসহ প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং দিপু দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা রহমতপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে পৃথক করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা, সব কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৯ মাস আগে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন শুধু আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, তত দিন ক্যাম্পাস লকডাউন, প্রশাসনিক ভবন বন্ধসহ এই আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাসে শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যায় জামাতা গ্রেপ্তার

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে খালে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা মো. জামাল সিকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তিতাস থানা-পুলিশ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।

গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সুফিয়া খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল তাঁকে বসতবাড়ির কাছে খালে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জামাল।

জানা গেছে, জামাল সুফিয়া বেগমের ভাই দিলু সিকদারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সুফিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামালের বাড়ি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন শিকদারকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে আজ সকালে থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত