বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট
অরূপ রায়, সাভার

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’
বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট
অরূপ রায়, সাভার

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।
প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
যেভাবে প্রতারণা
ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’
এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’
সাভারে যেভাবে প্রতারণা
২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।
জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’
সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’
সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’
এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
২৬ জুলাই ২০২৫
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
২০ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪২ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে