Ajker Patrika

বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে শতকোটি টাকার প্রতারণা

অরূপ রায়, সাভার 
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০: ১৩
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে শতকোটি টাকার প্রতারণা

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওলাদ হোসেন, নূরে আলম হান্নান, শরিফ, তোফায়েল আলমসহ আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আওলাদ সাবেক সেনাসদস্য। তাঁরা সবাই ঢাকায় থাকেন। এই চক্রের কার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। সব প্রতারণা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নামে।

প্রতারণার জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান খুলেছিল চক্রটি। আওলাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তাঁর সহযোগীদের কেউ মহাব্যবস্থাপক আবার কেউ উপমহাব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চক্রটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টের পাশে সানকিপাড়া এলাকায় কাজল টাওয়ারে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর তারা জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের বিনিময়ে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে তারা দুই বছরে ময়মনসিংহের অন্তত দেড় হাজার মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়।

যেভাবে প্রতারণা

ছেলে, স্ত্রী ও বোনের জন্য বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২০২৩ সালে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানকিপাড়ার ব্যবসায়ী আরমান হোসেন খান। বিনিময়ে তাঁকে আসল টাকার সঙ্গে ফ্ল্যাট বা জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে মুনাফা দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা তো দূরের কথা, আসল টাকাই পাননি তিনি। আরমান হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটিতে আমার পরিবারের বিনিয়োগ করা টাকার ওপরে ফ্ল্যাট ও জমি বিক্রির লভ্যাংশ থেকে প্রতি মাসে আসল ৫ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি লাখে মুনাফার ২ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। মুনাফা বা আসল বাবদ কোনো টাকাই দেয়নি? তারা। শুধু আমি না, বিনিয়োগকারীদের কেউই টাকা পাননি।’

এদিকে প্রতারণার শিকার লোকজন এসব প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। আরমান হোসেন বলেন, ‘আমি ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেছিলাম। মামলা করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।’

সাভারে যেভাবে প্রতারণা

২০২০ সালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শিমুলতলা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এম কে টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু করে চক্রটি।

জানা গেছে, আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা প্রথমে ঢাকার ধামরাইয়ের চর বড়দাইল মৌজায় ৫৩ শতাংশের একটি জমির ৫৮ লাখ টাকা মূল্য ধরে তা প্রতিষ্ঠানের নামে সাফ কবলা করে নেয়। ওই জমির মালিক সুশান্ত কুমার বিশ্বাস। যদিও এই জমির দাম বাবদ তাঁকে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি তাঁরা। টাকা না দিয়ে জমির মূল্যের সমপরিমাণ টাকা তাঁদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ দেখিয়ে দেন।

সুশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত আসল ও মুনাফা মিলিয়ে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরপর ওই মাসে আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর আর কোনো টাকা পাইনি।’

সুশান্ত কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের কর্মকর্তারা সাভারের আড়াই হাজারের বেশি মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।’

সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের জহিরুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় আমার স্বামী বেস্ট হাউস অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ৪৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়া আমার কথায় বিশ্বাস করে পরিচিত আরও সাতজন ওই প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তাঁদের মধ্যে গত চার বছরে আমার স্বামী মুনাফার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন, কিন্তু বাকিরা কোনো টাকাই পাননি।’

এদিকে ই-কমার্সের নামেও হয়েছে প্রতারণা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোহাম্মদ হোসাইন নামের একজন ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত রমজান মাসে আমিসহ শতাধিক লোক ওপুল্যান্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড চাকরির জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঈদের পরে ওই অফিসে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখি। এরপর থেকে আমরা কেউই টাকা বা চাকরি পাইনি।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আওলাদ হোসেনসহ তাঁর সহযোগীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলার পর দুই পক্ষের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাহরাইনে ২০ তলা ভবন থেকে পড়ে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
নির্মাণাধীন এই ভবন থেকে পড়ে নিহত হন সফিক। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাণাধীন এই ভবন থেকে পড়ে নিহত হন সফিক। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইনে ২০ তলা ভবনে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মো. সফিক (৪০) নামের এক বাংলাদেশি যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে (বাহরাইন সময় বেলা ১১টা) দেশটির ছিটমহল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সফিক বাহরাইনের মানামা অ্যান্ডার গলিতে বসবাস করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাহরাইনপ্রবাসী সুব্রত সাহা। মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সফিকের পরিবার।

জানা গেছে, সফিক চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের (কোয়া চাঁদপুর) মিয়াজী বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সন্তান হারিয়ে মা-বাবাসহ স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা বাক্‌রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছেলের জবানবন্দি: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার মো. ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের পরকীয়ার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে। হত্যার পর লাশের পাশে নির্বিকার বসে ছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে মাদারীপুরের শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল নিজের স্ত্রীর সঙ্গে বাবা ও ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক।

জানা গেছে, প্রথমত নিজের পছন্দের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়নি পরিবার। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তাঁর সঙ্গে রয়েছে ভাই ও বাবার অবৈধ সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পেছনেও ছিল বাবার হাত। বাবার সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া মেনে নিতে না পেরে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ছেলে ফারুক। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বাবাকে নিয়ে কাজের সন্ধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শিবচরে আসেন। মূলত কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তাঁর বাবা মতিউর। পরে রাতের বেলা ছেলে ফারুকের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাবা মোবাইলে কথা বলা শেষে ঘুমিয়ে পড়লে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিতে এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দেন বাবাকে হত্যাকারী ছেলে মো. ফারুক (২৭)। রাত ১০টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। নিহত মতিউর ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার হারিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম জানান,  মতিউর ও তাঁর ছেলে ফারুক কাজের সন্ধানে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে এসে রসুন বপনের কাজ নেন। রোববার বাবা-ছেলে রাতের খাবার শেষে একসঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতে যান। রাত ১০টার পর বিছানায় শুয়ে ছেলে ফারুকের বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন বাবা মতিউর। এ সময় পাশের ঘরে বসে বিড়ি খাচ্ছিলেন ফারুক।

পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবার মুখে কোদাল দিয়ে কোপ মারেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখ, মাথা আর বুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মাত্র আড়াই মিনিটে ১৭টি কোপ দেন। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাঁর লাশের পাশে বসে বিড়ি ধরিয়ে টানতে থাকেন ফারুক।

জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মতিউরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় ফারুককে অবিচল আর নিশ্চুপ থাকতে দেখে বাড়ির মালিক শিবচর থানায় ফোন দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, ফারুকের রক্তাক্ত জামাকাপড়সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মৃতদেহটি সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ফারুককে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে তাঁর বাবা মতিউরকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। নিজের দোষ স্বীকার করে বিচারকের নিকট ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শেষে ফারুককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবাকে হত্যার জন্য আগে থেকে পাশের রুমে একটি কোদাল লুকিয়ে রেখেছিলেন ফারুক। অপেক্ষায় ছিলেন কখন তাঁর বাবা ঘুমাতে যাবেন সেই সুযোগের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গৌরীপুরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জারিয়া অভিমুখী ৪৯ নম্বর বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লেগে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশনের নিকটে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে দ্রুত ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইনচার্জ) আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জারিয়া অভিমুখে চলাচলরত বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগে। পরে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইঞ্জিন পরিবর্তনের কাজ চলছে।

ওসি আরও বলেন, ইঞ্জিন পরিবর্তন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ওই রুটে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী নগরের সিটিহাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নগরের শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুমা মুস্তারী। তিনি বলেন, ‘রাতে জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিসের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।’

ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত উদ্ধার করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁরা এ ব্যাপারে মামলা করতে চেয়েছেন। মামলা দায়ের করা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি মাছুমা মুস্তারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত