Ajker Patrika

বসুন্ধরায় বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ২৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তেলাপোকার কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মাসুদ করিম এই তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. বিল্লাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আজ রোববার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামিপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করে। তারা ট্রাইব্যুনালকে জানায়, আসামিপক্ষ হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেছে। এ কারণে শুনানি স্থগিত করার আবেদন করে তারা। পরে ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসামিপক্ষকে সময় দেন। গত ১৪ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস কোম্পানির এমডি ফরহাদুল আমিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোসলেহ উদ্দিন শামীম ও স্প্রেম্যান মো. টিটু মোল্লা।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২ জুন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মোবারক হোসেন তুষারের বাসায় তেলাপোকার কীটনাশক দেন ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের কর্মীরা। তাঁরা জানায়, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর বাসায় প্রবেশ করা যাবে। কীটনাশক দেওয়ার ৯ ঘণ্টা পর মোবারক তাঁর স্ত্রী শারমিন জাহান ও সন্তানদের নিয়ে বাসায় আসেন। এরপর তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ৩ জুন সকাল ৭টায় শারমিন ও দুই সন্তান বমি করে। তখন আসামি মোসলেহ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, কীটনাশকে অ্যালার্জি ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা হবে না। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ালে দুই সন্তান সাময়িক সুস্থ বোধ করেন। ওই দিন রাতে তারা সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।

পরদিন ৪ জুন ভোর ৪টার দিকে ছোট ছেলে শাহির মোবারত জায়ান অসুস্থবোধ করে। তখন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বড় ছেলে শায়ান মোবারত জাহিন অসুস্থবোধ করলে তাকেও ওই হাসপাতাল নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৫ জুন ‘দায়িত্বে অবহেলাজনিত’ মৃত্যুর অভিযোগে ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষার বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত