নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে।
ট্যুর মুরল্যান্ড নামের একটি সংগঠন তাদের এক যুগ পূর্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, যারা ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। সবাই বন্ধু। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অতিথি। কে আগে, কে পরে বক্তব্য দেবেন—এমন কোনো বিষয় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিথিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় চলে এভাবেই।
শুরুতেই ট্যুর মুরল্যান্ড নিয়ে দেখানো হলো একটি প্রামাণ্যচিত্র। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের হাত ধরে ২০১১ সালে কীভাবে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা হলো এবং এরপর দেশ-বিদেশে এর সদস্যরা কতগুলো অভিযান করলেন সবই দেখানো হলো এতে।
এরপর বক্তব্য নিয়ে এলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক এবং সুমেরু ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রী ইনাম আল হক। বলেন, ভ্রমণের বড় অসুবিধা হলো—যে এলাকায় বেশি ভ্রমণ হয় সেই এলাকার সবকিছু নষ্ট হয়। স্থাপনা, প্রাণী, উদ্ভিদ, মানুষও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা শূন্যে নামানো যাবে না। কিন্তু যারা ভ্রমণে যাবেন তারা যেন এটা মনে করে যান যে, ক্ষতিগুলো সেগুলো সবচেয়ে কমিয়ে রাখবেন।

কথা বললেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন হুসাইন। বললেন, ‘বাংলাদেশ এত অপরূপ একটা দেশ-আপনি একেবারে খালি হাতে ভ্রমণ করতে পারেন। মানুষ আপনাকে ভালোবাসার যে শক্তি সেটি কিন্তু আমার-আপনার সামনে চলে আসে। ভ্রমণ করলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীই একটা গৃহ। আমরা সেই গৃহ খুঁজে বেড়াই।’
দুইবার এভারেস্ট আরোহণকারী একমাত্র বাংলাদেশি এম এ মুহিত বলেন, ‘আমরা চাই, এমন কোনো দুর্গম জায়গা থাকবে না যেখানে বাংলাদেশের মানুষের পা পড়বে না। কিন্তু প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। প্রকৃতি ভালো না থাকলে আমি ভালো থাকব না। তাই যেখানে যাব, সেখানে অপচনশীল কোনো কিছু কোথাও ফেলা যাবে না। পরিবেশটা ঠিক রাখতে হবে।’
পর্বতারোহী, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র গবেষক মীর শামসুল আলম বাবু বলেন, ‘ভ্রমণ করলে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়। নিজের সক্ষমতা-অক্ষমতা বোঝা যায়। তাই মানুষের জীবনের জন্য ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্ব পরিব্রাজক ও সুমেরু অভিযাত্রী তারেক অণু বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি। একজন রিকশাচালক দেশের সব শহর দেখবেন বলে সেই শহরে গিয়ে রিকশা চালান। এই ভ্রমণের জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। অর্থ অনেক পরে।’
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বড় অবদান রাখা সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম বলেন, ‘যারা সাগরে, নদীতে, পাহাড়ে-পর্বতে ঘুরে বেড়ান, তাদের আজ মিলনমেলা বসেছে। ভ্রমণ হলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটা চেষ্টা। এখান থেকেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর মনোবল পাওয়া যায়।’
মোটর সাইক্লিস্ট ও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খারদুংলা জয়ী বাইকার আবদুল মোমেন রোহিত তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প শোনান। শারীরিক সমস্যায় শরীরচর্চার অংশ হিসেবে সাঁতার শিখতে গিয়ে কীভাবে সাঁতারু হয়ে উঠলেন সেই গল্প শোনালেন বাংলা চ্যানেল বিজয়ী ডা. সাকলায়েন রাসেল। ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ভ্রমণ কন্যা’র সভাপতি ডা. সাকিরা হক। বাইকে ভ্রমণ কন্যাদের সারা দেশ ভ্রমণের গল্পও শোনান তিনি।
ভ্রমণ কন্যা সাকিরা হকের সঙ্গে এসেছিলেন আইরিশ অভিযাত্রী মিস জেসিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই সুন্দর দেশ। ঢাকার পরে দ্বিতীয় স্থান হিসেবে রাজশাহী এসেছি। এই শহর অনেক সুন্দর।’ অনুষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা ডা. বাবর আলী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ‘পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা’ শীর্ষক তিনিও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
ভ্রমণ লেখক কালপুরুষ অপু কথা বলেন ভ্রমণের উপকারিতা নিয়ে, পর্বতারোহী কাওছার রূপক আর সালেহীন আরশাদীও তাদের পর্বত আরোহণের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, আ. ন. ম জাফর সাদেক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ট্রেকার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, বাংলা চ্যানেল বিজয়ী আরেক সাঁতারু ডা. জ্যানজিবুল তারেকসহ দেশ বরেণ্য আরও অনেক অভিযাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ট্যুর মুরল্যান্ডের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনের সামনের শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। পরে সংগঠনের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপরই সকালের মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে দেশবরেণ্য অভিযাত্রীরা একে-অপরের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন, ছবি তোলেন। বিকেলে এই অভিযাত্রীদের রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌভ্রমণ, আর রাতে শহরের আলোকায়ন ঘুরে দেখার কথা ছিল।

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে।
ট্যুর মুরল্যান্ড নামের একটি সংগঠন তাদের এক যুগ পূর্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, যারা ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। সবাই বন্ধু। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অতিথি। কে আগে, কে পরে বক্তব্য দেবেন—এমন কোনো বিষয় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিথিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় চলে এভাবেই।
শুরুতেই ট্যুর মুরল্যান্ড নিয়ে দেখানো হলো একটি প্রামাণ্যচিত্র। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের হাত ধরে ২০১১ সালে কীভাবে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা হলো এবং এরপর দেশ-বিদেশে এর সদস্যরা কতগুলো অভিযান করলেন সবই দেখানো হলো এতে।
এরপর বক্তব্য নিয়ে এলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক এবং সুমেরু ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রী ইনাম আল হক। বলেন, ভ্রমণের বড় অসুবিধা হলো—যে এলাকায় বেশি ভ্রমণ হয় সেই এলাকার সবকিছু নষ্ট হয়। স্থাপনা, প্রাণী, উদ্ভিদ, মানুষও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা শূন্যে নামানো যাবে না। কিন্তু যারা ভ্রমণে যাবেন তারা যেন এটা মনে করে যান যে, ক্ষতিগুলো সেগুলো সবচেয়ে কমিয়ে রাখবেন।

কথা বললেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন হুসাইন। বললেন, ‘বাংলাদেশ এত অপরূপ একটা দেশ-আপনি একেবারে খালি হাতে ভ্রমণ করতে পারেন। মানুষ আপনাকে ভালোবাসার যে শক্তি সেটি কিন্তু আমার-আপনার সামনে চলে আসে। ভ্রমণ করলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীই একটা গৃহ। আমরা সেই গৃহ খুঁজে বেড়াই।’
দুইবার এভারেস্ট আরোহণকারী একমাত্র বাংলাদেশি এম এ মুহিত বলেন, ‘আমরা চাই, এমন কোনো দুর্গম জায়গা থাকবে না যেখানে বাংলাদেশের মানুষের পা পড়বে না। কিন্তু প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। প্রকৃতি ভালো না থাকলে আমি ভালো থাকব না। তাই যেখানে যাব, সেখানে অপচনশীল কোনো কিছু কোথাও ফেলা যাবে না। পরিবেশটা ঠিক রাখতে হবে।’
পর্বতারোহী, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র গবেষক মীর শামসুল আলম বাবু বলেন, ‘ভ্রমণ করলে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়। নিজের সক্ষমতা-অক্ষমতা বোঝা যায়। তাই মানুষের জীবনের জন্য ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্ব পরিব্রাজক ও সুমেরু অভিযাত্রী তারেক অণু বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি। একজন রিকশাচালক দেশের সব শহর দেখবেন বলে সেই শহরে গিয়ে রিকশা চালান। এই ভ্রমণের জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। অর্থ অনেক পরে।’
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বড় অবদান রাখা সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম বলেন, ‘যারা সাগরে, নদীতে, পাহাড়ে-পর্বতে ঘুরে বেড়ান, তাদের আজ মিলনমেলা বসেছে। ভ্রমণ হলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটা চেষ্টা। এখান থেকেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর মনোবল পাওয়া যায়।’
মোটর সাইক্লিস্ট ও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খারদুংলা জয়ী বাইকার আবদুল মোমেন রোহিত তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প শোনান। শারীরিক সমস্যায় শরীরচর্চার অংশ হিসেবে সাঁতার শিখতে গিয়ে কীভাবে সাঁতারু হয়ে উঠলেন সেই গল্প শোনালেন বাংলা চ্যানেল বিজয়ী ডা. সাকলায়েন রাসেল। ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ভ্রমণ কন্যা’র সভাপতি ডা. সাকিরা হক। বাইকে ভ্রমণ কন্যাদের সারা দেশ ভ্রমণের গল্পও শোনান তিনি।
ভ্রমণ কন্যা সাকিরা হকের সঙ্গে এসেছিলেন আইরিশ অভিযাত্রী মিস জেসিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই সুন্দর দেশ। ঢাকার পরে দ্বিতীয় স্থান হিসেবে রাজশাহী এসেছি। এই শহর অনেক সুন্দর।’ অনুষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা ডা. বাবর আলী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ‘পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা’ শীর্ষক তিনিও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
ভ্রমণ লেখক কালপুরুষ অপু কথা বলেন ভ্রমণের উপকারিতা নিয়ে, পর্বতারোহী কাওছার রূপক আর সালেহীন আরশাদীও তাদের পর্বত আরোহণের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, আ. ন. ম জাফর সাদেক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ট্রেকার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, বাংলা চ্যানেল বিজয়ী আরেক সাঁতারু ডা. জ্যানজিবুল তারেকসহ দেশ বরেণ্য আরও অনেক অভিযাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ট্যুর মুরল্যান্ডের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনের সামনের শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। পরে সংগঠনের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপরই সকালের মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে দেশবরেণ্য অভিযাত্রীরা একে-অপরের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন, ছবি তোলেন। বিকেলে এই অভিযাত্রীদের রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌভ্রমণ, আর রাতে শহরের আলোকায়ন ঘুরে দেখার কথা ছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে।
ট্যুর মুরল্যান্ড নামের একটি সংগঠন তাদের এক যুগ পূর্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, যারা ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। সবাই বন্ধু। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অতিথি। কে আগে, কে পরে বক্তব্য দেবেন—এমন কোনো বিষয় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিথিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় চলে এভাবেই।
শুরুতেই ট্যুর মুরল্যান্ড নিয়ে দেখানো হলো একটি প্রামাণ্যচিত্র। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের হাত ধরে ২০১১ সালে কীভাবে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা হলো এবং এরপর দেশ-বিদেশে এর সদস্যরা কতগুলো অভিযান করলেন সবই দেখানো হলো এতে।
এরপর বক্তব্য নিয়ে এলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক এবং সুমেরু ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রী ইনাম আল হক। বলেন, ভ্রমণের বড় অসুবিধা হলো—যে এলাকায় বেশি ভ্রমণ হয় সেই এলাকার সবকিছু নষ্ট হয়। স্থাপনা, প্রাণী, উদ্ভিদ, মানুষও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা শূন্যে নামানো যাবে না। কিন্তু যারা ভ্রমণে যাবেন তারা যেন এটা মনে করে যান যে, ক্ষতিগুলো সেগুলো সবচেয়ে কমিয়ে রাখবেন।

কথা বললেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন হুসাইন। বললেন, ‘বাংলাদেশ এত অপরূপ একটা দেশ-আপনি একেবারে খালি হাতে ভ্রমণ করতে পারেন। মানুষ আপনাকে ভালোবাসার যে শক্তি সেটি কিন্তু আমার-আপনার সামনে চলে আসে। ভ্রমণ করলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীই একটা গৃহ। আমরা সেই গৃহ খুঁজে বেড়াই।’
দুইবার এভারেস্ট আরোহণকারী একমাত্র বাংলাদেশি এম এ মুহিত বলেন, ‘আমরা চাই, এমন কোনো দুর্গম জায়গা থাকবে না যেখানে বাংলাদেশের মানুষের পা পড়বে না। কিন্তু প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। প্রকৃতি ভালো না থাকলে আমি ভালো থাকব না। তাই যেখানে যাব, সেখানে অপচনশীল কোনো কিছু কোথাও ফেলা যাবে না। পরিবেশটা ঠিক রাখতে হবে।’
পর্বতারোহী, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র গবেষক মীর শামসুল আলম বাবু বলেন, ‘ভ্রমণ করলে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়। নিজের সক্ষমতা-অক্ষমতা বোঝা যায়। তাই মানুষের জীবনের জন্য ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্ব পরিব্রাজক ও সুমেরু অভিযাত্রী তারেক অণু বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি। একজন রিকশাচালক দেশের সব শহর দেখবেন বলে সেই শহরে গিয়ে রিকশা চালান। এই ভ্রমণের জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। অর্থ অনেক পরে।’
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বড় অবদান রাখা সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম বলেন, ‘যারা সাগরে, নদীতে, পাহাড়ে-পর্বতে ঘুরে বেড়ান, তাদের আজ মিলনমেলা বসেছে। ভ্রমণ হলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটা চেষ্টা। এখান থেকেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর মনোবল পাওয়া যায়।’
মোটর সাইক্লিস্ট ও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খারদুংলা জয়ী বাইকার আবদুল মোমেন রোহিত তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প শোনান। শারীরিক সমস্যায় শরীরচর্চার অংশ হিসেবে সাঁতার শিখতে গিয়ে কীভাবে সাঁতারু হয়ে উঠলেন সেই গল্প শোনালেন বাংলা চ্যানেল বিজয়ী ডা. সাকলায়েন রাসেল। ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ভ্রমণ কন্যা’র সভাপতি ডা. সাকিরা হক। বাইকে ভ্রমণ কন্যাদের সারা দেশ ভ্রমণের গল্পও শোনান তিনি।
ভ্রমণ কন্যা সাকিরা হকের সঙ্গে এসেছিলেন আইরিশ অভিযাত্রী মিস জেসিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই সুন্দর দেশ। ঢাকার পরে দ্বিতীয় স্থান হিসেবে রাজশাহী এসেছি। এই শহর অনেক সুন্দর।’ অনুষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা ডা. বাবর আলী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ‘পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা’ শীর্ষক তিনিও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
ভ্রমণ লেখক কালপুরুষ অপু কথা বলেন ভ্রমণের উপকারিতা নিয়ে, পর্বতারোহী কাওছার রূপক আর সালেহীন আরশাদীও তাদের পর্বত আরোহণের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, আ. ন. ম জাফর সাদেক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ট্রেকার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, বাংলা চ্যানেল বিজয়ী আরেক সাঁতারু ডা. জ্যানজিবুল তারেকসহ দেশ বরেণ্য আরও অনেক অভিযাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ট্যুর মুরল্যান্ডের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনের সামনের শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। পরে সংগঠনের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপরই সকালের মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে দেশবরেণ্য অভিযাত্রীরা একে-অপরের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন, ছবি তোলেন। বিকেলে এই অভিযাত্রীদের রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌভ্রমণ, আর রাতে শহরের আলোকায়ন ঘুরে দেখার কথা ছিল।

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে।
ট্যুর মুরল্যান্ড নামের একটি সংগঠন তাদের এক যুগ পূর্তিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ইউসুফ আলী বললেন, যারা ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো কথা নেই। সবাই বন্ধু। তাই অনুষ্ঠানে সবাই অতিথি। কে আগে, কে পরে বক্তব্য দেবেন—এমন কোনো বিষয় নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অতিথিদের অভিজ্ঞতা বিনিময় চলে এভাবেই।
শুরুতেই ট্যুর মুরল্যান্ড নিয়ে দেখানো হলো একটি প্রামাণ্যচিত্র। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের হাত ধরে ২০১১ সালে কীভাবে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা হলো এবং এরপর দেশ-বিদেশে এর সদস্যরা কতগুলো অভিযান করলেন সবই দেখানো হলো এতে।
এরপর বক্তব্য নিয়ে এলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক এবং সুমেরু ও অ্যান্টার্কটিকা অভিযাত্রী ইনাম আল হক। বলেন, ভ্রমণের বড় অসুবিধা হলো—যে এলাকায় বেশি ভ্রমণ হয় সেই এলাকার সবকিছু নষ্ট হয়। স্থাপনা, প্রাণী, উদ্ভিদ, মানুষও কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা শূন্যে নামানো যাবে না। কিন্তু যারা ভ্রমণে যাবেন তারা যেন এটা মনে করে যান যে, ক্ষতিগুলো সেগুলো সবচেয়ে কমিয়ে রাখবেন।

কথা বললেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মামুন হুসাইন। বললেন, ‘বাংলাদেশ এত অপরূপ একটা দেশ-আপনি একেবারে খালি হাতে ভ্রমণ করতে পারেন। মানুষ আপনাকে ভালোবাসার যে শক্তি সেটি কিন্তু আমার-আপনার সামনে চলে আসে। ভ্রমণ করলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীই একটা গৃহ। আমরা সেই গৃহ খুঁজে বেড়াই।’
দুইবার এভারেস্ট আরোহণকারী একমাত্র বাংলাদেশি এম এ মুহিত বলেন, ‘আমরা চাই, এমন কোনো দুর্গম জায়গা থাকবে না যেখানে বাংলাদেশের মানুষের পা পড়বে না। কিন্তু প্রকৃতির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হবে। প্রকৃতি ভালো না থাকলে আমি ভালো থাকব না। তাই যেখানে যাব, সেখানে অপচনশীল কোনো কিছু কোথাও ফেলা যাবে না। পরিবেশটা ঠিক রাখতে হবে।’
পর্বতারোহী, আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র গবেষক মীর শামসুল আলম বাবু বলেন, ‘ভ্রমণ করলে নিজেকে আবিষ্কার করা যায়। নিজের সক্ষমতা-অক্ষমতা বোঝা যায়। তাই মানুষের জীবনের জন্য ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্ব পরিব্রাজক ও সুমেরু অভিযাত্রী তারেক অণু বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য চাই ইচ্ছাশক্তি। একজন রিকশাচালক দেশের সব শহর দেখবেন বলে সেই শহরে গিয়ে রিকশা চালান। এই ভ্রমণের জন্য ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। অর্থ অনেক পরে।’
সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে বড় অবদান রাখা সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিম বলেন, ‘যারা সাগরে, নদীতে, পাহাড়ে-পর্বতে ঘুরে বেড়ান, তাদের আজ মিলনমেলা বসেছে। ভ্রমণ হলো লক্ষ্যে পৌঁছানোর একটা চেষ্টা। এখান থেকেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর মনোবল পাওয়া যায়।’
মোটর সাইক্লিস্ট ও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে খারদুংলা জয়ী বাইকার আবদুল মোমেন রোহিত তাঁর দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প শোনান। শারীরিক সমস্যায় শরীরচর্চার অংশ হিসেবে সাঁতার শিখতে গিয়ে কীভাবে সাঁতারু হয়ে উঠলেন সেই গল্প শোনালেন বাংলা চ্যানেল বিজয়ী ডা. সাকলায়েন রাসেল। ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ভ্রমণ কন্যা’র সভাপতি ডা. সাকিরা হক। বাইকে ভ্রমণ কন্যাদের সারা দেশ ভ্রমণের গল্পও শোনান তিনি।
ভ্রমণ কন্যা সাকিরা হকের সঙ্গে এসেছিলেন আইরিশ অভিযাত্রী মিস জেসিকা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই সুন্দর দেশ। ঢাকার পরে দ্বিতীয় স্থান হিসেবে রাজশাহী এসেছি। এই শহর অনেক সুন্দর।’ অনুষ্ঠানে পায়ে হেঁটে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করা ডা. বাবর আলী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ‘পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা’ শীর্ষক তিনিও একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।
ভ্রমণ লেখক কালপুরুষ অপু কথা বলেন ভ্রমণের উপকারিতা নিয়ে, পর্বতারোহী কাওছার রূপক আর সালেহীন আরশাদীও তাদের পর্বত আরোহণের দুঃসাহসিক অভিযানের বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল, আ. ন. ম জাফর সাদেক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ট্রেকার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, বাংলা চ্যানেল বিজয়ী আরেক সাঁতারু ডা. জ্যানজিবুল তারেকসহ দেশ বরেণ্য আরও অনেক অভিযাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ট্যুর মুরল্যান্ডের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে মিলনায়তনের সামনের শহীদ মিনার চত্বরে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে আয়োজনের উদ্বোধন করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী। পরে সংগঠনের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপরই সকালের মিষ্টি রোদে দাঁড়িয়ে দেশবরেণ্য অভিযাত্রীরা একে-অপরের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন, ছবি তোলেন। বিকেলে এই অভিযাত্রীদের রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌভ্রমণ, আর রাতে শহরের আলোকায়ন ঘুরে দেখার কথা ছিল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
পোস্টে আরও বলা হয়, 'আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।'

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে, শহিদ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
পোস্টে আরও বলা হয়, 'আমাদের জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীরকে গ্রহণ করতে আমরা সবাই এয়ারপোর্ট থেকে শাহবাগগামী রাস্তার দুইপাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান গ্রহণ করব। সেখান থেকে শহিদ ওসমান হাদিকে সর্বসাধারণের সাক্ষাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হবে।'

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
জমায়েত থেকে হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার দাবিও উঠেছে জমায়েত থেকে। হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। রাতভর বিক্ষোভ চলে।
তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
জমায়েত থেকে হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শায়িত করার দাবিও উঠেছে জমায়েত থেকে। হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। রাতভর বিক্ষোভ চলে।
তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘জুম্মার নামাজের পর যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাই বিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগ অভিমুখে রওনা হয়েছে। জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম থেকে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে।

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা সাময়িকভাবে শেষ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী স্লোগানে কর্মসূচিস্থল মুখর হয়ে ওঠে।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ কেন নেই—এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
আরও বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা, মুখ্য সংগঠক আনিসুর রহমান সজল, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাতসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা অনেকে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাদের ছাড়বে না। আমাদের আর ঘরে ফেরা যাবে না।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা সাময়িকভাবে শেষ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী স্লোগানে কর্মসূচিস্থল মুখর হয়ে ওঠে।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ কেন নেই—এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
আরও বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা, মুখ্য সংগঠক আনিসুর রহমান সজল, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাতসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ‘আমরা অনেকে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাদের ছাড়বে না। আমাদের আর ঘরে ফেরা যাবে না।’

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে...
২ ঘণ্টা আগেনিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।
এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।
এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।
আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।
এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।
এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

অনুষ্ঠানের নাম ‘ব্যাকপ্যাক’। মিলনায়তন ভর্তি মানুষ। সবাই অভিযাত্রী। কেউ ছুটে বেড়ান পাহাড়-পর্বতে, কেউ ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু। নিজ নিজ অভিজ্ঞতার গল্প শোনাতে আজ শনিবার দেশের সব বরেণ্য অভিযাত্রীরা এক ছাদের নিচে হয়েছিলেন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহীতে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে নিয়মিত ফ্লাইটে হাদির মরদেহের কফিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানীর শাহবাগ। বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ শাহবাগেই জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে আশপাশ থেকে আরও লোকজন সেখানে যোগ দিচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
১ ঘণ্টা আগে