ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন। এমনটিই জানিয়েছেন প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের একাধিক বন্ধু ৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের অপকর্ম, ছিনতাই, মাদক গ্রহণ ও চাঁদাবাজি করার পরে নিজেদের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, নেতারা জানবেন—পরে তাঁদের গুরুত্ব দেবেন, সামনে নির্বাচন তাঁদের লাগবে—এমনটিই বলতেন। এ ছাড়া এই গ্যাংয়ের সদস্যরা ছাত্রলীগের হল ও অনুষদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
গ্যাংয়ের সদস্য নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও আরিফ মাহিন মনোয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য। এদিকে তবারক মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উপসম্পাদক এবং প্রত্যয় সাহা ত্রাণ ও দুর্যোগ উপসম্পাদক পদে রয়েছেন।
তবে ছাত্রলীগের দাবি—তাঁরা কেউ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নন। প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাংয়ে থাকা সদস্যরা ছাত্রলীগের কেউ না। নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছাত্রলীগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।’
গ্যাংয়ে থাকা সদস্যদের পদ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সৈকত বলেন, ‘আগে তারা কীভাবে পদ পেয়েছে জানি না, বর্তমানে আমরা এ রকম কাউকে রাজনীতির সুযোগ দেব না।’
গত শনিবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের (হল চত্বরে) সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে ‘তুচ্ছ কারণে’ মারধরের ঘটনার পর আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ‘প্রলয় গ্যাং’ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলায় গ্যাংয়ের কার্যালয় রয়েছে, এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে শিশু পার্কের (সাবেক) পার্শ্বে রয়েছে তাঁদের আস্তানা। যার নাম গ্যাংয়ের সদস্যরা দিয়েছে ‘নিকুম্ভিলা’।
মারধরের শিকার হওয়া জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে ও ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সাকিব ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠালে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনের জন্য দুর্জয় আবেদন করলেও জামিন মেলেনি। এদিকে কারাগারে থাকা দুই সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট দিয়ে প্রবেশ করে ভাঙা গাড়ি রাখার জায়গা পার হয়ে শিশু চত্বরের (সাবেক) পার্শ্বে বটগাছসহ উঁচু টিলার জায়গায় গ্যাংয়ের সদস্যদের আস্তানা রয়েছে। উদ্যানের ভেতরের প্রকল্পের কাজ করার জন্য বানানো টিনশেডের একটি ঘরও দখল করে থাকতেন গ্যাংয়ের সদস্যরা। টিনশেড ওই ঘরের দরজার সামনে লেখা রয়েছে ‘প্রলয়’।
এদিকে শাহবাগ, টিএসসি, পলাশী, মেডিকেল মোড়, চানখাঁরপুলের বিভিন্ন জায়গায় আইল্যান্ড পানি বিক্রি করতেন জোর করে গ্যাংয়ের সদস্যরা। দোকানদের সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য পানি কোম্পানিকে ক্যাম্পাস এরিয়ায় পানি বিক্রি করতে পারবে না বলে হুমকি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকা ওয়াসার জিমখানা পানির পাম্পের একটি কক্ষে জোর করে আইল্যান্ড পানি রাখত গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পানিগুলো জব্দ করে শাহবাগ থানা-পুলিশ।
গত বছরের আগস্ট মাসের ৮ তারিখ রাতে শহীদ মিনারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সেটার কোনো অগ্রগতি হয়নি। সে সময় বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ডা. সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গ্যাংয়ে থাকা তবারক মিয়াকে চিহ্নিত করেন তিনি।
গ্যাংয়ের সদস্যরা ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত গল্প করতেন এবং বলতেন ইন্টার্ন চিকিৎসককে মেরেছি, কী হয়েছে, কিছুই হবে না—এমনটি বলে গর্ব করতেন বলে জানান গ্যাংয়ের সদস্যদের একাধিক বন্ধু।
উদ্যানের ভেতরের প্রকল্পের কাজ করার জন্য বানানো টিনশেডের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বন্ধু বলেন, ‘তারা (গ্যাং) ডা. সাজ্জাদকে মারধরের বিষয়ে গর্ব করত। তারা নিজের ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াবে কেউ কিছু করতে পারবে না ইত্যাদি বলত। গ্যাংয়ের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ঢামেকের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদের মুখে লাথি মারেন। উপর্যুপরি চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি মারেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে কবি জসীমউদ্দীন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ ও একই হলের রহমান জিয়া, ফিন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের মুরসালীন আহমেদ ফাইয়াজ। সবাই তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল।’
বর্তমানে গ্যাংয়ের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট এবং মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজন কারাগারে রয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাং জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘একটি জিডি ছিল, সেটি বন্ধ ছিল। ভুক্তভোগী যোগাযোগ করলে আমরা তদন্ত করব এবং প্রমাণ সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় গ্যাং রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এত দিন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘যখনই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ সম্পর্কে গণমাধ্যমের সাহায্যে জানতে পারি, তখনই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রলয় গ্যাং সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রলয় গ্যাংয়ের নাম গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এই গ্যাং কীভাবে গড়ে উঠেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে আন্তহল তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটিকে তদন্তের স্বার্থে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন। এমনটিই জানিয়েছেন প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের একাধিক বন্ধু ৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, গ্যাংয়ের সদস্যরা নিজেদের অপকর্ম, ছিনতাই, মাদক গ্রহণ ও চাঁদাবাজি করার পরে নিজেদের নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে, নেতারা জানবেন—পরে তাঁদের গুরুত্ব দেবেন, সামনে নির্বাচন তাঁদের লাগবে—এমনটিই বলতেন। এ ছাড়া এই গ্যাংয়ের সদস্যরা ছাত্রলীগের হল ও অনুষদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
গ্যাংয়ের সদস্য নাজমুল হোসাইন, তৌসিফ তাহমিদ অর্পণ ও আরিফ মাহিন মনোয়ার ছাত্রলীগের হল শাখার পদে রয়েছেন। নাজমুল ও তৌসিফ মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসম্পাদক। আর মাহিন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সদস্য। এদিকে তবারক মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের পরিকল্পনা ও কর্মসূচি উপসম্পাদক এবং প্রত্যয় সাহা ত্রাণ ও দুর্যোগ উপসম্পাদক পদে রয়েছেন।
তবে ছাত্রলীগের দাবি—তাঁরা কেউ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নন। প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যাংয়ে থাকা সদস্যরা ছাত্রলীগের কেউ না। নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ছাত্রলীগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।’
গ্যাংয়ে থাকা সদস্যদের পদ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সৈকত বলেন, ‘আগে তারা কীভাবে পদ পেয়েছে জানি না, বর্তমানে আমরা এ রকম কাউকে রাজনীতির সুযোগ দেব না।’
গত শনিবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের (হল চত্বরে) সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে ‘তুচ্ছ কারণে’ মারধরের ঘটনার পর আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ‘প্রলয় গ্যাং’ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের তৃতীয় তলায় গ্যাংয়ের কার্যালয় রয়েছে, এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে শিশু পার্কের (সাবেক) পার্শ্বে রয়েছে তাঁদের আস্তানা। যার নাম গ্যাংয়ের সদস্যরা দিয়েছে ‘নিকুম্ভিলা’।
মারধরের শিকার হওয়া জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে ও ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ নাইমুর রহমান দুর্জয় ও সাকিব ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠালে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। জামিনের জন্য দুর্জয় আবেদন করলেও জামিন মেলেনি। এদিকে কারাগারে থাকা দুই সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট দিয়ে প্রবেশ করে ভাঙা গাড়ি রাখার জায়গা পার হয়ে শিশু চত্বরের (সাবেক) পার্শ্বে বটগাছসহ উঁচু টিলার জায়গায় গ্যাংয়ের সদস্যদের আস্তানা রয়েছে। উদ্যানের ভেতরের প্রকল্পের কাজ করার জন্য বানানো টিনশেডের একটি ঘরও দখল করে থাকতেন গ্যাংয়ের সদস্যরা। টিনশেড ওই ঘরের দরজার সামনে লেখা রয়েছে ‘প্রলয়’।
এদিকে শাহবাগ, টিএসসি, পলাশী, মেডিকেল মোড়, চানখাঁরপুলের বিভিন্ন জায়গায় আইল্যান্ড পানি বিক্রি করতেন জোর করে গ্যাংয়ের সদস্যরা। দোকানদের সঙ্গে কথা বলে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্য পানি কোম্পানিকে ক্যাম্পাস এরিয়ায় পানি বিক্রি করতে পারবে না বলে হুমকি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকা ওয়াসার জিমখানা পানির পাম্পের একটি কক্ষে জোর করে আইল্যান্ড পানি রাখত গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পানিগুলো জব্দ করে শাহবাগ থানা-পুলিশ।
গত বছরের আগস্ট মাসের ৮ তারিখ রাতে শহীদ মিনারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসাইনকে মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও সেটার কোনো অগ্রগতি হয়নি। সে সময় বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ডা. সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গ্যাংয়ে থাকা তবারক মিয়াকে চিহ্নিত করেন তিনি।
গ্যাংয়ের সদস্যরা ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনা বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত গল্প করতেন এবং বলতেন ইন্টার্ন চিকিৎসককে মেরেছি, কী হয়েছে, কিছুই হবে না—এমনটি বলে গর্ব করতেন বলে জানান গ্যাংয়ের সদস্যদের একাধিক বন্ধু।
উদ্যানের ভেতরের প্রকল্পের কাজ করার জন্য বানানো টিনশেডের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বন্ধু বলেন, ‘তারা (গ্যাং) ডা. সাজ্জাদকে মারধরের বিষয়ে গর্ব করত। তারা নিজের ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়াবে কেউ কিছু করতে পারবে না ইত্যাদি বলত। গ্যাংয়ের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ঢামেকের ইন্টার্ন ডা. সাজ্জাদের মুখে লাথি মারেন। উপর্যুপরি চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি মারেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া। এরপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে কবি জসীমউদ্দীন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ ও একই হলের রহমান জিয়া, ফিন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের মুরসালীন আহমেদ ফাইয়াজ। সবাই তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল।’
বর্তমানে গ্যাংয়ের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট এবং মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুজন কারাগারে রয়েছে। বাকিরা পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদকে মারধরের ঘটনায় প্রলয় গ্যাং জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘একটি জিডি ছিল, সেটি বন্ধ ছিল। ভুক্তভোগী যোগাযোগ করলে আমরা তদন্ত করব এবং প্রমাণ সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় গ্যাং রয়েছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এত দিন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘যখনই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ সম্পর্কে গণমাধ্যমের সাহায্যে জানতে পারি, তখনই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রলয় গ্যাং সম্পর্কে জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রলয় গ্যাংয়ের নাম গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এই গ্যাং কীভাবে গড়ে উঠেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে আন্তহল তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটিকে তদন্তের স্বার্থে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
২৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১ ঘণ্টা আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন।
২৯ মার্চ ২০২৩
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
২৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১ ঘণ্টা আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
এরপর দলের শীর্ষ ক্ষমতায় থেকে শাহীন চাকলাদার তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান, পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা শাহীন দীর্ঘ ক্ষমতার আবর্তে হয়ে ওঠেন জেলার একক নিয়ন্ত্রক। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কারণেই দৃশ্যত দুর্নীতির সেই মামলার রায় হয়নি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সেই মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান শাহীন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিকে ২০০৯-১৭ সাল পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদক মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ দিয়ে তিনি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা বিচারাধীন।
শুধু শাহীন চাকলাদার কিংবা সাবেক ভিসি সাত্তার নয়; গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নড়েচড়ে বসেছেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের জালে আটকে গেছেন যশোর ও নড়াইলের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তারা। নজরদারিতে রয়েছেন অর্ধশতাধিক সরকারি আমলা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। ধরপাকড়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধে যেমন রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে দুদক, তেমনি মামলা-চার্জশিটেও অপেক্ষাকৃত বেশি আসামিকে অভিযুক্ত করেছে সংস্থাটি।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ছিল ১৬টি। অনুসন্ধান করেছে ৩৮টি। এরপর মামলা করা হয়েছে ২২টি। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ১৪টির। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদক সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালিয়েছে সাবরেজিস্ট্রি অফিস, কাস্টসম, বিআরটিএ, জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, ভূমি অফিস, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ সরকারি দপ্তরগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই নানা অসংগতি দেখেছে। কয়েকটি জায়গায় মামলা করা হলেও বাকিগুলো তদন্তাধীন বলে জানা গেছে। আদালতের মাধ্যমে দুদক ইতিমধ্যে ছয় সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং তাঁদের স্ত্রীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক এমপি রনজিৎ রায়, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল।
এ ছাড়া আরও তিনজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সর্বশেষ যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
যেসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নড়াইলের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭ গ্রাহকের পাস বই ব্যবহার করে সরকারি ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় যশোরের সাবেক পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল বাকিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দিয়েছে।
অন্যদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামসহ দুদক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ অক্টোবর আড়াই লাখ টাকা ঘুষসহ যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও সহযোগী হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানতে চাইলে টিআইবি যশোরের সভাপতি পাভেল চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে দুদক ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এমন ঘটনা আছে অহরহ। সংস্থাটি বিগত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন অনেকটা স্বাধীন হয়েছে বলেই বিগত সরকারের আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের জালে আটকে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুদক যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক বিগত সময়কালের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্বাধীন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে। অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তা ছাড়া বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
এরপর দলের শীর্ষ ক্ষমতায় থেকে শাহীন চাকলাদার তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান, পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা শাহীন দীর্ঘ ক্ষমতার আবর্তে হয়ে ওঠেন জেলার একক নিয়ন্ত্রক। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কারণেই দৃশ্যত দুর্নীতির সেই মামলার রায় হয়নি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সেই মামলায় তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান শাহীন। তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এদিকে ২০০৯-১৭ সাল পর্যন্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদক মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ দিয়ে তিনি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষে সম্প্রতি তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি মামলা বিচারাধীন।
শুধু শাহীন চাকলাদার কিংবা সাবেক ভিসি সাত্তার নয়; গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নড়েচড়ে বসেছেন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের জালে আটকে গেছেন যশোর ও নড়াইলের প্রভাবশালী সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তারা। নজরদারিতে রয়েছেন অর্ধশতাধিক সরকারি আমলা ও সাবেক জনপ্রতিনিধি। ধরপাকড়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধে যেমন রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে দুদক, তেমনি মামলা-চার্জশিটেও অপেক্ষাকৃত বেশি আসামিকে অভিযুক্ত করেছে সংস্থাটি।
যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ছিল ১৬টি। অনুসন্ধান করেছে ৩৮টি। এরপর মামলা করা হয়েছে ২২টি। চার্জশিট দেওয়া হয়েছে ১৪টির। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুদক সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান চালিয়েছে সাবরেজিস্ট্রি অফিস, কাস্টসম, বিআরটিএ, জেলা ও উপজেলায় সরকারি হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, ভূমি অফিস, পৌরসভা, জেলা পরিষদসহ সরকারি দপ্তরগুলোতে। প্রায় প্রতিটি দপ্তরেই নানা অসংগতি দেখেছে। কয়েকটি জায়গায় মামলা করা হলেও বাকিগুলো তদন্তাধীন বলে জানা গেছে। আদালতের মাধ্যমে দুদক ইতিমধ্যে ছয় সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং তাঁদের স্ত্রীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার, সাবেক এমপি রনজিৎ রায়, সাবেক পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল।
এ ছাড়া আরও তিনজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সর্বশেষ যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
যেসব প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নড়াইলের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সঞ্চয় ব্যাংকের ১৭ গ্রাহকের পাস বই ব্যবহার করে সরকারি ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় যশোরের সাবেক পোস্টমাস্টার মো. আব্দুল বাকিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক চার্জশিট দিয়েছে।
অন্যদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ৭ কোটি টাকার চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় বোর্ডের হিসাব সহকারী আব্দুস সালামসহ দুদক ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ অক্টোবর আড়াই লাখ টাকা ঘুষসহ যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও সহযোগী হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানতে চাইলে টিআইবি যশোরের সভাপতি পাভেল চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সময়গুলোতে দুদক ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এমন ঘটনা আছে অহরহ। সংস্থাটি বিগত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন অনেকটা স্বাধীন হয়েছে বলেই বিগত সরকারের আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের জালে আটকে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে দুদক যশোরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক বিগত সময়কালের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্বাধীন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করছে। অভিযোগ পেলেই আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তা ছাড়া বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন।
২৯ মার্চ ২০২৩
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১ ঘণ্টা আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাকি তিন আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও হতাশা। এর মধ্যেও দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতারা তোড়জোড়ের পাশাপাশি গণসংযোগও চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি তরুণ রাজনীতিবিদ মেহেদী হাসান রনি। তিনি এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। আসনটি থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও কণ্ঠশিল্পী মনির খানের মতো প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে মনোনয়ন পান রনি। তবে জেলার বাকি ১, ২ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে মনোনয়ন ঘোষণা না করায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বিএনপির এই অস্থির পরিস্থিতিতে মাঠে কাজ করছে জামায়াত। ৪টি আসনে অনেক আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। প্রার্থীরা দলীয় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি রাইহান উদ্দীন।
তবে বেশি ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহ-২ (সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) আসনে। এই আসন থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবুসহ একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী আলী আজম মো. আবুবকর, ইসলামী আন্দোলনের এইচ এম মোমতাজুল করিম প্রচার চালাচ্ছেন।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-২ সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা করতে দলের নেতা-কর্মীদের বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন রাশেদ।
যদিও বিএনপি থেকে এখনো শরিক দল নিয়ে স্পষ্ট কোনো কথা না বললেও গুঞ্জন রয়েছে, জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মজিদ বঞ্চিত হবেন। এমন আলোচনা সামনে আসার পর থেকে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ পান্নু বলেন, ‘এই আসনকে জেলা বিএনপির হৃৎপিণ্ড বলা হয়। হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের যেমন জীবনহানির শঙ্কা থাকে, তেমনি আসন্ন নির্বাচনে যদি মিত্র দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে বিএনপির রাজনীতির হৃৎপিণ্ডে আঘাত আসবে, রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন) আসন থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এম শহীদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু মনোনয়ন চেয়েছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আবু তালেব। ইসলামী আন্দোলনের আহমদ আব্দুল জলিল এবং গণঅধিকার পরিষদের সাখাওয়াত হোসেন ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মোজাম্মেল হক নামের এক ভোটার বলেন, ‘ঝিনাইদহের রাজনীতি গড়ে উঠেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগ, নিষ্ঠা ও মাঠের লড়াইয়ের ওপর। প্রার্থী নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত হলে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে।’

ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাকি তিন আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে বিরাজ করছে উদ্বেগ ও হতাশা। এর মধ্যেও দলীয় মনোনয়ন পেতে নেতারা তোড়জোড়ের পাশাপাশি গণসংযোগও চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনের বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি তরুণ রাজনীতিবিদ মেহেদী হাসান রনি। তিনি এই আসন থেকে চারবার নির্বাচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে। আসনটি থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও কণ্ঠশিল্পী মনির খানের মতো প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে টপকে মনোনয়ন পান রনি। তবে জেলার বাকি ১, ২ ও ৪ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। এসব আসনে মনোনয়ন ঘোষণা না করায় কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।
বিএনপির এই অস্থির পরিস্থিতিতে মাঠে কাজ করছে জামায়াত। ৪টি আসনে অনেক আগে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। প্রার্থীরা দলীয় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মী নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
কেন্দ্রীয় কৃষক দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির এ এস এম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সভাপতি রাইহান উদ্দীন।
তবে বেশি ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহ-২ (সদর উপজেলা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) আসনে। এই আসন থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মসিউর রহমানের ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবুসহ একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী আলী আজম মো. আবুবকর, ইসলামী আন্দোলনের এইচ এম মোমতাজুল করিম প্রচার চালাচ্ছেন।
এদিকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-২ সংসদীয় এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজে সহযোগিতা করতে দলের নেতা-কর্মীদের বিএনপির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এই আসনে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন রাশেদ।
যদিও বিএনপি থেকে এখনো শরিক দল নিয়ে স্পষ্ট কোনো কথা না বললেও গুঞ্জন রয়েছে, জোটের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মজিদ বঞ্চিত হবেন। এমন আলোচনা সামনে আসার পর থেকে দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ পান্নু বলেন, ‘এই আসনকে জেলা বিএনপির হৃৎপিণ্ড বলা হয়। হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষের যেমন জীবনহানির শঙ্কা থাকে, তেমনি আসন্ন নির্বাচনে যদি মিত্র দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে বিএনপির রাজনীতির হৃৎপিণ্ডে আঘাত আসবে, রাজনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন) আসন থেকে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হামিদুল ইসলাম হামিদ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এম শহীদুজ্জামান বেল্টুর সহধর্মিণী ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুর্শিদা জামান বেল্টু মনোনয়ন চেয়েছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা আমির আবু তালেব। ইসলামী আন্দোলনের আহমদ আব্দুল জলিল এবং গণঅধিকার পরিষদের সাখাওয়াত হোসেন ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
মোজাম্মেল হক নামের এক ভোটার বলেন, ‘ঝিনাইদহের রাজনীতি গড়ে উঠেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ত্যাগ, নিষ্ঠা ও মাঠের লড়াইয়ের ওপর। প্রার্থী নির্বাচনে বাস্তবতা উপেক্ষিত হলে সংগঠনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাবে।’

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন।
২৯ মার্চ ২০২৩
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
২৩ মিনিট আগে
শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর। তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও মাছের অভাবে ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে। অল্পস্বল্প যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
আত্রাই উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির বাজার মূলত দেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও ঢাকা। রপ্তানি হয় ভারতেও। এ উপজেলায় একসময় ৪০ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত থাকলেও বর্তমানে আছেন ১৫-১৮ জন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই রেলস্টেশনের দুই পাশে রয়েছে শুঁটকি মাছ শুকানোর চাতাল। নারী-পুরুষেরা মাছ কাটা, ধোয়া, লবণ লাগিয়ে চাতালে শুকাতে দিচ্ছেন। সকালে রোদে দেওয়া ভেজা মাছগুলোও কেউ কেউ এপিঠ-ওপিঠ উল্টে রাখছেন। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্রাই উপজেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। পাশাপাশি ছোট যমুনা নদী ও আরও রয়েছে শতাধিক খাল-বিল। এসব নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলে বাজারে উঠতে শুরু করে দেশীয় প্রজাতির ট্যাংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, শোল, চাঁদাসহ নানা জাতের মাছ। কিন্তু চায়না দুয়ারি, সুতি, কারেন্ট ও ভাদাই জালের অবাধ ব্যবহারে পানি কমলেও এ বছর দেখা নেই মাছের। মাছের অভাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ ছিল অধিকাংশ চাতাল। এতে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ী ভর তেঁতুলিয়া গ্রামের রামপদ শীল বলেন, ‘এ বছর মাছের খুব অভাব। বাজারে যেটুকু মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি ১০০-২২০ টাকা কেজিতে মাছ কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৭-১০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছি না।’
ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এই সময় শুঁটকিপল্লি মুখর থাকত। কিন্তু এখন বর্ষার শুরুতেই সুতি, দুয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ পাওয়া গেলে এত দিন দুই-আড়াই মাস ব্যবসা করা যেত। মাছের অভাবে অনেক চাতাল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় চাতালের কাজে জড়িত নারী-পুরুষ শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়ছেন।’ নারী শ্রমিক আনজুমান বেগম বলেন, ‘মাছের অভাবে কাজ কমে গেছে। এই শুঁটকি মাছের চাতালে কাজ করে যে টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। কাজ না পেয়ে অনেকে বসে থাকে।’
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অসাধু উপায়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

শুঁটকির গ্রাম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভর তেঁতুলিয়া গ্রাম। এখানকার উৎপাদিত দেশীয় ছোট মাছের শুঁটকি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ায় কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শুধু দেশেই নয়, ভারতে রয়েছে এখানকার শুঁটকির কদর। তবে এখন ভরা মৌসুম হলেও মাছের অভাবে ভাটা পড়েছে শুঁটকি উৎপাদনে। অল্পস্বল্প যে মাছ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে।
আত্রাই উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২৫০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির বাজার মূলত দেশের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও ঢাকা। রপ্তানি হয় ভারতেও। এ উপজেলায় একসময় ৪০ জন ব্যবসায়ী শুঁটকি উৎপাদনে জড়িত থাকলেও বর্তমানে আছেন ১৫-১৮ জন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আত্রাই রেলস্টেশনের দুই পাশে রয়েছে শুঁটকি মাছ শুকানোর চাতাল। নারী-পুরুষেরা মাছ কাটা, ধোয়া, লবণ লাগিয়ে চাতালে শুকাতে দিচ্ছেন। সকালে রোদে দেওয়া ভেজা মাছগুলোও কেউ কেউ এপিঠ-ওপিঠ উল্টে রাখছেন। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আত্রাই উপজেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। পাশাপাশি ছোট যমুনা নদী ও আরও রয়েছে শতাধিক খাল-বিল। এসব নদী ও খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করলে বাজারে উঠতে শুরু করে দেশীয় প্রজাতির ট্যাংরা, পুঁটি, খলসে, টাকি, শোল, চাঁদাসহ নানা জাতের মাছ। কিন্তু চায়না দুয়ারি, সুতি, কারেন্ট ও ভাদাই জালের অবাধ ব্যবহারে পানি কমলেও এ বছর দেখা নেই মাছের। মাছের অভাবে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বন্ধ ছিল অধিকাংশ চাতাল। এতে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন।
শুঁটকি ব্যবসায়ী ভর তেঁতুলিয়া গ্রামের রামপদ শীল বলেন, ‘এ বছর মাছের খুব অভাব। বাজারে যেটুকু মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি ১০০-২২০ টাকা কেজিতে মাছ কিনতে হচ্ছে। প্রতিদিন ২০-২৫ মণ মাছের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার ও মৎস্য আড়ত ঘুরে ৭-১০ মণের বেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী শুঁটকি উৎপাদন করতে পারছি না।’
ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এই সময় শুঁটকিপল্লি মুখর থাকত। কিন্তু এখন বর্ষার শুরুতেই সুতি, দুয়ারি ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় বাজারে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ পাওয়া গেলে এত দিন দুই-আড়াই মাস ব্যবসা করা যেত। মাছের অভাবে অনেক চাতাল বন্ধ আছে। এ অবস্থায় চাতালের কাজে জড়িত নারী-পুরুষ শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়ছেন।’ নারী শ্রমিক আনজুমান বেগম বলেন, ‘মাছের অভাবে কাজ কমে গেছে। এই শুঁটকি মাছের চাতালে কাজ করে যে টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। কাজ না পেয়ে অনেকে বসে থাকে।’
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অসাধু উপায়ে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

একসময় ছাত্রলীগের নেতারা গুরুত্ব দেবেন, ডাকবেন এবং বিভিন্ন পদ দেবেন—এ আশায় নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ সেশনের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রলয় গ্যাং গড়ে তুলেছিলেন।
২৯ মার্চ ২০২৩
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
২৩ মিনিট আগে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহীন চাকলাদার ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিতও হয়।
২৩ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে চারটি সংসদীয় আসন। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। জেলাজুড়ে বইছে ভোটের হাওয়া। তবে নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলায় মাত্র একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি।
১ ঘণ্টা আগে