নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি। নিজের ফেসবুক আইডি ‘বেহাত’ হয়ে গেলেও সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেননি।
তাঁর এ ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমেই প্রতারণার অভিযোগে র্যাব নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) আটক করে। এনামুল হক নিজেও অংশ নেন এই অভিযানে। পরে র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু হয়। এনামুলের কথায় মামলা ছাড়াই র্যাব জেসমিনকে আটক করেছিল। আটকের পরদিন জেসমিন যখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায়, তখন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে এনামুল হক নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গত বছরের মার্চে। এরপর পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ‘হ্যাক’ করার পর এনামুলের ফেসবুকের মোবাইল নম্বরটি বদলে ফেলা হয়েছে। যে মোবাইল নম্বরটি পরে দেওয়া হয়েছে, সেই সিমটি কেনা হয়েছে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে। এক মাসের মধ্যেই এনামুল হককে এসব জানিয়ে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ওই ফেসবুক থেকে প্রতারণা চলতেই থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হকের ফেসবুক আইডি থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে এ ব্যাপারে তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন এনামুল হক পুলিশের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। কিন্তু তখনো এনামুল হক ফেসবুক হ্যাকের ঘটনায় থানায় মামলা করেননি।
পরে গত অক্টোবরে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া ঢাকার এক ভুক্তভোগী নারী এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকে আসামি করা হয়, যাঁর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা হতো। ফেসবুক আইডি থেকে পরিচয় দেওয়া হতো, রোমানা জেসমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের স্ত্রী। ফেসবুক আইডির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কারণে মামলার আসামি হলেও হ্যাকের ঘটনায় তখনো মামলা করেননি এনামুল হক।
কিন্তু ২২ মার্চ ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জেসমিনকে আটকের পরদিন এনামুল হক রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, অফিসের কাজে নওগাঁয় যাওয়ার পথে র্যাবের টহল দলের সঙ্গে তাঁর হঠাৎ দেখা হয়েছিল। এনামুল হক রাজ মেট্রো-ঘ ১১-০১১৮ নম্বরের একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তার ট্রাভেল হিস্ট্রি লগবুকে উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এনামুল হক তা করেননি। তাঁর সরকারি গাড়ির চালক ইসরাইল জানিয়েছেন, ওই দিন সরকারি কাজে গাড়িসহ এনামুল হককে নিয়ে তিনি নওগাঁয় গিয়েছিলেন কি না, তা মনে নেই। গাড়ির লগবুকে তা লেখা নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব এনামুল হক বলেন, ‘গাড়ির লগবুক প্রতিদিন লেখা হয় না। মাস শেষে একবারই ট্রাভেল হিস্ট্রি লেখা হয় লগবুকে।’ এক বছরের বেশি সময় ফেসবুক হ্যাক হয়ে থাকলেও মামলা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনকে আটক থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং লাশ দাফন—সবই হয়েছে র্যাবের তত্ত্বাবধানে। দাপ্তরিক সকল কাগজপত্রেই র্যাব সদস্যদের নাম রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার কারণে কিছু কাজ পুলিশ সম্পন্ন করেছে। আটকের পর জেসমিনকে দুপুরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় জেসমিনকে। রোগীর রেজিস্টারে লেখা হয়েছে, ‘সুলতানা জেসমিন, কেয়ার অব সাহেদ, গ্রাম-র্যাব-৫ ’। তবে জেসমিনের মৃত্যুর পর রেজিস্টার খাতায় জেসমিনের নাম ঠিক রেখে কেয়ার অব মনোয়ার হোসেন, গ্রাম-হাজি মনসুর রোড, খাস নওগাঁ, নওগাঁ সদর লেখা হয়। এই ঠিকানা সংশোধনের তারিখ ২৪/৩/২০২৩। খাতায় লেখা ফোন নম্বরটিও র্যাবের একজন নারী সদস্যের। আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে আসা ওই নারী র্যাবে কর্মরত।
এদিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জেসমিন মারা যাওয়ার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজপাড়া থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ড মাস্টারের ডেথ রেজিস্টারের খাতায় নাম লেখার সময় জেসমিনের আত্মীয়দের খোঁজ করে কর্তৃপক্ষ। তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরও চাওয়া হয়। কিন্তু তখন জেসমিনের কোনো আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় উপস্থিত র্যাবের একজন সদস্য একটি মোবাইল নম্বর দেন। জেসমিনের নামের সঙ্গে লেখা ওই নম্বরও র্যাবের একজন এসআইয়ের। ডেথ রেজিস্টার থেকে নম্বর নিয়ে কল করা হলে রিসিভ করে নিজের নাম মাসুম বিল্লাহ ও র্যাব-৫ কর্মরত এসআই বলে পরিচয় দেন। তবে এসআই মাসুম বলেন, ‘ওই দিন আমি হাসপাতালে যাইনি। কেউ হয়তো আমার নম্বরটা লিখে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় জেসমিনের সঙ্গে তাঁর দুলাভাই আমিনুল ছিলেন। তবে ভর্তি থেকে ডেথ রেজিস্টার বা অন্যান্য ক্ষেত্রে জেসমিনের নিকটাত্মীয় কারও মোবাইল নম্বর কেন দেওয়া হয়নি, তা জানি না।’
সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা চলছে। এসবের রিপোর্ট এলে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি। নিজের ফেসবুক আইডি ‘বেহাত’ হয়ে গেলেও সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেননি।
তাঁর এ ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমেই প্রতারণার অভিযোগে র্যাব নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) আটক করে। এনামুল হক নিজেও অংশ নেন এই অভিযানে। পরে র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু হয়। এনামুলের কথায় মামলা ছাড়াই র্যাব জেসমিনকে আটক করেছিল। আটকের পরদিন জেসমিন যখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায়, তখন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে এনামুল হক নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গত বছরের মার্চে। এরপর পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ‘হ্যাক’ করার পর এনামুলের ফেসবুকের মোবাইল নম্বরটি বদলে ফেলা হয়েছে। যে মোবাইল নম্বরটি পরে দেওয়া হয়েছে, সেই সিমটি কেনা হয়েছে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে। এক মাসের মধ্যেই এনামুল হককে এসব জানিয়ে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ওই ফেসবুক থেকে প্রতারণা চলতেই থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হকের ফেসবুক আইডি থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে এ ব্যাপারে তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন এনামুল হক পুলিশের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। কিন্তু তখনো এনামুল হক ফেসবুক হ্যাকের ঘটনায় থানায় মামলা করেননি।
পরে গত অক্টোবরে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া ঢাকার এক ভুক্তভোগী নারী এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকে আসামি করা হয়, যাঁর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা হতো। ফেসবুক আইডি থেকে পরিচয় দেওয়া হতো, রোমানা জেসমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের স্ত্রী। ফেসবুক আইডির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কারণে মামলার আসামি হলেও হ্যাকের ঘটনায় তখনো মামলা করেননি এনামুল হক।
কিন্তু ২২ মার্চ ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জেসমিনকে আটকের পরদিন এনামুল হক রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, অফিসের কাজে নওগাঁয় যাওয়ার পথে র্যাবের টহল দলের সঙ্গে তাঁর হঠাৎ দেখা হয়েছিল। এনামুল হক রাজ মেট্রো-ঘ ১১-০১১৮ নম্বরের একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তার ট্রাভেল হিস্ট্রি লগবুকে উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এনামুল হক তা করেননি। তাঁর সরকারি গাড়ির চালক ইসরাইল জানিয়েছেন, ওই দিন সরকারি কাজে গাড়িসহ এনামুল হককে নিয়ে তিনি নওগাঁয় গিয়েছিলেন কি না, তা মনে নেই। গাড়ির লগবুকে তা লেখা নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব এনামুল হক বলেন, ‘গাড়ির লগবুক প্রতিদিন লেখা হয় না। মাস শেষে একবারই ট্রাভেল হিস্ট্রি লেখা হয় লগবুকে।’ এক বছরের বেশি সময় ফেসবুক হ্যাক হয়ে থাকলেও মামলা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনকে আটক থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং লাশ দাফন—সবই হয়েছে র্যাবের তত্ত্বাবধানে। দাপ্তরিক সকল কাগজপত্রেই র্যাব সদস্যদের নাম রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার কারণে কিছু কাজ পুলিশ সম্পন্ন করেছে। আটকের পর জেসমিনকে দুপুরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় জেসমিনকে। রোগীর রেজিস্টারে লেখা হয়েছে, ‘সুলতানা জেসমিন, কেয়ার অব সাহেদ, গ্রাম-র্যাব-৫ ’। তবে জেসমিনের মৃত্যুর পর রেজিস্টার খাতায় জেসমিনের নাম ঠিক রেখে কেয়ার অব মনোয়ার হোসেন, গ্রাম-হাজি মনসুর রোড, খাস নওগাঁ, নওগাঁ সদর লেখা হয়। এই ঠিকানা সংশোধনের তারিখ ২৪/৩/২০২৩। খাতায় লেখা ফোন নম্বরটিও র্যাবের একজন নারী সদস্যের। আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে আসা ওই নারী র্যাবে কর্মরত।
এদিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জেসমিন মারা যাওয়ার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজপাড়া থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ড মাস্টারের ডেথ রেজিস্টারের খাতায় নাম লেখার সময় জেসমিনের আত্মীয়দের খোঁজ করে কর্তৃপক্ষ। তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরও চাওয়া হয়। কিন্তু তখন জেসমিনের কোনো আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় উপস্থিত র্যাবের একজন সদস্য একটি মোবাইল নম্বর দেন। জেসমিনের নামের সঙ্গে লেখা ওই নম্বরও র্যাবের একজন এসআইয়ের। ডেথ রেজিস্টার থেকে নম্বর নিয়ে কল করা হলে রিসিভ করে নিজের নাম মাসুম বিল্লাহ ও র্যাব-৫ কর্মরত এসআই বলে পরিচয় দেন। তবে এসআই মাসুম বলেন, ‘ওই দিন আমি হাসপাতালে যাইনি। কেউ হয়তো আমার নম্বরটা লিখে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় জেসমিনের সঙ্গে তাঁর দুলাভাই আমিনুল ছিলেন। তবে ভর্তি থেকে ডেথ রেজিস্টার বা অন্যান্য ক্ষেত্রে জেসমিনের নিকটাত্মীয় কারও মোবাইল নম্বর কেন দেওয়া হয়নি, তা জানি না।’
সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা চলছে। এসবের রিপোর্ট এলে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি। নিজের ফেসবুক আইডি ‘বেহাত’ হয়ে গেলেও সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেননি।
তাঁর এ ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমেই প্রতারণার অভিযোগে র্যাব নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) আটক করে। এনামুল হক নিজেও অংশ নেন এই অভিযানে। পরে র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু হয়। এনামুলের কথায় মামলা ছাড়াই র্যাব জেসমিনকে আটক করেছিল। আটকের পরদিন জেসমিন যখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায়, তখন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে এনামুল হক নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গত বছরের মার্চে। এরপর পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ‘হ্যাক’ করার পর এনামুলের ফেসবুকের মোবাইল নম্বরটি বদলে ফেলা হয়েছে। যে মোবাইল নম্বরটি পরে দেওয়া হয়েছে, সেই সিমটি কেনা হয়েছে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে। এক মাসের মধ্যেই এনামুল হককে এসব জানিয়ে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ওই ফেসবুক থেকে প্রতারণা চলতেই থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হকের ফেসবুক আইডি থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে এ ব্যাপারে তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন এনামুল হক পুলিশের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। কিন্তু তখনো এনামুল হক ফেসবুক হ্যাকের ঘটনায় থানায় মামলা করেননি।
পরে গত অক্টোবরে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া ঢাকার এক ভুক্তভোগী নারী এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকে আসামি করা হয়, যাঁর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা হতো। ফেসবুক আইডি থেকে পরিচয় দেওয়া হতো, রোমানা জেসমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের স্ত্রী। ফেসবুক আইডির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কারণে মামলার আসামি হলেও হ্যাকের ঘটনায় তখনো মামলা করেননি এনামুল হক।
কিন্তু ২২ মার্চ ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জেসমিনকে আটকের পরদিন এনামুল হক রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, অফিসের কাজে নওগাঁয় যাওয়ার পথে র্যাবের টহল দলের সঙ্গে তাঁর হঠাৎ দেখা হয়েছিল। এনামুল হক রাজ মেট্রো-ঘ ১১-০১১৮ নম্বরের একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তার ট্রাভেল হিস্ট্রি লগবুকে উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এনামুল হক তা করেননি। তাঁর সরকারি গাড়ির চালক ইসরাইল জানিয়েছেন, ওই দিন সরকারি কাজে গাড়িসহ এনামুল হককে নিয়ে তিনি নওগাঁয় গিয়েছিলেন কি না, তা মনে নেই। গাড়ির লগবুকে তা লেখা নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব এনামুল হক বলেন, ‘গাড়ির লগবুক প্রতিদিন লেখা হয় না। মাস শেষে একবারই ট্রাভেল হিস্ট্রি লেখা হয় লগবুকে।’ এক বছরের বেশি সময় ফেসবুক হ্যাক হয়ে থাকলেও মামলা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনকে আটক থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং লাশ দাফন—সবই হয়েছে র্যাবের তত্ত্বাবধানে। দাপ্তরিক সকল কাগজপত্রেই র্যাব সদস্যদের নাম রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার কারণে কিছু কাজ পুলিশ সম্পন্ন করেছে। আটকের পর জেসমিনকে দুপুরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় জেসমিনকে। রোগীর রেজিস্টারে লেখা হয়েছে, ‘সুলতানা জেসমিন, কেয়ার অব সাহেদ, গ্রাম-র্যাব-৫ ’। তবে জেসমিনের মৃত্যুর পর রেজিস্টার খাতায় জেসমিনের নাম ঠিক রেখে কেয়ার অব মনোয়ার হোসেন, গ্রাম-হাজি মনসুর রোড, খাস নওগাঁ, নওগাঁ সদর লেখা হয়। এই ঠিকানা সংশোধনের তারিখ ২৪/৩/২০২৩। খাতায় লেখা ফোন নম্বরটিও র্যাবের একজন নারী সদস্যের। আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে আসা ওই নারী র্যাবে কর্মরত।
এদিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জেসমিন মারা যাওয়ার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজপাড়া থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ড মাস্টারের ডেথ রেজিস্টারের খাতায় নাম লেখার সময় জেসমিনের আত্মীয়দের খোঁজ করে কর্তৃপক্ষ। তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরও চাওয়া হয়। কিন্তু তখন জেসমিনের কোনো আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় উপস্থিত র্যাবের একজন সদস্য একটি মোবাইল নম্বর দেন। জেসমিনের নামের সঙ্গে লেখা ওই নম্বরও র্যাবের একজন এসআইয়ের। ডেথ রেজিস্টার থেকে নম্বর নিয়ে কল করা হলে রিসিভ করে নিজের নাম মাসুম বিল্লাহ ও র্যাব-৫ কর্মরত এসআই বলে পরিচয় দেন। তবে এসআই মাসুম বলেন, ‘ওই দিন আমি হাসপাতালে যাইনি। কেউ হয়তো আমার নম্বরটা লিখে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় জেসমিনের সঙ্গে তাঁর দুলাভাই আমিনুল ছিলেন। তবে ভর্তি থেকে ডেথ রেজিস্টার বা অন্যান্য ক্ষেত্রে জেসমিনের নিকটাত্মীয় কারও মোবাইল নম্বর কেন দেওয়া হয়নি, তা জানি না।’
সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা চলছে। এসবের রিপোর্ট এলে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি। নিজের ফেসবুক আইডি ‘বেহাত’ হয়ে গেলেও সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেননি।
তাঁর এ ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ফেসবুক আইডির মাধ্যমেই প্রতারণার অভিযোগে র্যাব নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) আটক করে। এনামুল হক নিজেও অংশ নেন এই অভিযানে। পরে র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু হয়। এনামুলের কথায় মামলা ছাড়াই র্যাব জেসমিনকে আটক করেছিল। আটকের পরদিন জেসমিন যখন হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায়, তখন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এনামুল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরে এনামুল হক নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গত বছরের মার্চে। এরপর পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, ‘হ্যাক’ করার পর এনামুলের ফেসবুকের মোবাইল নম্বরটি বদলে ফেলা হয়েছে। যে মোবাইল নম্বরটি পরে দেওয়া হয়েছে, সেই সিমটি কেনা হয়েছে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে। এক মাসের মধ্যেই এনামুল হককে এসব জানিয়ে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি মামলা করতে রাজি হননি। অন্যদিকে ওই ফেসবুক থেকে প্রতারণা চলতেই থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হকের ফেসবুক আইডি থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে এ ব্যাপারে তদন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন এনামুল হক পুলিশের কাছ থেকে একটি প্রত্যয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছে। কিন্তু তখনো এনামুল হক ফেসবুক হ্যাকের ঘটনায় থানায় মামলা করেননি।
পরে গত অক্টোবরে চাকরির জন্য টাকা দেওয়া ঢাকার এক ভুক্তভোগী নারী এনামুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় রোমানা ফেরদৌস নামের আরেক নারীকে আসামি করা হয়, যাঁর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা হতো। ফেসবুক আইডি থেকে পরিচয় দেওয়া হতো, রোমানা জেসমিন যুগ্ম সচিব এনামুল হকের স্ত্রী। ফেসবুক আইডির মাধ্যমে টাকা নেওয়ার কারণে মামলার আসামি হলেও হ্যাকের ঘটনায় তখনো মামলা করেননি এনামুল হক।
কিন্তু ২২ মার্চ ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জেসমিনকে আটকের পরদিন এনামুল হক রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেছেন, অফিসের কাজে নওগাঁয় যাওয়ার পথে র্যাবের টহল দলের সঙ্গে তাঁর হঠাৎ দেখা হয়েছিল। এনামুল হক রাজ মেট্রো-ঘ ১১-০১১৮ নম্বরের একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তার ট্রাভেল হিস্ট্রি লগবুকে উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এনামুল হক তা করেননি। তাঁর সরকারি গাড়ির চালক ইসরাইল জানিয়েছেন, ওই দিন সরকারি কাজে গাড়িসহ এনামুল হককে নিয়ে তিনি নওগাঁয় গিয়েছিলেন কি না, তা মনে নেই। গাড়ির লগবুকে তা লেখা নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সচিব এনামুল হক বলেন, ‘গাড়ির লগবুক প্রতিদিন লেখা হয় না। মাস শেষে একবারই ট্রাভেল হিস্ট্রি লেখা হয় লগবুকে।’ এক বছরের বেশি সময় ফেসবুক হ্যাক হয়ে থাকলেও মামলা না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য দেননি।
এদিকে সুলতানা জেসমিনকে আটক থেকে হাসপাতালে ভর্তি এবং লাশ দাফন—সবই হয়েছে র্যাবের তত্ত্বাবধানে। দাপ্তরিক সকল কাগজপত্রেই র্যাব সদস্যদের নাম রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ার কারণে কিছু কাজ পুলিশ সম্পন্ন করেছে। আটকের পর জেসমিনকে দুপুরে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় জেসমিনকে। রোগীর রেজিস্টারে লেখা হয়েছে, ‘সুলতানা জেসমিন, কেয়ার অব সাহেদ, গ্রাম-র্যাব-৫ ’। তবে জেসমিনের মৃত্যুর পর রেজিস্টার খাতায় জেসমিনের নাম ঠিক রেখে কেয়ার অব মনোয়ার হোসেন, গ্রাম-হাজি মনসুর রোড, খাস নওগাঁ, নওগাঁ সদর লেখা হয়। এই ঠিকানা সংশোধনের তারিখ ২৪/৩/২০২৩। খাতায় লেখা ফোন নম্বরটিও র্যাবের একজন নারী সদস্যের। আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে আসা ওই নারী র্যাবে কর্মরত।
এদিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) জেসমিন মারা যাওয়ার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজপাড়া থানায় খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্ড মাস্টারের ডেথ রেজিস্টারের খাতায় নাম লেখার সময় জেসমিনের আত্মীয়দের খোঁজ করে কর্তৃপক্ষ। তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরও চাওয়া হয়। কিন্তু তখন জেসমিনের কোনো আত্মীয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় উপস্থিত র্যাবের একজন সদস্য একটি মোবাইল নম্বর দেন। জেসমিনের নামের সঙ্গে লেখা ওই নম্বরও র্যাবের একজন এসআইয়ের। ডেথ রেজিস্টার থেকে নম্বর নিয়ে কল করা হলে রিসিভ করে নিজের নাম মাসুম বিল্লাহ ও র্যাব-৫ কর্মরত এসআই বলে পরিচয় দেন। তবে এসআই মাসুম বলেন, ‘ওই দিন আমি হাসপাতালে যাইনি। কেউ হয়তো আমার নম্বরটা লিখে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘রামেক হাসপাতালে নেওয়ার সময় জেসমিনের সঙ্গে তাঁর দুলাভাই আমিনুল ছিলেন। তবে ভর্তি থেকে ডেথ রেজিস্টার বা অন্যান্য ক্ষেত্রে জেসমিনের নিকটাত্মীয় কারও মোবাইল নম্বর কেন দেওয়া হয়নি, তা জানি না।’
সুলতানা জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের এখনো তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মৃতদেহ থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা চলছে। এসবের রিপোর্ট এলে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি।
২৯ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি।
২৯ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি।
২৯ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক এনামুল হক আগেই জানতে পেরেছিলেন, চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তিনি এ নিয়ে কোনো মামলা করেননি। পুলিশ কয়েকবার ডেকেও তাঁকে দিয়ে মামলা করাতে পারেনি।
২৯ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে