উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

মাদক সেবনে বাধার কারণ হওয়ায় রাজধানীর দক্ষিণখানে আফিল মিয়া (৫৭) নামের একজন নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণখান থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত সোমবার ভোরে কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার সড়কের দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরদিন নিহতের স্ত্রী মো. খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষিণখানের ওই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মো. পলক (১৯) নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিম। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই যুবক দক্ষিণখান বাজার এলাকার মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, নিহত নৈশপ্রহরী আফিল মিয়া সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সমস্যার কারণ হয়ে পড়েছিলেন।
তারা আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার।
ছুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তাদের ধারণা পলক গাঁজা সেবন করতেন। সে কাজের জন্য তিনি চাকুটি সঙ্গে রাখতেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিমের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আকরামুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৈশপ্রহরীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) ডিবি থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’
নিহত আফিল মিয়ার স্ত্রী খোরশেদা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন—ঘটনার দিন তিনি জনৈক রাকিবুলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্বামীকে কে বা কারা রক্তাক্ত অবস্থায় দক্ষিণখান চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাঁকে প্রথমে কেসি হাসপাতাল ও পরে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে তাঁর স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আফিলের ছেলে খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা নাইটগার্ডের কাজ করত। সে সময় মত ডিউটিতে যেত এবং ডিউটি শেষ করে বাসায় চলে আসত। কে বা কারা বাবাকে খুন করল, কেন করল কিছুই জানি না।’

মাদক সেবনে বাধার কারণ হওয়ায় রাজধানীর দক্ষিণখানে আফিল মিয়া (৫৭) নামের একজন নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণখান থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত সোমবার ভোরে কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার সড়কের দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরদিন নিহতের স্ত্রী মো. খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষিণখানের ওই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মো. পলক (১৯) নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিম। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই যুবক দক্ষিণখান বাজার এলাকার মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, নিহত নৈশপ্রহরী আফিল মিয়া সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সমস্যার কারণ হয়ে পড়েছিলেন।
তারা আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার।
ছুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তাদের ধারণা পলক গাঁজা সেবন করতেন। সে কাজের জন্য তিনি চাকুটি সঙ্গে রাখতেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিমের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আকরামুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৈশপ্রহরীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) ডিবি থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’
নিহত আফিল মিয়ার স্ত্রী খোরশেদা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন—ঘটনার দিন তিনি জনৈক রাকিবুলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্বামীকে কে বা কারা রক্তাক্ত অবস্থায় দক্ষিণখান চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাঁকে প্রথমে কেসি হাসপাতাল ও পরে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে তাঁর স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আফিলের ছেলে খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা নাইটগার্ডের কাজ করত। সে সময় মত ডিউটিতে যেত এবং ডিউটি শেষ করে বাসায় চলে আসত। কে বা কারা বাবাকে খুন করল, কেন করল কিছুই জানি না।’
উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি

মাদক সেবনে বাধার কারণ হওয়ায় রাজধানীর দক্ষিণখানে আফিল মিয়া (৫৭) নামের একজন নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণখান থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত সোমবার ভোরে কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার সড়কের দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরদিন নিহতের স্ত্রী মো. খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষিণখানের ওই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মো. পলক (১৯) নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিম। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই যুবক দক্ষিণখান বাজার এলাকার মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, নিহত নৈশপ্রহরী আফিল মিয়া সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সমস্যার কারণ হয়ে পড়েছিলেন।
তারা আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার।
ছুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তাদের ধারণা পলক গাঁজা সেবন করতেন। সে কাজের জন্য তিনি চাকুটি সঙ্গে রাখতেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিমের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আকরামুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৈশপ্রহরীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) ডিবি থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’
নিহত আফিল মিয়ার স্ত্রী খোরশেদা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন—ঘটনার দিন তিনি জনৈক রাকিবুলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্বামীকে কে বা কারা রক্তাক্ত অবস্থায় দক্ষিণখান চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাঁকে প্রথমে কেসি হাসপাতাল ও পরে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে তাঁর স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আফিলের ছেলে খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা নাইটগার্ডের কাজ করত। সে সময় মত ডিউটিতে যেত এবং ডিউটি শেষ করে বাসায় চলে আসত। কে বা কারা বাবাকে খুন করল, কেন করল কিছুই জানি না।’

মাদক সেবনে বাধার কারণ হওয়ায় রাজধানীর দক্ষিণখানে আফিল মিয়া (৫৭) নামের একজন নৈশপ্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণখান থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত সোমবার ভোরে কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া বাজার সড়কের দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পরদিন নিহতের স্ত্রী মো. খোরশেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে দক্ষিণখানের ওই ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে একজনকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে মো. পলক (১৯) নামের ওই যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিম। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই যুবক দক্ষিণখান বাজার এলাকার মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, নিহত নৈশপ্রহরী আফিল মিয়া সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। যার কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের সমস্যার কারণ হয়ে পড়েছিলেন।
তারা আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার।
ছুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তাদের ধারণা পলক গাঁজা সেবন করতেন। সে কাজের জন্য তিনি চাকুটি সঙ্গে রাখতেন।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা জোনাল টিমের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আকরামুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৈশপ্রহরীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল (শুক্রবার) ডিবি থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।’
নিহত আফিল মিয়ার স্ত্রী খোরশেদা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন—ঘটনার দিন তিনি জনৈক রাকিবুলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্বামীকে কে বা কারা রক্তাক্ত অবস্থায় দক্ষিণখান চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে ফেলে রেখে গেছে। পরে তাঁকে প্রথমে কেসি হাসপাতাল ও পরে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তিনি সেখানে গিয়ে তাঁর স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত আফিলের ছেলে খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা নাইটগার্ডের কাজ করত। সে সময় মত ডিউটিতে যেত এবং ডিউটি শেষ করে বাসায় চলে আসত। কে বা কারা বাবাকে খুন করল, কেন করল কিছুই জানি না।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
৬ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি এবং প্রয়োজনীয় সব ক্লিনিক্যাল প্যারামিটার স্থিতিশীল রয়েছে।
দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ও হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড সর্বশেষ অবস্থা মূল্যায়ন করে দেখেছে যে রোগীর শারীরিক অবস্থায় নতুন করে কোনো অবনতি হয়নি। কিডনি ফাংশন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং শরীরের কোনো অর্গানে (অঙ্গপ্রত্যঙ্গ) নতুন করে সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
এই চিকিৎসক আরও জানান, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছে, তাঁকে সেখানে ইমার্জেন্সি কেয়ারে নেওয়া হবে।
ডা. আহাদ বলেন, ‘প্রথম দিন যেই অবস্থায় রোগীকে আমরা রিসিভ করেছি, এখনো মূলত সেই একই অবস্থায় আছে। অবস্থার উন্নতি হয়নি, আবার খারাপের দিকেও যায়নি।’
তিনি জানান, হাদির মস্তিষ্কে ইডেমা বা ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছিল এবং সেই ইডেমা এখনো কমেনি। ব্রেনে অক্সিজেনের স্বল্পতা ছিল এবং সেই অবস্থার ধারাবাহিক প্রভাব এখনো বিদ্যমান। ইডেমার কারণে ব্রেনের স্কেমিক পরিবর্তন আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটি স্ক্যান না হওয়ায় ইডেমার বর্তমান মাত্রা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পিউপিল রেসপন্সসহ ব্রেন ফাংশনের যে ক্লিনিক্যাল সাইনগুলো দেখা হয়, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
নিউরোসার্জিক্যাল আউটকাম প্রসঙ্গে ডা. আহাদ বলেন, ‘একজন নিউরোসার্জন হিসেবে খুব বেশি আশার জায়গা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তাঁর নিউরোসার্জিক্যাল রেসপন্স প্রথম দিনের মতোই রয়েছে।’
চিকিৎসকেরা জানান, অতিতে গুলিবিদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পূর্বানুমান অতিক্রম করে রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাদির সঙ্গে দেশ থেকে কোনো চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগীকে হস্তান্তর করেছে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি এবং প্রয়োজনীয় সব ক্লিনিক্যাল প্যারামিটার স্থিতিশীল রয়েছে।
দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জন ও হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ।
তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ড সর্বশেষ অবস্থা মূল্যায়ন করে দেখেছে যে রোগীর শারীরিক অবস্থায় নতুন করে কোনো অবনতি হয়নি। কিডনি ফাংশন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে এবং শরীরের কোনো অর্গানে (অঙ্গপ্রত্যঙ্গ) নতুন করে সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
এই চিকিৎসক আরও জানান, আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালের চিকিৎসকদের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করা হয়েছে, তাঁকে সেখানে ইমার্জেন্সি কেয়ারে নেওয়া হবে।
ডা. আহাদ বলেন, ‘প্রথম দিন যেই অবস্থায় রোগীকে আমরা রিসিভ করেছি, এখনো মূলত সেই একই অবস্থায় আছে। অবস্থার উন্নতি হয়নি, আবার খারাপের দিকেও যায়নি।’
তিনি জানান, হাদির মস্তিষ্কে ইডেমা বা ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছিল এবং সেই ইডেমা এখনো কমেনি। ব্রেনে অক্সিজেনের স্বল্পতা ছিল এবং সেই অবস্থার ধারাবাহিক প্রভাব এখনো বিদ্যমান। ইডেমার কারণে ব্রেনের স্কেমিক পরিবর্তন আরও প্রকট হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। নতুন করে কোনো সিটি স্ক্যান না হওয়ায় ইডেমার বর্তমান মাত্রা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পিউপিল রেসপন্সসহ ব্রেন ফাংশনের যে ক্লিনিক্যাল সাইনগুলো দেখা হয়, সেগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
নিউরোসার্জিক্যাল আউটকাম প্রসঙ্গে ডা. আহাদ বলেন, ‘একজন নিউরোসার্জন হিসেবে খুব বেশি আশার জায়গা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। তাঁর নিউরোসার্জিক্যাল রেসপন্স প্রথম দিনের মতোই রয়েছে।’
চিকিৎসকেরা জানান, অতিতে গুলিবিদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পূর্বানুমান অতিক্রম করে রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাদির সঙ্গে দেশ থেকে কোনো চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগীকে হস্তান্তর করেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার...
২১ মার্চ ২০২৪
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মতিউর রহমান সাগর বলেছেন, ‘এই হাউস থেকে আরও কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দিই, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত ভাইয়েরা এলাকায় আছেন, যারা বিগত দিনে আকাম-কুকাম করেছেন, বিভিন্ন অরাজকতা করেছেন, আপনাদের আমরা মাফ করে দেব, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আপনারা এলাকায় থাকবেন, আপনারা চিন্তা কইরা দেখেন আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতেছে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হইলেও, আপনাদের সুবিধা-অসুবিধার জন্য হইলেও, আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। যদি আপনাদের দল কখনো পুনর্বাসন হয়, আপনাদের দল যদি আবার কখনো এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায়, তখন যদি আপনারা আমাদের ছেড়ে চলে যান, আমাদের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আপনারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে ওই জামায়াত-রাজাকারদের ভোট দেবেন, আর আপনারা বাড়িতে শান্তিতে থাকবেন, ওই শান্তিতে কিন্তু আমি থাকতে দেব না। আওয়ামী লীগকে বলি, আপনারা ভোট দিলে বিএনপিকে দেবেন, না দিলে ঘরে শুয়ে থাকবেন।’
মতিউর রহমান সাগর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তাঁর এ বক্তব্য সরাসরি প্রচার করেন।
প্রায় ১৩ মিনিটের লাইভ ভিডিওটি ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে তিনি তাঁর আইডি থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে ভিডিওটি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, ‘নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর জনসম্মুখে যে বক্তব্য দিয়েছে, তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান সাগর গতকাল রোববার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘হঠাৎ জরুরি ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। একটি ভিডিও আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কে বা কারা আমার একটি বক্তব্য এআইর মাধ্যমে কাটছাঁট করে ভাইরাল করেছে। ওই বক্তব্য আমার নয়। একটি দুষ্ট চক্র বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এআইর মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর-২ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতে এসেছে। এটি স্পষ্টতই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট ইলেকটোরাল কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য আমরা সমর্থন করি না। এতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ঘটনা সত্য হলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এবার শরীয়তপুর-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান কিরণ এবং জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার...
২১ মার্চ ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
৬ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

কেউ ইতিমধ্যে মারা গেছেন, কেউ রয়েছেন হাজতে, আবার কেউ আছেন প্রবাসে, তারপরও সবাইকে আসামি করা হয়েছে যুবদল নেতার করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এক মামলায়। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়। মামলার বাদী দাবি করছেন, সিনিয়র নেতাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী তিনি বাদী হয়েছেন। তবে পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতারা বলছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না। তাঁদের দাবি, এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ ৩১ জুলাই থেকে হাজতে থাকা অবস্থায়ও আসামি হয়েছেন। তিনি এই মামলার ২৯ নম্বর আসামি।
নুরুজ্জামান বাবু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান দুই মাস ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন; বিদেশে থাকা অবস্থায় তাঁর নামও তোলা হয়েছে আসামির তালিকায়। তাঁকে করা হয়েছে ৪ নম্বর আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল-বিএনপি কর্মীদের নামও যুক্ত রয়েছে মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলার শ্রীরামদী এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গাছ কেটে ফেলে ও টায়ারে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করে।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বাদী হয়ে ২ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
হাজতি আবু হানিফের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘১ নভেম্বর পুলিশ আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। তিনি তখন থেকেই হাজতে। হাজতে থাকা মানুষ কীভাবে রাস্তায় অবরোধ করবে? বাদীও বলেছেন, তিনি আমার স্বামীকে চেনেন না।’
আবু হানিফের মেয়ে মেহেরুন্নেছা বলেন, ‘আমরা চার বোন। বাবা হাজতে থাকায় মাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এদিকে মৃত শামসউদ্দিনের পরিবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁর ভাই পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা বংশগতভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মারধর, বাড়িছাড়া, সবই সহ্য করেছি। এখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার মৃত ভাইও আসামি! এই ধরনের মামলায় দলেরও বদনাম হয়।’
বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত শামসউদ্দিনের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত।’
পাকুন্দিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘১৪ নভেম্বর রাতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধের ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে, কিন্তু আমাকে কেউ জানায়নি। বাদীও এই এলাকার না। মামলায় থাকা অনেকেই অন্য এলাকার। আমি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাই।’
ছাত্রদল কর্মী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের সঙ্গে পৌর বিএনপি নেতা লিমনের ঝামেলার জেরে আমাকে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
মামলার বাদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুর্শিদ আলম বলেন, ‘ওপরের সিনিয়র নেতারাই তালিকা দিয়েছেন, সব আমি জানি না। হাজতি হানিফ আমার আত্মীয়, তার স্ত্রী এসে কেঁদেছেন, আমি সান্ত্বনা দিয়েছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা নাম পাঠিয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম যে দিয়েছেন, তিনি ভুল করেছেন। আমি দিইনি। ১ তারিখ সন্ধ্যায় এজাহার দিয়েছি, ২ তারিখে রুজু হয়েছে। উপজেলা মিলেই তালিকা করা হয়েছে। কোনো অসংগতি থাকলে বাদ দেওয়া হবে।’
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। এই বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত করব। তদন্তে যদি কেউ নির্দোষ থাকে তাহলে তা বিবেচনা করা হবে।’
কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার আইনজীবী পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি, হাজতে থাকা ব্যক্তি বা প্রবাসী—এরা কীভাবে মামলার আসামি হন? এ ধরনের মামলায় সাধারণত উদ্দেশ্য থাকে বাণিজ্য আর হয়রানি।’

গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার...
২১ মার্চ ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
৬ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
ওসমান হাদির বড় দুই ভাই ওমর ফারুক ও আবু বকর সিদ্দিক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
জানা যায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার ১টা ৫৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে বেলা ১১টা ২২ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
ওসমান হাদির বড় দুই ভাই ওমর ফারুক ও আবু বকর সিদ্দিক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
জানা যায়, বেলা সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে নেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

গ্রেপ্তার হওয়া পলকও সে সময় প্রায়ই রাতে বাজারের আশপাশে মাদক সেবন করতেন। আফিল মিয়া বিষয়টি পরিবারের কাছে জানানোর হুঁশিয়ারি দেন পলককে। ঘটনার রাতেও আফিল মিয়া পলককে দেখে ফেলায় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সেখানে মৃত্যু হয় আফিল মিয়ার...
২১ মার্চ ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বান ও জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসাগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। জরুরি বৈঠক শেষে আজ সোমবার দুপুরে বোর্ড জানায়, হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি।
৬ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর নির্বাচনী সভায় ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি দেন। তাঁর হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উপজেলার কলাদিয়া গ্রামের মো. শামসউদ্দিন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর, ২ ডিসেম্বর রাতে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় মৃত শামসউদ্দিনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁকে ৩৭ নম্বর আসামি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে