নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুকসানা আক্তার রুবির দ্বিতীয় সন্তান রুমা আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রুকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছোট সন্তান জোনাকি আক্তার ও বড় ছেলে রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুবির স্বামী সৌদিপ্রবাসী খলিলুর রহমান, সন্তান রুমা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও নিহত রাসেলের স্ত্রী মিম আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে কিছু আওয়ামীপন্থী দোসর এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী তাঁর পরিবারের তিনজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গেলে উল্টো তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক ‘প্রভাবশালী’ উপদেষ্টার বাবা মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রভাব ও সাহসেই শিমুল চেয়ারম্যান ও তাঁর দোসরেরা এমন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে রুমা অভিযোগ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুমা আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি নিরুপায় ছিলেন এবং তাঁর মা ও পরিবারকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনায় তিনি নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন; তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই পড়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে তাঁর মাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবে ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রুমা শিমুল চেয়ারম্যান, কাশিমপুর গ্রামের আনু মেম্বার, বাছির, শরীফ, রানা, আবু বকর, রবিউল, জহর আমিন, বাচ্চু মেম্বার, রফিক, বিল্লাল বাবুর্চি, ভাড়াটে খুনি গোলাপ মিয়া, সাদ্দামসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
রুমা আক্তার উপদেষ্টার বাবাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিমুল চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা, যাঁরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। মামলার অভিযোগ পুনর্বিন্যাস করতে হবে, কারণ, হত্যাকাণ্ডের সময় পরিবারের সদস্যরা আহত থাকায় তাঁর বোন রিক্তা আক্তার আসামিদের নাম সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি এবং পুলিশ কর্তৃক আসামি নির্ধারণ হওয়ায় অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এগুলো নতুন করে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
রুমা আক্তার আরও বলেন, আজকের পর তাঁদের কারও কোনো ভিন্ন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোথাও দেখলে ধরে নিতে হবে যে, ওই উপদেষ্টার লোকজন জোরপূর্বক তাঁদের দিয়ে সেগুলো বলিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁদের বাবা জুয়েলকে উপদেষ্টার লোকজন তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছেন।
যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন (ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য)
রুমা আক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল তাঁর মাকে মেরে ফেলা। পরে তাঁর ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবেন ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের মা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করার কারণেই মূলত স্থানীয় লোকদের প্রতিহিংসার শিকার হন।
শিমুল বিল্লাহ (চেয়ারম্যান) চেয়েছিলেন তাঁদের ভবন নির্মাণকাজ তাঁর লোকজনের মাধ্যমে করাতে। তাঁর মা এতে রাজি না হওয়ায় শিমুল বিল্লাহ আনু মেম্বারের মাধ্যমে কয়েকবার চাঁদার জন্য লোক পাঠান। চাঁদা না দিলে তাঁর মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁদের বাড়ির গ্লাস ও বিদ্যুতে মিটার ভেঙে ফেলা হয়। এ নিয়ে সে সময় ডিবিতে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছিল।
শরীফ চেয়েছিলেন তাঁর সংগঠনের লোকের কাছ থেকে ইট নিতে। রাজি না হলে প্রতি গাড়ি ইট থেকে তাঁর সংগঠনকে ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। তাঁর মা এতেও রাজি হননি।
এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে তাঁর মা দুবার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। বিএনপি-সমর্থিত হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে বিজয়ী হতে দেয়নি। উল্টো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করত এবং মানহানি করার জন্য মাদকের মতো মামলাতেও তাঁর মায়ের নাম দিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করত।
হত্যাকাণ্ডের দিন যা ঘটেছিল
হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। রবিউলের ঘরে মোবাইল চুরির কারণে একটি ছেলেকে তাঁদের বাড়ির পাশের একটি দোকানে বেদম মারধর করা হলে, ছেলেটির বাবা তাঁদের থেকে তাঁকে বাঁচাতে না পেরে রুমা আক্তারের মায়ের কাছে সাহায্য চান।
রুমা আক্তার জানান, তাঁর মা সেখানে গিয়ে বলেন, ‘চোরটা যদি মরে যায়, তাহলে তো আমরা আশপাশের সবাই ফেঁসে যাব। হয় তাকে ছেড়ে দাও, না হয় পুলিশে দিয়ে দাও।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে থাকা বাচ্চু মেম্বার, শরীফ, বাছির, মোস্তফা, রফিক, আবু বকর, হারুন ডাক্তার, সজল, রুস্তুম, শাহ আলম, রবিউল, রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা একযোগে বলে ওঠেন, ‘এই তুই চোরের পক্ষ ধরে আসছিস কেন? তুই নিজেও চোর!’ এই বলে তাঁর মায়ের ওপর চড়াও হন। রুমা আক্তারের ভাই দৌড়ে গিয়ে তাঁর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এরপর সেই কথিত চোরকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন শরীফের লোকজন। ছেলের খোঁজ না পেয়ে বাবা বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করেন। তখন বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের লোকজন রুমা আক্তারের মাকে সন্দেহ করেন যে, তিনি তাঁকে সহায়তা করেছেন। এই অভিযোগে ২ জুলাই রাতে কড়ইবাড়ী গ্রামের তারু মিয়ার বাড়িতে শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান, আনু মেম্বার, মধুমতিনের উপস্থিতিতে বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের আহ্বানে এক গোপন বৈঠক হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর মাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরে সন্তানেরা বিচারপ্রার্থী হবেন—এই ভয়ে তাঁদেরও শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানে বেশ কিছু টাকা লেনদেন হয় এবং কিছু খুনি ভাড়া করা হয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়িত্ব নেন আনু মেম্বার, শরীফ, বাছির, রফিক, বাচ্চু মেম্বার, বাবু, মধু, রবিউল এবং রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা।
রুমা আক্তারের দাবি, উপদেষ্টার বাবার কথা উল্লেখ করে মামলার দায়িত্ব নেন শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান। উপদেষ্টার বাবার ‘পারমিশন আছে’ জানিয়ে শিমুল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশটা মামলা হলেও আমি দেখব।’ আর মিডিয়া সামলানোর দায়িত্ব নেন শরীফ, বাছির, রফিক, আবু বক্কর, মোস্তফা, বিল্লাল, জহির মেম্বার। সারা রাত তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে সব অস্ত্র শরীফের ফুফাতো বোন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নাজমা বেগমের বাসায় রাখা হয়। পরদিন ৩ জুলাই সকাল ৬টায় সন্ত্রাসী কায়দায়, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রুমা আক্তার বলেন, ‘কী যে নির্মমভাবে ওরা আমার চোখের সামনেই প্রথমে আমার মাকে, এরপর আমার ভাই ও বোনকে মেরে ফেলে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না!’
রুমা আক্তার জানান, তাঁকেও ব্যাপকভাবে কোপানো হয়, তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই রয়েছে। শরীরের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে আঘাত করেননি তাঁরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সময় বারবার পুলিশকে ও ৯৯৯-এ ফোন দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে বাঙ্গরা বাজার থানার দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ হলেও পুলিশ আসে পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, অর্থাৎ প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। এমনকি পুলিশের সামনেই তাঁকে ও তাঁর বোনের ওপর তাঁরা আঘাত করতে থাকেন।
রুমা আক্তার বলেন, তিনি ও তাঁর বোন, ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১০ মাস বয়সী ভাইয়ের মেয়ে ও তাঁর নিহত ছোট বোনের তিনটি সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুকসানা আক্তার রুবির দ্বিতীয় সন্তান রুমা আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রুকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছোট সন্তান জোনাকি আক্তার ও বড় ছেলে রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুবির স্বামী সৌদিপ্রবাসী খলিলুর রহমান, সন্তান রুমা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও নিহত রাসেলের স্ত্রী মিম আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে কিছু আওয়ামীপন্থী দোসর এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী তাঁর পরিবারের তিনজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গেলে উল্টো তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক ‘প্রভাবশালী’ উপদেষ্টার বাবা মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রভাব ও সাহসেই শিমুল চেয়ারম্যান ও তাঁর দোসরেরা এমন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে রুমা অভিযোগ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুমা আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি নিরুপায় ছিলেন এবং তাঁর মা ও পরিবারকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনায় তিনি নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন; তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই পড়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে তাঁর মাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবে ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রুমা শিমুল চেয়ারম্যান, কাশিমপুর গ্রামের আনু মেম্বার, বাছির, শরীফ, রানা, আবু বকর, রবিউল, জহর আমিন, বাচ্চু মেম্বার, রফিক, বিল্লাল বাবুর্চি, ভাড়াটে খুনি গোলাপ মিয়া, সাদ্দামসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
রুমা আক্তার উপদেষ্টার বাবাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিমুল চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা, যাঁরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। মামলার অভিযোগ পুনর্বিন্যাস করতে হবে, কারণ, হত্যাকাণ্ডের সময় পরিবারের সদস্যরা আহত থাকায় তাঁর বোন রিক্তা আক্তার আসামিদের নাম সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি এবং পুলিশ কর্তৃক আসামি নির্ধারণ হওয়ায় অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এগুলো নতুন করে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
রুমা আক্তার আরও বলেন, আজকের পর তাঁদের কারও কোনো ভিন্ন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোথাও দেখলে ধরে নিতে হবে যে, ওই উপদেষ্টার লোকজন জোরপূর্বক তাঁদের দিয়ে সেগুলো বলিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁদের বাবা জুয়েলকে উপদেষ্টার লোকজন তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছেন।
যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন (ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য)
রুমা আক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল তাঁর মাকে মেরে ফেলা। পরে তাঁর ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবেন ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের মা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করার কারণেই মূলত স্থানীয় লোকদের প্রতিহিংসার শিকার হন।
শিমুল বিল্লাহ (চেয়ারম্যান) চেয়েছিলেন তাঁদের ভবন নির্মাণকাজ তাঁর লোকজনের মাধ্যমে করাতে। তাঁর মা এতে রাজি না হওয়ায় শিমুল বিল্লাহ আনু মেম্বারের মাধ্যমে কয়েকবার চাঁদার জন্য লোক পাঠান। চাঁদা না দিলে তাঁর মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁদের বাড়ির গ্লাস ও বিদ্যুতে মিটার ভেঙে ফেলা হয়। এ নিয়ে সে সময় ডিবিতে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছিল।
শরীফ চেয়েছিলেন তাঁর সংগঠনের লোকের কাছ থেকে ইট নিতে। রাজি না হলে প্রতি গাড়ি ইট থেকে তাঁর সংগঠনকে ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। তাঁর মা এতেও রাজি হননি।
এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে তাঁর মা দুবার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। বিএনপি-সমর্থিত হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে বিজয়ী হতে দেয়নি। উল্টো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করত এবং মানহানি করার জন্য মাদকের মতো মামলাতেও তাঁর মায়ের নাম দিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করত।
হত্যাকাণ্ডের দিন যা ঘটেছিল
হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। রবিউলের ঘরে মোবাইল চুরির কারণে একটি ছেলেকে তাঁদের বাড়ির পাশের একটি দোকানে বেদম মারধর করা হলে, ছেলেটির বাবা তাঁদের থেকে তাঁকে বাঁচাতে না পেরে রুমা আক্তারের মায়ের কাছে সাহায্য চান।
রুমা আক্তার জানান, তাঁর মা সেখানে গিয়ে বলেন, ‘চোরটা যদি মরে যায়, তাহলে তো আমরা আশপাশের সবাই ফেঁসে যাব। হয় তাকে ছেড়ে দাও, না হয় পুলিশে দিয়ে দাও।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে থাকা বাচ্চু মেম্বার, শরীফ, বাছির, মোস্তফা, রফিক, আবু বকর, হারুন ডাক্তার, সজল, রুস্তুম, শাহ আলম, রবিউল, রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা একযোগে বলে ওঠেন, ‘এই তুই চোরের পক্ষ ধরে আসছিস কেন? তুই নিজেও চোর!’ এই বলে তাঁর মায়ের ওপর চড়াও হন। রুমা আক্তারের ভাই দৌড়ে গিয়ে তাঁর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এরপর সেই কথিত চোরকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন শরীফের লোকজন। ছেলের খোঁজ না পেয়ে বাবা বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করেন। তখন বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের লোকজন রুমা আক্তারের মাকে সন্দেহ করেন যে, তিনি তাঁকে সহায়তা করেছেন। এই অভিযোগে ২ জুলাই রাতে কড়ইবাড়ী গ্রামের তারু মিয়ার বাড়িতে শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান, আনু মেম্বার, মধুমতিনের উপস্থিতিতে বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের আহ্বানে এক গোপন বৈঠক হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর মাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরে সন্তানেরা বিচারপ্রার্থী হবেন—এই ভয়ে তাঁদেরও শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানে বেশ কিছু টাকা লেনদেন হয় এবং কিছু খুনি ভাড়া করা হয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়িত্ব নেন আনু মেম্বার, শরীফ, বাছির, রফিক, বাচ্চু মেম্বার, বাবু, মধু, রবিউল এবং রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা।
রুমা আক্তারের দাবি, উপদেষ্টার বাবার কথা উল্লেখ করে মামলার দায়িত্ব নেন শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান। উপদেষ্টার বাবার ‘পারমিশন আছে’ জানিয়ে শিমুল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশটা মামলা হলেও আমি দেখব।’ আর মিডিয়া সামলানোর দায়িত্ব নেন শরীফ, বাছির, রফিক, আবু বক্কর, মোস্তফা, বিল্লাল, জহির মেম্বার। সারা রাত তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে সব অস্ত্র শরীফের ফুফাতো বোন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নাজমা বেগমের বাসায় রাখা হয়। পরদিন ৩ জুলাই সকাল ৬টায় সন্ত্রাসী কায়দায়, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রুমা আক্তার বলেন, ‘কী যে নির্মমভাবে ওরা আমার চোখের সামনেই প্রথমে আমার মাকে, এরপর আমার ভাই ও বোনকে মেরে ফেলে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না!’
রুমা আক্তার জানান, তাঁকেও ব্যাপকভাবে কোপানো হয়, তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই রয়েছে। শরীরের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে আঘাত করেননি তাঁরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সময় বারবার পুলিশকে ও ৯৯৯-এ ফোন দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে বাঙ্গরা বাজার থানার দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ হলেও পুলিশ আসে পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, অর্থাৎ প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। এমনকি পুলিশের সামনেই তাঁকে ও তাঁর বোনের ওপর তাঁরা আঘাত করতে থাকেন।
রুমা আক্তার বলেন, তিনি ও তাঁর বোন, ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১০ মাস বয়সী ভাইয়ের মেয়ে ও তাঁর নিহত ছোট বোনের তিনটি সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুকসানা আক্তার রুবির দ্বিতীয় সন্তান রুমা আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রুকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছোট সন্তান জোনাকি আক্তার ও বড় ছেলে রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুবির স্বামী সৌদিপ্রবাসী খলিলুর রহমান, সন্তান রুমা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও নিহত রাসেলের স্ত্রী মিম আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে কিছু আওয়ামীপন্থী দোসর এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী তাঁর পরিবারের তিনজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গেলে উল্টো তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক ‘প্রভাবশালী’ উপদেষ্টার বাবা মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রভাব ও সাহসেই শিমুল চেয়ারম্যান ও তাঁর দোসরেরা এমন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে রুমা অভিযোগ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুমা আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি নিরুপায় ছিলেন এবং তাঁর মা ও পরিবারকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনায় তিনি নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন; তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই পড়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে তাঁর মাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবে ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রুমা শিমুল চেয়ারম্যান, কাশিমপুর গ্রামের আনু মেম্বার, বাছির, শরীফ, রানা, আবু বকর, রবিউল, জহর আমিন, বাচ্চু মেম্বার, রফিক, বিল্লাল বাবুর্চি, ভাড়াটে খুনি গোলাপ মিয়া, সাদ্দামসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
রুমা আক্তার উপদেষ্টার বাবাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিমুল চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা, যাঁরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। মামলার অভিযোগ পুনর্বিন্যাস করতে হবে, কারণ, হত্যাকাণ্ডের সময় পরিবারের সদস্যরা আহত থাকায় তাঁর বোন রিক্তা আক্তার আসামিদের নাম সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি এবং পুলিশ কর্তৃক আসামি নির্ধারণ হওয়ায় অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এগুলো নতুন করে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
রুমা আক্তার আরও বলেন, আজকের পর তাঁদের কারও কোনো ভিন্ন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোথাও দেখলে ধরে নিতে হবে যে, ওই উপদেষ্টার লোকজন জোরপূর্বক তাঁদের দিয়ে সেগুলো বলিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁদের বাবা জুয়েলকে উপদেষ্টার লোকজন তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছেন।
যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন (ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য)
রুমা আক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল তাঁর মাকে মেরে ফেলা। পরে তাঁর ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবেন ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের মা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করার কারণেই মূলত স্থানীয় লোকদের প্রতিহিংসার শিকার হন।
শিমুল বিল্লাহ (চেয়ারম্যান) চেয়েছিলেন তাঁদের ভবন নির্মাণকাজ তাঁর লোকজনের মাধ্যমে করাতে। তাঁর মা এতে রাজি না হওয়ায় শিমুল বিল্লাহ আনু মেম্বারের মাধ্যমে কয়েকবার চাঁদার জন্য লোক পাঠান। চাঁদা না দিলে তাঁর মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁদের বাড়ির গ্লাস ও বিদ্যুতে মিটার ভেঙে ফেলা হয়। এ নিয়ে সে সময় ডিবিতে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছিল।
শরীফ চেয়েছিলেন তাঁর সংগঠনের লোকের কাছ থেকে ইট নিতে। রাজি না হলে প্রতি গাড়ি ইট থেকে তাঁর সংগঠনকে ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। তাঁর মা এতেও রাজি হননি।
এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে তাঁর মা দুবার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। বিএনপি-সমর্থিত হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে বিজয়ী হতে দেয়নি। উল্টো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করত এবং মানহানি করার জন্য মাদকের মতো মামলাতেও তাঁর মায়ের নাম দিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করত।
হত্যাকাণ্ডের দিন যা ঘটেছিল
হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। রবিউলের ঘরে মোবাইল চুরির কারণে একটি ছেলেকে তাঁদের বাড়ির পাশের একটি দোকানে বেদম মারধর করা হলে, ছেলেটির বাবা তাঁদের থেকে তাঁকে বাঁচাতে না পেরে রুমা আক্তারের মায়ের কাছে সাহায্য চান।
রুমা আক্তার জানান, তাঁর মা সেখানে গিয়ে বলেন, ‘চোরটা যদি মরে যায়, তাহলে তো আমরা আশপাশের সবাই ফেঁসে যাব। হয় তাকে ছেড়ে দাও, না হয় পুলিশে দিয়ে দাও।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে থাকা বাচ্চু মেম্বার, শরীফ, বাছির, মোস্তফা, রফিক, আবু বকর, হারুন ডাক্তার, সজল, রুস্তুম, শাহ আলম, রবিউল, রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা একযোগে বলে ওঠেন, ‘এই তুই চোরের পক্ষ ধরে আসছিস কেন? তুই নিজেও চোর!’ এই বলে তাঁর মায়ের ওপর চড়াও হন। রুমা আক্তারের ভাই দৌড়ে গিয়ে তাঁর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এরপর সেই কথিত চোরকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন শরীফের লোকজন। ছেলের খোঁজ না পেয়ে বাবা বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করেন। তখন বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের লোকজন রুমা আক্তারের মাকে সন্দেহ করেন যে, তিনি তাঁকে সহায়তা করেছেন। এই অভিযোগে ২ জুলাই রাতে কড়ইবাড়ী গ্রামের তারু মিয়ার বাড়িতে শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান, আনু মেম্বার, মধুমতিনের উপস্থিতিতে বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের আহ্বানে এক গোপন বৈঠক হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর মাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরে সন্তানেরা বিচারপ্রার্থী হবেন—এই ভয়ে তাঁদেরও শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানে বেশ কিছু টাকা লেনদেন হয় এবং কিছু খুনি ভাড়া করা হয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়িত্ব নেন আনু মেম্বার, শরীফ, বাছির, রফিক, বাচ্চু মেম্বার, বাবু, মধু, রবিউল এবং রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা।
রুমা আক্তারের দাবি, উপদেষ্টার বাবার কথা উল্লেখ করে মামলার দায়িত্ব নেন শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান। উপদেষ্টার বাবার ‘পারমিশন আছে’ জানিয়ে শিমুল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশটা মামলা হলেও আমি দেখব।’ আর মিডিয়া সামলানোর দায়িত্ব নেন শরীফ, বাছির, রফিক, আবু বক্কর, মোস্তফা, বিল্লাল, জহির মেম্বার। সারা রাত তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে সব অস্ত্র শরীফের ফুফাতো বোন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নাজমা বেগমের বাসায় রাখা হয়। পরদিন ৩ জুলাই সকাল ৬টায় সন্ত্রাসী কায়দায়, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রুমা আক্তার বলেন, ‘কী যে নির্মমভাবে ওরা আমার চোখের সামনেই প্রথমে আমার মাকে, এরপর আমার ভাই ও বোনকে মেরে ফেলে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না!’
রুমা আক্তার জানান, তাঁকেও ব্যাপকভাবে কোপানো হয়, তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই রয়েছে। শরীরের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে আঘাত করেননি তাঁরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সময় বারবার পুলিশকে ও ৯৯৯-এ ফোন দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে বাঙ্গরা বাজার থানার দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ হলেও পুলিশ আসে পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, অর্থাৎ প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। এমনকি পুলিশের সামনেই তাঁকে ও তাঁর বোনের ওপর তাঁরা আঘাত করতে থাকেন।
রুমা আক্তার বলেন, তিনি ও তাঁর বোন, ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১০ মাস বয়সী ভাইয়ের মেয়ে ও তাঁর নিহত ছোট বোনের তিনটি সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুকসানা আক্তার রুবির দ্বিতীয় সন্তান রুমা আক্তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রুকসানা আক্তার রুবি, তাঁর ছোট সন্তান জোনাকি আক্তার ও বড় ছেলে রাসেল। সংবাদ সম্মেলনে নিহত রুবির স্বামী সৌদিপ্রবাসী খলিলুর রহমান, সন্তান রুমা আক্তার, রিক্তা আক্তার ও নিহত রাসেলের স্ত্রী মিম আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
রুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন কড়ইবাড়ী গ্রামে কিছু আওয়ামীপন্থী দোসর এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারী তাঁর পরিবারের তিনজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গেলে উল্টো তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এক ‘প্রভাবশালী’ উপদেষ্টার বাবা মদদ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর প্রভাব ও সাহসেই শিমুল চেয়ারম্যান ও তাঁর দোসরেরা এমন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে রুমা অভিযোগ করেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুমা আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি নিরুপায় ছিলেন এবং তাঁর মা ও পরিবারকে বাঁচাতে পারেননি। এই ঘটনায় তিনি নিজেও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন; তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই পড়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে তাঁর মাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবে ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রুমা শিমুল চেয়ারম্যান, কাশিমপুর গ্রামের আনু মেম্বার, বাছির, শরীফ, রানা, আবু বকর, রবিউল, জহর আমিন, বাচ্চু মেম্বার, রফিক, বিল্লাল বাবুর্চি, ভাড়াটে খুনি গোলাপ মিয়া, সাদ্দামসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবার বিচার দাবি করেন।
রুমা আক্তার উপদেষ্টার বাবাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনাসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিমুল চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা, যাঁরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। মামলার অভিযোগ পুনর্বিন্যাস করতে হবে, কারণ, হত্যাকাণ্ডের সময় পরিবারের সদস্যরা আহত থাকায় তাঁর বোন রিক্তা আক্তার আসামিদের নাম সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি এবং পুলিশ কর্তৃক আসামি নির্ধারণ হওয়ায় অনেক অপরাধীর নাম বাদ পড়েছে। এগুলো নতুন করে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
রুমা আক্তার আরও বলেন, আজকের পর তাঁদের কারও কোনো ভিন্ন বক্তব্য সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোথাও দেখলে ধরে নিতে হবে যে, ওই উপদেষ্টার লোকজন জোরপূর্বক তাঁদের দিয়ে সেগুলো বলিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁদের বাবা জুয়েলকে উপদেষ্টার লোকজন তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ভিন্ন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছেন।
যেভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন (ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য)
রুমা আক্তারের বক্তব্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা ছিল তাঁর মাকে মেরে ফেলা। পরে তাঁর ছেলেমেয়েরা বিচারপ্রার্থী হবেন ভেবে পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের মা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করার কারণেই মূলত স্থানীয় লোকদের প্রতিহিংসার শিকার হন।
শিমুল বিল্লাহ (চেয়ারম্যান) চেয়েছিলেন তাঁদের ভবন নির্মাণকাজ তাঁর লোকজনের মাধ্যমে করাতে। তাঁর মা এতে রাজি না হওয়ায় শিমুল বিল্লাহ আনু মেম্বারের মাধ্যমে কয়েকবার চাঁদার জন্য লোক পাঠান। চাঁদা না দিলে তাঁর মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় এবং তাঁদের বাড়ির গ্লাস ও বিদ্যুতে মিটার ভেঙে ফেলা হয়। এ নিয়ে সে সময় ডিবিতে একটি অভিযোগও দাখিল করা হয়েছিল।
শরীফ চেয়েছিলেন তাঁর সংগঠনের লোকের কাছ থেকে ইট নিতে। রাজি না হলে প্রতি গাড়ি ইট থেকে তাঁর সংগঠনকে ৫০০ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। তাঁর মা এতেও রাজি হননি।
এ ছাড়া স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে তাঁর মা দুবার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন এবং তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। বিএনপি-সমর্থিত হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সন্ত্রাসীরা তাঁকে বিজয়ী হতে দেয়নি। উল্টো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করত এবং মানহানি করার জন্য মাদকের মতো মামলাতেও তাঁর মায়ের নাম দিয়ে বদনাম করার চেষ্টা করত।
হত্যাকাণ্ডের দিন যা ঘটেছিল
হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। রবিউলের ঘরে মোবাইল চুরির কারণে একটি ছেলেকে তাঁদের বাড়ির পাশের একটি দোকানে বেদম মারধর করা হলে, ছেলেটির বাবা তাঁদের থেকে তাঁকে বাঁচাতে না পেরে রুমা আক্তারের মায়ের কাছে সাহায্য চান।
রুমা আক্তার জানান, তাঁর মা সেখানে গিয়ে বলেন, ‘চোরটা যদি মরে যায়, তাহলে তো আমরা আশপাশের সবাই ফেঁসে যাব। হয় তাকে ছেড়ে দাও, না হয় পুলিশে দিয়ে দাও।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে থাকা বাচ্চু মেম্বার, শরীফ, বাছির, মোস্তফা, রফিক, আবু বকর, হারুন ডাক্তার, সজল, রুস্তুম, শাহ আলম, রবিউল, রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা একযোগে বলে ওঠেন, ‘এই তুই চোরের পক্ষ ধরে আসছিস কেন? তুই নিজেও চোর!’ এই বলে তাঁর মায়ের ওপর চড়াও হন। রুমা আক্তারের ভাই দৌড়ে গিয়ে তাঁর মাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এরপর সেই কথিত চোরকে সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেন শরীফের লোকজন। ছেলের খোঁজ না পেয়ে বাবা বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করেন। তখন বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের লোকজন রুমা আক্তারের মাকে সন্দেহ করেন যে, তিনি তাঁকে সহায়তা করেছেন। এই অভিযোগে ২ জুলাই রাতে কড়ইবাড়ী গ্রামের তারু মিয়ার বাড়িতে শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান, আনু মেম্বার, মধুমতিনের উপস্থিতিতে বাচ্চু মেম্বার, রবিউল ও শরীফের আহ্বানে এক গোপন বৈঠক হয়। সেখানে প্রথমে তাঁর মাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরে সন্তানেরা বিচারপ্রার্থী হবেন—এই ভয়ে তাঁদেরও শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখানে বেশ কিছু টাকা লেনদেন হয় এবং কিছু খুনি ভাড়া করা হয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দায়িত্ব নেন আনু মেম্বার, শরীফ, বাছির, রফিক, বাচ্চু মেম্বার, বাবু, মধু, রবিউল এবং রবিউলের ছেলে ও ভাতিজারা।
রুমা আক্তারের দাবি, উপদেষ্টার বাবার কথা উল্লেখ করে মামলার দায়িত্ব নেন শিমুল বিল্লাহ চেয়ারম্যান। উপদেষ্টার বাবার ‘পারমিশন আছে’ জানিয়ে শিমুল চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশটা মামলা হলেও আমি দেখব।’ আর মিডিয়া সামলানোর দায়িত্ব নেন শরীফ, বাছির, রফিক, আবু বক্কর, মোস্তফা, বিল্লাল, জহির মেম্বার। সারা রাত তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে সব অস্ত্র শরীফের ফুফাতো বোন, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নাজমা বেগমের বাসায় রাখা হয়। পরদিন ৩ জুলাই সকাল ৬টায় সন্ত্রাসী কায়দায়, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রুমা আক্তার বলেন, ‘কী যে নির্মমভাবে ওরা আমার চোখের সামনেই প্রথমে আমার মাকে, এরপর আমার ভাই ও বোনকে মেরে ফেলে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না!’
রুমা আক্তার জানান, তাঁকেও ব্যাপকভাবে কোপানো হয়, তাঁর মাথায় ৭২টি সেলাই রয়েছে। শরীরের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে আঘাত করেননি তাঁরা। তাঁরা ভেবেছিলেন, তিনি মারা গেছেন। ঘটনার সময় বারবার পুলিশকে ও ৯৯৯-এ ফোন দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। ঘটনাস্থল থেকে বাঙ্গরা বাজার থানার দূরত্ব সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের পথ হলেও পুলিশ আসে পরিবারের সবার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, অর্থাৎ প্রায় ৩ ঘণ্টা পর। এমনকি পুলিশের সামনেই তাঁকে ও তাঁর বোনের ওপর তাঁরা আঘাত করতে থাকেন।
রুমা আক্তার বলেন, তিনি ও তাঁর বোন, ভাইয়ের স্ত্রী এবং ১০ মাস বয়সী ভাইয়ের মেয়ে ও তাঁর নিহত ছোট বোনের তিনটি সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন।

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে
০৪ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে
০৪ আগস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে
০৪ আগস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৩ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এই অভিযোগ করে
০৪ আগস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
২ ঘণ্টা আগে