Ajker Patrika

সোহরাওয়ার্দীর মহাসমাবেশ থেকে মাওলানা সাদকে প্রতিহত করার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৩১
ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হলে তাকে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতা ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসা, তাবলীগ ও দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের ব্যানারে আয়োজিত মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সকাল ৯টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ফজরের নামাজের পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হতে শুরু করেন প্রয়াত মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারী তাবলিগের সাথী, আলেম-ওলামারা। উদ্যানের বাইরেও চারপাশে ছড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এতে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, কাঁটাবন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

মহাসমাবেশে আলেম-ওলামারা অভিযোগ করে বলেন, সাদপন্থীরা আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও তারা এখন বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। ইসলামকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। মাওলানা সাদকে দেশে আনার চেষ্টা করা হলে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান সেটা মেনে নেবে না।

মাওলানা নুরুল ইসলাম অলীপুরী বলেন, সাদ তাবলীগের স্বঘোষিত আমির। কোরআন-হাদিস, আলেম-ওলামা, আল্লাহর অলি, নবী ও স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধে কুফরি বক্তব্য দিতে থাকে। তাই সারা বিশ্বে তাবলিগের মূলধারা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সাদের অনুসারীরা হচ্ছে কাদিয়ানি গ্রুপ। তারা ইসলামের মূলধারায় বিভক্তি সৃষ্টি করছে। তাবলিগের নামে কাদিয়ানিদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী বলেন, আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করল, সাদ অনুসারীরা বাতিল, গুমরাহ। আমরা চাই, তিনি যেন বাংলার জমিনে পা রাখতে না পারেন।

জামেয়া হোসাইনিয়া মিরপুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বলেন, মাওলানা সাদ এমন কিছু বক্তব্য দিচ্ছেন, যা একজন ইসলাম প্রচারকের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। তিনি নবীদের সমালোচনা করেছেন, সাহাবা ও দ্বীন ও ইসলাম সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। যে ব্যক্তি এমন কথা বলেন, তিনি তাবলিগের আমির হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাঁকে আনার কোনো ষড়যন্ত্র যদি চলে, তাহলে তিনি যেদিক দিয়েই আসবেন সেদিক দিয়ে লংমার্চ চলবে।

ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থী আলেম-ওলামাদের জমায়েত। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার মুহতামিম মুনির হোসেন কাসেমী বলেন, তাবলীগের সৃষ্টি দেওবন্দ থেকে। তাদের হাতেই লালিত-পালিত হচ্ছে। এই তাবলিগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইলে আলেম-ওলামারা বসে থাকবে না।

এদিকে ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রথম পর্বে শুরায়ি নেজামের অধীনে তাবলীগের সাথি, আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নেন। তবে এবার মাওলানা সাদের অনুসারীরা দাবি করছেন, তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে চান। এমন পরিস্থিতিতে মাওলানা সাদকে দেশে আনার চেষ্টা প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেন সাদবিরোধী আলেম-ওলামারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত