ইমতিয়াজ আহমেদ, শিবচর (মাদারীপুর)
মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং প্রজনন নিশ্চিত করতে দেশের সাগর ও নদীগুলোতে ইলিশ শিকারের ক্ষেত্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ ও পরিবহনেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই নির্দেশনা প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও তৎপরতা চালাচ্ছে। এরপরও থেমে নেই ইলিশ শিকার। মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি পদ্মাপাড়েই বসছে ইলিশের হাট।
প্রতিদিন ভোর ও বিকেলে দেদার বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। সস্তায় ইলিশ কিনতে দূরদূরান্তের ক্রেতারাও হাজির হচ্ছেন পদ্মাপাড়ে।ব্যাগ ভর্তি করে ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের কাজিরসুরাসহ আশপাশে বসেছে এই হাট।
ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ১২ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টা থেকে দেশের নদ-নদী-সাগরে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় শিবচর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। জেলে আটকসহ জব্দ করা হচ্ছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল। গত ৬ দিনে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশ ৫ লক্ষাধিক মিটার কারেন্ট জাল জব্দের পর ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া ট্রলার জব্দ, জেলে আটক ও জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু থামানো যাচ্ছে না ইলিশ শিকার। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি পদ্মাপাড়ে বসছে ইলিশের হাট।
গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরখোলা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত কাজিরসুরা-সংলগ্ন চরাঞ্চল অনেকটাই দুর্গম। সেখানে একের পর এক ট্রলার এসে ভিড়ছে। ট্রলারে বসেই ইলিশ বিক্রি করছেন জেলেরা। নদীর পাড়েও মাছ নিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসেছেন বিক্রেতারা। দরদাম করে মাছ কিনছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি মিলছিল ইলিশ।
তবে তা আকারে কিছুটা ছোট। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। তবে বড়গুলোর বেশির ভাগই ডিমে পরিপূর্ণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা জানান, স্বাভাবিক সময়ে বাজারে যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে কম দামে তাজা ইলিশ পাচ্ছেন তাঁরা।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর এলাকা থেকে আসা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। টাটকা ইলিশ বিক্রির খবরে এসেছি নদীর পাড়ে। প্রচুর মাছ বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের কয়েকটা মাছ কিনেছি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক জেলে জানান, মাছ শিকার না করলে সংসার চলে না। তা ছাড়া এই সময়ে অনেক নতুন জেলে পদ্মায় নামে। তাই তাঁরাও ইলিশ শিকার করেন। তবে এখন ইলিশ বাজারে বিক্রির সুযোগ নেই। এ কারণে নদীপাড়েই একটু কম দামে বিক্রি করেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা এলাকা ছাড়াও বাংলাবাজার, চরজানাজাতসহ পদ্মার চরের একাধিক স্থানে ইলিশের হাট বসে।
শিবচরের চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. হাবিবুল্লাহ্ বলেন, ‘পদ্মার পাড়ে মাছের হাট নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শিগগির অভিযান চালানো হবে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, ‘আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করব হাটগুলো ভাঙতে। পদ্মাপাড়ের হাটের স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে। আশা করি শিগগির বন্ধ হবে ইলিশের হাট।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের অভিযান চলছে। এরপরও একশ্রেণির অসাধু জেলে নদীর পাড়ে মাছ বিক্রির হাট বসিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। শিগগির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মা ইলিশ সংরক্ষণ এবং প্রজনন নিশ্চিত করতে দেশের সাগর ও নদীগুলোতে ইলিশ শিকারের ক্ষেত্রে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সংরক্ষণ ও পরিবহনেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই নির্দেশনা প্রতিপালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও তৎপরতা চালাচ্ছে। এরপরও থেমে নেই ইলিশ শিকার। মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি পদ্মাপাড়েই বসছে ইলিশের হাট।
প্রতিদিন ভোর ও বিকেলে দেদার বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা ইলিশ। সস্তায় ইলিশ কিনতে দূরদূরান্তের ক্রেতারাও হাজির হচ্ছেন পদ্মাপাড়ে।ব্যাগ ভর্তি করে ইলিশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের কাজিরসুরাসহ আশপাশে বসেছে এই হাট।
ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ১২ অক্টোবর মধ্যরাত ১২টা থেকে দেশের নদ-নদী-সাগরে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।
এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় শিবচর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। জেলে আটকসহ জব্দ করা হচ্ছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট জাল। গত ৬ দিনে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশ ৫ লক্ষাধিক মিটার কারেন্ট জাল জব্দের পর ধ্বংস করেছে। এ ছাড়া ট্রলার জব্দ, জেলে আটক ও জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু থামানো যাচ্ছে না ইলিশ শিকার। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারের পাশাপাশি পদ্মাপাড়ে বসছে ইলিশের হাট।
গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরখোলা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত কাজিরসুরা-সংলগ্ন চরাঞ্চল অনেকটাই দুর্গম। সেখানে একের পর এক ট্রলার এসে ভিড়ছে। ট্রলারে বসেই ইলিশ বিক্রি করছেন জেলেরা। নদীর পাড়েও মাছ নিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসেছেন বিক্রেতারা। দরদাম করে মাছ কিনছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি মিলছিল ইলিশ।
তবে তা আকারে কিছুটা ছোট। এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। তবে বড়গুলোর বেশির ভাগই ডিমে পরিপূর্ণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রেতা জানান, স্বাভাবিক সময়ে বাজারে যে দামে বিক্রি হয়, তার চেয়ে কম দামে তাজা ইলিশ পাচ্ছেন তাঁরা।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর এলাকা থেকে আসা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। টাটকা ইলিশ বিক্রির খবরে এসেছি নদীর পাড়ে। প্রচুর মাছ বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের কয়েকটা মাছ কিনেছি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক জেলে জানান, মাছ শিকার না করলে সংসার চলে না। তা ছাড়া এই সময়ে অনেক নতুন জেলে পদ্মায় নামে। তাই তাঁরাও ইলিশ শিকার করেন। তবে এখন ইলিশ বাজারে বিক্রির সুযোগ নেই। এ কারণে নদীপাড়েই একটু কম দামে বিক্রি করেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা এলাকা ছাড়াও বাংলাবাজার, চরজানাজাতসহ পদ্মার চরের একাধিক স্থানে ইলিশের হাট বসে।
শিবচরের চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. হাবিবুল্লাহ্ বলেন, ‘পদ্মার পাড়ে মাছের হাট নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শিগগির অভিযান চালানো হবে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, ‘আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করব হাটগুলো ভাঙতে। পদ্মাপাড়ের হাটের স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে। আশা করি শিগগির বন্ধ হবে ইলিশের হাট।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশের অভিযান চলছে। এরপরও একশ্রেণির অসাধু জেলে নদীর পাড়ে মাছ বিক্রির হাট বসিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। শিগগির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম গাইবান্ধা জেলাতেই কর্মজীবনের ২১ বছর পার করেছেন। মাঝে একবার বদলি করা হলেও ২৩ দিনের ব্যবধানে আবারও ফিরে আসেন তিনি। এই জেলায় জেঁকে বসতে এই প্রকৌশলী ব্যবহার করেছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা।
১১ মিনিট আগেআসন্ন ঈদযাত্রায় ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে পারে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার অংশ। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, আগে যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা, চার লেনে আসা যানবাহন দুই লেনে প্রবেশ এবং চার লেনে উন্নীতকরণের কাজের ধীরগতির কারণে এ শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
১৯ মিনিট আগেরংপুরের বদরগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র হক সাহেবের মোড় থেকে স্টেশন সড়ক এবং শহীদ মিনার থেকে থানা সড়কের এক পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। ঈদ সামনে রেখে কেনাকাটায় বের হওয়া মানুষজন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে একটি মসজিদের নামে তোলা টাকার সিংহভাগই ছয়নয় করার অভিযোগ উঠেছে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে। আগে মসজিদটিতে দলিলপ্রতি মাত্র ২০ টাকা দেওয়া হলেও বর্তমানে তা-ও দেওয়া হয় না। আর এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক দীন ইসলাম।
৫ ঘণ্টা আগে