শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিভিন্ন কারণে নাটকের প্রদর্শনী যেমন কমে গেছে, তেমনি সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের জমায়েতও তেমন চোখে পড়ে না।
নাট্যকর্মী, সংগঠকদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পকলা একাডেমিতে তাঁদের বিচরণ কমার কয়েকটা কারণ জানা গেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, একাডেমির আশপাশে মবের (উচ্ছৃঙ্খল জনতা) তাণ্ডবের পর থেকে অনেকে স্বাধীনভাবে নাট্যচর্চা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। কাকে কখন কোন রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়া হয়, তা নিয়ে আতঙ্কে আছেন। তা ছাড়া মাত্র দুটি মহড়াকক্ষ নাটকের জন্য দেওয়া হচ্ছে। বাকি কক্ষগুলো সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া শিল্পকলা একাডেমির নাটক প্রদর্শনীগুলোয় দর্শকের খরা চলছে। শুক্রবার ছাড়া দর্শক পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নাটকের প্রদর্শনী জমে উঠছে না বলেই শিল্পী-কলাকুশলীদের আগের মতো জম্পেশ আড্ডাও তেমন হচ্ছে না।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের তালিকাভুক্ত প্রায় ৫০টি নাট্যদল রাজধানীতে নিয়মিত নাটকের প্রদর্শনী করে। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি নাটকের দল সক্রিয় রয়েছে। বেশির ভাগ দলই শিল্পকলা একাডেমির হলে প্রদর্শনী করতে চায়। তবে হলের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণত অনেক নাটকের দল আবেদন করেও সময়মতো হল পায় না। কিন্তু হল বরাদ্দের সাম্প্রতিক তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিলনায়তনগুলো ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে নাট্যাঙ্গনে কিছুদিন স্থবিরতা চলে। ১১ অক্টোবর থেকে সীমিতভাবে মিলনায়তন খুলে দেয় শিল্পকলা একাডেমি। কিন্তু এরপরে উত্তেজিত জনতার প্রতিবাদের মুখে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে হেনস্তা করা হয়। এরপরে আবার কিছুদিনের জন্য থমথমে হয়ে পড়ে শিল্পকলা প্রাঙ্গণ। ধীরে ধীরে আবার প্রদর্শনী শুরু হলেও সংখ্যা তেমন বেশি নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নাট্যকর্মী বলেছেন, নাটকের প্রদর্শনী করতে গেলে ‘তৌহিদি জনতা’র নামে প্রদর্শনী বন্ধের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নাট্যকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় নাটক বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এসব কারণে নাট্যকর্মীরা তাঁদের শিল্পচর্চা করার ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বেইলি রোডে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে গত নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাঙ্গণেমোরের নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে যায় কথিত তৌহিদি জনতার উড়ো চিঠিতে। পরে অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে আবার নাটকটি মঞ্চায়িত হয়। প্রাঙ্গণেমোরের কর্ণধার অনন্ত হিরা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি আগে প্রাণবন্ত ছিল, তার একটা কারণ ছিল। আগে নাট্যকর্মী, নাটকের দর্শক ছাড়াও চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষেরা এখানে আড্ডা দিতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। শিল্পকলায় কোনো প্রদর্শনী হলে দর্শককে টিকিট দেখিয়ে ঢুকতে হয়। সারাক্ষণ ফটকগুলো বন্ধ থাকে। শুধু ছোট পকেট গেট দিয়ে টিকিটধারীরা ঢুকতে পারেন। এমন অবরুদ্ধ পরিবেশে আমাদের সংস্কৃতিকর্মী বা দর্শকেরা অভ্যস্ত নন।’
হল খালি থেকে যাওয়ার বিষয়ে অনন্ত হিরা বলেন, ‘আমাদেরসহ বেশ কয়েকটি নাটকের দলকে পরিকল্পিতভাবে হল দেওয়া হয় না। আমি ৬ মাস ধরে হলের জন্য আবেদন করছি। কিন্তু হল দেওয়া হয় না। আবেদন করাই বন্ধ করে দিয়েছি। কেন দেওয়া হয় না, এটা হল বরাদ্দ কমিটি বলতে পারবে।’
থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতি এবং প্রাচ্যনাটের দলপ্রধান আজাদ আবুল কালাম বললেন, ‘চব্বিশের ৫ আগস্টের পরে পুরো বাংলাদেশই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তার কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। এর ফলে আগে অবাধ যে আড্ডা হতো, সেটা একটু কম। তবে শো হচ্ছে এখন। তিনটি হলই খোলা।’
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘বিষয়টি লক্ষ করেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে এখনো সংস্কৃতিকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজে ফিরতে পারেনি। একটা অস্থিরতা রয়ে গেছে। ছুটির দিন ছাড়া দর্শকও শিল্পকলায় কম আসছে। আমরা দর্শকদের আগ্রহী করতে একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কামাল বায়েজিদ জানান, শিগগির গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বাইরের দলগুলোকে দিয়ে ঢাকায় একটি নাটক উৎসব করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির একাডেমি প্রাঙ্গণের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির একটা ব্যাখ্যা দিলেন। তাঁর কথায়, ‘নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা এখানে আছেন। এ কারণে শিল্পকলায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শক ও নাট্যকর্মীদের জন্য তা যতটা স্বাভাবিক করা যায়। আর এখন নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোর আবেদনই কম থাকে। এ কারণে অনেক সময় মিলনায়তন খালি থাকে। ছুটির দিনে নাটক প্রদর্শনীর বেশি আবেদন থাকে। তবে একটি ছুটির দিন আমরা মাত্র একটি দলকেই হল দিতে পারি।’

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

ঐতিহ্যবাহী বেইলি রোড ছেড়ে সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার নাট্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা। এর তিনটি হলে নিয়মিত নাট্যচর্চা হয়ে আসছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। একে উপলক্ষ করে নাট্যকর্মীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠত শিল্পকলা চত্বর। কিন্তু ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক
১০ মে ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
৩৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে