আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোট ৫০টি থানা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৩টি থানা এখনো অন্যের জমি কিংবা ভবন ভাড়া নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে ভাড়ার পেছনে ডিএমপির মাসে ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এ হিসাবে বছরে ভাড়া বাবদ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।
ডিএমপির এস্টেট (ভূসম্পত্তি) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জমি না থাকায় অনেক থানা স্থায়ী ভবন নির্মাণ করতে পারছে না। ফলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাঠামো অস্থায়ীভাবে পরিচালিত হওয়ায় কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। তদারকি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসব থানায় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব থানার অস্ত্রাগার, হাজতখানাও তৈরি হয় অপরিকল্পিতভাবে।
রাজধানীর আদাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা। এই এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রয়েছে। মোহাম্মদপুর-শ্যামলী রিং রোডের পাশেই একটি ছয়তলা ভবনে আদাবর থানার কাজ চলছে। নিচে দুটি দোকান। দ্বিতীয় তলা থেকে থানা ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভবনের দক্ষিণ পাশের বাইরের অংশে দেয়াল ঘেঁষেই ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। সিঁড়িটি অত্যন্ত খাড়া। তা ভেঙেই সেবাপ্রার্থীদের থানায় উঠতে হয়, যা বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আদাবর থানার সামনের সড়কে পাঁচটি মোটরসাইকেল, একটি লেগুনা ও একটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা। এতে সড়ক সরু হয়ে আছে। ফলে শিয়া মসজিদ দিয়ে শ্যামলীর দিকে গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। থানার গাড়ি রাখার কোনো পার্কিং না থাকায় পুলিশ সদস্যরা সড়কেই গাড়ি রাখেন। সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠতেই দেখা যায়, দোতলার বাঁ পাশে ডিউটি অফিসার বসেন, আর ডান পাশে ওসির কক্ষ। এরপরই বাঁ পাশে হাজতখানা, যা অত্যন্ত ঘিঞ্জি অবস্থা।
রামপুরা ও হাতিরঝিল থানারও একই অবস্থা দেখা গেছে। মগবাজারের মধুবাগের মাঠ এলাকায় হাতিরঝিল থানা ভবন। থানার চারপাশে আবাসিক ভবন। এই থানায় কেউ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কেই যানজটে আটকে থাকতে হয়।
ডিএমপির সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অর্ধশত থানার মধ্যে কেবল ২৭টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। অবশিষ্ট ২৩টি থানার মধ্যে ১০টির নিজস্ব জমি থাকলেও সেখানে এখনো স্থায়ী ভবন হয়নি। আর ১৩টি থানার জমি ও ভবন কোনোটিই নেই।
নিজস্ব জমি ও ভবনবিহীন ১৩ থানা
ডিএমপির ১৩টি থানার নিজস্ব জমি ও ভবন কিছুই নেই। সেগুলো হলো–তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রূপনগর, মতিঝিল, শাহআলী, খিলক্ষেত, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, শাহবাগ, বংশাল, উত্তরা পশ্চিম, দারুস সালাম, বিমানবন্দর ও হাতিরঝিল থানা। এর মধ্যে শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের জমি। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প চলছে। তাই থানাটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার।
জমি আছে কিন্তু ভবন নেই ১০ থানার
ডিএমপির ১০টি থানার জমি থাকলেও তাদের কোনো ভবন নেই। তাই তাদেরও ভাড়া করা ভবনেই থানার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। সেগুলো হলো–মুগদা, রামপুরা, ওয়ারী, কদমতলী, কাফরুল, ভাষানটেক, রমনা, কলাবাগান, বাড্ডা ও আদাবর থানা।
২১ পুলিশ ফাঁড়ির জমি ও ভবন আছে
ঢাকার ২২টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে ২১টিরই নিজস্ব জমি ও ভবন রয়েছে। যেটির জমি ও ভবন নেই, সেটির বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে ডিএমপির। এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেবল থানা নয়, ৩১টি স্থাপনার ভাড়াও দিতে হয় ডিএমপিকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. তৌহিদুল হক বলছেন, ঢাকার মতো জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে থানাগুলোকে অস্থায়ী বা ভাড়া করা ভবনে রাখলে তা শুধু প্রশাসনিক অসচ্ছলতা নয়, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করে। এ কারণে সরকারের উচিত প্রতিটি থানার জন্য নিজস্ব জমি ও ভবন নিশ্চিত করা।
ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান বলেন, বেশ কিছু থানার নিজস্ব ভবন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। সেগুলো তৈরি হলে ধীরে ধীরে থানাগুলো নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৩ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও অসুস্থতায় ভুগেও ক্লাসে বসতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীকে। নিরাপদ শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের বদলে কালো ধোঁয়ার নিচে বড় হচ্ছে তাদের শৈশব—যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে উপজেলার সাবাইহাট এলাকার ঝাঁঝরের মোড়ে ‘যমুনা ব্রিকস’ নামে ইটভাটাটি স্থাপন করা হয়েছে। ভাটার মাত্র ২৫০ মিটার দূরে রয়েছে একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একরুখী উচ্চবিদ্যালয়। আশপাশে রয়েছে আবাসিক এলাকা ও দুটি আমবাগান। গোসাইপুর গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ভাটাটি পরিচালনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ফিক্সড চিমনির মাধ্যমে ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার পাশাপাশি কাঠের খড়ি ব্যবহার করায় ধোঁয়ার মাত্রা আরও বেড়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে বসে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১৩ সালের সংশোধনী) অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা ও বাগানের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা নিষিদ্ধ। তবে এই আইন অমান্য করেই প্রায় ২০ বছর ভাটাটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
একরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গত বছর ভাটা চালু হওয়ার পর তার এক সহপাঠী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্টে ভোগে বলেও জানায় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ইটভাটাটি নিয়ে তেমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে ভাটামালিক ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন।
জানতে চাইলে ভাটামালিক কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আগামী বছর থেকে আর ব্যবসা করব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, যমুনা ব্রিকসের পরিবেশ ছাড়পত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লাইসেন্সবিহীন সব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
২১ জুন ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৩ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির ১ আসন
নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
২১ জুন ২০২৫
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৩ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
২১ জুন ২০২৫
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকার প্রায় অর্ধেক থানার কার্যক্রম চলছে অন্যের জমি বা ভবনে। কোথাও জমি থাকলেও নেই স্থায়ী অবকাঠামো। কোনো কোনো থানার জমিও নেই। কোনো কোনো থানা ভবন এত ঘিঞ্জি যে ভেতরে যেতে হয় একজনের পর একজন করে। এর প্রভাব পড়ে কাজের পরিবেশে। ব্যাহত হয় জনসেবা।
২১ জুন ২০২৫
বিদ্যালয়ের আঙিনায় ভাসছে বিষাক্ত ধোঁয়া। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অদূরে দীর্ঘদিন ধরে একটি ইটভাটা পরিচালিত হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে কোমলমতি পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। ইটভাটার লাগাতার কার্যক্রমে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা।
২ ঘণ্টা আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
২ ঘণ্টা আগে