সৌগত বসু, ঢাকা

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত। তবে চালু রয়েছে র্যাপিড পাস। নতুন করে ক্লিয়ারিং হাউসের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ডিটিসিএ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা নগর ও সংলগ্ন এলাকার টিকিটিং ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ ক্লিয়ারিং হাউস (ফেজ-২) নামক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে নেওয়া হয়। ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গণপরিবহনে ভাড়া আদায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে র্যাপিড পাস কার্ডের (স্মার্ট কার্ড) বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউসের জন্য একটি বিশেষায়িত কোম্পানি (এসপিসি) গঠন করা। অন্যান্য উদ্দেশ্য ছিল ক্লিয়ারিং হাউস ও র্যাপিড পাস সিস্টেমের জন্য পরিচালনাবিষয়ক কার্যক্রম, সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রস্তুত করা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর (পিটিও), মেট্রোরেল লাইন-৬-এর সঙ্গে ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেমের সমন্বয়, গণপরিবহনের জন্য বাস ভ্যালিডেটর পদ্ধতি এবং
টিকিট অফিস মেশিন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা।
ক্লিয়ারিং হাউস হচ্ছে পরিবহন খাতের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে প্রাপ্ত ভাড়া বণ্টনের প্রক্রিয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ক্যাশ করাসহ এবং অন্যান্য লেনদেন পরিচালনার কাজে মাঝখানে থেকে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকের ভাষায় বাংলায় একে বলা হয় ‘নিকাশী ঘর’।
ডিটিসিএ থেকে জানা যায়, এর আগে ক্লিয়ারিং হাউস (ফেস-১) প্রকল্পে পরিবহনসংক্রান্ত সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউস স্থাপন করা হয়। এই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ হচ্ছে একাধিক পরিবহনসেবাকে একটি সমন্বিত ভাড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার অঙ্গীভূত করা। ক্লিয়ারিং হাউসের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি পরিবহন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে ভাড়ার অর্থ বিতরণ করা হবে। র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু এবং রিচার্জ সেবা প্রদান করাও এর কাজের মধ্যে পড়ে।
তবে প্রকল্প সূত্র বলছে, জাইকার এই প্রকল্পের আগেই ২০১৭ সালে ডিটিসিএর তত্ত্বাবধানে র্যাপিড পাস চালু হয়েছে। এটি জাপানি কোম্পানি সনির ফেলিকা কার্ড। তবে এ কার্ডকে সমন্বিত করতে যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়, তা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যন্ত্রপাতি কেনাকাটা চলছে, একই সঙ্গে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। তবে এই ক্লিয়ারিং হাউস পরিচালনায় যে ধরনের ও যে জনবল দরকার, সেটি ডিটিসিএর বর্তমানে নেই। এ ছাড়া জাইকার বিশেষজ্ঞ দলও চলে গেছে।
ডিটিসিএ ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাইকার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় বিশেষায়িত কোম্পানি গঠন করা নিয়ে। জাইকা চেয়েছিল প্রকল্পটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রস্তাব ছিল, কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তথা জাইকার নিয়ন্ত্রণে শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ আর বাংলাদেশ সরকারের হাতে থাকবে ৪৯ শতাংশ। তবে জাইকা থাকাকালীন কোম্পানিটি তৈরি করা যায়নি। এ বিষয়ে জাইকা কোম্পানি করার জন্য চাপ দিয়েছিল সরকারকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিটিসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের কোম্পানি যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এখানে তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি থাকে। এ জন্য সরকার এ বিষয়ে আইন করতে চেয়েছিল। সেই আইন করার সময় পর্যন্ত জাইকা থাকতে চায়নি। এখন কোম্পানি গঠিত হলেও তার বেশির ভাগ মালিকানায় থাকবে বাংলাদেশ সরকার।
ডিটিসিএ সূত্র বলছে, শুরুতে জাপানই এই ক্লিয়ারিং হাউস তৈরি করলেও কোম্পানি গঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাদের বিশেষজ্ঞ সহায়তার অংশটুকু সরিয়ে নিয়েছে। এখন ক্লিয়ারিং হাউস ডিটিসিএ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৷ এখন পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে ডেটা সফট নামের একটি কোম্পানিকে দিয়ে। আর ক্লিয়ারিং হাউসের সার্ভার ডিটিসিএ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৪-এর একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
জাপানি বিশেষজ্ঞ দল চলে গেলেও র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁদের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের। প্রকল্পের অর্থায়ন থেকেও জাইকা সরে যায়নি। গত ১৫ অক্টোবর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দল হঠাৎ চলে যাওয়ায় হয়তো আরও দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত একটা কার্ডের মাধ্যমেই ব্যাংকিং ও গণপরিবহন সেবার সুযোগ পাওয়া যায়। এখানেও এমন প্রযুক্তি চালু করা খুব কঠিন কিছু নয়। দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেই তারা করতে পারত, খরচও কম হতো। সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে হাদিউজ্জামান বলেন, ‘চুক্তির সময়ই গলদ ছিল। এমআরটি বা র্যাপিড পাসের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, এটি ছিল চুক্তির ভুল। এখন জাইকা চলে যাওয়ায় ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থার জন্য নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি চালুর সময় র্যাপিড পাস যেন বিকাশ, নগদ বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
ডিটিসিএ বলছে, তাদের কাছে ৪ লাখের বেশি র্যাপিড পাস রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার কার্ড বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিক্রির জন্য প্রায় দেড় লাখ র্যাপিড পাস নিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে র্যাপিড পাস সুবিধা পাওয়ার কথা বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট), বিআরটিসির যানবাহন, সাধারণ ট্রেন এমনকি লঞ্চেও। বর্তমানে এ পাস শুধু মেট্রোরেলে চালু রয়েছে। এত দিন মেট্রোরেলে চালু থাকা এমআরটি পাস গত মাসে বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে আর এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে না বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ। এখন থেকে র্যাপিড পাস দিয়েই ভাড়া আদায়ের কাজ চলবে। সম্প্রতি সার্ভার মাইগ্রেশনের জন্য এমআরটি বা র্যাপিড পাসের রিচার্জ সুবিধা আংশিকভাবে বন্ধ আছে। মাঝে মাঝে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু করা যাচ্ছে না। ৭ নভেম্বর থেকে সার্ভার আবার পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।
এ বিষয়ে ডিটিসিএর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, জাপানের বিশেষজ্ঞ দল না থাকলেও ডিটিসিএ থেকেই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ চালানো হচ্ছে। আগামীতে রাজধানীর বাসগুলোতেও র্যাপিড পাস চালু হলে এর কার্যক্ষেত্র বাড়বে। তারা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা চাকা, গুলশান চাকা, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস ও হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে ই-টিকিটিং চালু করতে চায়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় জাইকার ঢাকা অফিসে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ই মেইল করা হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেইলের জবাব মেলেনি।

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত। তবে চালু রয়েছে র্যাপিড পাস। নতুন করে ক্লিয়ারিং হাউসের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ডিটিসিএ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা নগর ও সংলগ্ন এলাকার টিকিটিং ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ ক্লিয়ারিং হাউস (ফেজ-২) নামক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে নেওয়া হয়। ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গণপরিবহনে ভাড়া আদায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে র্যাপিড পাস কার্ডের (স্মার্ট কার্ড) বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউসের জন্য একটি বিশেষায়িত কোম্পানি (এসপিসি) গঠন করা। অন্যান্য উদ্দেশ্য ছিল ক্লিয়ারিং হাউস ও র্যাপিড পাস সিস্টেমের জন্য পরিচালনাবিষয়ক কার্যক্রম, সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রস্তুত করা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর (পিটিও), মেট্রোরেল লাইন-৬-এর সঙ্গে ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেমের সমন্বয়, গণপরিবহনের জন্য বাস ভ্যালিডেটর পদ্ধতি এবং
টিকিট অফিস মেশিন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা।
ক্লিয়ারিং হাউস হচ্ছে পরিবহন খাতের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে প্রাপ্ত ভাড়া বণ্টনের প্রক্রিয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ক্যাশ করাসহ এবং অন্যান্য লেনদেন পরিচালনার কাজে মাঝখানে থেকে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকের ভাষায় বাংলায় একে বলা হয় ‘নিকাশী ঘর’।
ডিটিসিএ থেকে জানা যায়, এর আগে ক্লিয়ারিং হাউস (ফেস-১) প্রকল্পে পরিবহনসংক্রান্ত সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউস স্থাপন করা হয়। এই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ হচ্ছে একাধিক পরিবহনসেবাকে একটি সমন্বিত ভাড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার অঙ্গীভূত করা। ক্লিয়ারিং হাউসের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি পরিবহন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে ভাড়ার অর্থ বিতরণ করা হবে। র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু এবং রিচার্জ সেবা প্রদান করাও এর কাজের মধ্যে পড়ে।
তবে প্রকল্প সূত্র বলছে, জাইকার এই প্রকল্পের আগেই ২০১৭ সালে ডিটিসিএর তত্ত্বাবধানে র্যাপিড পাস চালু হয়েছে। এটি জাপানি কোম্পানি সনির ফেলিকা কার্ড। তবে এ কার্ডকে সমন্বিত করতে যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়, তা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যন্ত্রপাতি কেনাকাটা চলছে, একই সঙ্গে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। তবে এই ক্লিয়ারিং হাউস পরিচালনায় যে ধরনের ও যে জনবল দরকার, সেটি ডিটিসিএর বর্তমানে নেই। এ ছাড়া জাইকার বিশেষজ্ঞ দলও চলে গেছে।
ডিটিসিএ ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাইকার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় বিশেষায়িত কোম্পানি গঠন করা নিয়ে। জাইকা চেয়েছিল প্রকল্পটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রস্তাব ছিল, কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তথা জাইকার নিয়ন্ত্রণে শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ আর বাংলাদেশ সরকারের হাতে থাকবে ৪৯ শতাংশ। তবে জাইকা থাকাকালীন কোম্পানিটি তৈরি করা যায়নি। এ বিষয়ে জাইকা কোম্পানি করার জন্য চাপ দিয়েছিল সরকারকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিটিসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের কোম্পানি যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এখানে তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি থাকে। এ জন্য সরকার এ বিষয়ে আইন করতে চেয়েছিল। সেই আইন করার সময় পর্যন্ত জাইকা থাকতে চায়নি। এখন কোম্পানি গঠিত হলেও তার বেশির ভাগ মালিকানায় থাকবে বাংলাদেশ সরকার।
ডিটিসিএ সূত্র বলছে, শুরুতে জাপানই এই ক্লিয়ারিং হাউস তৈরি করলেও কোম্পানি গঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাদের বিশেষজ্ঞ সহায়তার অংশটুকু সরিয়ে নিয়েছে। এখন ক্লিয়ারিং হাউস ডিটিসিএ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৷ এখন পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে ডেটা সফট নামের একটি কোম্পানিকে দিয়ে। আর ক্লিয়ারিং হাউসের সার্ভার ডিটিসিএ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৪-এর একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
জাপানি বিশেষজ্ঞ দল চলে গেলেও র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁদের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের। প্রকল্পের অর্থায়ন থেকেও জাইকা সরে যায়নি। গত ১৫ অক্টোবর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দল হঠাৎ চলে যাওয়ায় হয়তো আরও দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত একটা কার্ডের মাধ্যমেই ব্যাংকিং ও গণপরিবহন সেবার সুযোগ পাওয়া যায়। এখানেও এমন প্রযুক্তি চালু করা খুব কঠিন কিছু নয়। দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেই তারা করতে পারত, খরচও কম হতো। সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে হাদিউজ্জামান বলেন, ‘চুক্তির সময়ই গলদ ছিল। এমআরটি বা র্যাপিড পাসের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, এটি ছিল চুক্তির ভুল। এখন জাইকা চলে যাওয়ায় ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থার জন্য নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি চালুর সময় র্যাপিড পাস যেন বিকাশ, নগদ বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
ডিটিসিএ বলছে, তাদের কাছে ৪ লাখের বেশি র্যাপিড পাস রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার কার্ড বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিক্রির জন্য প্রায় দেড় লাখ র্যাপিড পাস নিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে র্যাপিড পাস সুবিধা পাওয়ার কথা বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট), বিআরটিসির যানবাহন, সাধারণ ট্রেন এমনকি লঞ্চেও। বর্তমানে এ পাস শুধু মেট্রোরেলে চালু রয়েছে। এত দিন মেট্রোরেলে চালু থাকা এমআরটি পাস গত মাসে বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে আর এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে না বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ। এখন থেকে র্যাপিড পাস দিয়েই ভাড়া আদায়ের কাজ চলবে। সম্প্রতি সার্ভার মাইগ্রেশনের জন্য এমআরটি বা র্যাপিড পাসের রিচার্জ সুবিধা আংশিকভাবে বন্ধ আছে। মাঝে মাঝে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু করা যাচ্ছে না। ৭ নভেম্বর থেকে সার্ভার আবার পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।
এ বিষয়ে ডিটিসিএর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, জাপানের বিশেষজ্ঞ দল না থাকলেও ডিটিসিএ থেকেই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ চালানো হচ্ছে। আগামীতে রাজধানীর বাসগুলোতেও র্যাপিড পাস চালু হলে এর কার্যক্ষেত্র বাড়বে। তারা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা চাকা, গুলশান চাকা, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস ও হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে ই-টিকিটিং চালু করতে চায়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় জাইকার ঢাকা অফিসে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ই মেইল করা হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেইলের জবাব মেলেনি।
সৌগত বসু, ঢাকা

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত। তবে চালু রয়েছে র্যাপিড পাস। নতুন করে ক্লিয়ারিং হাউসের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ডিটিসিএ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা নগর ও সংলগ্ন এলাকার টিকিটিং ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ ক্লিয়ারিং হাউস (ফেজ-২) নামক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে নেওয়া হয়। ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গণপরিবহনে ভাড়া আদায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে র্যাপিড পাস কার্ডের (স্মার্ট কার্ড) বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউসের জন্য একটি বিশেষায়িত কোম্পানি (এসপিসি) গঠন করা। অন্যান্য উদ্দেশ্য ছিল ক্লিয়ারিং হাউস ও র্যাপিড পাস সিস্টেমের জন্য পরিচালনাবিষয়ক কার্যক্রম, সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রস্তুত করা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর (পিটিও), মেট্রোরেল লাইন-৬-এর সঙ্গে ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেমের সমন্বয়, গণপরিবহনের জন্য বাস ভ্যালিডেটর পদ্ধতি এবং
টিকিট অফিস মেশিন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা।
ক্লিয়ারিং হাউস হচ্ছে পরিবহন খাতের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে প্রাপ্ত ভাড়া বণ্টনের প্রক্রিয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ক্যাশ করাসহ এবং অন্যান্য লেনদেন পরিচালনার কাজে মাঝখানে থেকে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকের ভাষায় বাংলায় একে বলা হয় ‘নিকাশী ঘর’।
ডিটিসিএ থেকে জানা যায়, এর আগে ক্লিয়ারিং হাউস (ফেস-১) প্রকল্পে পরিবহনসংক্রান্ত সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউস স্থাপন করা হয়। এই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ হচ্ছে একাধিক পরিবহনসেবাকে একটি সমন্বিত ভাড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার অঙ্গীভূত করা। ক্লিয়ারিং হাউসের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি পরিবহন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে ভাড়ার অর্থ বিতরণ করা হবে। র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু এবং রিচার্জ সেবা প্রদান করাও এর কাজের মধ্যে পড়ে।
তবে প্রকল্প সূত্র বলছে, জাইকার এই প্রকল্পের আগেই ২০১৭ সালে ডিটিসিএর তত্ত্বাবধানে র্যাপিড পাস চালু হয়েছে। এটি জাপানি কোম্পানি সনির ফেলিকা কার্ড। তবে এ কার্ডকে সমন্বিত করতে যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়, তা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যন্ত্রপাতি কেনাকাটা চলছে, একই সঙ্গে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। তবে এই ক্লিয়ারিং হাউস পরিচালনায় যে ধরনের ও যে জনবল দরকার, সেটি ডিটিসিএর বর্তমানে নেই। এ ছাড়া জাইকার বিশেষজ্ঞ দলও চলে গেছে।
ডিটিসিএ ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাইকার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় বিশেষায়িত কোম্পানি গঠন করা নিয়ে। জাইকা চেয়েছিল প্রকল্পটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রস্তাব ছিল, কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তথা জাইকার নিয়ন্ত্রণে শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ আর বাংলাদেশ সরকারের হাতে থাকবে ৪৯ শতাংশ। তবে জাইকা থাকাকালীন কোম্পানিটি তৈরি করা যায়নি। এ বিষয়ে জাইকা কোম্পানি করার জন্য চাপ দিয়েছিল সরকারকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিটিসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের কোম্পানি যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এখানে তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি থাকে। এ জন্য সরকার এ বিষয়ে আইন করতে চেয়েছিল। সেই আইন করার সময় পর্যন্ত জাইকা থাকতে চায়নি। এখন কোম্পানি গঠিত হলেও তার বেশির ভাগ মালিকানায় থাকবে বাংলাদেশ সরকার।
ডিটিসিএ সূত্র বলছে, শুরুতে জাপানই এই ক্লিয়ারিং হাউস তৈরি করলেও কোম্পানি গঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাদের বিশেষজ্ঞ সহায়তার অংশটুকু সরিয়ে নিয়েছে। এখন ক্লিয়ারিং হাউস ডিটিসিএ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৷ এখন পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে ডেটা সফট নামের একটি কোম্পানিকে দিয়ে। আর ক্লিয়ারিং হাউসের সার্ভার ডিটিসিএ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৪-এর একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
জাপানি বিশেষজ্ঞ দল চলে গেলেও র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁদের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের। প্রকল্পের অর্থায়ন থেকেও জাইকা সরে যায়নি। গত ১৫ অক্টোবর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দল হঠাৎ চলে যাওয়ায় হয়তো আরও দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত একটা কার্ডের মাধ্যমেই ব্যাংকিং ও গণপরিবহন সেবার সুযোগ পাওয়া যায়। এখানেও এমন প্রযুক্তি চালু করা খুব কঠিন কিছু নয়। দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেই তারা করতে পারত, খরচও কম হতো। সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে হাদিউজ্জামান বলেন, ‘চুক্তির সময়ই গলদ ছিল। এমআরটি বা র্যাপিড পাসের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, এটি ছিল চুক্তির ভুল। এখন জাইকা চলে যাওয়ায় ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থার জন্য নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি চালুর সময় র্যাপিড পাস যেন বিকাশ, নগদ বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
ডিটিসিএ বলছে, তাদের কাছে ৪ লাখের বেশি র্যাপিড পাস রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার কার্ড বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিক্রির জন্য প্রায় দেড় লাখ র্যাপিড পাস নিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে র্যাপিড পাস সুবিধা পাওয়ার কথা বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট), বিআরটিসির যানবাহন, সাধারণ ট্রেন এমনকি লঞ্চেও। বর্তমানে এ পাস শুধু মেট্রোরেলে চালু রয়েছে। এত দিন মেট্রোরেলে চালু থাকা এমআরটি পাস গত মাসে বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে আর এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে না বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ। এখন থেকে র্যাপিড পাস দিয়েই ভাড়া আদায়ের কাজ চলবে। সম্প্রতি সার্ভার মাইগ্রেশনের জন্য এমআরটি বা র্যাপিড পাসের রিচার্জ সুবিধা আংশিকভাবে বন্ধ আছে। মাঝে মাঝে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু করা যাচ্ছে না। ৭ নভেম্বর থেকে সার্ভার আবার পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।
এ বিষয়ে ডিটিসিএর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, জাপানের বিশেষজ্ঞ দল না থাকলেও ডিটিসিএ থেকেই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ চালানো হচ্ছে। আগামীতে রাজধানীর বাসগুলোতেও র্যাপিড পাস চালু হলে এর কার্যক্ষেত্র বাড়বে। তারা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা চাকা, গুলশান চাকা, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস ও হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে ই-টিকিটিং চালু করতে চায়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় জাইকার ঢাকা অফিসে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ই মেইল করা হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেইলের জবাব মেলেনি।

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত। তবে চালু রয়েছে র্যাপিড পাস। নতুন করে ক্লিয়ারিং হাউসের কারিগরি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ডিটিসিএ সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা নগর ও সংলগ্ন এলাকার টিকিটিং ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ ক্লিয়ারিং হাউস (ফেজ-২) নামক প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে নেওয়া হয়। ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গণপরিবহনে ভাড়া আদায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে র্যাপিড পাস কার্ডের (স্মার্ট কার্ড) বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউসের জন্য একটি বিশেষায়িত কোম্পানি (এসপিসি) গঠন করা। অন্যান্য উদ্দেশ্য ছিল ক্লিয়ারিং হাউস ও র্যাপিড পাস সিস্টেমের জন্য পরিচালনাবিষয়ক কার্যক্রম, সম্প্রসারণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রস্তুত করা এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর (পিটিও), মেট্রোরেল লাইন-৬-এর সঙ্গে ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেমের সমন্বয়, গণপরিবহনের জন্য বাস ভ্যালিডেটর পদ্ধতি এবং
টিকিট অফিস মেশিন পদ্ধতি উন্নত করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা।
ক্লিয়ারিং হাউস হচ্ছে পরিবহন খাতের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যে প্রাপ্ত ভাড়া বণ্টনের প্রক্রিয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ক্যাশ করাসহ এবং অন্যান্য লেনদেন পরিচালনার কাজে মাঝখানে থেকে ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে। ব্যাংকের ভাষায় বাংলায় একে বলা হয় ‘নিকাশী ঘর’।
ডিটিসিএ থেকে জানা যায়, এর আগে ক্লিয়ারিং হাউস (ফেস-১) প্রকল্পে পরিবহনসংক্রান্ত সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের লক্ষ্যে ক্লিয়ারিং হাউস স্থাপন করা হয়। এই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ হচ্ছে একাধিক পরিবহনসেবাকে একটি সমন্বিত ভাড়া সংগ্রহ ব্যবস্থার অঙ্গীভূত করা। ক্লিয়ারিং হাউসের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি পরিবহন সেবা প্রদানকারীর মধ্যে ভাড়ার অর্থ বিতরণ করা হবে। র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু এবং রিচার্জ সেবা প্রদান করাও এর কাজের মধ্যে পড়ে।
তবে প্রকল্প সূত্র বলছে, জাইকার এই প্রকল্পের আগেই ২০১৭ সালে ডিটিসিএর তত্ত্বাবধানে র্যাপিড পাস চালু হয়েছে। এটি জাপানি কোম্পানি সনির ফেলিকা কার্ড। তবে এ কার্ডকে সমন্বিত করতে যে যন্ত্রপাতি কেনা হয়, তা হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। বর্তমানে র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। যন্ত্রপাতি কেনাকাটা চলছে, একই সঙ্গে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। তবে এই ক্লিয়ারিং হাউস পরিচালনায় যে ধরনের ও যে জনবল দরকার, সেটি ডিটিসিএর বর্তমানে নেই। এ ছাড়া জাইকার বিশেষজ্ঞ দলও চলে গেছে।
ডিটিসিএ ও প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাইকার সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয় বিশেষায়িত কোম্পানি গঠন করা নিয়ে। জাইকা চেয়েছিল প্রকল্পটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। প্রস্তাব ছিল, কোম্পানি হলে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তথা জাইকার নিয়ন্ত্রণে শেয়ার থাকবে ৫১ শতাংশ আর বাংলাদেশ সরকারের হাতে থাকবে ৪৯ শতাংশ। তবে জাইকা থাকাকালীন কোম্পানিটি তৈরি করা যায়নি। এ বিষয়ে জাইকা কোম্পানি করার জন্য চাপ দিয়েছিল সরকারকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিটিসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের কোম্পানি যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এখানে তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি থাকে। এ জন্য সরকার এ বিষয়ে আইন করতে চেয়েছিল। সেই আইন করার সময় পর্যন্ত জাইকা থাকতে চায়নি। এখন কোম্পানি গঠিত হলেও তার বেশির ভাগ মালিকানায় থাকবে বাংলাদেশ সরকার।
ডিটিসিএ সূত্র বলছে, শুরুতে জাপানই এই ক্লিয়ারিং হাউস তৈরি করলেও কোম্পানি গঠন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তাদের বিশেষজ্ঞ সহায়তার অংশটুকু সরিয়ে নিয়েছে। এখন ক্লিয়ারিং হাউস ডিটিসিএ থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৷ এখন পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে ডেটা সফট নামের একটি কোম্পানিকে দিয়ে। আর ক্লিয়ারিং হাউসের সার্ভার ডিটিসিএ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে নেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৪-এর একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
জাপানি বিশেষজ্ঞ দল চলে গেলেও র্যাপিড পাস নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁদের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের। প্রকল্পের অর্থায়ন থেকেও জাইকা সরে যায়নি। গত ১৫ অক্টোবর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দল হঠাৎ চলে যাওয়ায় হয়তো আরও দুই বছর সময় লাগবে। প্রকল্পের অগ্রগতি ৫২ শতাংশ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে সাধারণত একটা কার্ডের মাধ্যমেই ব্যাংকিং ও গণপরিবহন সেবার সুযোগ পাওয়া যায়। এখানেও এমন প্রযুক্তি চালু করা খুব কঠিন কিছু নয়। দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিলেই তারা করতে পারত, খরচও কম হতো। সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে হাদিউজ্জামান বলেন, ‘চুক্তির সময়ই গলদ ছিল। এমআরটি বা র্যাপিড পাসের জন্য জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, এটি ছিল চুক্তির ভুল। এখন জাইকা চলে যাওয়ায় ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবস্থার জন্য নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি চালুর সময় র্যাপিড পাস যেন বিকাশ, নগদ বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সহজে রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
ডিটিসিএ বলছে, তাদের কাছে ৪ লাখের বেশি র্যাপিড পাস রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো থেকে প্রায় দুই হাজার কার্ড বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বিক্রির জন্য প্রায় দেড় লাখ র্যাপিড পাস নিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে র্যাপিড পাস সুবিধা পাওয়ার কথা বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট), বিআরটিসির যানবাহন, সাধারণ ট্রেন এমনকি লঞ্চেও। বর্তমানে এ পাস শুধু মেট্রোরেলে চালু রয়েছে। এত দিন মেট্রোরেলে চালু থাকা এমআরটি পাস গত মাসে বন্ধ করা হয়েছে। নতুন করে আর এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে না বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ। এখন থেকে র্যাপিড পাস দিয়েই ভাড়া আদায়ের কাজ চলবে। সম্প্রতি সার্ভার মাইগ্রেশনের জন্য এমআরটি বা র্যাপিড পাসের রিচার্জ সুবিধা আংশিকভাবে বন্ধ আছে। মাঝে মাঝে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু করা যাচ্ছে না। ৭ নভেম্বর থেকে সার্ভার আবার পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।
এ বিষয়ে ডিটিসিএর বাস রুট র্যাশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, জাপানের বিশেষজ্ঞ দল না থাকলেও ডিটিসিএ থেকেই ক্লিয়ারিং হাউসের কাজ চালানো হচ্ছে। আগামীতে রাজধানীর বাসগুলোতেও র্যাপিড পাস চালু হলে এর কার্যক্ষেত্র বাড়বে। তারা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ঢাকা চাকা, গুলশান চাকা, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস ও হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে ই-টিকিটিং চালু করতে চায়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় জাইকার ঢাকা অফিসে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ই মেইল করা হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মেইলের জবাব মেলেনি।

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪৪ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪৪ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বিশেষায়িত কোম্পানির অংশীদারত্ব নিয়ে বনিবনা না হওয়াতেই র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের ক্লিয়ারিং হাউস কার্যক্রম থেকে গত মার্চে সরে দাঁড়িয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। এ বিষয়ে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করত।
০৬ নভেম্বর ২০২৪
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৪৪ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
১ ঘণ্টা আগে