Ajker Patrika

জাপানি দুই শিশুর অভিভাবক বাবা নাকি মা, রায় ২৯ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাপানি দুই শিশুর অভিভাবক বাবা নাকি মা, রায় ২৯ জানুয়ারি

জাপানি মা এরিকো নাকানো নাকি বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ, কে হবেন শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার অভিভাবক। সে বিষয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি রায় দেওয়া হবে। 

আজ রোববার ঢাকার ১২ নম্বর পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান মামলার যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে এ কথা জানান। 

আজ মামলার যুক্তি তর্ক শুনানি শেষ হয়। বড় মেয়েসহ মা এরিকো নাকানো আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাবা ইমরান শরীফও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

মা এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাবা ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার। 

উভয় পক্ষই আদালতে দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবি করে যুক্তি তর্ক তুলে ধরেন। দেশ-বিদেশের উচ্চ আদালতের বিভিন্ন নজির তুলে ধরেন। পরে আদালত বলেন, রায়ের তারিখটা পরে জানানো হবে। 

জাপানি মা এরিকোর পক্ষে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘দুই সন্তানের বাবা ইমরান শরীফ জাপানে বসবাস করেন। তিনি এরিকোকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ১০ বছর ঘর সংসার করেন। দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় একপর্যায়ে ডিভোর্স হয়। এরপর ইমরান শরীফ জাপানে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। তিনি এক মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান। সেখানকার পারিবারিক আদালত তাঁকে অনুমতি দেননি। এরপর একদিন বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার সময় তিনি দুই সন্তানকে অপহরণ করেন। তাঁদের নিয়ে পাসপোর্ট করেন। তাঁদের নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। 

‘ইমরান শরীফ দুই সন্তানকে নিয়ে যেভাবে বাংলাদেশের চলে এসেছেন সেটা কোনো সভ্যতার নিদর্শন না। শিশুদের মঙ্গলের জন্য আদালত আদেশ দেবেন। মায়ের কাছে শিশুরা যেভাবে থাকবে বাবা সেভাবে রাখতে পারবে না। দুই মেয়ে টোকিওর স্কুলে পড়াশোনা করে। তারা সেখানে বড় হচ্ছে। এ দেশে তাদের পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।’ 

আইনজীবী আরও বলেন, ‘মায়ের আর্থিক কোনো সমস্যা নেই, লাখ লাখ টাকা বেতনে চাকরি করেন। তিনি তাঁর আদর, স্নেহ, ভালোবাসা দিয়ে বাচ্চাদের মানুষ করবেন।’ 

অপরদিকে ইমরান শরীফের পক্ষে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘জাপানে যখন বিয়ে হয় এরিকো ও ইমরান শরীফের তখন ইসলামি শরিয়ত মতে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের আগে অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন। করেছিলেনও তাই। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি আবার ধর্মচ্যুত হয়ে যান। এরিকো যথেষ্ট টাকা পয়সার মালিক নন। আর্থিক অনটনের কারণে তিনি সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারবেন না মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন না।’ এরিকো এডিক্টেড পারসন বলেও আদালতকে বলেন ইমরান শরীফের আইনজীবী। 

আইনজীবী বলেন, জাপানে একটি প্রথা রয়েছে, যদি মা বা বাবা জাপানি না হয়ে অন্য কোনো ভিনদেশি হয় তাদের সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষা এবং ভালো কর্মসংস্থান থেকে দূরে রাখা হয়। এখানে এই দুই শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বলে কিছু হবে না। কাজেই বাবার কাছে এই দুই শিশুসন্তান নিরাপদ থাকবে এই দাবি করেন আইনজীবী। 

দুই পক্ষেই বিভিন্ন আইনগত বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। 

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে এরিকো নাকানোর স্বামী ইমরান জাপান থেকে দেশে আসেন। এরপর মেয়েদের অভিভাবক দাবি করে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। একই বছরের ১৮ জুলাই বাংলাদেশে আসেন এরিকো। তাদের ফিরে পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। পরে আদালতের নির্দেশে শিশু দুটিকে তেজগাঁওয়ে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয় কিছুদিন। সব পক্ষের শুনানি নিয়ে ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট গুলশানের ফ্ল্যাটে মায়ের হেফাজতে শিশুদের রাখার আদেশ দেন। কিন্তু এই দেশেই সন্তানদের নিয়ে থাকতে হবে বলে হাইকোর্ট বলেন। 

ইমরান শরীফ আদালতকে জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় তিনি মেয়েদের নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশেই বসবাস করবেন। তার শিশুসন্তানদের অভিভাবক হিসেবে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। যেহেতু মা ভিনদেশি তাই তিনি একমাত্র অভিভাবক। 

এই আদালতে মামলা চলাকালীন তার সাবেক স্ত্রী বাংলাদেশে এসে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টও মেয়েদের বাংলাদেশে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, দুই সন্তান নিয়ে জাপানে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে জাপানি নারী নাকানো এরিকোর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। ইমরান শরীফ এই মামলা দায়ের করেন। আদালত এ মামলার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর সদরের কুনিয়ারহাট এলাকায় ঘরে ঢুকে জাহিদ শেখ (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ একই এলাকার জবেদ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিকমিস্ত্রি। অপর দিকে আটক সজিব শেখ আব্দুল্লাহ রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের মাচ্চর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে নিজ ঘরে কাজ করছিলেন জাহিদ শেখ। এ সময় হঠাৎ সজিব শেখ নামের এক যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা সজিবকে ধাওয়া করে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ নিহত জাহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের লোকজন।

মীর জামাল সরদার নামের নিহত জাহিদের এক স্বজন বলেন, ‘কী কারণে জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা আমরা জানি না। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

নিহত জাহিদের মামা মোয়াজ্জেম মাতুব্বর বলেন, ‘ঘরে কাজ করা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে আমার ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফারিহা রফিক ভাবনা বলেন, ইলেকট্রিকমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক সজিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার কারণ ও ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের দেশবিরোধী পোস্টার, ৫ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী আটক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচজন আটক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দেশবিরোধী পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বুধবার শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

এর আগে শহরের কলেজ মোড় ও জেলা পরিষদ ভবনের ফটকে ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগানোর পর তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী জাবের আল রাফিয়ান (৩০), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সাকিবুল হাসান (২৪) ও শামীম হোসেন (২৫), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফাহমিদ হাসান (৩৪) এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) মাহমুদুর রহমান (২৫)।

ডিবি সূত্র জানায়, আজ দুপুরে শহরের কলেজ মোড়সহ একাধিক জায়গায় ‘খোলাচিঠি’ শিরোনামে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের পোস্টার সাঁটানো হয়। এই সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামেন পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

পরে খলিলগঞ্জ বাজারসংলগ্ন স্থান থেকে রংপুরগামী একটি মিনিবাসের গতিরোধ করে বাসে থাকা সন্দেহভাজন পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। এর পরপরই পুলিশ সদস্যদের সাঁটানো পোস্টার তুলে ফেলতে দেখা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, পোস্টার লাগানোর স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই তরুণদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা ঢাকা থেকে এসে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রচারণার কাজ করছিলেন।

আটক তরুণদের বাড়ি যশোর, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, নাটোর ও মাদারীপুর জেলায়। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের পোস্টার লাগানোর অভিযোগে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পোস্টার লাগানোর দায় স্বীকার করেছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত তরুণদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৩৫তম প্রয়াণ দিবস: নতুন প্রজন্মের কাছে কমরেড মণি সিংহের সংগ্রাম ও আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি 
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কমরেড মণি সিংহের স্মরণে র‍্যালি করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা কমরেড মণি সিংহের ৩৫তম প্রয়াণ দিবস আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়।

আজ সকাল থেকে স্থানীয় টংক শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে কমরেড মণি সিংহের প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোক র‍্যালি, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে আলোচনা সভা। সভায় টংক আন্দোলনের মহানায়ক, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহের সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান বক্তারা।

আলোচনা সভায় কমরেড মণি সিংহ মেলা উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক দিবালোক সিংহ সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম। সভায় কমরেড মণি সিংহের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. তাইয়েবুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মেলা উদ্‌যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও মেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন মুকুল, সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর, উদীচী দুর্গাপুর উপজেলা সংসদের সভাপতি শামছুল আলম খান, কমরেড মণি সিংহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাকি খন্দকার, মেলা কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, কবি বিদ্যুৎ সরকারসহ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন ও ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা।

আলোচনার শুরুতে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯২৮ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কেশরাম কটন মিলে শ্রমিকদের ১৩ দিনব্যাপী ধর্মঘটে নেতৃত্ব দিয়ে দাবি আদায়ের মধ্য দিয়ে কমরেড মণি সিংহ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রথম সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩০ সালে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে কারামুক্ত হয়ে সুসং-দুর্গাপুরে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে কৃষকদের সংগঠিত করে টংক প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত কিষান সভার মহাসম্মেলনে কমরেড মণি সিংহ অন্যতম সংগঠক ও অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সারা জীবন তিনি মেহনতি মানুষের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী রাজনীতি করে গেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

উল্লেখ্য, কমরেড মণি সিংহ ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটে টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় আটক ১৬

সিলেট প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই টিলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন খায়েরগাঁওয়ের মো. বাছিরের ছেলে মো. মাহমুদুল (২১), মো. ফসিউদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সাকিবুল হাসান (১৯), দক্ষিণ রাজনগরের মো. শামসুল হকের ছেলে মো. লালন (২০), বাবুল নগরের হাফিজ আশরাফ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২), চিকাডহরের ইকরাম আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী (৩৬), জালিয়ারপাড়ের আব্দুল খালিকের ছেলে মো. কামরুল (২৫), ধুপরীরপাড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৭), পাড়ুয়া মাঝপাড়ার মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আবু বক্কর (২২), মৃত মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. শফিক মিয়া (৪২), মো. রুহুল আমিন (৩০), ধনাই মিয়ার ছেলে মো. আখতার মিয়া (২৮), মো. আবু বক্করের ছেলে মো. শরিফ উদ্দিন (১৯), মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন (২২), দক্ষিণ কালীবাড়ির ময়না মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (৩০), চিকাডহর গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহাম্মদ লাল মিয়া (২৮) ও ভোলাগঞ্জের মৃত আব্দুল মুতালিবের ছেলে মো. আল আমীন হোসেন (৩২)।

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করার দায়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত