Ajker Patrika

রাজধানীতে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বে পাঁচ মাসে ৫৬ খুন

  • বেশির ভাগ হত্যাকাণ্ডই ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
  • কয়েকটির সঙ্গে জড়িত পলাতক সন্ত্রাসীরা।
  • চক্রের পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ১০: ৩০
রাজধানীতে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বে পাঁচ মাসে ৫৬ খুন

রাজধানী ঢাকায় গত পাঁচ (জানুয়ারি থেকে মে) মাসে ১৬৮ জন খুন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ (৫৬ জন) হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ডিশ-ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্বের জেরে। বেশির ভাগ হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে পলাতক সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।

ক্ষমতার পালাবদলে সন্ত্রাসী চক্রগুলো এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য এই খুনোখুনি রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি করছে। এসব সন্ত্রাসীর পেছনে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগও রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের বেশির ভাগই গ্রেপ্তার হয়নি।

দুই মাসের ব্যবধানে বাড্ডার দুই ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গত ২৫ মে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও বিএনপির নেতা কামরুল আহসান সাধনকে বাড্ডায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডারত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর আগে বাড্ডার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে ২০ মার্চ গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। র‍্যাব জানায়, বাড্ডার পলাতক সন্ত্রাসী মেহেদী ও রবিন গ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সুমনকে হত্যা করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আটটি অপরাধ বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ মাসে রাজধানীতে ১৬৮টি খুনের মধ্যে ৫৬টি হয়েছে মূলত চাঁদাবাজি, ডিশ-ইন্টারনেট ব্যবসা ও সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে। ডিএমপির ক্রাইম অ্যানালাইসিস বিভাগের তথ্য বলছে, এই ৫৬ হত্যার নেপথ্যে রয়েছে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, অক্সিজেন সরবরাহ, হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাঁচামাল সরবরাহ, নির্মাণসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানির ব্যবসা, ফুটপাত ও মার্কেট থেকে চাঁদা, ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার ও টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ ও পানির অবৈধ সংযোগ এবং রাস্তাঘাট উন্নয়নকাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ। এসব খাতে মাসে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ কারণেই এসবের নিয়ন্ত্রণ নিতে খুনের ঘটনা ঘটছে।

সূত্রাপুর, লালবাগ, চকবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, তুরাগ, বাড্ডা, উত্তরা, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, শ্যামপুরসহ ডিএমপির প্রায় সব থানা এলাকাতেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশের তদন্ত ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অনেক ক্ষেত্রে হত্যার আগে ভুক্তভোগী একাধিকবার হুমকি পেয়েছেন।

লালবাগে ২১ মে নির্মাণসামগ্রী সরবরাহকারী রাসেল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাঁর সঙ্গে ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় প্রতিপক্ষ চক্রের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোই রাসেলের জন্য কাল হয়েছে। পুলিশ এই হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা ধরা পড়েনি।

এপ্রিলে কামরাঙ্গীরচরের খালপাড় এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণকারী রফিকুল ইসলাম খুন হন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় থাকা একটি গ্রুপ অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছিল।

ডিএমপির একাধিক সূত্র জানায়, চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটে কিছু রাজনৈতিক নেতা, তাঁদের অনুসারী, ঠিকাদার ও সন্ত্রাসী যুক্ত রয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এসব চক্র থানা-পুলিশকে নিজেদের প্রভাবে বা টাকার বিনিময়ে ‘ম্যানেজ’ করে রাখে। এ কারণে থানা-পুলিশের বিরুদ্ধে এসব চক্রের বিপক্ষে হত্যা মামলা নিতেও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বাদীকে ভয় দেখানোর অভিযোগও রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু লোককে স্পর্শ না করার চাপ তাঁদের ওপর থাকে। আবার কখনো কখনো খুনের পেছনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ব্যাহত হয়।

১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনীর পরিচয়ে ২০-২৫ জন চাঁদাবাজ মিরপুরের স্বাধীন মার্কেটে ভাঙচুর করে। ব্যবসায়ীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পল্লবীতে ২০ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তার, ডিশ ও ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ব্লেড বাবুকে খুন করে আরেকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (মিরপুর ও তেজগাঁও) উপকমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন দ্বন্দ্বের জেরে পল্লবীর সন্ত্রাসী রাজন গ্রুপ মঞ্জুরুলকে খুন করে।

এ ঘটনায় মঞ্জুরুলের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার পল্লবী থানায় মামলা করার পর রাজন গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অনেক সন্ত্রাসী পরে জামিনে মুক্তি পাচ্ছে। তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা, দুর্বলতার অভিযোগও উঠছে। অনেকে আবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এসব কারণে অপরাধীরা আবার অপরাধ করার সাহস পায়।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছরের ৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার ৪২৬ জন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী লতিফুর রেজা বলেন, রাজধানীর গত পাঁচ মাসের ওই খুনগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো অপরাধ নয়, এগুলো একটি সংঘবদ্ধ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সিন্ডিকেটে রূপ নিচ্ছে। রাষ্ট্র যদি এই অবস্থার লাগাম এখনই না ধরে, ভবিষ্যতে এটি আরও বিপজ্জনক রূপ নেবে। তিনি বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যবসা ও সেবা খাত বাড়ছে, যেগুলোর বেশির ভাগের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে সশস্ত্র ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খুনের মতো জঘন্য অপরাধে বারবার ফিরে আসছে এই চক্রগুলো।

ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে। কোনো অপরাধী আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার আহ্বায়কসহ ৬ নেতাকে শোকজ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার আহ্বায়কসহ ৬ নেতাকে শোকজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা ও সদস্যসচিব বায়োজীদ বোস্তামী জ্বীমসহ ৬ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রোববার কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশ দেওয়া অপর চার নেতা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শাকিল শেখ, সংগঠক অতনু সাহা ও মেহজাবিন জ্বীম।

প্রত্যেককে একই অভিযোগের কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ‘৫ ডিসেম্বর আপনার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে; যা অত্যন্ত গুরুতর এবং একই সঙ্গে জনপরিসরে সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দপ্তরের মারফত সভাপতি রিফাত রশিদ বরাবর উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আপনাকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল শেখ বলেন, ‘আমি ৫ ডিসেম্বরের আগে থেকে ঢাকায় আছি। আমাকেও শোকজ করেছে এবং কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আমাকে ডেকেছে।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাইবান্ধা শাখার আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শোকজ দিয়েছে; যা গণ-অভ্যুত্থানকে অসম্মান করার শামিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

নিজস্ব প্রতিবেদক ও উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
আটক যাত্রী। ছবি: সংগৃহীত
আটক যাত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. শাহ জাহান নামের রোমগামী এক যাত্রীর লাগেজ থেকে ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের চেকিং রো-ডি থেকে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব ইউরো উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক)।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ কাউসার মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কাউসার মাহমুদ জানান, আজ সকালে অ্যাভসেক সদস্য নিরাপত্তা তল্লাশি চালিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিজি-৩৫৫) রোমগামী ফ্লাইটের বহির্গামী যাত্রীর লাগেজে লুকায়িত অবস্থায় ৯৩ হাজার ৯০ ইউরো উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরে বিষয়টি বিমানবন্দর কাস্টমসকে জানানো হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো নারীর লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি   
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের কলাবাগান থেকে চোখ উপড়ানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবাদি জমির পাশের কলাবাগানে ওই নারীর মরদেহ পড়ে ছিল। মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। ওই নারীর চোখ উপড়ানো অবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও পিবিআই যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। পরিচয় শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ ও ভাঙ্গাবাড়ী এলাকার লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শনিবার রাতে প্রথম দফায় সংঘর্ষ হয়।

পরে আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কাঠেরপুল বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।

ওমর ফারুক নামের এক পথচারী বলেন, ‘শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আসলে এই মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে।’

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, মারামারির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত