নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করা মহিউদ্দিন রনিকে আজ শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বিকেলে তিনি রেলস্টেশনে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় রনি স্টেশনের বাইরেই অবস্থান নেন। রনি বলেন, ‘৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত যতই ষড়যন্ত্র হোক, অবস্থান চলবে।’
শুক্রবার বিকেলে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে ব্যাপক রেল পুলিশ, আনসার ও গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
স্টেশনের বাইরে অবস্থানের কিছুক্ষণ পর নিজেকে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেওয়া এম এইচ উজ্জ্বল নামে এক যুবক রনির আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি রনিকে প্রশ্ন করেন, তিনি ১৩ জুন টিকিট কেটে হেনস্তা হয়েছেন, কিন্তু আন্দোলন কেন ৭ জুলাই থেকে শুরু করেছেন? রনি উত্তরে বলেন, তিনি হেনস্তার শিকার হন জুন মাসের ১৩ তারিখে। এরপর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও বিভিন্নজনের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর সমাধানের কোনো আশা না দেখে জুলাই মাসের ৭ তারিখ থেকে আন্দোলন শুরু করেন।
কিন্তু ওই যুবক এর পরও নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ধাওয়া দেয় এবং কিল-ঘুষি মারে। কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় থাকা পুলিশ সদস্যরা এ সময় তাঁকে প্রথমে রিকশায় উঠিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রিকশা থেকে নেমে তিনি কমলাপুর স্টেশনের পাশের রেলওয়ে থানায় চলে যান।
জানতে চাইলে এম এইচ উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি একটি প্রশ্ন করার পরেই তাঁর কথিত বন্ধু-সমর্থকেরা আমাকে মারধর করেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে রনির আন্দোলনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সে ১৩ তারিখে টিকিট কেটে ৭ তারিখ থেকে আন্দোলন করছে, এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে না?’
এ ঘটনার পর মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘আমি তাঁকে বারবার বলেছি আমি জুন মাসের ১৩ তারিখে হেনস্তার শিকার হয়েছি আর জুলাই মাসের ৭ তারিখ আন্দোলন শুরু করেছি। আমার আন্দোলন নস্যাৎ করতে নানান কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে কি আমার নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে না? গতকাল আমার ভাইবোনদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছাড়া কি নারীর গায়ে হাত দেওয়া যায়? সহজ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের যে সিন্ডিকেটটা এতদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল, তারা আজকে যা করল তাতে কিন্তু সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গেছে।’
রনি আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু বলিনি তাঁকে ধরেন। আমি আরও তাঁকে প্রটেক্ট করার চেষ্টা করেছি। এমনও হতে পারে, তাঁদের মধ্যেই কেউ দুটি পক্ষ পাঠিয়ে দিয়েছে। এক পক্ষ ঝামেলা করছে আরেক পক্ষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া করছে। প্রকৃত ঘটনা কী তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। আন্দোলন করতে গিয়ে মারধর, দেশদ্রোহী ট্যাগ খেতে হয়েছে এবং এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আশ্বাস চাইছি, আমি কোনোভাবেই তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারলাম না। আমি বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
ঘটনার পর কেন রনিকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের কক্ষে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ সময় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি। রেলওয়ে থানায় হেনস্তার শিকার ব্যক্তি কোনো অভিযোগ জানিয়েছেন কি না, জানতে গেলে ওই ব্যক্তিকে ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরেও থানার ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।’

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করা মহিউদ্দিন রনিকে আজ শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বিকেলে তিনি রেলস্টেশনে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় রনি স্টেশনের বাইরেই অবস্থান নেন। রনি বলেন, ‘৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত যতই ষড়যন্ত্র হোক, অবস্থান চলবে।’
শুক্রবার বিকেলে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনে ব্যাপক রেল পুলিশ, আনসার ও গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
স্টেশনের বাইরে অবস্থানের কিছুক্ষণ পর নিজেকে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেওয়া এম এইচ উজ্জ্বল নামে এক যুবক রনির আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি রনিকে প্রশ্ন করেন, তিনি ১৩ জুন টিকিট কেটে হেনস্তা হয়েছেন, কিন্তু আন্দোলন কেন ৭ জুলাই থেকে শুরু করেছেন? রনি উত্তরে বলেন, তিনি হেনস্তার শিকার হন জুন মাসের ১৩ তারিখে। এরপর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও বিভিন্নজনের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর সমাধানের কোনো আশা না দেখে জুলাই মাসের ৭ তারিখ থেকে আন্দোলন শুরু করেন।
কিন্তু ওই যুবক এর পরও নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে ধাওয়া দেয় এবং কিল-ঘুষি মারে। কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় থাকা পুলিশ সদস্যরা এ সময় তাঁকে প্রথমে রিকশায় উঠিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রিকশা থেকে নেমে তিনি কমলাপুর স্টেশনের পাশের রেলওয়ে থানায় চলে যান।
জানতে চাইলে এম এইচ উজ্জ্বল বলেন, ‘আমি একটি প্রশ্ন করার পরেই তাঁর কথিত বন্ধু-সমর্থকেরা আমাকে মারধর করেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে রনির আন্দোলনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সে ১৩ তারিখে টিকিট কেটে ৭ তারিখ থেকে আন্দোলন করছে, এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে না?’
এ ঘটনার পর মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘আমি তাঁকে বারবার বলেছি আমি জুন মাসের ১৩ তারিখে হেনস্তার শিকার হয়েছি আর জুলাই মাসের ৭ তারিখ আন্দোলন শুরু করেছি। আমার আন্দোলন নস্যাৎ করতে নানান কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এতে কি আমার নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে না? গতকাল আমার ভাইবোনদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। কোনো নারী পুলিশ সদস্য ছাড়া কি নারীর গায়ে হাত দেওয়া যায়? সহজ ও বাংলাদেশ রেলওয়ের যে সিন্ডিকেটটা এতদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল, তারা আজকে যা করল তাতে কিন্তু সাধারণ মানুষ ক্ষেপে গেছে।’
রনি আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু বলিনি তাঁকে ধরেন। আমি আরও তাঁকে প্রটেক্ট করার চেষ্টা করেছি। এমনও হতে পারে, তাঁদের মধ্যেই কেউ দুটি পক্ষ পাঠিয়ে দিয়েছে। এক পক্ষ ঝামেলা করছে আরেক পক্ষ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া করছে। প্রকৃত ঘটনা কী তা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। আন্দোলন করতে গিয়ে মারধর, দেশদ্রোহী ট্যাগ খেতে হয়েছে এবং এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আশ্বাস চাইছি, আমি কোনোভাবেই তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারলাম না। আমি বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
ঘটনার পর কেন রনিকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের কক্ষে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ সময় একাধিকবার কল করা হলেও তিনি জবাব দেননি। রেলওয়ে থানায় হেনস্তার শিকার ব্যক্তি কোনো অভিযোগ জানিয়েছেন কি না, জানতে গেলে ওই ব্যক্তিকে ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পরেও থানার ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। এই মুহূর্তে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৫ ঘণ্টা আগে