সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রতীক না থাকায় এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় গ্রুপিং ও অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এতে দলীয় বিভেদ বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের রাজনৈতিক অবস্থান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই দ্বন্দ্ব ও বিভেদের ছাপ পড়েছে। এমনকি প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। গ্রুপিংকেন্দ্রিক প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। ফলে রাজনীতির গ্রুপিংয়ের ছায়া স্পষ্ট হয়েছে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলেও। পছন্দের প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তিনটি উপজেলাতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন আল মাসুদ খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম।
স্থানীয়রা বলছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ছোট বোন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান বড় ভাই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তখন শুধু তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। দুই ভাই-বোনের সমর্থকেরা একে অপরের প্রতি প্রচার-প্রচারণায় কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার।
অন্যদিকে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা তিনজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বভাবতই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বলয়ের সমর্থন পাচ্ছেন মো. আওলাদ হোসেন। এর বিপরীতে বাকি দুজন সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে প্রকাশ্যে তাঁদের কারও পক্ষে সংসদ সদস্যের অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শরীফ সাদী এবং মো. আব্দুস সাত্তার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের বলয়ের প্রার্থী বলে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারণা রয়েছে। ফলে তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীদের বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এই বিভক্তি নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার সূত্রপাত করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
একই অবস্থা হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায়। হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আশরাফ হোসেন কবির ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারিছ মিয়া। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রৌশনারা ও মো. নাজমুল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা মো. আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, প্রয়াত এমপি এ কে এম শামছুল হক গোলাপ মিঞার ছেলে এ কে এম দিদারুল হক ও হাজি জাফর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান সোহেল। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দীন এবং বিএনপি ঘরানার পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেতিবাচক বার্তা দিলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমার এই সিদ্ধান্ত।’
দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় দলে বিভেদ আরও বাড়বে বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মন্তব্যের প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। জনগণ যার কাছে নিরাপদ, জনগণ তাকেই বেছে নেবে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দলীয় প্রতীক যেহেতু থাকবে না, সেহেতু জনগণ যাকে ভালবাসে, তাকেই নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় বিভেদ বাড়বে না বরং কমবে।’
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ হালিম বলেন, ‘নির্বাচন তো নির্বাচনই। এতে করে দলে বিভেদ বাড়ার কী আছে! বিভেদ বাড়বে না।’
হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মোবারিছ মিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের সবার সাথেই আমাদের সম্পর্ক ভালো। দলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন রয়েছেন।
এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রতীক না থাকায় এদের মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে দলীয় গ্রুপিং ও অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। তবে এতে দলীয় বিভেদ বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের রাজনৈতিক অবস্থান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ রয়েছে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই দ্বন্দ্ব ও বিভেদের ছাপ পড়েছে। এমনকি প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্তি আরও প্রকট হয়েছে। গ্রুপিংকেন্দ্রিক প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। ফলে রাজনীতির গ্রুপিংয়ের ছায়া স্পষ্ট হয়েছে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে। সে ক্ষেত্রে প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন প্রার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলেও। পছন্দের প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তিনটি উপজেলাতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন আল মাসুদ খান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম।
স্থানীয়রা বলছেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে ছোট বোন নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান বড় ভাই ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। তখন শুধু তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও প্রকাশ্যে আসে। দুই ভাই-বোনের সমর্থকেরা একে অপরের প্রতি প্রচার-প্রচারণায় কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সাত্তার।
অন্যদিকে সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বৌলাই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওলাদ হোসেন। এবারের নির্বাচনে তাঁরা তিনজনই প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বভাবতই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বলয়ের সমর্থন পাচ্ছেন মো. আওলাদ হোসেন। এর বিপরীতে বাকি দুজন সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হলেও নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে প্রকাশ্যে তাঁদের কারও পক্ষে সংসদ সদস্যের অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপকমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শরীফ সাদী এবং মো. আব্দুস সাত্তার সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিনের বলয়ের প্রার্থী বলে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচারণা রয়েছে। ফলে তাঁদের ঘিরে নেতা-কর্মীদের বিভক্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এই বিভক্তি নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সহিংসতার সূত্রপাত করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
একই অবস্থা হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায়। হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মাহবুবুল হক, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আশরাফ হোসেন কবির ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারিছ মিয়া। এ ছাড়া বিএনপি ঘরানার বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রৌশনারা ও মো. নাজমুল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ ঘরানার। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা মো. আতাউল্লাহ্ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু, প্রয়াত এমপি এ কে এম শামছুল হক গোলাপ মিঞার ছেলে এ কে এম দিদারুল হক ও হাজি জাফর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান সোহেল। এখানে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দীন এবং বিএনপি ঘরানার পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেতিবাচক বার্তা দিলেও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্য আমার এই সিদ্ধান্ত।’
দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় দলে বিভেদ আরও বাড়বে বলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের মন্তব্যের প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। জনগণ যার কাছে নিরাপদ, জনগণ তাকেই বেছে নেবে।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দলীয় প্রতীক যেহেতু থাকবে না, সেহেতু জনগণ যাকে ভালবাসে, তাকেই নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় বিভেদ বাড়বে না বরং কমবে।’
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ হালিম বলেন, ‘নির্বাচন তো নির্বাচনই। এতে করে দলে বিভেদ বাড়ার কী আছে! বিভেদ বাড়বে না।’
হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মোবারিছ মিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে। যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের সবার সাথেই আমাদের সম্পর্ক ভালো। দলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
জেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় পর্যন্ত তিন উপজেলায় মোট ৪৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন রয়েছেন।
এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
হোসেনপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৪ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

কৃষকের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে ২১টি সবজি ও ফলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ি অঞ্চলে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবার ‘বারি লাউ-৪’ জাতের প্রজনন বীজ উৎপাদন ও চাষে সফলতা পেয়েছেন কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে গবেষণা কেন্দ্রের এক একর জমিতে এই জাতের লাউ চাষ করা হয়। বীজ বপনের প্রায় ৭০ দিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছে ফলন আসে। বর্তমানে গবেষণা কেন্দ্রে সারি সারি লাউগাছে ঝুলছে লাউ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বারি লাউ-৪ একটি তাপ সহনশীল জাত, যা সারা বছর চাষ করা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে চাষের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই জাতের লাউ গাঢ় সবুজ রঙের এবং ফলের গায়ে সাদাটে দাগ থাকে। প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ১২টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২ দশমিক ৫ কেজি। ফলের দৈর্ঘ্য ৪২ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে লাউ সংগ্রহ করা যায়। এই জাতের জীবনকাল ১৩০ থেকে ১৫০ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন ৮০ থেকে ৮৫ টন পর্যন্ত হতে পারে। তাপ সহনশীল হওয়ায় গ্রীষ্মকালেও চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন।
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
এদিকে রাইখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পাইদো অং মারমা বলেন, গত অক্টোবর মাসে তিনি এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে বারি লাউ-৪-এর বীজ ও সার সংগ্রহ করেন। সেগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এক বিঘা জমিতে তিনি লাউ চাষ করেছেন। বর্তমানে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দলীয় প্রতীক না থাকায় গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির...
১৬ এপ্রিল ২০২৪
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন হুমায়ুন কবির (৭০) ও হাসি বেগম (৬০)। একই সঙ্গে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করার দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের মুখপাত্র উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে ফয়সালের মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নরসিংদীর তরুয়ার বিল এলাকা থেকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত অস্ত্রসহ দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার এবং ফয়সাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তবে অস্ত্রটি সেখানে কীভাবে গেছে, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানায়নি র্যাব।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন। পরে ভবনের সরু জায়গায় ব্যাগটি নিচে ফেলে দেন।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনের একটি ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন এবং অন্যটি তার মা হাসি বেগমকে দেন। পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। অবস্থান নিরাপদ মনে না হওয়ায় তিনি আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে শাহজাদপুরে তার চাচাতো ভাই আরিফের বাসায় যান।
এ সময় ফয়সালের ব্যাগ বহনের জন্য তার বাবা হুমায়ুন কবির একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দেন এবং কিছু অর্থও সরবরাহ করেন বলে র্যাবের দাবি। পরে ফয়সালের মা-বাবা তাঁদের ছোট ছেলে হাসান মাহমুদ বাবুলের কেরানীগঞ্জের বাসায় চলে যান।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসার পাশের একটি ফাঁকা স্থান থেকে ১১টি গুলিভর্তি দুটি ম্যাগাজিন ও একটি চাকু উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব-২।
র্যাব-২-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফয়সাল ও তাঁর এক সহযোগী মোটরসাইকেলে করে ওই বাসা থেকে বের হন। সিসিটিভি ফুটেজে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ফয়সাল, তাঁর সহযোগী, মা ও ভাগনেকে দুই ভবনের মাঝের ফাঁকা স্থান থেকে কিছু বের করতে দেখা যায়। পরে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এলাকা ত্যাগ করেন।
গোপন তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওই স্থান থেকে দুটি ম্যাগাজিন, ১১টি গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
এ ছাড়া ফয়সালের বোনের বাসা থেকে ১৫টি চেক বই, ছয়টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৮টি চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়েছে।
হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় এর আগে ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবী, শ্যালক, হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে একজন, সহযোগী কবির এবং তাঁকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা এক আততায়ী চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর অবস্থা ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দলীয় প্রতীক না থাকায় গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির...
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৪ মিনিট আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়না কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন উদ্যোক্তা এমরান হোসেন। একই সঙ্গে মাল্টা চাষেও ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি। এমরান উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের পাঁড়ইল গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন জানান, তাঁর কমলা বাগানের গাছগুলোর বয়স প্রায় ছয় বছর। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাগানো প্রায় ৬০টি গাছে এবার প্রচুর ফল ধরেছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব কমলা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাগান দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী মানুষ আসছেন এবং কমলা বাগান তৈরির বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। বর্তমানে মণপ্রতি কমলা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা থেকে ভালো মুনাফা পাচ্ছেন তিনি। আগামীতে আরও চার একর জমিতে কমলার বাগান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও জানান এমরান।
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক সুজন রায় জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাল্টা বাগানে কাজ করছেন। স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি ঢাকার পাইকাররাও সরাসরি বাগানে এসে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বিপণন নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এই বাগানে নিয়মিত কাজ করে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতে পারছেন তিনি।
কমলা বাগানের আরেক কর্মচারী রাজু বলেন, বাগান মালিকের একাধিক ফলের বাগান রয়েছে। তিনি কমলা বাগানে কাজ করেন। ডিসেম্বর মাসজুড়ে বাগানে কমলা থাকবে। ফলনের পরিমাণ দেখে ভালো লাভের আশা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এমরান হোসেন একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাগানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষি খাতে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কারও পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তাঁর বাগান পরিদর্শন করা হচ্ছে।’
উদ্যোক্তা এমরান হোসেন বলেন, ‘কৃষির প্রতি আগ্রহ থেকেই বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে বাগান থেকে ভালো আয় হওয়ায় লিজ নেওয়া জমিতে আরও বড় পরিসরে বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দলীয় প্রতীক না থাকায় গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির...
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৪ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সেরার খালের ওপর কোটি টাকা বরাদ্দে একটি সেতু নির্মাণ করা হয় বছরখানেক আগে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় ঝুঁকি নিয়ে মই বেয়ে সেতু পারাপার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়েন বৃদ্ধ, নারী ও স্কুলগামী শিশুরা। সংযোগ সড়ক না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা টাকা তুলে এই মইয়ের ব্যবস্থা করে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের দাবি, মাটি না পাওয়ায় তাঁরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারেননি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের চাওবন ও রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডোয়াইবাড়ি গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের সুবিধার্থে সেরার খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু হয়ে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়। প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিথুন এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
চাওবন গ্রামের বাসিন্দা নিজামুদ্দিন প্রতিবেদককে সেতু দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন তো, কত ফুট উঁচুতে সেতু। কত লম্বা মই। দেখলেই ভয় লাগে।’
স্কুলশিক্ষার্থী নাজমুল বলে, ‘এমন একটি সেতু নির্মাণ করা হলো, যে সেতুতে নিজে নিজে পার হতে পারি না। মা-বাবাকে সঙ্গে আনতে হয়। আমাদের এক সহপাঠী মই থেকে নিচে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শরীরে রড ঢুকে মারাত্মক আহত হয়েছে। যে লম্বা মই বেয়ে উঠতে হয়, দেখলে ভয়ে পা কাঁপতে থাকে।’ বানু বেগম বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। সেতুটি হামাগুড়ি দিয়ে পার হতে হয়।’
প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজের মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। মাটির সংকটে সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ‘ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ সড়কের নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দলীয় প্রতীক না থাকায় গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তিন উপজেলায় মোট ১৯ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৪ জনই আওয়ামী লীগের এবং বাকি পাঁচজন বিএনপির...
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ড. জিয়াউর রহমান বলেন, বারি লাউ-৪ দেশের সব এলাকাতেই চাষ করা সম্ভব। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ফাল্গুনের শেষে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। চৈত্র মাসে বীজ বপন করে বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা যায়।
১৪ মিনিট আগে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে—গ্রেপ্তার দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে ফয়সাল করিম তৃতীয়। ফয়সাল ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় তাঁর বোন জেসমিন আক্তারের সপ্তম তলার বাসায় প্রায়ই যাতায়াত করতেন। ঘটনার দিন (১২ ডিসেম্বর) রাতে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে তিনি ওই বাসায় ওঠেন।
১ ঘণ্টা আগে
এ ছাড়া তিনি দুই একর জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। গাছভর্তি মাল্টা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হন। বাগানে আফ্রিকান মাল্টা ও সিকি মোজাম্বিক জাতের মাল্টা চাষ করা হয়েছে, যেগুলোর বাজারচাহিদা বেশ ভালো।
২ ঘণ্টা আগে