Ajker Patrika

মৌলিক শর্তও পূরণ করেনি পপুলার মেডিকেল কলেজ

  • নিজস্ব জমিতে ভবনসহ ১০টির বেশি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত পূরণ হয়নি
  • শিক্ষার্থী ভর্তির অনুপাতে পর্যাপ্ত শয্যা নেই কলেজটির হাসপাতালে
  • ধানমন্ডির জমি কলেজের নয়, বছিলার জমির নামজারির আবেদন
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
মৌলিক শর্তও পূরণ করেনি পপুলার মেডিকেল কলেজ

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রায় দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয় পপুলার মেডিকেল কলেজ। অভিযোগ রয়েছে, মৌলিক শর্তগুলো পূরণ না করলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের পর বছর এই চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষ নবায়ন ও আসন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। অথচ কলেজটি নিজস্ব জমি, অবকাঠামো, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যাসহ ১০টির বেশি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত পূরণ করেনি।

পপুলার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছে, যেসব ঘাটতি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে।

চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শর্ত পূরণ না করা মেডিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রি নেওয়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, শর্ত অমান্য করার ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তাগাদা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। যেসব কলেজে সমস্যা বেশি, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল কলেজগুলো শর্ত না মানায় ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন, কলেজগুলোর মান যেন ভালো হয়। কেউ শর্ত পূরণ না করেই মেডিকেল কলেজ চালাবে, এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। সেটা সরকারি বা বেসরকারি—যে মেডিকেল কলেজই হোক না কেন। তিনি বলেন, ‘ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আসন কমানো বা বাড়ানো যায় না। গত বছরের নভেম্বরে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষাও শেষ। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এরই মধ্যে একটি কলেজের আসন কমানো হয়েছে। কেউ শর্ত না মানলে আসন কমিয়ে বা জরিমানাসহ তা বন্ধ করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে সরকারের অনুমোদন পায় পপুলার মেডিকেল কলেজ। প্রথমে শিক্ষাবর্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর কয়েক দফায় আসন বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১০৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুই বছর আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ কার্যকর করে সরকার। এর আগে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী পরিচালিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

কয়েকটি মৌলিক শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ রয়েছে পপুলার মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। সরকারের গঠিত কমিটি নিয়ম অনুযায়ী কলেজটি নিয়মিত পরিদর্শন করছে। পরিদর্শন প্রতিবেদনও দিচ্ছে।

নিজস্ব জমি ও ভবন নেই: আইন অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন এলাকার ৫০ আসনের মেডিকেল কলেজের জন্য দুই একর এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে চার একর জমি থাকতে হবে। তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এরই মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মেডিকেল কলেজের ক্ষেত্রে এক একর জমির শিথিলতা রয়েছে। জমির মালিকানা হবে কলেজের নামে, ভাড়া জমিতে বা ভবনে কলেজ এবং কলেজের হাসপাতাল স্থাপন করা যাবে না।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সর্বশেষ গত বছরের জুনে পপুলার মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কমিটির একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানান, ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের যে ভবনে পপুলার মেডিকেল কলেজ; ওই জমির মালিকানা কলেজের বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করা হলেও আসলে ওই জমি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পপুলার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের নামে। অধিদপ্তর এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় সতর্ক করেছে। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খন্দকার আবু রায়হান এক চিঠিতে অধিদপ্তরকে জানান, ফেব্রুয়ারিতে মোহাম্মদপুরের বছিলায় কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হবে।

কলেজটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মোহাম্মদপুরের কাটাসুর মৌজায় ১২১ দশমিক ৬৩ কাঠা জমি কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের। বলা হয়েছে, নামজারির বিষয়টি ‘আবেদিত’। অর্থাৎ নামজারির আবেদন করা হয়েছে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও কলেজের হাসপাতাল একই ক্যাম্পাসে আলাদা ভবনে হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ধানমন্ডিতে পপুলার মেডিকেল কলেজ ও কলেজের হাসপাতাল একই জমিতে নয়। ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কের (২৫ নম্বর বাড়ি) পাঁচতলা ভবনে কলেজের কার্যক্রম চলছে। এর অন্তত ১০০ মিটার দূরে কলেজ হাসপাতাল। অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদনেও কলেজ ও হাসপাতালের জমি ‘অখণ্ডিত নয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফ্লোর স্পেসেও ঘাটতি: আইন অনুযায়ী, ৫০ আসনের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ও হাসপাতাল ভবনের জন্য এক লাখ করে মোট দুই লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে। আসনসংখ্যা বাড়লে আনুপাতিক হারে জমি, ফ্লোর স্পেস ও অন্যান্য অবকাঠামো বাড়াতে হবে। পপুলার মেডিকেল কলেজে বর্তমানে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০৭ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এ হিসাবে কলেজের ফ্লোর স্পেস হতে হবে ২ লাখ ১৪ হাজার বর্গফুট। একই ফ্লোর স্পেস থাকতে হবে হাসপাতালের।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন প্রতিবেদন বলছে, কলেজের একাডেমিক ভবনের ফ্লোর স্পেস ১ লাখ ২০ হাজার বর্গফুট। ঘাটতি রয়েছে ৯৪ হাজার বর্গফুটের। হাসপাতাল ভবনের ফ্লোর স্পেসের ঘাটতি ১৪ হাজার বর্গফুটের।

হাসপাতালে শয্যা কম: মেডিকেল কলেজে ৫০ জন শিক্ষার্থীর জন্য (একজনের বিপরীতে পাঁচটি শয্যা) ২৫০টি শয্যা থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করায় পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা থাকার কথা ৫৩৫টি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য সাধারণ ওয়ার্ডে ৫টি শয্যা থাকবে। তাঁরা সেসব রোগীর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেবেন। কেবিন, আইসিইউসহ অন্য কোনো বিশেষায়িত শয্যা এই হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, কেবিন বা বিশেষায়িত শয্যার রোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় না। পপুলার মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে কেবিন বেশি।

কলেজটির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, কলেজের অনুমোদিত আসন ১০৫টি, মোট শিক্ষার্থী ৬৫১ এবং হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ৬০০। তবে ওয়েবসাইটের হাসপাতাল অংশে বলা হয়েছে, শয্যাসংখ্যা ৫০০। ১৮টি ভিআইপি ও ৫৭টি ডিলাক্স কেবিন আছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে ৪৫০টি শয্যা উল্লেখ রয়েছে।

কলেজটির সাবেক একজন অধ্যক্ষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কলেজের হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ১০০-এর কম, কেবিন বেশি। বিষয়টি আগে বহুবার বলা হলেও কর্তৃপক্ষ মনোযোগ দেয়নি। কেবিনে টাকা বেশি। কিন্তু সাধারণ শয্যার রোগী ছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ হয়ে ওঠে না।

ধানমন্ডির ২ নম্বর সড়কে কলেজটির হাসপাতাল (ভবন-৪)। গত সপ্তাহে সরেজমিনে হাসপাতাল ভবনে গিয়ে নিচতলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত রোগী ভর্তির ওয়ার্ড পাওয়া যায়নি। নিচতলায় জরুরি বিভাগ, ফার্মেসি ও হেল্প ডেস্ক, দ্বিতীয় তলায় সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), তৃতীয় তলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ, এইচডিইউ ও সিটিইউ), চতুর্থ তলায় ক্যাথল্যাব ও অপারেশন থিয়েটার, পঞ্চম তলায় পিআইসিইউ ও কেবিন, ষষ্ঠ তলায় কেবিন, সপ্তম তলায় মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া ও লন্ড্রি, অষ্টম তলায় হাই কেয়ার ও এনআইসিইউ, নবম তলায় মডেল সার্জিক্যাল স্যুট, ১০ম তলায় মডেল সার্জিক্যাল স্যুট এবং ১১ তলায় রয়েছে প্রশাসনিক দপ্তর। পাশে আন্তসংযোগ দিয়ে হাসপাতালের জন্য রয়েছে একটি সাততলা ভবন (এনেক্স ভবন)। এই ভবনের নিচতলায় ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, দ্বিতীয় তলায় সিসিইউ, তৃতীয় তলায় কার্ডিয়াক এইচডিইউ ও সিটিইউ, চতুর্থ তলায় ডায়ালাইসিস ও ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। ভবনটির পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় বিশেষ কেয়ার ইউনিট নামে মোট ৬৬টি শয্যা রয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সড়কটির দুই পাশে পপুলারের ছয়টি ভবন রয়েছে। কর্তৃপক্ষ ছয়টি ভবনকে কৌশলে হাসপাতালে দেখালেও হাসপাতালের কার্যক্রম চলে ওই দুই ভবনে। বাকি চারটির মধ্যে তিনটি পপুলার কনসালটেশন সেন্টার (ভবন-৫, ২ ও ৬) অন্যটি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার (ভবন-১)। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের জন্য নির্ধারিত ভবন ছাড়া অন্য কোনো ভবনে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালানো যাবে না। কনসালটেশন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর সুযোগ নেই। তাঁরা বলছেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মূলত কলেজের একটি ইনস্টিটিউট। তবে এটি হাসপাতাল হওয়ায় এর নিবন্ধন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে চিকিৎসা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান নিম্নমুখী: চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গত দুই দশকে চিকিৎসা শিক্ষার মানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্য যেসব সুবিধার প্রয়োজন হয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ল্যাব, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষক, হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা ও রোগীর অনুপাত। বিগত দিনগুলোতে আসন বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় বিএমডিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে; কিন্তু মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে না। এতে দেশের চিকিৎসকেরা ভবিষ্যতে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের (ডব্লিউএফএমই) স্বীকৃতি না পেলে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে কাজের সুযোগ ও স্বীকৃতি পাবেন না।

ডব্লিউএফএমইর সাবেক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শর্তের দিক বিবেচনা না করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর আসন যেভাবে বছর বছর বাড়ানো হয়েছে, তাতে নিয়মের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। এতে চিকিৎসা শিক্ষার মান ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে। খুব অল্পসংখ্যক কলেজ মান ধরে রাখতে পেরেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান সর্বকালের সর্বনিম্নে রয়েছে।’

যা বলছে কর্তৃপক্ষ: জানতে চাইলে পপুলার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খন্দকার আবু রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব ঘাটতি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে। তাঁরা আশা করছেন, দু-তিন মাসের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসে কাজ শুরু করতে এবং মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা দিতে পারবেন। তাঁদের যতটুকু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা সরকার অবশ্যই জানে। কলেজ কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে আন্তরিক। ১৫ বছরেও কিছু শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি দিতে পারব না। আমি ছয় মাস হলো চেয়ারে বসেছি।’

শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা অনুপাতে হাসপাতালে ৫৩৫টি শয্যা থাকার কথা থাকলেও অনেক কম থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খন্দকার আবু রায়হান বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত