ঢামেক প্রতিবেদক ও উত্তরা প্রতিনিধি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোট সাতটি মরদেহ আনা হয়। এর মধ্যে চারটি মরদেহ নথিভুক্ত করা হয় এবং তিনটি মরদেহ নথিভুক্তর আগেই বিক্ষোভকারীরা নিয়ে চলে যান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, চারটি মরদেহ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আহত ২৩৪ জন চিকিৎসা নিতে আসেন, এর মধ্যে ৬৭ জন ভর্তি রয়েছে।
ঢামেকে নথিভুক্ত চারজনের তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—জিগাতলায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি (২২) ও অজ্ঞাত (১৮), ফার্মগেটে গুলিবিদ্ধ তাহেদুল ইসলাম (২২) এবং কারওয়ান বাজারে গুলিবিদ্ধ রমিজুদ্দিন রওফ (২৪)। এছাড়া বাকি তিন জনের নাম জানা যায়নি। তাঁদের বয়স আনুমানিক ১৪ থেকে ২৫ এর মধ্যে। তাঁরা সকলেই রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসানের চাচাতো ভাই ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিয়ার মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৬২)-সহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—উত্তরা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার এবং অজ্ঞাত দুই যুবক।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার রাজলক্ষ্মী থেকে বিএনএস সেন্টার পর্যন্ত সড়কজুড়ে বেলা ১১টার দিকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরার আজমপুরে পুলিশের পাশ থেকে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদের বাধা দিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ গুলি ছুড়তেও দেখা যায়। পরে আন্দোলনকারীরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পরই উত্তরার আজমপুরের রাজউক কর্মাশিয়াল কমপ্লেক্সের নিচে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজমপুরের রাজউক কর্মাশিয়াল মার্কেটের নিচ তলার ঢাকা মেডিসিন কর্ণারের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হয়ে রাস্তায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেখানে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন, ‘আজমপুরে আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সেখানে আমাদের দুই ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে দুজনের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরেকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
নিহতের বিষয়ে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত গোয়েন্দা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গুলি করে। তাঁদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও রয়েছে। গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দাবি, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে থাকা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।’
তাঁরা বলেন, ‘হামলার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে গাড়িতে করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন দক্ষিণখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তোফাজ্জল হোসেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার। চলে যাওয়ার সময় দুপুর দেড়টার দিকে বিএনএস সেন্টার এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে থাকা জামায়াত-শিবিরের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় তোফাজ্জল হোসেন আহত হলেও মারা গেছে তাঁর সঙ্গে থাকা আব্দুস সাত্তার।’
নিহত ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলামের ছোট ভাই ও উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আল সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইঞ্জিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম ভাইয়ের হাত-পায়ের রগ ও কান কেটে দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। এছাড়াও তাঁর বুকের ডান পাশে দুটি গুলি করে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেড়টার দিকে বিএনএস সেন্টার এলাকায় দক্ষিণখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় তিনি আহত হন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার নিহত হন।’
আলাউদ্দিন আল সোহেল বলেন, ‘আমরা সাবেক এমপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আজমপুরে ছিলাম। আন্দোলনকারীরা যখন আজমপুরের দিকে আসে তখন আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করি। তখন জামায়াত-শিবিরের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজলক্ষ্মীর একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রিকশা দিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে আজমপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উত্তরার আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতিকৃত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং নিজের সম্পদ বিক্রি করে রাজনীতি করে যাওয়া নেতাকে হত্যাকারীদের কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। তখন আমরা মৃত ঘোষণা করলে স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে একজন রাবার বুলেটে আহত হয়েছিল। বাকিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ছিল। আহতদের মধ্যে ছাত্র, পথচারী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীও ছিল।’
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ জন আহত অবস্থায় আসেন। এর মধ্যে ১২ জন গুলিবিদ্ধ এবং একজন জখম। মাথায় গুলিবিদ্ধ একজনকে নিউরো সায়েন্সে হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়া একজনের কিডনির এক পাশে গুলি লেগে আরেকদিকে বেরিয়ে যায়। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুপুর পর্যন্ত ১০-১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
অপরদিকে উত্তরার আরএমসি হাসপাতালের সিআরও মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তত ১৫-২০ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।’
এদিকে বিএনএস সেন্টারের সামনের এলাকায় সংবাদ সংগ্রহকালে আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন এটিএন নিউজের রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ ও ক্যামেরাম্যান মারুফ আল মুকিত।
সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের কিছু ছেলেপেলে আমাদের বলছিল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আমাদেরকে গুলি করছে। আপনারা কিছু বলেন না কেন, কিছু করেন না কেন? তখনই ভূয়া ভূয়া বলে আমাদের ওপর লোহার রড, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। তখন আবার আন্দোলনকারীদের কিছু এসে আমাদেরকে রক্ষা করে এক সাইড করে দেয়।’
আন্দোলনরত আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা হাইস্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আজমপুর রেলগেট এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিস্তল, শর্টগান, চাপাতি, চাকু, ছুরি, লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাঁদের করা গুলিতে আমাদের তিন চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী, পথচারী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে দেখা যায়।
এদিকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার থামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের থানা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি। ছাত্ররা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ওপর, আমাদের থানা, গাড়ির ওপর হামলা না হলে আমরা কোনো অ্যাকশনে যাবো না।’
গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পুলিশ কোনো গুলি ছুড়িনি। গুলিতো দূরের কথা টিয়ারশেল, সাইন্ড গ্রেনেডও মারা হয়নি।’
ওসি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা আন্দোলরত ছাত্রদের ওপর কোনো অ্যাকশনে যাওয়াতো দূরের কথা, তাঁদের সঙ্গে কোনো উচ্চবাচ্যও করিনি। তাঁরা তাঁদের মতো আন্দোলন করছে।’

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোট সাতটি মরদেহ আনা হয়। এর মধ্যে চারটি মরদেহ নথিভুক্ত করা হয় এবং তিনটি মরদেহ নথিভুক্তর আগেই বিক্ষোভকারীরা নিয়ে চলে যান।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, চারটি মরদেহ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আহত ২৩৪ জন চিকিৎসা নিতে আসেন, এর মধ্যে ৬৭ জন ভর্তি রয়েছে।
ঢামেকে নথিভুক্ত চারজনের তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—জিগাতলায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি (২২) ও অজ্ঞাত (১৮), ফার্মগেটে গুলিবিদ্ধ তাহেদুল ইসলাম (২২) এবং কারওয়ান বাজারে গুলিবিদ্ধ রমিজুদ্দিন রওফ (২৪)। এছাড়া বাকি তিন জনের নাম জানা যায়নি। তাঁদের বয়স আনুমানিক ১৪ থেকে ২৫ এর মধ্যে। তাঁরা সকলেই রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসানের চাচাতো ভাই ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিয়ার মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৬২)-সহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—উত্তরা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার এবং অজ্ঞাত দুই যুবক।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার রাজলক্ষ্মী থেকে বিএনএস সেন্টার পর্যন্ত সড়কজুড়ে বেলা ১১টার দিকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তরার আজমপুরে পুলিশের পাশ থেকে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদের বাধা দিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ গুলি ছুড়তেও দেখা যায়। পরে আন্দোলনকারীরা তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর পরই উত্তরার আজমপুরের রাজউক কর্মাশিয়াল কমপ্লেক্সের নিচে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজমপুরের রাজউক কর্মাশিয়াল মার্কেটের নিচ তলার ঢাকা মেডিসিন কর্ণারের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত হয়ে রাস্তায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেখানে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন, ‘আজমপুরে আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সেখানে আমাদের দুই ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে দুজনের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরেকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
নিহতের বিষয়ে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত গোয়েন্দা পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গুলি করে। তাঁদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও রয়েছে। গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দাবি, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে থাকা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।’
তাঁরা বলেন, ‘হামলার পর আমাদের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে গাড়িতে করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন দক্ষিণখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম তোফাজ্জল হোসেন। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার। চলে যাওয়ার সময় দুপুর দেড়টার দিকে বিএনএস সেন্টার এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে থাকা জামায়াত-শিবিরের লোকজন হামলা চালায়। হামলায় তোফাজ্জল হোসেন আহত হলেও মারা গেছে তাঁর সঙ্গে থাকা আব্দুস সাত্তার।’
নিহত ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারুল ইসলামের ছোট ভাই ও উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আল সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইঞ্জিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম ভাইয়ের হাত-পায়ের রগ ও কান কেটে দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের লোকজন। এছাড়াও তাঁর বুকের ডান পাশে দুটি গুলি করে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেড়টার দিকে বিএনএস সেন্টার এলাকায় দক্ষিণখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেনের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় তিনি আহত হন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা দক্ষিণখানের ৪৮ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার নিহত হন।’
আলাউদ্দিন আল সোহেল বলেন, ‘আমরা সাবেক এমপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসানের নেতৃত্বে আজমপুরে ছিলাম। আন্দোলনকারীরা যখন আজমপুরের দিকে আসে তখন আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করি। তখন জামায়াত-শিবিরের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজলক্ষ্মীর একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রিকশা দিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে আজমপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উত্তরার আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতিকৃত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং নিজের সম্পদ বিক্রি করে রাজনীতি করে যাওয়া নেতাকে হত্যাকারীদের কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) কমান্ডার মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। তখন আমরা মৃত ঘোষণা করলে স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে একজন রাবার বুলেটে আহত হয়েছিল। বাকিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ছিল। আহতদের মধ্যে ছাত্র, পথচারী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীও ছিল।’
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ জন আহত অবস্থায় আসেন। এর মধ্যে ১২ জন গুলিবিদ্ধ এবং একজন জখম। মাথায় গুলিবিদ্ধ একজনকে নিউরো সায়েন্সে হাসপাতালে পাঠানো হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়া একজনের কিডনির এক পাশে গুলি লেগে আরেকদিকে বেরিয়ে যায়। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুপুর পর্যন্ত ১০-১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
অপরদিকে উত্তরার আরএমসি হাসপাতালের সিআরও মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্তত ১৫-২০ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।’
এদিকে বিএনএস সেন্টারের সামনের এলাকায় সংবাদ সংগ্রহকালে আন্দোলনকারীদের হামলার শিকার হন এটিএন নিউজের রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ ও ক্যামেরাম্যান মারুফ আল মুকিত।
সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের কিছু ছেলেপেলে আমাদের বলছিল ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আমাদেরকে গুলি করছে। আপনারা কিছু বলেন না কেন, কিছু করেন না কেন? তখনই ভূয়া ভূয়া বলে আমাদের ওপর লোহার রড, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। তখন আবার আন্দোলনকারীদের কিছু এসে আমাদেরকে রক্ষা করে এক সাইড করে দেয়।’
আন্দোলনরত আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা হাইস্কুল, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আজমপুর রেলগেট এলাকায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিস্তল, শর্টগান, চাপাতি, চাকু, ছুরি, লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাঁদের করা গুলিতে আমাদের তিন চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থী, পথচারী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে দেখা যায়।
এদিকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার থামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের থানা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি। ছাত্ররা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ওপর, আমাদের থানা, গাড়ির ওপর হামলা না হলে আমরা কোনো অ্যাকশনে যাবো না।’
গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পুলিশ কোনো গুলি ছুড়িনি। গুলিতো দূরের কথা টিয়ারশেল, সাইন্ড গ্রেনেডও মারা হয়নি।’
ওসি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা আন্দোলরত ছাত্রদের ওপর কোনো অ্যাকশনে যাওয়াতো দূরের কথা, তাঁদের সঙ্গে কোনো উচ্চবাচ্যও করিনি। তাঁরা তাঁদের মতো আন্দোলন করছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৬ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১২ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।
যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—
জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।
যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—
১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।
২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।
৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।
৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।
৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।
১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।
পার্কিং ব্যবস্থা—
১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।
২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
সূত্র: বাসস

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আজ সকাল ৭টা থেকে জানাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত এলাকাগুলোতে ডাইভারশন কার্যকর থাকবে।
যান চলাচল সংক্রান্ত প্রধান বিধিনিষেধ ও বিকল্প পথ—
জানাজাস্থল ও এর চারপাশ খালি রাখার জন্য যেসব ক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে—ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও ইন্দিরা রোড ক্রসিং, বিজয় সরণি ও উড়োজাহাজ ক্রসিং, আসাদগেট ও রাপা প্লাজা ক্রসিং এবং গণভবন ক্রসিং। অর্থাৎ, রাপা প্লাজা থেকে গণভবন, ফার্মগেট থেকে আড়ং ক্রসিং এবং বিজয় সরণি থেকে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিং এবং উড়োজাহাজ ক্রসিং হয়ে খেজুরবাগান ক্রসিং হয়ে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত রাস্তাগুলো সাধারণ যানবাহনের জন্য বন্ধ থাকবে।
যেসব সড়কে যানচলাচল সীমিত ও ডাইভারশন—
১. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোড র্যাম্প দিয়ে যানবাহন নামা বন্ধ থাকবে; এর পরিবর্তে এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে হবে।
২. সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট বা বিজয় সরণি অভিমুখে যান চলাচল সীমিত থাকবে।
৩. কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়কটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ বিজয় সরণি ও ফার্মগেট অভিমুখে সীমিতভাবে যানবাহন চলবে।
৫. বনানী-মহাখালী-গুলশান বা এয়ারপোর্ট রোড থেকে রমনা-শাহবাগ-মতিঝিল-পল্টন-গুলিস্তানগামী গাড়িগুলোকে মহাখালী-জাহাঙ্গীরগেট-কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ সড়ক এড়িয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা ও মগবাজার ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৬. মিরপুর থেকে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনগুলোকে মানিক মিয়া এভিনিউ এড়িয়ে টেকনিক্যাল-শ্যামলী হয়ে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. মিরপুর থেকে রমনা-মতিঝিলগামী যানবাহনগুলো মিরপুর রোডের শ্যামলী থেকে বামে টার্ন নিয়ে আগারগাঁও ক্রসিং হয়ে ফকরুদ্দিন রোড বা লিংক রোড হয়ে জাহাঙ্গীরগেট-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে চলাচল করবে।
৮. পান্থপথ ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ের দিকে গাড়ি চলাচল সীমিত করা হবে।
৯. ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ক্রসিং ও প্রয়োজনে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং থেকে গাড়ি ডাইভারশন হবে।
১০. প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ক্রসিং থেকে দক্ষিণ দিকে সীমিত গাড়ি চলবে।
পার্কিং ব্যবস্থা—
১. ঢাকা মহানগরের যানবাহনগুলো শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করতে হবে।
২. ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, শাহবাগ থানা এলাকা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৌবাজার বা গরুর হাট এলাকা এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সার্ভিস রোডে পার্কিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ পরিস্থিতিতে নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াতের এবং ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
সূত্র: বাসস

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন
০৫ আগস্ট ২০২৪
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৬ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১২ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা।
একই কথা জানান সদর উপজেলার আরেক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।
ঠাকুরগাঁও ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সকালে কাজে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা পাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কাজে নামা এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার কৃষক আবদুল কাদের জানান, টানা কয়েক দিন সূর্য না থাকায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আজ রোদ ওঠায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছেন তাঁরা।
একই কথা জানান সদর উপজেলার আরেক কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত বেশি পড়লে বোরো ধানের বীজতলা পচে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সূর্যের আলো পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা কমে গেছে।
ঠাকুরগাঁও ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসিরুল আলম বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় এখন ক্ষতির ঝুঁকি কমেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন
০৫ আগস্ট ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১২ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেজীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, তবে আর্দ্রতা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে।
এই হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

ভ্যানচালক রনি আহমেদ বলেন, ‘ভোরে রাস্তায় নামতেই গা জমে যায়। কাজ না করলে খাওন জোটে না, আবার এই শীতে শরীরও সয় না।’
দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়লে কাজ কমে যায়। কাজ না থাকলে খাওন জোটে না। গরিব মানুষের শীতটা সবচেয়ে বেশি কষ্টের।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শীত আরও তীব্র হওয়ার আগেই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রয়োজন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমীন বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। ছিন্নমূল, গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কম্বল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে এবং আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। সকাল ৯টায়ও তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, তবে আর্দ্রতা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে।
এই হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে যান চলাচলে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো।

ভ্যানচালক রনি আহমেদ বলেন, ‘ভোরে রাস্তায় নামতেই গা জমে যায়। কাজ না করলে খাওন জোটে না, আবার এই শীতে শরীরও সয় না।’
দিনমজুর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীত বাড়লে কাজ কমে যায়। কাজ না থাকলে খাওন জোটে না। গরিব মানুষের শীতটা সবচেয়ে বেশি কষ্টের।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শীতে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শীত আরও তীব্র হওয়ার আগেই ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রয়োজন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমীন বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া কম্বল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। ছিন্নমূল, গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কম্বল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন
০৫ আগস্ট ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৬ মিনিট আগে
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতীরবর্তী অলংকারকাঠি গ্রামে শীতের আগমন মানেই ভিন্ন এক কর্মচাঞ্চল্য। ভোরের ঘন কুয়াশার মধ্যেই নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন নার্সারির কাজে। কারও হাতে কাস্তে, কারও হাতে পানির পাইপ, কেউ আবার মাথায় তুলে নেন বড় ঝুড়ি। এভাবেই ফুলের চারা উৎপাদনের কর্মকাণ্ড জমে ওঠে অলংকারকাঠি, পানাউল্লাহপুর, আকলম, মাহমুদকাঠিসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে।
উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় নার্সারি। বিশেষ করে স্বরূপকাঠি-বরিশাল সড়কের অলংকারকাঠি এলাকায় সড়কের দুই পাশে সারি সারি নার্সারি চোখে পড়ে। শীত মৌসুমকে ঘিরে এসব নার্সারিতে শুরু হয়েছে ফুলের চারা উৎপাদনের ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলা কৃষি অফিস ও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে ফুলের চারা বিক্রিতে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে।
নার্সারিগুলোতে ইতিমধ্যে ফুটতে শুরু করেছে বাহারি ফুল। অল্প সময়ের মধ্যেই লাল, নীল, হলুদ, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলে মাঠ ঢেকে যাবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুলের গালিচা। এই চারা উৎপাদন শুধু সৌন্দর্যই ছড়াচ্ছে না, নীরবে সৃষ্টি করছে এক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। পাশাপাশি দরিদ্র নারী-পুরুষের জন্য তৈরি হচ্ছে টেকসই কর্মসংস্থান।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ফুলের চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকার বেশি। নার্সারির মালিকেরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। যদিও সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অলংকারকাঠি, কুনিয়ারী, মাহমুদকাঠি, সুলতানপুরসহ অন্তত ২০টি গ্রামে ফুলের চারা উৎপাদনের কাজ চলছে। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, টিউলিপ, কসমস, বেলি, সূর্যমুখী, অর্কিড, সিলভিয়া, মর্নিং ফ্লাওয়ার, ক্যালেন্ডুলাসসহ শতাধিক প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফুলের চারা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
নার্সারির মালিক মো. আদনান শেখ বলেন, নেছারাবাদে বর্তমানে ২ হাজারের বেশি নার্সারি রয়েছে। মালিক ও শ্রমিক মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে জড়িত। শীত মৌসুমে এই নার্সারিগুলো ফুলের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। উৎপাদন খরচ বাড়লেও চলতি মৌসুম নিয়ে তিনি আশাবাদী।
নার্সারির নারী শ্রমিক ঝুমা আক্তার বলেন, আগে সংসারে অভাব ছিল। স্বামীর একার আয়ে কষ্ট করে চলতে হতো। এখন নার্সারিতে কাজ করে সংসারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি জানান, ফুলের চারার দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বনসাই ও বিদেশি জাতের চারার দাম সবচেয়ে বেশি।
দেখা গেছে, এসব নার্সারিতে শ্রমিকদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি পুরুষ শ্রমিকেরাও কাজ করছেন। নার্সারির কাজে তুলনামূলক কম মজুরির কারণে নারী শ্রমিক সহজলভ্য বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পেয়ে তাঁরা সংসারের খরচ সামাল দিচ্ছেন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নেছারাবাদে প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ব্যবসায়ীরা দেড় থেকে দুই কোটি টাকার বেচাকেনা করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ফুলের চারা উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নেছারাবাদের নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো আগামী দিনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুল উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে আজ রোববার সহিংসতায় রাজধানী ঢাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন
০৫ আগস্ট ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে। বিশাল জনসমাগম বিবেচনায় এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
২ মিনিট আগে
টানা চার দিনের ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের পর অবশেষে ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের আলো দেখা গেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার পর চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে উষ্ণতা। এতে কৃষকসহ খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
৬ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা জীবননগর। সূর্যের দেখা নেই। শীতের দাপট তীব্র। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় পুরো জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।
১২ মিনিট আগে