শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ। বলা হচ্ছে ‘গেজেটের ভাষার অসংগতি’ই এর কারণ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৫ দিন মেয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। কোর্সটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৫ এপ্রিল। প্রথম ধাপে ৮০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ও ব্যক্তিগত সরঞ্জাম নিয়ে ১৪ এপ্রিল একাডেমিতে উপস্থিত হতে বলা হয়। এ প্রশিক্ষণের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
কিন্তু কর্মকর্তাদের বহুল প্রতীক্ষিত এই প্রশিক্ষণের আয়োজন থমকে যায় গেজেটের বিবরণে অস্ত্র ও গুলির মধ্যে অসংগতির কারণে। গেজেটে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ব্যবহার করবেন ৯ মিমি সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অনুমোদিত সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তলে ব্যবহৃত হয় ৭.৬২ বোরের গুলি। অস্ত্র ও গুলির মধ্যে এই অমিলের বিষয়টি প্রশিক্ষণ শুরুর কয়েক দিন আগে ধরা পড়ে। গেজেটের এই অসংগতি চিহ্নিত করে পুলিশ একাডেমি আপত্তি জানায়। বাধ্য হয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ার এ ঘটনায় বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, এত বছর ধরে অপেক্ষার পর এভাবে প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি কাম্য নয়। কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অস্ত্র বরাদ্দের গেজেট প্রস্তুতকরণ কমিটির প্রধান ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং অস্ত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) তানভীর মমতাজ। তিনি এতে যুক্ত থাকার পরও কীভাবে এমন একটি ভুল হলো, সেটা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।
পরিচালক (অপারেশনস) তানভীর মমতাজ অবশ্য বিষয়টিকে ‘ছোটখাটো সমস্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এখানে বড় কোনো ভুল হয়নি, সব ঠিকঠাকই আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দিলেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আবার শুরু করা যাবে।’
পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, গেজেট সংশোধন হলেই প্রশিক্ষণ আবার শুরু করা যাবে। একাডেমির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, ‘সবই ঠিকঠাক ছিল। শুধু গুলির সঙ্গে অস্ত্রের অমিল থাকায় পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছি। তারা নির্দেশ দিলে প্রশিক্ষণ আবার শুরু করা যাবে। আমরা প্রস্তুত আছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদকসংশ্লিষ্ট অপরাধীরা প্রায়ই সশস্ত্র থাকে। তারা বেপরোয়া। অনেক সময় আমাদের নিরস্ত্র সদস্যদের আহত হতে হয়। তাই দ্রুত অস্ত্র হাতে পাওয়া ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেই অস্ত্র ব্যবহার শেখার বিষয়টি পিছিয়ে গেল।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে গেজেট সংশোধনের ওপর। তাঁরা বলছেন, গেজেট সংশোধন করে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠাতে হবে। এরপর পুলিশ সদর দপ্তর রাজশাহীর একাডেমিকে জানালে আবার শুরু হবে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ। জানা গেছে, সংশোধিত গেজেটে অস্ত্র হিসেবে লেখা থাকবে ৯ মিমি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। কোনো নির্দিষ্ট মডেলের নাম থাকবে না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপপরিদর্শক থেকে উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অস্ত্র ব্যবহার বিষয়ে একটি নীতিমালা অনুমোদন করেন। এতে বলা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। প্রথমে দুটি ফাঁকা গুলি ও সরাসরি একটি গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেই কেবল আবার গুলি করা যাবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে বর্তমানে ৯০ জন উপপরিচালক, ৯৩ জন সহকারী পরিচালক, ১৮৬ জন পরিদর্শক ও ২১০ জন উপপরিদর্শক রয়েছেন, যাঁরা এই নীতিমালার আওতায় অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ হওয়া অস্ত্রটি প্রাণঘাতী। তাঁদের মতে, অভিযানের সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী বিকল্প অস্ত্রের ব্যবস্থাও থাকা উচিত। এই কর্মকর্তারা রাবার বুলেটের শটগানসহ অন্য বিকল্প অস্ত্র ব্যবহারেরও অনুমতি চেয়েছেন।

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ। বলা হচ্ছে ‘গেজেটের ভাষার অসংগতি’ই এর কারণ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৫ দিন মেয়াদি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। কোর্সটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৫ এপ্রিল। প্রথম ধাপে ৮০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ও ব্যক্তিগত সরঞ্জাম নিয়ে ১৪ এপ্রিল একাডেমিতে উপস্থিত হতে বলা হয়। এ প্রশিক্ষণের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।
কিন্তু কর্মকর্তাদের বহুল প্রতীক্ষিত এই প্রশিক্ষণের আয়োজন থমকে যায় গেজেটের বিবরণে অস্ত্র ও গুলির মধ্যে অসংগতির কারণে। গেজেটে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ব্যবহার করবেন ৯ মিমি সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অনুমোদিত সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তলে ব্যবহৃত হয় ৭.৬২ বোরের গুলি। অস্ত্র ও গুলির মধ্যে এই অমিলের বিষয়টি প্রশিক্ষণ শুরুর কয়েক দিন আগে ধরা পড়ে। গেজেটের এই অসংগতি চিহ্নিত করে পুলিশ একাডেমি আপত্তি জানায়। বাধ্য হয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ার এ ঘটনায় বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, এত বছর ধরে অপেক্ষার পর এভাবে প্রশিক্ষণ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি কাম্য নয়। কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অস্ত্র বরাদ্দের গেজেট প্রস্তুতকরণ কমিটির প্রধান ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং অস্ত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) তানভীর মমতাজ। তিনি এতে যুক্ত থাকার পরও কীভাবে এমন একটি ভুল হলো, সেটা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না।
পরিচালক (অপারেশনস) তানভীর মমতাজ অবশ্য বিষয়টিকে ‘ছোটখাটো সমস্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এখানে বড় কোনো ভুল হয়নি, সব ঠিকঠাকই আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দিলেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আবার শুরু করা যাবে।’
পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, গেজেট সংশোধন হলেই প্রশিক্ষণ আবার শুরু করা যাবে। একাডেমির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পুলিশ সুপার মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, ‘সবই ঠিকঠাক ছিল। শুধু গুলির সঙ্গে অস্ত্রের অমিল থাকায় পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছি। তারা নির্দেশ দিলে প্রশিক্ষণ আবার শুরু করা যাবে। আমরা প্রস্তুত আছি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মাদকসংশ্লিষ্ট অপরাধীরা প্রায়ই সশস্ত্র থাকে। তারা বেপরোয়া। অনেক সময় আমাদের নিরস্ত্র সদস্যদের আহত হতে হয়। তাই দ্রুত অস্ত্র হাতে পাওয়া ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেই অস্ত্র ব্যবহার শেখার বিষয়টি পিছিয়ে গেল।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে গেজেট সংশোধনের ওপর। তাঁরা বলছেন, গেজেট সংশোধন করে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠাতে হবে। এরপর পুলিশ সদর দপ্তর রাজশাহীর একাডেমিকে জানালে আবার শুরু হবে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ। জানা গেছে, সংশোধিত গেজেটে অস্ত্র হিসেবে লেখা থাকবে ৯ মিমি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। কোনো নির্দিষ্ট মডেলের নাম থাকবে না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের নভেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপপরিদর্শক থেকে উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অস্ত্র ব্যবহার বিষয়ে একটি নীতিমালা অনুমোদন করেন। এতে বলা হয়, মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা সেমি-অটোমেটিক টি-৫৪ পিস্তল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গুলি চালানোর বিষয়টি কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। প্রথমে দুটি ফাঁকা গুলি ও সরাসরি একটি গুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেই কেবল আবার গুলি করা যাবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে বর্তমানে ৯০ জন উপপরিচালক, ৯৩ জন সহকারী পরিচালক, ১৮৬ জন পরিদর্শক ও ২১০ জন উপপরিদর্শক রয়েছেন, যাঁরা এই নীতিমালার আওতায় অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন।
এদিকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের জন্য বরাদ্দ হওয়া অস্ত্রটি প্রাণঘাতী। তাঁদের মতে, অভিযানের সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী বিকল্প অস্ত্রের ব্যবস্থাও থাকা উচিত। এই কর্মকর্তারা রাবার বুলেটের শটগানসহ অন্য বিকল্প অস্ত্র ব্যবহারেরও অনুমতি চেয়েছেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৪ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৭ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
২৫ এপ্রিল ২০২৫
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৭ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাটাখালী সেতু এলাকায় ঘের তৈরি করার হয়েছে। এই উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা মাতামুহুরী নদী। নদীটি মাছ আহরণের জন্য উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সীমান্তের মাইভার পর্বত থেকে মাতামুহুরীর উৎপত্তি। এরপর নদীটি বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী নদীটির দৈর্ঘ্য ১৪৬ কিলোমিটার। চকরিয়া উপজেলায় নদীটির ৪০ কিলোমিটার পড়েছে।
বাটাখালী ও জলদাশপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছ চাষ করার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে নদী দখলে নিয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আনোয়ারুল হাসান, আবু জাফর, জামাল উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ মানিকসহ ৩২ জন। নদী দখলে জড়িত ৩২ জনের বেশির ভাগই বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চকরিয়া-বদরখালী কে বি জালাল উদ্দিন সড়কের উপজেলার সাহারবিল এলাকায় মাতামুহুরী নদী দখল করে বাটাখালী সেতুর নিচে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এই বেড়ার মধ্যে তাঁরা অবৈধভাবে মাছচাষ করবেন। বেড়া দিয়ে নদী দখলের কারণে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে একটি খুপরিঘরও বানানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাশে চকরিয়া পৌরসভা ও সাহারবিল জলদাশপাড়ার প্রায় ৪০০ জেলে পরিবার বাস করে। তারা মাতামুহুরী ও খাল থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এখন রাজনৈতিক আশ্রয়ে নদীতে বেড়া দিয়ে দখল শুরু হয়েছে। তাই ভয়ে অনেকে নদীতে মাছ ধরতে যায় না। বাঁশের বেড়া দেওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নদীতে গোসল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারছে না।
এই বিষয়ে জেলে আলী আকবর বলেন, ‘৮-৯ দিন ধরে নদীর বুকে আড়াআড়িভাবে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করতে একটি প্রভাবশালী চক্র দখল করেছে। এভাবে নদীতে বেড়া দেওয়া শুরু হলে মাতামুহুরীর কোনো অংশই বাদ যাবে না। আমরা জেলেরা মাছ আহরণ করতে পারব না।’
তবে নদী দখলকারীদের একজন আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এলাকার বেকার যুবকদের নিয়ে মাছ চাষ করতে নদীর একপাশে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। এখানে নদীর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, বাঁধও দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে উপজেলার একজন কর্মচারী আমাদের মৌখিক অনুমতি দেন।’
আর দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, ‘আগামী তিন মাসের জন্য মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম ফোলানো হলে পানি বাড়বে। দলীয় পরিচয়ে নয়, এলাকার মুরব্বিরাসহ মিলেমিশে ৩২ জন মাছ চাষ করতে নদীতে বেড়া দিয়েছি। আমরা নদীও দখল করছি না, ব্যবসাও করছি না।’
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল আমিন বলেন, ‘নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক পাঠানো হবে।’

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
২৫ এপ্রিল ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৪ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী। তবে সেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত রোববার জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতারা সেলিম ওসমানের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রায়ই তিনি গার্মেন্টসে অফিস করছেন, এমন গুঞ্জনের জবাবে তারেক আল মেহেদী জানান, সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সেই বৈঠকের পরদিন উইজডম অ্যাটায়ার্সে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও আলোচিত আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই।

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
২৫ এপ্রিল ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৪ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৭ মিনিট আগে
রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণখানের নদ্দাপাড়ার তালতলা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ (৪৫)। তিনি দক্ষিণখানের আশকোনা ডিলার বাড়ির হাকিম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, শাহজাহান শেখ বিমানবন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি আশকোনা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ও ডিশের ব্যবসা করতেন।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান মিয়াদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাহজাহান ডিলার একটি গলি থেকে দৌড়ে তালতলা মোড়ের দিকে আসেন। তখন কয়েক দুর্বৃত্ত পেছন থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তাঁর মাথা দুই খণ্ড হয়ে যায়। পরে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
মাহফুজ আরও জানান, দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি ক্যাপ (টুপি) ফেলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে কিছু লোক শাহজাহানকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই দক্ষিণখান থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, কতিপয় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহজাহান শেখকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করে। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
২৫ এপ্রিল ২০২৫
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৪ মিনিট আগে
নদীতে আড়াআড়ি বাঁশ, বেড়া ও জাল দিয়ে ঘের তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করা হচ্ছে মাছ চাষ। এমন ঘটনা ঘটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে। আর এর পেছনে রয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এর ফলে জেলে কিংবা স্থানীয়রা মাছ ধরতে পারছেন না। ব্যাহত হচ্ছে মাছের বংশবিস্তার।
৭ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানকে গ্রেপ্তারে তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ফতুল্লার উইজডম অ্যাটায়ার্স লিমিটেড কারখানায় অভিযান চালায় ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের
১ ঘণ্টা আগে