নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়ান। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিবৃত্ত করতে এলে তাঁদের সঙ্গেও তাঁর হাতাহাতি হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে ধরে হাজতখানায় নিয়ে রাখে।
ওই তরুণের নাম আবদুর রাজ্জাক ফাহিম। তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবদুর রাজ্জাক ফাহিম পল্লবী থানায় প্রবেশ করেন। সিঁড়ি ভেঙে তিনি থানার দ্বিতীয় তলায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। প্রথমে তিনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর তিনি ওসির কক্ষের দিকে এগোতে থাকেন। বাগ্বিতণ্ডা শুনে কক্ষ থেকে বের হন ওসি নজরুল ইসলাম ও এসআই শরীফুল ইসলাম।
ওসিকে দেখেই ওই তরুণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এলাকায় খুন হচ্ছে, আপনারা থানায় বসে কী করেন?’ ওসি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় খুন হয়েছে?’ তখন ওই তরুণ বলেন, ‘আপনার ডিউটি অফিসার জানে।’ তখন তাঁরা ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। ডিউটি অফিসারের কক্ষে তখন আরও দুজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা থানায় পুলিশের সেবা নিতে এসেছিলেন। তাঁরা হলেন হোসেন মল্লিক ও আমির মল্লিক। তাঁদের সামনেই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষার্থী ওসি, এসআই ও ডিউটি অফিসারকে জেরা করেন। তখন ওসি তাঁর নাম ও পরিচয় জানতে চান।
জবাবে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাম দিয়ে কী করবেন?’ তাঁর এমন উত্তরে ওসি তরুণের হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চাইলে ওই তরুণ হাতাহাতি শুরু করেন। থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে থাকেন। এতে এসআই শরীফুল ইসলামের কপালে এবং এএসআই নাসির উদ্দিনের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ভেঙে যায়। এমনকি থানায় সেবা নিতে আসা হোসেন মল্লিককেও তিনি মারধর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় রাখেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পল্লবী থানায় গিয়ে দেখা গেছে, থানার ফটকের সামনে ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। গতকাল রাতের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলেন, আবদুর রাজ্জাক ফাহিম, সোহাগ ও ওয়াহাব বিন ইয়াহিয়া উত্তরা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ফাহিমের ফুফাতো ভাইয়ের বাসা পল্লবী ২২ তলা এলাকায়। ভাইকে নিয়ে তাঁদের পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই তিন তরুণ গতকাল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে পল্লবী আসেন। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন নাজমুল হাসান দিপু। ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার আগেই ফাহিম পল্লবী থানার বিপরীতে মাইক্রোবাসটি থামাতে বলে অপর দুই বন্ধুকে বলেন, থানায় তাঁর এক ভাই আছেন, একটু দেখা করে ফিরে আসবেন। তিনি দ্রুত থানায় যান। এরপর থানার ভেতরে কী হয়েছে, তা তাঁরা জানাতে পারেননি।
ফাহিমের বাবা মফিজুর রহমান। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে ফাহিম গতকাল রাতে পুরান ঢাকায় সেহরি করার কথা বলে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। গভীর রাতে পল্লবী থানা-পুলিশ তাঁকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে জানায়, ফাহিম থানায়। তিনি পুলিশের ফোন পেয়ে ভড়কে যান। তিনি পুলিশের ফোন রেখে ফাহিমের বন্ধুদের ফোন দিয়ে বলেন, ‘ফাহিম থানায় কেন? সে কী করেছে।’ তখন তাঁর বন্ধুরাও কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে পুলিশ ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বাইরে থাকা তাঁর দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে মাইক্রোবাসসহ থানায় নিয়ে আসেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ প্রথমে ভাবছিল, এই তরুণেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মী হবেন। তাঁরা সে রকমই ব্যবহার করছিলেন। তবে তাঁরা কোনো পদের পরিচয় দেননি। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাহিম উত্তরায় তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে সেলুন দিতে চান। এ জন্য তিনি পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তিনি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন।
ফাহিমের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে তিন দিন ধরে ঘুমাচ্ছেন না। তাঁর কথাবার্তা একটু অসংলগ্ন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে ডিপ্রেসড ছিলেন। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাঁর ধারণা।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পথে চেকপোস্টে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হলে তিনি থানায় নালিশ করতে এসে খারাপ আচরণ করেন। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম গতকাল থানায় বসে বলেন, ‘ফাহিম নামের ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে আমি তাঁর হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তাঁর একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরীফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাঁকে আটক করি।’
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাঁদেরও আটক করা হয়। তাঁদের বাড়ি গাজীপুর।
এ ঘটনায় ফাহিমকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার বাদী ঘটনার সময় থানার ডিউটি অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাহিম থানায় এসে পুলিশকে মারধর করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সুযোগ পেলে জুলাই আন্দোলনের মতো পুলিশকে মেরে আবার ঝুলিয়ে রাখবে, এমন হুমকি দিয়েছেন। তাঁকে মঙ্গলবার আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
অপর তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটির চালক দীপু পুলিশকে জানিয়েছে, এই গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিকার ছিল। ওই চ্যানেলে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান বলে সেটি রেখেছিলেন। গাড়িটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়ান। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিবৃত্ত করতে এলে তাঁদের সঙ্গেও তাঁর হাতাহাতি হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে ধরে হাজতখানায় নিয়ে রাখে।
ওই তরুণের নাম আবদুর রাজ্জাক ফাহিম। তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবদুর রাজ্জাক ফাহিম পল্লবী থানায় প্রবেশ করেন। সিঁড়ি ভেঙে তিনি থানার দ্বিতীয় তলায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। প্রথমে তিনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর তিনি ওসির কক্ষের দিকে এগোতে থাকেন। বাগ্বিতণ্ডা শুনে কক্ষ থেকে বের হন ওসি নজরুল ইসলাম ও এসআই শরীফুল ইসলাম।
ওসিকে দেখেই ওই তরুণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এলাকায় খুন হচ্ছে, আপনারা থানায় বসে কী করেন?’ ওসি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় খুন হয়েছে?’ তখন ওই তরুণ বলেন, ‘আপনার ডিউটি অফিসার জানে।’ তখন তাঁরা ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। ডিউটি অফিসারের কক্ষে তখন আরও দুজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা থানায় পুলিশের সেবা নিতে এসেছিলেন। তাঁরা হলেন হোসেন মল্লিক ও আমির মল্লিক। তাঁদের সামনেই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষার্থী ওসি, এসআই ও ডিউটি অফিসারকে জেরা করেন। তখন ওসি তাঁর নাম ও পরিচয় জানতে চান।
জবাবে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাম দিয়ে কী করবেন?’ তাঁর এমন উত্তরে ওসি তরুণের হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চাইলে ওই তরুণ হাতাহাতি শুরু করেন। থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে থাকেন। এতে এসআই শরীফুল ইসলামের কপালে এবং এএসআই নাসির উদ্দিনের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ভেঙে যায়। এমনকি থানায় সেবা নিতে আসা হোসেন মল্লিককেও তিনি মারধর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় রাখেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পল্লবী থানায় গিয়ে দেখা গেছে, থানার ফটকের সামনে ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। গতকাল রাতের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলেন, আবদুর রাজ্জাক ফাহিম, সোহাগ ও ওয়াহাব বিন ইয়াহিয়া উত্তরা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ফাহিমের ফুফাতো ভাইয়ের বাসা পল্লবী ২২ তলা এলাকায়। ভাইকে নিয়ে তাঁদের পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই তিন তরুণ গতকাল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে পল্লবী আসেন। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন নাজমুল হাসান দিপু। ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার আগেই ফাহিম পল্লবী থানার বিপরীতে মাইক্রোবাসটি থামাতে বলে অপর দুই বন্ধুকে বলেন, থানায় তাঁর এক ভাই আছেন, একটু দেখা করে ফিরে আসবেন। তিনি দ্রুত থানায় যান। এরপর থানার ভেতরে কী হয়েছে, তা তাঁরা জানাতে পারেননি।
ফাহিমের বাবা মফিজুর রহমান। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে ফাহিম গতকাল রাতে পুরান ঢাকায় সেহরি করার কথা বলে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। গভীর রাতে পল্লবী থানা-পুলিশ তাঁকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে জানায়, ফাহিম থানায়। তিনি পুলিশের ফোন পেয়ে ভড়কে যান। তিনি পুলিশের ফোন রেখে ফাহিমের বন্ধুদের ফোন দিয়ে বলেন, ‘ফাহিম থানায় কেন? সে কী করেছে।’ তখন তাঁর বন্ধুরাও কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে পুলিশ ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বাইরে থাকা তাঁর দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে মাইক্রোবাসসহ থানায় নিয়ে আসেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ প্রথমে ভাবছিল, এই তরুণেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মী হবেন। তাঁরা সে রকমই ব্যবহার করছিলেন। তবে তাঁরা কোনো পদের পরিচয় দেননি। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাহিম উত্তরায় তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে সেলুন দিতে চান। এ জন্য তিনি পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তিনি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন।
ফাহিমের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে তিন দিন ধরে ঘুমাচ্ছেন না। তাঁর কথাবার্তা একটু অসংলগ্ন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে ডিপ্রেসড ছিলেন। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাঁর ধারণা।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পথে চেকপোস্টে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হলে তিনি থানায় নালিশ করতে এসে খারাপ আচরণ করেন। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম গতকাল থানায় বসে বলেন, ‘ফাহিম নামের ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে আমি তাঁর হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তাঁর একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরীফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাঁকে আটক করি।’
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাঁদেরও আটক করা হয়। তাঁদের বাড়ি গাজীপুর।
এ ঘটনায় ফাহিমকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার বাদী ঘটনার সময় থানার ডিউটি অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাহিম থানায় এসে পুলিশকে মারধর করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সুযোগ পেলে জুলাই আন্দোলনের মতো পুলিশকে মেরে আবার ঝুলিয়ে রাখবে, এমন হুমকি দিয়েছেন। তাঁকে মঙ্গলবার আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
অপর তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটির চালক দীপু পুলিশকে জানিয়েছে, এই গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিকার ছিল। ওই চ্যানেলে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান বলে সেটি রেখেছিলেন। গাড়িটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়ান। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিবৃত্ত করতে এলে তাঁদের সঙ্গেও তাঁর হাতাহাতি হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে ধরে হাজতখানায় নিয়ে রাখে।
ওই তরুণের নাম আবদুর রাজ্জাক ফাহিম। তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবদুর রাজ্জাক ফাহিম পল্লবী থানায় প্রবেশ করেন। সিঁড়ি ভেঙে তিনি থানার দ্বিতীয় তলায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। প্রথমে তিনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর তিনি ওসির কক্ষের দিকে এগোতে থাকেন। বাগ্বিতণ্ডা শুনে কক্ষ থেকে বের হন ওসি নজরুল ইসলাম ও এসআই শরীফুল ইসলাম।
ওসিকে দেখেই ওই তরুণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এলাকায় খুন হচ্ছে, আপনারা থানায় বসে কী করেন?’ ওসি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় খুন হয়েছে?’ তখন ওই তরুণ বলেন, ‘আপনার ডিউটি অফিসার জানে।’ তখন তাঁরা ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। ডিউটি অফিসারের কক্ষে তখন আরও দুজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা থানায় পুলিশের সেবা নিতে এসেছিলেন। তাঁরা হলেন হোসেন মল্লিক ও আমির মল্লিক। তাঁদের সামনেই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষার্থী ওসি, এসআই ও ডিউটি অফিসারকে জেরা করেন। তখন ওসি তাঁর নাম ও পরিচয় জানতে চান।
জবাবে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাম দিয়ে কী করবেন?’ তাঁর এমন উত্তরে ওসি তরুণের হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চাইলে ওই তরুণ হাতাহাতি শুরু করেন। থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে থাকেন। এতে এসআই শরীফুল ইসলামের কপালে এবং এএসআই নাসির উদ্দিনের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ভেঙে যায়। এমনকি থানায় সেবা নিতে আসা হোসেন মল্লিককেও তিনি মারধর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় রাখেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পল্লবী থানায় গিয়ে দেখা গেছে, থানার ফটকের সামনে ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। গতকাল রাতের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলেন, আবদুর রাজ্জাক ফাহিম, সোহাগ ও ওয়াহাব বিন ইয়াহিয়া উত্তরা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ফাহিমের ফুফাতো ভাইয়ের বাসা পল্লবী ২২ তলা এলাকায়। ভাইকে নিয়ে তাঁদের পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই তিন তরুণ গতকাল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে পল্লবী আসেন। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন নাজমুল হাসান দিপু। ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার আগেই ফাহিম পল্লবী থানার বিপরীতে মাইক্রোবাসটি থামাতে বলে অপর দুই বন্ধুকে বলেন, থানায় তাঁর এক ভাই আছেন, একটু দেখা করে ফিরে আসবেন। তিনি দ্রুত থানায় যান। এরপর থানার ভেতরে কী হয়েছে, তা তাঁরা জানাতে পারেননি।
ফাহিমের বাবা মফিজুর রহমান। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে ফাহিম গতকাল রাতে পুরান ঢাকায় সেহরি করার কথা বলে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। গভীর রাতে পল্লবী থানা-পুলিশ তাঁকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে জানায়, ফাহিম থানায়। তিনি পুলিশের ফোন পেয়ে ভড়কে যান। তিনি পুলিশের ফোন রেখে ফাহিমের বন্ধুদের ফোন দিয়ে বলেন, ‘ফাহিম থানায় কেন? সে কী করেছে।’ তখন তাঁর বন্ধুরাও কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে পুলিশ ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বাইরে থাকা তাঁর দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে মাইক্রোবাসসহ থানায় নিয়ে আসেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ প্রথমে ভাবছিল, এই তরুণেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মী হবেন। তাঁরা সে রকমই ব্যবহার করছিলেন। তবে তাঁরা কোনো পদের পরিচয় দেননি। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাহিম উত্তরায় তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে সেলুন দিতে চান। এ জন্য তিনি পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তিনি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন।
ফাহিমের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে তিন দিন ধরে ঘুমাচ্ছেন না। তাঁর কথাবার্তা একটু অসংলগ্ন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে ডিপ্রেসড ছিলেন। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাঁর ধারণা।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পথে চেকপোস্টে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হলে তিনি থানায় নালিশ করতে এসে খারাপ আচরণ করেন। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম গতকাল থানায় বসে বলেন, ‘ফাহিম নামের ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে আমি তাঁর হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তাঁর একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরীফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাঁকে আটক করি।’
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাঁদেরও আটক করা হয়। তাঁদের বাড়ি গাজীপুর।
এ ঘটনায় ফাহিমকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার বাদী ঘটনার সময় থানার ডিউটি অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাহিম থানায় এসে পুলিশকে মারধর করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সুযোগ পেলে জুলাই আন্দোলনের মতো পুলিশকে মেরে আবার ঝুলিয়ে রাখবে, এমন হুমকি দিয়েছেন। তাঁকে মঙ্গলবার আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
অপর তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটির চালক দীপু পুলিশকে জানিয়েছে, এই গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিকার ছিল। ওই চ্যানেলে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান বলে সেটি রেখেছিলেন। গাড়িটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়ান। অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিবৃত্ত করতে এলে তাঁদের সঙ্গেও তাঁর হাতাহাতি হয়। এরপর পুলিশ তাঁকে ধরে হাজতখানায় নিয়ে রাখে।
ওই তরুণের নাম আবদুর রাজ্জাক ফাহিম। তিনি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবদুর রাজ্জাক ফাহিম পল্লবী থানায় প্রবেশ করেন। সিঁড়ি ভেঙে তিনি থানার দ্বিতীয় তলায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। প্রথমে তিনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর তিনি ওসির কক্ষের দিকে এগোতে থাকেন। বাগ্বিতণ্ডা শুনে কক্ষ থেকে বের হন ওসি নজরুল ইসলাম ও এসআই শরীফুল ইসলাম।
ওসিকে দেখেই ওই তরুণ প্রশ্ন করেন, ‘আপনার এলাকায় খুন হচ্ছে, আপনারা থানায় বসে কী করেন?’ ওসি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় খুন হয়েছে?’ তখন ওই তরুণ বলেন, ‘আপনার ডিউটি অফিসার জানে।’ তখন তাঁরা ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। ডিউটি অফিসারের কক্ষে তখন আরও দুজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁরা থানায় পুলিশের সেবা নিতে এসেছিলেন। তাঁরা হলেন হোসেন মল্লিক ও আমির মল্লিক। তাঁদের সামনেই ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ওই শিক্ষার্থী ওসি, এসআই ও ডিউটি অফিসারকে জেরা করেন। তখন ওসি তাঁর নাম ও পরিচয় জানতে চান।
জবাবে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘নাম দিয়ে কী করবেন?’ তাঁর এমন উত্তরে ওসি তরুণের হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চাইলে ওই তরুণ হাতাহাতি শুরু করেন। থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে বিভিন্ন অশালীন মন্তব্য করেন। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে থাকেন। এতে এসআই শরীফুল ইসলামের কপালে এবং এএসআই নাসির উদ্দিনের ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুল ভেঙে যায়। এমনকি থানায় সেবা নিতে আসা হোসেন মল্লিককেও তিনি মারধর করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপর পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় রাখেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পল্লবী থানায় গিয়ে দেখা গেছে, থানার ফটকের সামনে ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। গতকাল রাতের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ বলেন, আবদুর রাজ্জাক ফাহিম, সোহাগ ও ওয়াহাব বিন ইয়াহিয়া উত্তরা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ফাহিমের ফুফাতো ভাইয়ের বাসা পল্লবী ২২ তলা এলাকায়। ভাইকে নিয়ে তাঁদের পুরান ঢাকায় বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই তিন তরুণ গতকাল গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে পল্লবী আসেন। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলেন নাজমুল হাসান দিপু। ফুফাতো ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার আগেই ফাহিম পল্লবী থানার বিপরীতে মাইক্রোবাসটি থামাতে বলে অপর দুই বন্ধুকে বলেন, থানায় তাঁর এক ভাই আছেন, একটু দেখা করে ফিরে আসবেন। তিনি দ্রুত থানায় যান। এরপর থানার ভেতরে কী হয়েছে, তা তাঁরা জানাতে পারেননি।
ফাহিমের বাবা মফিজুর রহমান। তিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে ফাহিম গতকাল রাতে পুরান ঢাকায় সেহরি করার কথা বলে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। গভীর রাতে পল্লবী থানা-পুলিশ তাঁকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে জানায়, ফাহিম থানায়। তিনি পুলিশের ফোন পেয়ে ভড়কে যান। তিনি পুলিশের ফোন রেখে ফাহিমের বন্ধুদের ফোন দিয়ে বলেন, ‘ফাহিম থানায় কেন? সে কী করেছে।’ তখন তাঁর বন্ধুরাও কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে পুলিশ ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বাইরে থাকা তাঁর দুই বন্ধু ও গাড়িচালককে মাইক্রোবাসসহ থানায় নিয়ে আসেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশ প্রথমে ভাবছিল, এই তরুণেরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতা-কর্মী হবেন। তাঁরা সে রকমই ব্যবহার করছিলেন। তবে তাঁরা কোনো পদের পরিচয় দেননি। কিন্তু তাঁরা আন্দোলনে ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফাহিম উত্তরায় তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে সেলুন দিতে চান। এ জন্য তিনি পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁর কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তিনি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন।
ফাহিমের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে তিন দিন ধরে ঘুমাচ্ছেন না। তাঁর কথাবার্তা একটু অসংলগ্ন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে ডিপ্রেসড ছিলেন। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তাঁর ধারণা।
তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পথে চেকপোস্টে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হলে তিনি থানায় নালিশ করতে এসে খারাপ আচরণ করেন। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম গতকাল থানায় বসে বলেন, ‘ফাহিম নামের ওই যুবক থানায় এসে দাবি করেন, এলাকায় একটি খুন হয়েছে। এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে আমি তাঁর হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি হঠাৎ আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। তখন এএসআই নাসির তা ঠেকাতে এলে ওই যুবক মেরে তাঁর একটি আঙুল ভেঙে দেন। এ ছাড়া এসআই শরীফুলের কপালে ঘুষি মারেন। পরে আমরা তাঁকে আটক করি।’
ওসি জানান, আটকের পর ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছেন। পরে তাঁদেরও আটক করা হয়। তাঁদের বাড়ি গাজীপুর।
এ ঘটনায় ফাহিমকে আসামি করে একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলার বাদী ঘটনার সময় থানার ডিউটি অফিসার আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলায় অভিযোগ করেছেন, ফাহিম থানায় এসে পুলিশকে মারধর করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। সুযোগ পেলে জুলাই আন্দোলনের মতো পুলিশকে মেরে আবার ঝুলিয়ে রাখবে, এমন হুমকি দিয়েছেন। তাঁকে মঙ্গলবার আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
অপর তিনজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসটির চালক দীপু পুলিশকে জানিয়েছে, এই গাড়ির ড্যাশ বোর্ডে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্টিকার ছিল। ওই চ্যানেলে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান বলে সেটি রেখেছিলেন। গাড়িটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়
১১ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়
১১ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়
১১ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি, চুরি, ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটছেই। পুলিশ থানায় বসে কী করছে? গতকাল সোমবার গভীর রাতে এক তরুণ এভাবেই পল্লবী থানায় গিয়ে ওসিকে জেরা করেন। এমন জেরার মুখে ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে ওসি ওই তরুণকে হাত ধরে টেনে তাঁর কক্ষের দিকে নিতে চান। এমন সময় ওসির সঙ্গে তিনি হাতাহাতিতে জড়
১১ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১১ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১৪ মিনিট আগে