Ajker Patrika

কক্সবাজার থেকে রাজধানী অভিমুখে প্রথম ট্রেন, যাত্রীরা পেলেন ফুল-চকলেট

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০: ০৪
কক্সবাজার থেকে রাজধানী অভিমুখে প্রথম ট্রেন, যাত্রীরা পেলেন ফুল-চকলেট

সাগরপারের শহর কক্সবাজার থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ল রাজধানী ঢাকা অভিমুখে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। 

কক্সবাজার থেকে প্রথম বাণিজ্যিক বিরতিহীন ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কথা রয়েছে। এই যাত্রাপথে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ২০ মিনিট বিরতি দেওয়ার কথা।

সকাল ১০টা থেকে ট্রেনটি ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। যাত্রীরা আগেভাগেই স্টেশনে এসে ভিড় জমান। কক্সবাজার শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি কলেজের বিপরীতে চান্দের পাড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে নান্দনিক কারুকাজে তৈরি এই স্টেশনে যাত্রীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। দুপুর ১২টায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন। 

সময়ের আগে স্টেশনে এসে ঘুরে ঘুরে দেখেন কৌতূহলী যাত্রীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাযাত্রীরা স্টেশনে ঢুকতেই নেমে পড়েন ঝিনুক ফোয়ারার সামনে। কেউ সেলফি তোলেন, কেউ ভিডিও ধারণ করেন। অনেকে স্টেশনের এদিক-ওদিক ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ করেন। প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই যাত্রীদের চকলেট দিয়ে বরণ করেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। ট্রেনের ভেতরেই যাত্রীদের রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। 

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজারে কর্মরত ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজিদ স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় যাবেন। কক্সবাজার থেকে প্রথম ট্রেনের যাত্রী হিসেবে তিনি গর্ববোধ করছেন। ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা-দাদারা যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা আমাদের সময়ে এসে পূরণ হয়েছে।’ 

ঢাকা থেকে আসা কলেজশিক্ষক নাজমা আক্তার বলেন, ‘ট্রেন ভ্রমণ খুবই পছন্দের। কক্সবাজার থেকে ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছি—এই অনুভূতি অন্য রকম। এখন থেকে মন ছুটলেই সমুদ্রসৈকতে আসা যাবে।’ 

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রেল যোগাযোগের কারণে পর্যটন শহর কক্সবাজারের আমূল পরিবর্তন আসবে। পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন।’ 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপদে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করবে। টহল টিমের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, জরুরি সেবা ও হটলাইন।’ 

রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলো। ২০টি বগিতে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে আন্তনগর এই ট্রেন কক্সবাজার থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার চলাচল করবে। চাহিদা বাড়লে বগিও বাড়ানো হবে।’ 

সময়ের আগেই স্টেশনে এসে ঘুরে ঘুরে দেখেন কৌতূহলীয় যাত্রীরা। ছবি: আজকের পত্রিকাযাত্রীদের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কক্সবাজার এক্সপ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেল পরিচালক আবদুর রহিম। তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া এ ট্রেন চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটির চালক আবদুল আওয়াল রানা। 

এদিকে কক্সবাজার রুটে প্রথম দিনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল কমলাপুর থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। 

‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা। স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অন্যদিকে যেসব যাত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবেন, তাঁদের শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬, এসি সিট ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ৬৯৬ টাকা।

এর আগে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চলের) এসিওপিএস মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ট্রেনের নাম, যাত্রীর ধারণক্ষমতা ও ট্রেনের নম্বর জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ট্রেনটি ঢাকা থেকে সোমবার এবং কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাঠে পড়ে ছিল মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।

নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।

ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চবি প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।

দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত