Ajker Patrika

ঝড় দেখতে কক্সবাজারে পর্যটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১০: ৪১
ঝড় দেখতে কক্সবাজারে পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছেন। রাতেও তারা সৈকতে নেমেছেন। দিনের বেলায়ও উত্তাল সমুদ্রে সৈকতে পর্যটকেরা নামার চেষ্টা করেছেন। সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের কর্মীরা হিমশিম খেয়েছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পর্যটক সমাগম ছিল। সবাইকে সৈকতের তীর থেকে নিরাপদে থাকতে মাইকিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সকাল থেকে পর্যটকদের সামাল দিতে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ডের কর্মীরা হিমশিম খেয়েছেনএদিকে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও টেকনাফ উপজেলার উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মহেশখালীর ধলঘাটা এলাকায় ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে  ৯টি নিয়ন্ত্রণকক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৪টি মেডিকেল টিম। এ ছাড়া ৩২৩ মেট্রিক টন চাল, ৮ লাখ ২৫ হাজার নগদ টাকা ও ১ হাজার ১৯৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫০ কার্টন ড্রাই কেক, ৪০০ কার্টন বিস্কুট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জন পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও সিপিপি সদস্য। 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেখতে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে ভিড় করেছেনকক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিদ সাইফ আহমেদ বলেন, উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকেছে। কোথাও কোথাও জোয়ারের পানি চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় উপকূলে আঁচড়ে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এবং মহাখালী এলাকায় বাবা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

সাতরাস্তায় ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার যাত্রী বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম (৪০) এবং মেয়ে তানজিলার (১২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ছেলে নুর ইসলাম (১৪)। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ ভোর ৫টার দিকে চারজনকে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে বাবা-মেয়ে ও অজ্ঞাত যুবককে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত নুর ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

মৃত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুর রাকিব বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জটিয়াবো গ্রামে। বর্তমানে তাঁরা মগবাজার ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় থাকতেন। আহত নুর ইসলাম ও নিহত তানজিলা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। তাঁদের বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রফিকুল ইসলাম ওই এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন।

আব্দুর রাকিব আরও জানান, রাতে তাঁর চাচা রফিকুল ইসলাম দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। মগবাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। জানতে পারি, সাতরাস্তা এলাকায় আসলে একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। রিকশা থেকে ছিটকে পরে তিনজন আহত হয়। পরে পথচারীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ জানান, বুধবার ভোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় বাবা-মেয়ে মারা গেছে। অন্যদিকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবক মারা গেছে।

এসআই আরও জানান, সাতরাস্তা এলাকায় বাবা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। তখন একটি ট্রাক রিকশাটিকে চাপা দেয়। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাবা ও মেয়ে মারা যায়। আহত ছেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। ট্রাকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এসআই আব্দুল হামিদ আরও জানান, মহাখালী এলাকায় মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। যানবাহন শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, চালক নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় আরেকটি ট্রাক।

বগুড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে আরেক ট্রাকের চালক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বগুড়া শহরতলির তেলিপুকুর এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ট্রাকচালকের নাম সেলিম হোসেন (৪০)। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে আরেকটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং চালক সেলিম গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হলেও ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জের সেই মাদ্রাসার পাশে ফের বিস্ফোরণ, আহত ১

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পাশের জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদ্রাসাটিতে আগেরবার ঘটা বিস্ফোরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এতে রাজু (৩০) নামের এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পাশের বাড়িটি পরিষ্কার করতে গেলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত শ্রমিককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে এ বিস্ফোরণ হয়।   

উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসাটির একতলা ভবনের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের দুটি কক্ষ ভেঙে যায়, ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাশের একটি বিল্ডিং, গ্যারেজের ও ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন, তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তাঁদের দুই ছেলে এবং পাশের একটি সিএনজি গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫) আহত হন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মাদ্রাসার পরিচালক আল আমিন পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনারগাঁয়ে লরি বিকল: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
যানজটে স্থবির ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আজ দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি মালবাহী লরি বিকল হয়ে পড়ায় যান চলাচল ধীরগতির হয়। এর জেরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যানজট অব্যাহত আছে।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট দেখা গেছে। মেঘনা ঘাট থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। কোথাও কোথাও যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রোগী ও শিশুদের নিয়ে চলাচলকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

চাঁদপুরগামী যাত্রী শামশুল আলম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে এখন পর্যন্ত মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যেখানে দুই ঘণ্টায় পৌঁছানোর কথা, সেখানে পাঁচ ঘণ্টাতেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না।’

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, ‘গত রাতে মদনপুর এলাকায় একটি বড় লরি বিকল হয়ে পড়েছিল। কিছুক্ষণ আগে সেটি মহাসড়ক থেকে সরানো হয়েছে। লরি বিকলের কারণেই যানবাহন চলাচল ধীর হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে যানজট ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত