Ajker Patrika

দুই কারণে ৩ জাতের আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

মো. রিপন হোসেন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) 
জীবননগরে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ছবি: আজকের পত্রিকা
জীবননগরে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর, দামুড়হুদা, ঝিনাইদহের মহেশপুরসহ আশপাশের এলাকার চাষিরা আগে বিভিন্ন কোম্পানির ও নিজ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত বীজের মাধ্যমে আলু চাষ করতেন। আলুর জাতও ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। একদিকে চাষিরা সঠিক প্রক্রিয়ায় আলুর বীজ সংরক্ষণ করতে না পারায় লোকসানে পড়তেন, অন্যদিকে নামমাত্র অনেক কোম্পানি দ্বারা প্রতারিত হতো।

তবে ২০১৭ সালে বিএডিসির অধীনে জীবননগরের দত্তনগর হিমাগার নির্মিত হওয়ায় আলুচাষিদের দুশ্চিন্তা কমেছে। এ বছর এই হিমাগার থেকে ১০ জাতের ১ হাজার ৮৬৫ মেট্রিক টন বীজ আলু সরবরাহ করা হয়েছে। আর চুক্তিবদ্ধ চাষি হিসেবে এ বছর ৩০৪ জনের মতো কৃষক দত্তনগর হিমাগারের অধীনে ১৪৪ একর জমিতে বীজ আলুর চাষ করেছেন। অধিক ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় এবার কৃষকদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে সানশাইন, শান্তানা ও লেবেলা জাতের আলু।

দত্তনগর হিমাগার সূত্রে জানা গেছে, তাদের অধীনে চুক্তিবদ্ধ কৃষকেরা সানশাইন ১৯ একর, লেবেলা ৩ একর, শান্তানা ৫ একর, ডায়মন্ড ১০ একর, এসটেরিক্স ৬০ একর, কার্ডিনাল ৪৮ একর জমিতে চাষ করেছেন। ১০১ মেট্রিক টন বীজ আলু চুক্তিবদ্ধ কৃষকসহ এ হিমাগার থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। এ বছর দত্তনগর হিমাগারে বীজ আলুর সংরক্ষণ লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।

আলুর মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দত্তনগর হিমাগারের তত্ত্বাবধানে রোপণ করা বীজ আলুগাছের বয়স ৪০-৫০ দিনের মতো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও বীজ ভালো হওয়ায় এবার আলুর গাছও ভালো হয়েছে। আর এক থেকে দেড় মাস আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ভালোভাবে বীজ আলু উৎপাদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের হুজুর আলী বলেন, ‘গত বছর বিএডিসি থেকে সানশাইন জাতের আলুর বীজ নিয়ে আমাদের ব্লকে এক একর জমিতে চাষ করা হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় এবার চার একর জমিতে সানশাইন জাতের আলুর চাষ করা হয়েছে। বীজ ভালো হওয়ায় চারা অনেক ভালো হয়েছে। আশা করছি, ভালো ফলন হবে।’

মিনাজপুর মাঠপাড়ার আলু চাষি সোহেল রানা বলেন, ‘এবার আমাদের ব্লকে ছয় একর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আমি নিজে লেবেলা আড়াই বিঘা ও সানশাইন দেড় বিঘা চাষ করেছি। সানশাইন আলুর বীজ কাটার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ এই আলুর বীজে একদিকে চোখ থাকে। অন্য আলুর মতো কাটলে অর্ধেক আলু থেকে চারা বের হবে না।’

জীবননগরে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ছবি: আজকের পত্রিকা
জীবননগরে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ছবি: আজকের পত্রিকা

মো. আবু বক্কর বলেন বলেন, ‘বিএডিসির বীজের মান ভালো হওয়ায় আমরা প্রতি বছর সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করি। তাঁরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করেন। চারা লাগানো থেকে শুরু করে আলু তোলা পর্যন্ত বিএডিসির স্যারেরা পরামর্শ দেন। আলু তোলার পর তাঁদের নির্দেশনা মতো আলু বাছাই করলে তাঁরা গাড়িতে করে হিমাগারে নিয়ে যান। আমাদের কোনো ঝামেলা থাকে না। আর বাকি আলু আমরা বাইরে বিক্রি করি। কিছু সংরক্ষণ করি।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গত বছর এসটেরিক্স জাতের আলুর চাষ করেছিলাম। তবে অধিক ফলন হওয়ায় এবার চার বিঘা জমিতে সানশাইন জাতের আলু লাগিয়েছি। এবার বীজ ভালো হওয়ায় গাছ অনেক ভালো হয়েছে। এটা হাইব্রিড এবং অধিক ফলনশীল জাত হওয়ায় বীজ কাটা থেকে শুরু করে রোপণ, সেচ ও পরিচর্যার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।’

মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা মূলত বীজ আলু উৎপাদন করি। আলু বীজ বিএডিসি থেকে দেয়। কারও চাষের খরচ না থাকলে তারা কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করে দেন।’

দত্তনগর হিমাগারের উপপরিচালক কৃষিবিদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ কৃষকের উৎপাদিত আলু গ্রেডিং করার পর সরকারনির্ধারিত দামে কিনে আমরা হিমাগারে সংরক্ষণ করি। রোপণের সময় আমরা সরকারনির্ধারিত দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করি। আর আলু রোপণ থেকে শুরু করে তোলা পর্যন্ত আমরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করি। কৃষকের পরামর্শ দিই। সহজ শর্তে আমাদের চুক্তিবদ্ধ চাষিদের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থাও আমরা করে দিই।’

কৃষিবিদ ফরিদুল ইসলাম আরও বলেন, সানশাইন, শান্তানা ও লেবেলা জাতের আলু খুবই উচ্চফলনশীল। এগুলো খেতে সুস্বাদু, রপ্তানি উপযোগী এবং শিল্পে ব্যবহার করা হয়। শান্তানাটা ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরির জন্য আমাদের আলু আমদানি করতে হয়। শান্তানা জাতের আলু উৎপাদন বাড়াতে পারলে এবং পরিচিতি বাড়লে আমাদের আর আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিবিদ ফরিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদেশে, বিশেষ করে ইউরোপের মানুষ সানশাইন আলু পছন্দ করে। বিএডিসির মাধ্যমে বিগত তিন বছর ধরে মালয়েশিয়া ও রাশিয়ায় এই আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে লাল আলুর চাহিদা প্রচুর। লাল আলুর পুরোনো জাত কার্ডিনাল। সেটার পরিবর্তে আমরা লেবেলা জাতের আলুর পরিচিত করানোর চেষ্টা করছি। এই অঞ্চলে ইতিমধ্যে লেবেলা জাতের আলুর চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকেরা এই জাত নিয়ে উচ্চ আশা প্রকাশ করছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী দুজন ফের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফ দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী দুই ব্যক্তিকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। দুই ব্যক্তি হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।

আজ বিকেলে সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ পুনরায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর দুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ।

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে। সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান হাদি।

১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বৃদ্ধ নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি 
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবু বক্কর (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া এলাকার ঝিনাইগাতী-গজনী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু বক্কর রাংটিয়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন তিনি। আহত ব্যক্তিরা হচ্ছে সিফাত (২০), কবিতা খাতুন (১৫) ও সিনহা খাতুন (১০)। তারা মোটরসাইকেল দুটির আরোহী ছিল। আহত ব্যক্তিদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে দুই দিক থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বক্করকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই অন্য মোটরসাইকেলের চালক সিজন (২১) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে নদীর তীরে মিলল যুবকের মরদেহ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বাঁকখালী নদীর তীর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম মিনহাজ উদ্দিন তুষার (৩৫)। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছৈয়দ নুরের ছেলে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন নদীর তীরের সবজিখেতে কাজ করতে এলে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ নিহতের পকেটে থাকা মোবাইল সিমের সূত্র ধরে যুবকের পরিচয় শনাক্ত করে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। থানা-পুলিশ ও পিবিআইয়ের একটির টিম ইতিমধ্যে রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খান্দারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন লেগেছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে নাকি শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, কে বা কারা সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন দেয়। এতে ঘরের আসবাবসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। স্থানীয়রা আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খান্দারপাড় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান) মো. ইমারত শেখ বলেন, তিনি সাব্বির খানের বাড়িতে আগুন লাগার খবর শুনেছেন। তবে আগুন লাগার সময় ও কারণ সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, খবর পেয়ে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গিয়ে দেখা যায়, দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে আগুন জ্বলছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এর আগেই সোফা, খাট, এসিসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শর্টসার্কিট নাকি অগ্নিসংযোগ—এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাব্বির খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এলাকায় নেই। মোবাইল ফোনে সাব্বির খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত