Ajker Patrika

উৎপাদন বন্ধ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী

রহিম বাদশা, চাঁদপুর 
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১২: ১৫
উৎপাদন বন্ধ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী

হাঁসফাঁস গরমে বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যুতের সংকট এতটা প্রকট হয়নি চাঁদপুরে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাহিদার ৬০-৭০ শতাংশ সরবরাহ পেলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাচ্ছে অর্ধেকের মতো। গত তিন দিন ধরে বিদ্যুতের এই ঘনঘন আসা-যাওয়া লক্ষ করা গেলেও শিগগির এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

গত কয়েক দিন ধরে চাঁদপুর শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। তবে গত রোববার থেকে চাঁদপুর শহরে অস্বাভাবিক হারে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং পালাক্রমে হচ্ছে। একেক দফায় আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ।

আজ মঙ্গলবারও এই ধারা অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি গরম বাড়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শহরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিস, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না লোকজন।

জেলার অন্যান্য উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে টানা কয়েক ঘণ্টা করে থাকছে না বিদ্যুৎ। গত শনিবার বিকেল থেকে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। চাহিদার অনুপাতে অর্ধেকেরও কম বরাদ্দ পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সমিতির কর্তাব্যক্তিরা।

চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পালাক্রমে লোডশেডিং করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা পরপর। বিশেষ করে রাতের বেলায়ও একাধিকবার দীর্ঘ সময়ের জন্য লোডশেডিং করা হচ্ছে গত তিন দিন ধরে। এতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। লোডশেডিংয়ের সময় গরমে ঘুমাতেও পারছি না। ভ্যাপসা গরমে ঘরেও টেকা যায় না।

শহরের হাজী মুহসীন রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক টেকনিশিয়ান জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এক্স-রেসহ অন্যান্য প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বন্ধ থাকছে। এতে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শাহরাস্তি পৌর এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, গত তিন দিন ধরে এক ঘণ্টা পরপর পালাক্রমে দিনে-রাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। কখনো কখনো এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার পর দেড়-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে টানা দুই-তিন ঘণ্টা করেও লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, শহরে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা দিনের বেলা ১৮ মেগাওয়াট ও রাতে ২২ মেগাওয়াট। আমরা চাহিদামতো বিদ্যুৎ পেয়ে আসছিলাম। তবে গত তিন দিন ধরে চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। রোববার দিনে ১১ মেগাওয়াট ও রাতে ১৪ মেগাওয়াট পেয়েছি। সোমবার দিনে পেয়েছি ১২ মেগাওয়াট আর রাতে ১৪ মেগাওয়াট। এ কারণে বাধ্য হয়ে পালাক্রমে বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, মূলত গ্যাস ও জ্বালানির সংকটের কারণে সারা দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গেছে। চাঁদপুর শহরে অবস্থিত ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও প্রায় পক্ষকালব্যাপী বন্ধ রয়েছে গ্যাসের সংকটের কারণে। তবে ডাকাতিয়ার অপর প্রান্তে ইচলী এলাকার ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’ নামের প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্রে অল্প পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করতে না পারলেও ঈদের আগে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের জোগান বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলায় দুটি সমিতির মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই সমিতি মিলে প্রতিদিন ১২৫ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। এ কারণে আগের চেয়ে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার দেব কুমার জানান, বর্তমান সময়ে তাঁর সমিতির আওতায় পিক আওয়ারে ৮০ মেগাওয়াট ও অফ পিক আওয়ারে ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেই অনুপাতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম। গতকাল সোমবার জাতীয় গ্রিড থেকে পিক আওয়ারে ৪৫ ও অফ পিকে ৩০-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। সরবরাহ ব্যাপক হারে না বাড়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড পুড়িয়ে দিল বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) সীতাকুণ্ড
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো সরঞ্জাম আজ দুপুরে পুড়িয়ে দেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর (দুপুরে) কুমিরা ফেরিঘাটসংলগ্ন সাগর উপকূলে বালু উত্তোলনে বসানো এসব সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন তাঁরা।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। ফলে উপকূল সুরক্ষায় নির্মিত বেড়িবাঁধ ও চাষাবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী একত্র হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত খননযন্ত্রসহ সব সরঞ্জাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তবে এ সময় বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাগর থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ দিয়ে বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙছে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ। ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয় জেলে সন্তোষ কুমার জলদাস বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে সাগরের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে মাছ ধরার নৌকা রাখার জায়গাগুলো বিলীন হচ্ছে।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, খননযন্ত্র ও বালুবহনকারী জাহাজ পুড়িয়ে দেওয়ার খবর জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বালু উত্তোলনে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত বুধবার উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায় একটি শিপইয়ার্ডে অবৈধভাবে সাগর থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধাওয়া দেয় এলাকাবাসী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না: শিল্প উপদেষ্টা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় বন্ধ করে দেওয়া কলকারখানাগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দরকার। শুধু সরকারি খাতের ভর্তুকি দিয়ে কারখানা চলতে পারে না। এ জন্য বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চলছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কেইন ক্যারিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। উদ্বোধন উপলক্ষে মিলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর।

শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের যে অবস্থা করে গেছে, তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে অনেকটা সময় লেগেছে। নতুন করে শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য বিডা ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। হয়তো আমরা থাকব না, কিন্তু আমাদের কাজের ফলাফলে আপনারা নিশ্চয়ই খুশি হবেন।’

আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, ‘চিনিকলটির আধুনিকায়ন এবং আখমাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের বিএমআরআই প্রকল্পটি (আধুনিকায়ন) অচিরেই কার্যক্রম শুরু করবে। আমি আশা করেছিলাম, আজই বিএমআরআই চালু হবে। পরে জানলাম, কিছু কাজ বাকি আছে। তবে কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে, অচিরেই এটি কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। খুব দ্রুত আমরা প্রকল্পটি চালু করব।’

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৫-২৬ আখমাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আখচাষি, কৃষক ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে বাস্তবসম্মত পাঁচ বছরের রোডম্যাপ হাতে নিয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রশিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল হক। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

২০২৫-২৬ মৌসুমে মাড়াই দিবস ধরা হয়েছে ৬৯ দিন। এই মৌসুমে ৭৬ হাজার টন আখ মাড়াই করার মাধ্যমে ৪ হাজার ২৫৬ টন চিনি উৎপাদন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫.০৬ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেশবপুরে অস্ত্র-মাদকসহ স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদলের চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি 
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
কেশবপুরে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের কেশবপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল, গুলি, রামদা, চাকু, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ভোগতী ও আলতাপোল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে পৌরসভার ভোগতী এলাকার আলমগীর হোসেনের (৪০) কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ভোগতী এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ (৩৫) ও মূলগ্রামের রাসেলের (২৩) কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা, একটি রামদা, একটি চাকু, একটি চায়নিজ কুড়াল, একটি বার্মিজ চাকু, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও একটি চাপাতি এবং আলতাপোল এলাকার উজ্জ্বল বিশ্বাসের (৩৯) কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাঁসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আলমগীর হোসেন ও উজ্জ্বল বিশ্বাস পৌর যুবদল থেকে বহিষ্কৃত।

কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ওই চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দুটি মামলা হয়। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অভ্যন্তরীণ কোন্দল: যুবদল নেতাকে অপর যুবদল নেতার ছুরিকাঘাত

বগুড়া প্রতিনিধি
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরতলির সাবগ্রাম হাট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত জিয়াউর রহমান বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, জিয়াউর রহমান বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত যুবদল নেতা সজীব সাবগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সাবগ্রাম হাট এলাকায় কথা-কাটাকাটির জেরে সজীব আমাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।’

স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে সাবগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার জেরে সজীবের সঙ্গে জিয়াউরের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গতকাল রাতে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বগুড়া সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জিয়াউরকে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাহত করেছে বলে শুনেছি।’ ঘটনার পর থেকে যুবদল নেতা সজীব মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দলীয় কোন্দলের জের ধরে জিয়াউরকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিয়াউর রহমানের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত