জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’
জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ। একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে স্থায়ী বন্দোবস্তের চেষ্টাও করা হয়। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ আদালত ইজারা বাতিলের রায় দেন।
কিন্তু বেদখল হওয়া সেই জমি রায়ের আট বছর আগেই ফের বেদখল হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের এক বছর আগেই জাল দলিলে তা বিক্রি হয় সালমান এফ রহমানের ছেলের কাছে।
অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ প্রভাব খাটিয়ে উপকূলীয় বন বিভাগের ২০০ একর জমি ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর দখল করেন। প্রায় ২ কোটি টাকার বাইন ও কেওড়াগাছ কেটে ফের শুরু হয় চিংড়িঘের ও লবণ চাষ। এর আগে জমিটি ছিল ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দখলে। মাঝে অবশ্য উপকূলীয় বন বিভাগ কিছুদিনের জন্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছিল। সে সময় ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজায় সাগরতীরের ওই জমিতে ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিভিন্ন ধাপে ম্যানগ্রোভ বাগান তৈরি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, হারুনুর রশীদ জমিটি দখল করার পর ২০০৯ সালেই বাঁশখালী থানায় মামলা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চিংড়ি ও লবণ চাষ চলতে থাকে। এর জেরে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগ বাঁশখালী থানায় আবার মামলা করে।
২০১৬ সালের ১১ নভেম্বরে জাল বিএস খতিয়ান তৈরি করে ৯৯ একর জমি বিক্রি করে দেন ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহমদের ছেলেরা। ওই দলিলে ৯ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ক্রেতার নাম রয়েছে এস্কর্প হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, বাবার নাম সালমান এফ রহমান। বিক্রেতা হিসেবে নাম রয়েছে ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশনের হাফেজা বেগমের। এ-সংক্রান্ত জমির দলির আজকের পত্রিকার হাতে রয়েছে।
এভাবে জাল দলিলে উপকূলীয় বন বিভাগের জমি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি পরে আদালতে ধরা পড়ে। আইনি লড়াইয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন ওই জমি ফিরে পেলেও এখনো দখলমুক্ত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন বিভাগের ওই জায়গায় আমাদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় আছে। লোক নিয়ে মারামারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। উচ্ছেদ অভিযান আমাদের কাজ নয়। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য আমরা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির জবাব আমরা এখনো পাইনি।’
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উপকূলীয় বন বিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের খুদুকখালী মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত ৯০ একর জমি নারকেলবাগান করার শর্তে ১৯৬৬ সালে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা নেয় ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
শীষ মোহাম্মদ ও বশির আহমদকে এই ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু নারকেলবাগান না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ওই জমি লবণ চাষ, চিংড়িঘের এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। ইজারার শর্ত ভঙ্গ করায় জেলা প্রশাসন ১৯৬৭ সালে ইজারা বাতিল করে। এর বিরুদ্ধে ইজারাগ্রহীতারা ভূমি আপিল বোর্ডে যান। বোর্ড নারকেলবাগান করার নির্দেশ দিয়ে ইজারা বহাল রাখেন। এরপর ইজারা দেওয়া ও বাতিল নিয়ে বিভিন্ন সময় আইনি লড়াই চলতে থাকে। এর মধ্যেই ফ্রেন্ডস ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে জমির স্থায়ী বন্দোবস্তের খতিয়ান তৈরি করে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ১৯৮৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
ভূমি মন্ত্রণালয় পরের বছর বিভাগীয় কমিশনারকে এক চিঠিতে জমির ইজারা বাতিল এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন বিভাগে অভিযোগ করার নির্দেশনা দেয়। আইনি লড়াইয়ের নানা ধাপ পেরিয়ে ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ইজারা চুক্তি বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন।
উপকূলীয় বন বিভাগ সূত্র বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশ কার্যকর করার জন্য ২০১৮ সালের ১১ মার্চ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ৯৯ একর জমি পুনরুদ্ধারের অনুরোধ জানানো হয়। ২৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জমির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য একটি চিঠি বাঁশখালীর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়। তবে আজ পর্যন্ত সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জমি দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয় উপকূলীয় বন বিভাগ। ২৬ আগস্ট ওই জমি দখলমুক্ত ঘোষণা করে লাল পতাকা ওড়ায় বন বিভাগ। কিন্তু সেখানে বন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের অনুগত হেফাজুল করিম, মফিজুল করিম ও শাহাদাত করিম নামের তিন ব্যক্তি।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদকে কল করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে আছেন তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বেদখল থাকা বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনে নতুন যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’ তিনি বলেন, ‘আগের প্রশাসন কেন উচ্ছেদ করেনি, তা বলতে পারব না। যত বড় প্রভাবশালী হোক, আমরা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা অবৈধ জমিগুলো উদ্ধার করব।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারি নথিতে জায়গাটি উপকূলীয় বন বিভাগের। প্রায় ছয় দশক আগে নারকেলবাগান করার শর্তে জায়গাটি ২৫ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু ইজারার শর্ত ভেঙে সেখানে শুরু হয় চিংড়ি ও লবণ চাষ।
২০ অক্টোবর ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে