আব্দুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সৃষ্ট পদ ১১টি হলেও কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। তাঁদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাই এখন একমাত্র চিকিৎসক। তিনি নিজ কর্মস্থলের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন রামগড় উপজেলায়ও। ফলে জনবল না থাকায় শিল্পমালিকেরা বিপদ-আপদে দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট-সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতারণার মুখে পড়ছেন খামারিরা।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সুনসান নীরবতা। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক কয়েকজন ক্ষুদ্র খামারিকে পরামর্শ ও ওষুধ দিচ্ছেন। আর দুজন মাঠ সহকারী মাঠপর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে গেছেন।
এ সময় জানতে চাইলে সেবাগ্রহীতা আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে কালাপানি এলাকা থেকে হাঁস-মুরগির কৃমিনাশক ওষুধ এবং কয়েকটি গরুর স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ নিতে আসছি। আজ কর্মকর্তা থাকায় পরামর্শ পেলাম। তিনি অন্য উপজেলায় গেলে এত দূর থেকে আসা লোকজনকে কে সেবা দেবে?’
সেবাগ্রহীতা এক নারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমি ১০০-১৫০ মোরগ ও হাঁস পালন করি। বিপদ-আপদে এসে একমাত্র কর্মকর্তাকে অনেক সময় পাই না। শুনি, তাঁকে অন্য উপজেলায়ও যেতে হয়। ওই সময় আমাদের বাজারের দোকান থেকে ওষুধ নিতে হয়। কিন্তু বিক্রেতারা রোগ সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞ না হওয়ায় ঘুরেফিরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
খামারিদের বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেটনির্ভর চিকিৎসা এবং ওষুধে পুঁজি হারাতে হয়। অন্তত চিকিৎসাটুকু পর্যাপ্ত হলে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে একটু স্বস্তি পেতাম। মো. বোরহান উদ্দিন, পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী
উপজেলার সজীব পোলট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এখানকার প্রাণিসম্পদ অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় পোলট্রি ও গো-খামারিদের শহরকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়োগ করা চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসায় খামার টিকিয়ে রাখতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে রোগাক্রান্ত মুরগি নিয়ে শহরে যাওয়া ছাড়া তখন কিছু করার বিকল্প থাকে না। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও অফিসে জনবলের সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছি না।’
পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী ও বোরহান পোলট্রির স্বত্বাধিকারী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় ২ লক্ষাধিক গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগির সম্ভাবনাময় শিল্পে কোটি কোটি টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেও খামারিরা সরকারি সুবিধাটুকু পাচ্ছেন না। প্রাণিসম্পদ অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় খামারিদের বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেটনির্ভর চিকিৎসা এবং ওষুধে পুঁজি হারাতে হয়। অন্তত চিকিৎসাটুকুও যদি পর্যাপ্ত হতো, তাহলে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে একটু স্বস্তি পেতাম।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাহাড়ি জনপদে সেই আশির দশকের সৃষ্ট জনবল ১১ জনের মধ্যে কখনো এখানে পরিপূর্ণ জনবল ছিল না। নিজস্ব জায়গা রেকর্ডভুক্ত থাকা সত্ত্বেও গত সাড়ে তিন দশকেও ভবন নির্মিত হয়নি। টিন ও বাঁশের বেড়ার নড়বড়ে ঘরে সমস্যার যেন শেষ নেই।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, ১১ জনবলের মধ্যে এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আমাদের চারজনের পক্ষে কী সেবাই বা দেওয়া সম্ভব? এর মধ্যে আমাকে রামগড় উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভেটেরিনারি সার্জন সম্প্রতি বদলি হয়েছেন। ফলে দুজন মাঠ সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক ছাড়া জনবলের সাতটি পদই শূন্য থাকায় চিকিৎসাসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ এখানে ৫০ হাজার গরু, ছাগল ও দেড় লাখ হাঁস-মুরগি নিয়ে শতাধিক পোলট্রি এবং আড়াই শ গো-খামারের সম্ভাবনাময় শিল্প রয়েছে।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সৃষ্ট পদ ১১টি হলেও কর্মরত আছেন মাত্র চারজন। তাঁদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তাই এখন একমাত্র চিকিৎসক। তিনি নিজ কর্মস্থলের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন রামগড় উপজেলায়ও। ফলে জনবল না থাকায় শিল্পমালিকেরা বিপদ-আপদে দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট-সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতারণার মুখে পড়ছেন খামারিরা।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সুনসান নীরবতা। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক কয়েকজন ক্ষুদ্র খামারিকে পরামর্শ ও ওষুধ দিচ্ছেন। আর দুজন মাঠ সহকারী মাঠপর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে গেছেন।
এ সময় জানতে চাইলে সেবাগ্রহীতা আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে কালাপানি এলাকা থেকে হাঁস-মুরগির কৃমিনাশক ওষুধ এবং কয়েকটি গরুর স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ নিতে আসছি। আজ কর্মকর্তা থাকায় পরামর্শ পেলাম। তিনি অন্য উপজেলায় গেলে এত দূর থেকে আসা লোকজনকে কে সেবা দেবে?’
সেবাগ্রহীতা এক নারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমি ১০০-১৫০ মোরগ ও হাঁস পালন করি। বিপদ-আপদে এসে একমাত্র কর্মকর্তাকে অনেক সময় পাই না। শুনি, তাঁকে অন্য উপজেলায়ও যেতে হয়। ওই সময় আমাদের বাজারের দোকান থেকে ওষুধ নিতে হয়। কিন্তু বিক্রেতারা রোগ সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞ না হওয়ায় ঘুরেফিরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
খামারিদের বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেটনির্ভর চিকিৎসা এবং ওষুধে পুঁজি হারাতে হয়। অন্তত চিকিৎসাটুকু পর্যাপ্ত হলে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে একটু স্বস্তি পেতাম। মো. বোরহান উদ্দিন, পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী
উপজেলার সজীব পোলট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এখানকার প্রাণিসম্পদ অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় পোলট্রি ও গো-খামারিদের শহরকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়োগ করা চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসায় খামার টিকিয়ে রাখতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে রোগাক্রান্ত মুরগি নিয়ে শহরে যাওয়া ছাড়া তখন কিছু করার বিকল্প থাকে না। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও অফিসে জনবলের সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছি না।’
পোলট্রি খামার ব্যবসায়ী ও বোরহান পোলট্রির স্বত্বাধিকারী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় ২ লক্ষাধিক গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগির সম্ভাবনাময় শিল্পে কোটি কোটি টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেও খামারিরা সরকারি সুবিধাটুকু পাচ্ছেন না। প্রাণিসম্পদ অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় খামারিদের বাধ্য হয়ে সিন্ডিকেটনির্ভর চিকিৎসা এবং ওষুধে পুঁজি হারাতে হয়। অন্তত চিকিৎসাটুকুও যদি পর্যাপ্ত হতো, তাহলে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্যে একটু স্বস্তি পেতাম।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাহাড়ি জনপদে সেই আশির দশকের সৃষ্ট জনবল ১১ জনের মধ্যে কখনো এখানে পরিপূর্ণ জনবল ছিল না। নিজস্ব জায়গা রেকর্ডভুক্ত থাকা সত্ত্বেও গত সাড়ে তিন দশকেও ভবন নির্মিত হয়নি। টিন ও বাঁশের বেড়ার নড়বড়ে ঘরে সমস্যার যেন শেষ নেই।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, ১১ জনবলের মধ্যে এখন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ আমাদের চারজনের পক্ষে কী সেবাই বা দেওয়া সম্ভব? এর মধ্যে আমাকে রামগড় উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভেটেরিনারি সার্জন সম্প্রতি বদলি হয়েছেন। ফলে দুজন মাঠ সহকারী ও একজন অফিস সহায়ক ছাড়া জনবলের সাতটি পদই শূন্য থাকায় চিকিৎসাসেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ এখানে ৫০ হাজার গরু, ছাগল ও দেড় লাখ হাঁস-মুরগি নিয়ে শতাধিক পোলট্রি এবং আড়াই শ গো-খামারের সম্ভাবনাময় শিল্প রয়েছে।
ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদক ও জুয়ার আসরে অভিযানকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন সদস্যকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে দুপাশে ঘন গজারি বন। গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় ও জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের তোয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রভাবশালী। উপজেলা প্রশাসন এই কাজ দ্রুত বন্ধের কথা জানালেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়েনি। এ
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেকে) ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে কোটচাঁদপুরের সামাউল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাঁর মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
৮ ঘণ্টা আগেজমিসংক্রান্ত সেবা উন্নত করতে খুলনার ৭ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রাক্কলনে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনোটি দুই বছর ধরে, আবার কোনোটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। একটি ভবনেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগে