নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
২৩ মিনিট আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
১ ঘণ্টা আগে
ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
১ ঘণ্টা আগেজীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের (৩৬ এডি) নেতৃত্বে জীবননগর মডেল মসজিদের পাশে গাজী জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন সাইকেলের শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা মালপত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি স্মার্টফোন, ১১টি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ অয়নের (৩৬ এডি) নেতৃত্বে জীবননগর মডেল মসজিদের পাশে গাজী জাহিদ হাসানের মালিকানাধীন সাইকেলের শোরুমে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা মালপত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি স্মার্টফোন, ১১টি সিমকার্ড এবং একটি ব্যাটন।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
০৭ জুন ২০২২
খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
১ ঘণ্টা আগে
ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিবিঘা ঢালাই সড়কে রনি ও সজিবের ওপর ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রনির কপালের মাঝখানে এবং বাঁ হাত ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিবকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় এখনো আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিবিঘা ঢালাই সড়কে রনি ও সজিবের ওপর ৮-১০ জনের একটি সশস্ত্র দল অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় রনির কপালের মাঝখানে এবং বাঁ হাত ও ডান হাতের বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু সজিবকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
লবণচরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইউসুফ আলী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় এখনো আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
০৭ জুন ২০২২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
২৩ মিনিট আগে
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
১ ঘণ্টা আগে
ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
১ ঘণ্টা আগেরাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর)

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে তেরাইল কলেজের সামনের সরিষাখেতে বসানো হয়েছে ৮৫টি মৌ-বাক্স।
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
মৌচাষিরা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে মধু সংগ্রহ শুরু হবে। তাঁদের ধারণা, এই খেত থেকেই প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত তাঁরা এই ধরনের মধু সংগ্রহের দৃশ্য খুব কমই দেখেন। সরাসরি বাক্সে মধু উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখে তাঁরা মুগ্ধ। তাঁদের মতে, সরিষা ফুল থেকে সংগৃহীত মধু স্বাভাবিকভাবেই বিশুদ্ধ হয় এবং ক্রেতারাও চোখের সামনে দেখে মধু কিনতে পারেন।
মধু সংগ্রহ দেখতে আসা সাজেদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসানো। এত বড় সরিষার মাঠ আশপাশে আর কোথাও নেই। মৌচাষিদের কাছে শুনেছি, এখান থেকে প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করবেন তাঁরা।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দোকান থেকে মধু কিনলে অনেক সময় খাঁটি কি না বোঝা যায় না। কিন্তু এখানে সরাসরি সংগ্রহ করা মধু নিঃসন্দেহে খাঁটি।’
মৌচাষি মো. সোহান আলী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে এসেছি। কারণ, এই এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। এবার ৮৫টি বাক্স বসানো হয়েছে। আশা করছি, প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারব। সাধারণত তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে মৌমাছিরা ভালোভাবে মধু সংগ্রহ করতে পারে।’
আরেক মৌচাষি মো. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাঠ দিয়ে তৈরি বিশেষ বাক্সে রানি মৌমাছি রাখা হয়। বিস্তীর্ণ সরিষাখেতের পাশে এসব বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়। এখান থেকে ৮৫টি বাক্সে প্রায় ২০ মণ মধু পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আমরা কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে মধু বিক্রি করি।’

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বিশেষ করে সরিষা ফুলের মধু অত্যন্ত বিশুদ্ধ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মধু সংগ্রহের মৌসুম চলে। সরিষা ফুল শেষ হলে আমরা অন্য ফুলের এলাকায় চলে যাই। আগামী ৩০ তারিখের (৩০ ডিসেম্বর) পর থেকে এখানে পুরোপুরি মধু সংগ্রহ শুরু হবে।’
গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের প্রধান মৌসুম। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। বাক্স পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা।
ইমরান হোসেন আরও বলেন, মধু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পবিত্র কোরআনেও মধুর উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগও মধু ও কালিজিরা খাওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌচাষিরা। সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে তেরাইল কলেজের সামনের সরিষাখেতে বসানো হয়েছে ৮৫টি মৌ-বাক্স।
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
মৌচাষিরা জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে মধু সংগ্রহ শুরু হবে। তাঁদের ধারণা, এই খেত থেকেই প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধারণত তাঁরা এই ধরনের মধু সংগ্রহের দৃশ্য খুব কমই দেখেন। সরাসরি বাক্সে মধু উৎপাদনের প্রক্রিয়া দেখে তাঁরা মুগ্ধ। তাঁদের মতে, সরিষা ফুল থেকে সংগৃহীত মধু স্বাভাবিকভাবেই বিশুদ্ধ হয় এবং ক্রেতারাও চোখের সামনে দেখে মধু কিনতে পারেন।
মধু সংগ্রহ দেখতে আসা সাজেদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি সরিষাখেতের পাশে মৌ-বাক্স বসানো। এত বড় সরিষার মাঠ আশপাশে আর কোথাও নেই। মৌচাষিদের কাছে শুনেছি, এখান থেকে প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করবেন তাঁরা।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দোকান থেকে মধু কিনলে অনেক সময় খাঁটি কি না বোঝা যায় না। কিন্তু এখানে সরাসরি সংগ্রহ করা মধু নিঃসন্দেহে খাঁটি।’
মৌচাষি মো. সোহান আলী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও এখানে এসেছি। কারণ, এই এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। এবার ৮৫টি বাক্স বসানো হয়েছে। আশা করছি, প্রায় ২০ মণ মধু সংগ্রহ করতে পারব। সাধারণত তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে মৌমাছিরা ভালোভাবে মধু সংগ্রহ করতে পারে।’
আরেক মৌচাষি মো. কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাঠ দিয়ে তৈরি বিশেষ বাক্সে রানি মৌমাছি রাখা হয়। বিস্তীর্ণ সরিষাখেতের পাশে এসব বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়। এখান থেকে ৮৫টি বাক্সে প্রায় ২০ মণ মধু পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। আমরা কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে মধু বিক্রি করি।’

কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বিশেষ করে সরিষা ফুলের মধু অত্যন্ত বিশুদ্ধ। ডিসেম্বরের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মধু সংগ্রহের মৌসুম চলে। সরিষা ফুল শেষ হলে আমরা অন্য ফুলের এলাকায় চলে যাই। আগামী ৩০ তারিখের (৩০ ডিসেম্বর) পর থেকে এখানে পুরোপুরি মধু সংগ্রহ শুরু হবে।’
গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরিষা ফুল থেকে মধু উৎপাদনের প্রধান মৌসুম। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। বাক্স পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা।
ইমরান হোসেন আরও বলেন, মধু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পবিত্র কোরআনেও মধুর উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগও মধু ও কালিজিরা খাওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে।

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
০৭ জুন ২০২২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
২৩ মিনিট আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
১ ঘণ্টা আগেখোরশেদ আলম সাগর, লালমনিরহাট

ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
উচ্চতর বেতন স্কেলের দাবিতে সারা দেশের মতো লালমনিরহাটেও কর্মবিরতি চলছে গত ২৯ নভেম্বর থেকে। দীর্ঘ এক মাস কর্মসূচি চলমান থাকায় বন্ধ রয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। তাঁদের কর্মবিরতিতে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
জানা গেছে, পোলিও, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, হাম, ডিপথেরিয়া, রুবেলাসহ ১০টি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে জন্মের পর থেকে ১৮ মাস বয়সে নির্ধারিত সময়ে ১১টি ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে এ ১০টি রোগ নির্মূল করতে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এ ভ্যাকসিন প্রদান করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করছেন স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ২৪টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে উপজেলাপ্রতি ৫-৬শ শিশু এসব কেন্দ্রে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন পেয়ে থাকে। এ জন্য শিশুর জন্মের পরেই টিকা কার্ড প্রদান করা হয় এবং কার্ডেই উল্লেখ থাকে, কখন কখন টিকা পাবে শিশুরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হয়। ভ্যাকসিন টিকা কার্ড ছাড়া মেলে না শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ। ফলে জন্মনিবন্ধনেও ভাটা পড়েছে।
ইপিআই কার্যক্রম সফল হওয়ায় একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এ পুরস্কারপ্রাপ্তির পরে ভ্যাকসিন হিরো হিসেবেও বেশ আলোচনায় আসেন ইপিআই কর্মসূচির মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নকারী স্বাস্থ্য সহকারীরা। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্তির সেই কার্যক্রম আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে হিরোদের কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে। ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এমন মারাত্মক ১০টি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
আদিতমারীর বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ বলেন, জন্মের পরপরই শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে হয়। এক মাস টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমার শিশু ভ্যাকসিন নিতে পারেনি। আমি এটা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। স্বাস্থ্য সহকারীরা এক মাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের দ্রুত মাঠে কার্যক্রম শুরু করতে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের লালমনিরহাটের সাবেক সভাপতি সোহেল মাসুদ বলেন, ‘একই যোগ্যতার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তারা ১৮তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ আমরা ভ্যাকসিন হিরোরা আজও ১৮তম গ্রেডে রয়েছি। আমাদের পরিশ্রমে দেশ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেও আমরা অন্ধকারেই রয়েছি।’
সংগঠনটির সহসভাপতি হালিমা আক্তার বলেন, ‘রোধ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের সুরক্ষায় আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে আসছি। অথচ আমাদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। একই যোগ্যতা নিয়ে অনেক দপ্তরের কর্মীরা উচ্চতর বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। অথচ আমরা বঞ্চিত। সরকার আমাদের দাবি মেনে
নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করছে না। সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাব।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির কারণে গোটা দেশে এক মাস ধরে ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে শিশুরা মারাত্মক ১০টি রোগের ১১টি ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ টিকাদান কার্যক্রম সচল করতে ঊর্ধ্বতন মহলের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আবদুল হাকিম বলেন, ইপিআই কর্মসূচির কর্মীরা সারা দেশে উচ্চতর গ্রেডের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এ নিয়ে সভাও করা হয়েছে। তাঁদের কর্মবিরতি দীর্ঘ সময় হলে শিশুদের সুরক্ষায় খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

ইপিআই সম্প্রসারণ কর্মসূচির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে নবজাতকসহ শিশুদের ১০টি রোগ প্রতিরোধের টিকাদান কার্যক্রম। টানা এক মাসের কর্মবিরতিতে টিকাবঞ্চিত হচ্ছে জেলার হাজারো শিশু।
উচ্চতর বেতন স্কেলের দাবিতে সারা দেশের মতো লালমনিরহাটেও কর্মবিরতি চলছে গত ২৯ নভেম্বর থেকে। দীর্ঘ এক মাস কর্মসূচি চলমান থাকায় বন্ধ রয়েছে টিকাদান কার্যক্রম। তাঁদের কর্মবিরতিতে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
জানা গেছে, পোলিও, হুপিং কাশি, যক্ষ্মা, ধনুষ্টংকার, হাম, ডিপথেরিয়া, রুবেলাসহ ১০টি মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে জন্মের পর থেকে ১৮ মাস বয়সে নির্ধারিত সময়ে ১১টি ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে এ ১০টি রোগ নির্মূল করতে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এ ভ্যাকসিন প্রদান করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইপিআই সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করছেন স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে ২৪টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে উপজেলাপ্রতি ৫-৬শ শিশু এসব কেন্দ্রে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন পেয়ে থাকে। এ জন্য শিশুর জন্মের পরেই টিকা কার্ড প্রদান করা হয় এবং কার্ডেই উল্লেখ থাকে, কখন কখন টিকা পাবে শিশুরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হয়। ভ্যাকসিন টিকা কার্ড ছাড়া মেলে না শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ। ফলে জন্মনিবন্ধনেও ভাটা পড়েছে।
ইপিআই কার্যক্রম সফল হওয়ায় একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এ পুরস্কারপ্রাপ্তির পরে ভ্যাকসিন হিরো হিসেবেও বেশ আলোচনায় আসেন ইপিআই কর্মসূচির মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নকারী স্বাস্থ্য সহকারীরা। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্তির সেই কার্যক্রম আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে হিরোদের কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে। ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এমন মারাত্মক ১০টি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
আদিতমারীর বাসিন্দা বুলবুল আহমেদ বলেন, জন্মের পরপরই শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে হয়। এক মাস টিকাদান কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমার শিশু ভ্যাকসিন নিতে পারেনি। আমি এটা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। স্বাস্থ্য সহকারীরা এক মাস ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁদের দ্রুত মাঠে কার্যক্রম শুরু করতে নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের লালমনিরহাটের সাবেক সভাপতি সোহেল মাসুদ বলেন, ‘একই যোগ্যতার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তারা ১৮তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ আমরা ভ্যাকসিন হিরোরা আজও ১৮তম গ্রেডে রয়েছি। আমাদের পরিশ্রমে দেশ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেও আমরা অন্ধকারেই রয়েছি।’
সংগঠনটির সহসভাপতি হালিমা আক্তার বলেন, ‘রোধ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের সুরক্ষায় আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে আসছি। অথচ আমাদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। একই যোগ্যতা নিয়ে অনেক দপ্তরের কর্মীরা উচ্চতর বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। অথচ আমরা বঞ্চিত। সরকার আমাদের দাবি মেনে
নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করছে না। সরকার দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাব।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির কারণে গোটা দেশে এক মাস ধরে ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে শিশুরা মারাত্মক ১০টি রোগের ১১টি ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ টিকাদান কার্যক্রম সচল করতে ঊর্ধ্বতন মহলের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আবদুল হাকিম বলেন, ইপিআই কর্মসূচির কর্মীরা সারা দেশে উচ্চতর গ্রেডের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এ নিয়ে সভাও করা হয়েছে। তাঁদের কর্মবিরতি দীর্ঘ সময় হলে শিশুদের সুরক্ষায় খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
০৭ জুন ২০২২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলিসহ গাজী জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার গাজী জাহিদ হাসান পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তিনি মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
২৩ মিনিট আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে নগরীর লবণচরা থানাধীন আশিবিঘা ঢালাই সড়কে এই ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন মো. রনি ও সজিব। তাঁদের দুজনকেই গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
সরিষা ফুলের হলুদ আভা আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে মনোরম। এই দৃশ্য দেখতে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী ও আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছেন মৌচাষিদের কাজ।
১ ঘণ্টা আগে