Ajker Patrika

নোয়াখালীতে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ ৪ জন গ্রেপ্তার, পেটে মিলল ৪৫০০ ইয়াবা 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ ৪ জন গ্রেপ্তার, পেটে মিলল ৪৫০০ ইয়াবা 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার হাজার পাঁচ শ ইয়াবা, দুটি মোবাইল, একটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার বেগমগঞ্জের রসুলপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারেরা হলেন বেগমগঞ্জের রসুলপুরের আবদুর রহিমের স্ত্রী কামরুন নাহার (২৫), একই বাড়ির ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী বিবি আয়েশা (২৩)। রোহিঙ্গা যুবকেরা হলেন টেকনাফের পশ্চিম লেদারটাল ক্যাম্পের ২৫৮ নম্বর কক্ষের আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও লেদা এলএমএস ক্যাম্পের ১৪১ নম্বর কক্ষের আবদুল করিমের ছেলে রফিক বাইলা।

পুলিশ জানায়, দুই রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজার থেকে পেটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা এনে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত। এর অংশ হিসেবে বুধবার তারা ইয়াবার চালান নিয়ে বাসে করে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রসুলপুর এলাকায় অভিযান চালায় বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ। 

অভিযানকালে আলী আক্কাস মিয়ার বাড়ি থেকে তিন হাজার তিন শ ইয়াবাসহ দুই নারী ও রোহিঙ্গা দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তাদের পেটের ভেতরে আরও ইয়াবা রয়েছে। তথ্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে বিশেষ কায়দায় পেটে করে আনা আরও ১২০০ টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তার কথা বলে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, প্রায় অর্ধশত গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা ছাড়াই এসব গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব গাছে ফল ধরবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালাশপীর থেকে চতরা সড়কের মঞ্জিলার দরগা হয়ে পত্নীচড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের বসতবাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাল, খেজুর, কলাসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘এই গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ফল দিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গাছগুলোর মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ছোট রসুলপুর গ্রামের নুর আমিন বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু পুরো গাছের মাথা কেটে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এতে গাছগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উজিরপুর গ্রামের তাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাছে হয়তো আর ফল ধরবে না। এতে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁকি এড়াতেই কাজটি করা হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সিইউজের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল।

বিজ্ঞপ্তিতে সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অবিস্মরণী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। রাষ্ট্র পরিচালনা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তাঁর অবদান ইতিহাসে অসামান্য। একজন সাহসী ও আপসহীন রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে তিনি দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে আজন্ম সংগ্রামী নেত্রী। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরে তিনি এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারিয়েছে। এই শোকাবহ মুহূর্তে সিইউজে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ফজরের নামাজের ঠিক পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলেন ৮০ বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরগঞ্জে বিএনপির ৭ বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল, চিন্তিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কিশোরগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির এক বিদ্রোহী প্রার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এতে চিন্তিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নিজ দলের অন্য নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে তা শেষ পর্যন্ত পুরো দলের জন্যই বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ, দলের ভেতর এমন বিভক্তির সুযোগ নিতে পারে অন্যরা। এসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটলে বিএনপির জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই আসনে মনোনয়ন না পেয়ে একই দিন বিএনপির চার বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ।

বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসনটিতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিষোদ্‌গার করেছেন। হয়েছে বাক্‌যুদ্ধ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসঙ্গে দলীয় রাজনীতি করবেন, এটাই চান তাঁরা।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘সদর ও হোসেনপুর উপজেলার জনগণের ভালোবাসায় ও প্রেশারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনে যাব কি যাব না, তা আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আলোচনা করে আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আইনজীবী মো. জালাল উদ্দীনকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জালাল উদ্দীন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এই আসনে অবশ্য দলীয় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই অনেকটা নিশ্চিন্তে রয়েছেন তিনি।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ওসমান ফারুক সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ওসমান ফারুক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা। এর আগে ওসমান ফারুকের মনোনয়নের বিরোধিতা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। ১২ ডিসেম্বর জেলা শহরের স্টেশন রোডে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম ওসমান ফারুকের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি প্রার্থী হতে সক্ষম কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চেয়ে বিশাল শোডাউনও করেন জাহাঙ্গীর আলম।

জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, ‘বিগত দিনে দলের ক্রান্তিকালীন ও দুর্যোগপূর্ণ সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে আমি ছিলাম। দল আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করল সেটা বড় বিষয় নয়, আগামীতেও নেতা-কর্মীদের পাশে থাকব। এই কথা সত্য, দল আমাকে পরিচিতি দিয়েছে, সেই দলেই আমার শেষ ঠিকানা। এটার মধ্যেই আমি বিশ্বাস রাখতে চাই।’

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে আলোচিত বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। গত রোববার তিনি ইটনায় নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন না পাওয়া বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লাও একই দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আবদুর রহিম মোল্লার বিএনপিতে প্রাথমিক সদস্যপদও নেই। তিনি বিএনপির কেউ নন।

কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা সৈয়দ এহসানুল হুদাকে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিও সোমবার দুপুরে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এদিন দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যদিও এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল শেখ মজিবুর রহমানকে। কিন্তু ২২ ডিসেম্বর নিজের দল বিলুপ্ত করে সৈয়দ এহসানুল হুদা বিএনপিতে যোগদান করায় তাঁকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মজিবুরের অনুসারীরা। ২৪ ডিসেম্বর বাজিতপুরের সরারচর রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মজিবুরের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারণে এক দিন বিরতি দিয়ে ফের বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল ও মশাল মিছিল করেন তাঁরা।

কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। আমার পক্ষে বাজিতপুর নিকলীর বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি প্রার্থী হয়েছি।’

সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এই আসনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় নির্ভার রয়েছেন তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় বিভক্তি নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে এসেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে আমি বিষয়টি কেন্দ্রে জানাব। দলের সভাপতি হিসেবে আমি চাই না কেউ বিদ্রোহী থাকুক। দলটা সবাইকে নিয়েই করতে হবে।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৬
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাভার্ড ভ্যানের চালক সোহাগ হোসেন (৩০) এবং যাত্রী বিপ্লব হোসেন (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ নলডাঙ্গা উপজেলার বেলঘড়িয়া এলাকার ফরজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নিহত বিপ্লব টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চৌবাড়িয়ার ওহেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। একই দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত হন। ওসি আরও বলেন, লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ও আইনগত বিষয় চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত