Ajker Patrika

‘বাঁশখালীতে বারবার গুলি কেন?’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বাঁশখালীতে বারবার গুলি কেন?’

চট্টগ্রাম: বাঁশখালীতে শ্রমিক বিক্ষোভ দমনে পুলিশের গুলি চালানোটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষত আজকের ঘটনা যে বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘিরে, সেখানে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সময় স্থানীয়দের আন্দোলন দমন করতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। এবার সেই একই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকেরা বেতন–ভাতাসহ নানা দাবিতে যখন আন্দোলন শুরু করলেন, তখন আবার গুলি চলল। এবারে প্রাণ গেল পাঁচজনের।

এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক রহিম উল্লাহ। আজ সকালে হওয়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এ শ্রমিক বলেন, ‘এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বারবার কেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার।’

চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেতনভাতা ও রমজান মাসে কাজের সময়সীমা কমানোর দাবিতে শ্রমিকদের করা বিক্ষোভ দমনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ঘটা এ ঘটনায় পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গুলি এবারই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের দু্ই পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে চার জন নিহত হন। তারও কোনো সুরাহা হয়নি। সেই সময়ের বসতভিটা রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক লিয়াকত আলী বলেন, কারখানাটির কিছু অসাধু কর্মকর্তার একঘেয়েমি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে।

আজকের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু কোনো আলোচনায় না গিয়ে মালিক পক্ষ শুরুতেই বল প্রয়োগের নীতি নিয়েছে। অন্যদিকে মালিক পক্ষ বলছে, তাদের হাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আর প্রশাসন বলছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিক আমির উদ্দিনের অভিযোগ, এত হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে, অথচ শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিচ্ছে না মালিকপক্ষ।

এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, এসব ঘটনার কোনোটিই আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। হঠাৎ করে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা জনগণের স্বার্থে বড় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করছি। এ জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই। আমরাও চাই না প্রতিষ্ঠানের কোনো সুনাম ক্ষুণ্ন হোক।  

এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির শ্রমিকেরা জানান, শ্রমিকদের অনেক বেতন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু সেসব পরিশোধের কোনো উদ্যোগ কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না।

পাওনা আদায়ের দাবি তাই শ্রমিকদের আগে থেকেই ছিল। রমজান মাস শুরুর পর এর সঙ্গে যুক্ত হলো কর্মঘণ্টার বিষয়টি। কিন্তু কোনো দাবিই মেনে না নেওয়ায় আজ সকালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকেরা। এর পরও মালিক পক্ষ আলোচনার পথে না হেঁটে প্রশাসন দিয়ে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চান, যা শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়।

আলোচনার বদলে মালিক পক্ষের বলপ্রয়োগের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আহত শ্রমিক সোহেল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া ছিল খুবই সামান্য। এসব দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব ছিল। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তারা অতর্কিত গুলি চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। 

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে–ই দোষী হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আপাতত আমরা সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত