Ajker Patrika

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আব্দুস সাত্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ০৫
মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আব্দুস সাত্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। আজ বুধবার বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে তাঁর ছেলে মাইনুল হাসান তুষার মনোনয়নপত্রটি জমা দেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে ১ জানুয়ারি বিকেলে সাদ মোহাম্মদ রশিদ নামের এক যুবক জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।’

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তারকে গত রোববার (১ জানুয়ারি) দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে গত ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলে আজকের পত্রিকাকে আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘দলের সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অদূরদর্শী ছিল।’ 

১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠা করা জাগো দলের মাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে পথচলা শুরু উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার। ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। 

ওই সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে তাঁকে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী করা হয়। বিএনপির সেই মেয়াদের বিভিন্ন সময়ে তিনি চারটি মন্ত্রণালয়ে (আইন, ভূমি, মৎস্য ও বিদ্যুৎ) দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ আসনে) আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত তিনদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনকালে ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র‍্যালি বা শোভাযাত্রার আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনকালে ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র‍্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসব নির্দেশ মেনে চলতে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে মৃত্যৃবরণ করেন। আগামীকাল বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তাঁর জানাজা হবে।

জানাজা শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গফরগাঁওয়ে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে নাশকতা, সোয়া ৩০০ জনকে আসামি করে দুই মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে মনোনয়ন দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় আলাদাভাবে দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় সোয়া ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) হাবিলদার আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীকে আসামি করে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় মামলা করেন।

এর আগে রোববার রাতে পৌর শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন জনি বাদী হয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গফরগাঁও থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, গফরগাঁওয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে রেললাইনের সংযোগস্থলের নাট-বল্টু খুলে প্রায় ২০ ফুট রেলপাত সরিয়ে ফেলা হয়। এতে ‘অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৫টার মধ্যে গফরগাঁও রেলস্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে সালটিয়া ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন এলাকায় এ নাশকতার ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ-১০ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকেরা ২৭ ডিসেম্বর থেকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসছিলেন। এর আগেও রেললাইনে মাটি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়।

অন্যদিকে গফরগাঁও থানায় করা মামলার বাদী পৌর শ্রমিক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন জনি বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তে গত শনিবার ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে আক্তারুজ্জামান বাচ্চুকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। নাম ঘোষণার পর ওই দিন আমি মিষ্টি বিতরণ করি। মিষ্টি বিতরণের একপর্যায়ে এক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার অফিসে হামলা করে এবং কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।’

তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ের সামনে থাকা আটটি মোটরসাইকেলের একটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বাকি সাতটি লুট করে নিয়ে যায়। এরপর গফরগাঁও রেলস্টেশনে ভাঙচুর, ট্রেন অবরোধ এবং পৌর শহর ও আশপাশের এলাকায় অন্তত ৩০ থেকে ৪০ স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কৃষক লীগ নেত্রী ও আ.লীগ সমর্থক আইনজীবীর মনোনয়নপত্র দাখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
হাবিবা বেগম ও রায়হান কাওসার। ছবি: সংগৃহীত
হাবিবা বেগম ও রায়হান কাওসার। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীতে আওয়ামীমনা নারীসহ দুজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এঁদের মধ্যে একজন মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের নেত্রী। অন্যজনের কোনো পদ-পদবি না থাকলেও তিনি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাঁরা হলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে হাবিবা বেগম ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আইনজীবী রায়হান কাওসার। এর মধ্যে হাবিবা বেগমের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা গ্রামে। তিনি উপজেলা কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর স্বামীর নাম মাসুদ রানা। তিনি চা-দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন। গত বছরের জুলাইয়ে তাঁর চায়ের দোকানটি ভেঙে দেওয়া হয়।

হাবিবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ছিলেন। তখন এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আয়েন উদ্দিন। তবে হাবিবা জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের অনুসারী ছিলেন। এ নিয়ে আয়েনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। ওই সময় আয়েন অনুসারীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন।

হাবিবার দাবি, ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাতটি মামলায় সাতবার কারাগারে যান তিনি। মামলাগুলো মিথ্যা ছিল বলে তখন তিনি দাবি করতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসাদুজ্জামান আসাদ এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে রাজনীতিতে অবস্থান শক্ত হয় হাবিবা বেগমের। গত বছরের ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর (২২ জুলাই) তাঁর বিরুদ্ধে মোহনপুর থানার দুই নারী কনস্টেবলের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ বাদী মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

৫ আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতন হলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত হন হাবিবা। পরে আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ২২ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সম্মানী ভাতা চালু রাখার দাবি জানান।

মনোনয়ন দাখিলের বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের আমলেই নির্যাতিত হয়েছি। এটা সবাই জানে। তাই ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়েও আমার নামে কেউ কোনো মামলা দেয়নি। আমি এলাকাতেই আছি। এলাকার সব মানুষ আমাকে ভালোবাসে। সে জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছি। একটা উপজেলায় ভোট করার অভিজ্ঞতা আছে, এবার এর সঙ্গে আরেকটা উপজেলা যুক্ত হলো। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলে ভালো ফল হবে আশা করি।’

অপর দিকে রায়হান কাওসারের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার হরিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি।

এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ এলাকায় নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর বুলেট আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে রায়হানের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একে (রায়হানকে) যেখানেই পাবেন প্রশাসনের হাতে তুলে দিন।’

পুঠিয়া উপজেলা যুবদলের নেতা দেলোয়ার সরকার আল আমীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের দোসর ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট রায়হান কাওসার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আজ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সে ভোট করার মতো এত সাহস কোথায় থেকে পেল? একে প্রতিহত করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়হান কাওসার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে কেউ যে কোনো দলের মনোনয়ন চাইতেই পারে। অন্য দল থেকেও যে কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারে। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, এটা সত্যি। আমি পছন্দ করতেই পারি, কিন্তু আমি তো এখন আওয়ামী লীগের পরিচয় দিচ্ছি না। কেউ কেউ এখন আমাকে ট্যাগ দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের পরিচয় দিচ্ছি না। আমি এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত। আমার জীবনে আমি কোনো দিন পড়াশোনায় প্রথম ছাড়া অন্য কিছু হইনি। সবাই আমাকে জানে। আমি পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। আমি যে জিতেই যাব, তা বলছি না। তবে একটা সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য মানুষ আমাকে ভোট দেবে বলে আশা করি।’

উল্লেখ্য, রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রত্যেক আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও দুটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিয়েছে। আছেন বিএনপির চারজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫

নরসিংদী প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রাখা বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ডাকাত সদস্যদের জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার রাতের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বালুচরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ঘোড়াশাল দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ফয়সাল মিয়া (২২), রেফায়েত উল্লাহর ছেলে বোরহান মিয়া (৩৫), কাশেম মিয়ার ছেলে সোহেল ভূঁইয়া (২৪), ঘোড়াশাল খালিসারটেক গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫) এবং গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার একডালা গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে বাসির মিয়া (২৫)।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে পলাশসহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাঁদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় পলাশ থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত