Ajker Patrika

থানচিতে যৌথ অভিযানের মধ্যেই থানা লক্ষ্য করে কেএনএফের গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং বান্দরবান ও থানচি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০: ২১
থানচিতে যৌথ অভিযানের মধ্যেই থানা লক্ষ্য করে কেএনএফের গুলি

বান্দরবানে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৩০ মিনিট এই গোলাগুলি চলে।

এ ব্যাপারে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা আজ বৃহস্পতিবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানার পাশের পাহাড় থেকে সন্ত্রাসীরা থানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এ সময় থানা থেকেও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। এসব গুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বেশির ভাগ গুলি ছিল ফাঁকা। ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চলছে।’ পরবর্তী পদক্ষেপ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একাধিক মামলা হবে।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, থানচি বাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ গুলি শুরু হয়। এরপর যে যেভাবে পেরেছে, নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। মুহূর্তে খালি হয়ে যায় থানচি বাজার। থেমে থেমে এক ঘণ্টার মতো গুলির শব্দ শোনা যায়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র বলেছে, থানার চারপাশে আগে থেকেই টহলে ছিলেন বিজিবি সদস্যরা। সন্ত্রাসীদের গুলির পরেই পুলিশের সঙ্গে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান।

এদিকে গত মঙ্গলবার রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিন আজ সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছেন। তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

থানচি থানায় সন্ত্রাসী হামলার পর পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে। ছবি: সংগৃহীত কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আজ সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘ব্যাংক লুটের ঘটনাটি সরকার হালকাভাবে নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনার। কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা নেই। তবে যে উদ্দেশ্যেই এসব করুক না কেন, কাউকে ছাড় দেব না। হামলার কারণ বের করা হবে।’

হামলার পেছনে ভূরাজনৈতিক কিছু আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। হঠাৎ করে আক্রমণ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা আমাদের কাছে নতুন কিছু মনে হচ্ছে। তবে তথ্য না জেনে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

শান্তি আলোচনা স্থগিত
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ২০২৩ সালের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা হয়। ওই বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি কেএনএফের সঙ্গে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দুই দফায় সরাসরি সংলাপ করেছে। সব ধরনের সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয়সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারকও হয় কেএনএফের সঙ্গে। তবে তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। 

তিন উপজেলায় সোনালী ব্যাংক বন্ধ
ব্যাংক ডাকাতির পর নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল বুধবার বিকেলে বান্দরবান সদর উপজেলা বাদে জেলার বাকি ছয় উপজেলায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তবে গতকাল আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক সচল হয়। এ ছাড়া জেলার অন্য সব ব্যাংকের কার্যক্রমও চালু হয়। অবশ্য বন্ধ ছিল রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম।

বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি গতকাল বলেন, প্রথম অবস্থায় থানচি শাখা থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও পরে গণনা করে দেখা যায়, ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা নিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

পার্বত্যে নিরাপত্তা জোরদার
তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পার্বত্য তিন জেলায়ই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা আজ দুপুরে থানচিতে গিয়ে বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকটি উপজেলা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা একই ধরনের এবং একই চক্রের মনে হচ্ছে। ব্যাংকে ডাকাতির এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তিনি বলেন, অন্তত তিনটি মামলার মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতা আনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিরুনি অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে যৌথ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) ও মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি]

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব আলম ও তাঁর ছোট ভাই সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব আলম ও তাঁর ছোট ভাই সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ এলাকা লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে মাহফুজ আলমের পক্ষে এই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন—এমন খবরে রামগঞ্জসহ পুরো জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, এই নির্বাচনী লড়াইয়ে মাহফুজ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন তাঁর আপন বড় ভাই মাহবুব আলম মাহিরও। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একই আসন থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মাহফুজ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন কি না, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন। আজ রাতেই এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এনসিপি বা জামায়াত-এনসিপি জোটে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করা শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মতিঝিল ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হারুন অর রশিদসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী।

এ ছাড়া রামগঞ্জ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) আওয়ামী মহাজোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে হত্যা মামলাসহ নানান কারণে বিতর্কিত এ নেতা এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) আসনে চন্দনাইশ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাঁর মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন তুলছেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ও অবস্থান নিয়ে।

যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানা না গেলেও চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো তথ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জসিম উদ্দিন আহমেদ মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, জসিম উদ্দিন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সহযোগী। তাঁর মালিকানায় কক্সবাজারে ‘রামাদা কক্সবাজার’ এবং দুবাইয়ে ‘রামাদা দুবাই’ হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি এলাকায় ‘মহল মার্কেট’, খুলশীতে ‘জসিম হিল পার্ক’সহ একাধিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্থাপনার মালিক তিনি। এ ছাড়া তাঁর সম্পদের উৎস ও দ্রুত উত্থান ঘিরে রয়েছে নানা অভিযোগ।

অভিযোগ উঠেছে, জসিম উদ্দিন সাবেক দুই আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও শহিদুল হকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একাধিক নেতার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যিনি সুবিধাভোগী ছিলেন, তাঁর হাতে ধানের শীষ দেওয়া আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আমার ছবি থাকতেই পারে। এসব বিষয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে বিস্তারিত বলব।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলসহ ৪ দফা দাবি ঘোষণা করল ইনকিলাব মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ০৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে এবার চার দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার রাতে সংগঠনটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই দাবিগুলো তুলে ধরে।

রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এই কর্মসূচি ও দাবিদাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এই দাবিগুলো মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ৪ দফা—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সকল খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকস্থলীতে হাজারখানেক ইয়াবাসহ বিমানযাত্রী গ্রেপ্তার

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আটক ব্যক্তি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত
আটক ব্যক্তি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকস্থলীতে প্রায় এক হাজার ইয়াবাসহ এক বিমানযাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আজ রোববার দুপুরের দিকে তাঁকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের কার পার্কিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৯৬৯টি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

আজ রাতে এপিবিএন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এপিবিএন জানায়, আটক ব্যক্তির নাম মো. নবী হোসেন (৪৫)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আজ রোববার দুপুরে নভোএয়ারের অভ্যন্তরীণ ভিকিইউ-৯২২ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন।

পরবর্তী সময়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের কার পার্কিং এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, সুকৌশলে পায়ুপথে ইয়াবা পরিবহন করছেন।

বিমানবন্দরের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে এক্স-রে করা হলে পায়ুপথে তিনটি ডিম্বাকৃতির বস্তু দেখা যায়। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তাঁর পেট থেকে ডিম্বাকৃতির তিনটি পোঁটলা থেকে ৯৬৯টি ইয়াবা পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আজকের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা বিমানবন্দর ঘিরে মাদক চোরাচালানসহ যেকোনো অবৈধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত