মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সাগরে যান জেলেরা। আশা ছিল, ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরবেন। তবে জালে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়লেও রুপালি ইলিশের দেখা এখনো তেমন মেলেনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইলিশ ধরার বড় ও মাঝারি ট্রলারগুলো ফিরতে আরও অন্তত তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। এতে ইলিশের সরবরাহ কম।
মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের কাছ থেকে জানা গেছে, তিন-চার দিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে মাছভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে পাঁচমিশালি মাছের আধিক্য বেশি। কিছু ট্রলার লাল পোপা, কালো পোপা, মাইট্টা, চামিলা, রুপচাঁদা, টেকচাঁদা, কালো চান্দা, তাইল্যা, সামুদ্রিক কোরাল, চিংড়ি, ছুরি, গুইজ্জাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে। তবে কিছু কিছু ট্রলারে কয়েকটি করে ইলিশ মাছও আসছে।
৩ নভেম্বর মধ্যরাতের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছেন জেলেরা। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ট্রলার কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনার নুনিয়ারছটা ৬ নম্বর ঘাটে মাছ নিয়ে ভিড়তেও শুরু করেছে। মাছভর্তি এসব ট্রলার তিন বা চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে গিয়ে ফিরছে।
কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ফিশারি ঘাটে গতকাল শনিবার দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর এই ঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলেরা বাঁকখালীর নদী মোহনায় ট্রলার ভেড়াতেই ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে অবতরণকেন্দ্রের ঘাটে আনা হচ্ছে মাছগুলো। এরপর সেখান থেকে ঝুড়ি ও লাই ভরে শ্রমিকেরা মাছ খালাসে নেমে পড়ছেন।
এফবি ফয়সাল নামের ট্রলারের মাঝি আইয়ুব আলী বলেন, তিন দিনের রসদ নিয়ে তাঁরা ১০ জন মাঝি-মাল্লা বঙ্গোপসাগরের ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে জাল ফেলেন। এতে পাঁচমিশালি ছোট মাছের সঙ্গে কোরাল, তাইল্যা, গুইজ্জা, মাইট্টাসহ কয়েকটি ইলিশও পেয়েছেন। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে তাঁরা ঘাটে ফিরে খালাসের পর আবারও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
জেলে ও ট্রলারমালিকেরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে নামা যায়নি। এখন সাগর শান্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ির পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এসেছেন ইলিশ মাছ কিনতে। ইলিশ না পেয়ে তিনি বড় আকারের সামুদ্রিক কোরাল, তাইল্যা, পোপা, রুপচাঁদা ও মাইট্টা মাছ কিনে ট্রাকভর্তি করছেন। তিনি বলেন, ‘অল্পস্বল্প ইলিশ এসেছে। তবে দাম চড়া, আকারও ছোট। খালি হাতে ফিরে না গিয়ে অন্য মাছ নিয়ে যাচ্ছি।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ইলিশ ধরার বড় ও মাঝারি ট্রলারগুলো ফিরতে আরও অন্তত তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। এতে ইলিশের সরবরাহ কম।
এ বছর ভর মৌসুমে সাগর উত্তাল ছিল জানিয়ে ট্রলারমালিক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এ কারণে সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারেননি জেলেরা। অধিকাংশ ট্রলারমালিককে লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন শান্ত সাগরে ইলিশ ও বড় সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়বে।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সময়ে মাছ ধরায় ৬৫ ও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এর সুফল ভোগ করতে পারছেন জেলে ও ট্রলারমালিকেরা। কারণ, সাগরে এখন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আকারে যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে।’
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতের পর সাগরে যান জেলেরা। আশা ছিল, ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরবেন। তবে জালে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়লেও রুপালি ইলিশের দেখা এখনো তেমন মেলেনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইলিশ ধরার বড় ও মাঝারি ট্রলারগুলো ফিরতে আরও অন্তত তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। এতে ইলিশের সরবরাহ কম।
মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের কাছ থেকে জানা গেছে, তিন-চার দিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন ঘাটে মাছভর্তি ট্রলার ফিরতে শুরু করেছে। এসব ট্রলারে পাঁচমিশালি মাছের আধিক্য বেশি। কিছু ট্রলার লাল পোপা, কালো পোপা, মাইট্টা, চামিলা, রুপচাঁদা, টেকচাঁদা, কালো চান্দা, তাইল্যা, সামুদ্রিক কোরাল, চিংড়ি, ছুরি, গুইজ্জাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ছে। তবে কিছু কিছু ট্রলারে কয়েকটি করে ইলিশ মাছও আসছে।
৩ নভেম্বর মধ্যরাতের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় ট্রলার নিয়ে সাগরে নেমেছেন জেলেরা। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ট্রলার কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনার নুনিয়ারছটা ৬ নম্বর ঘাটে মাছ নিয়ে ভিড়তেও শুরু করেছে। মাছভর্তি এসব ট্রলার তিন বা চার দিনের প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে গিয়ে ফিরছে।
কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ফিশারি ঘাটে গতকাল শনিবার দেখা যায়, দীর্ঘদিন পর এই ঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলেরা বাঁকখালীর নদী মোহনায় ট্রলার ভেড়াতেই ছোট ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে অবতরণকেন্দ্রের ঘাটে আনা হচ্ছে মাছগুলো। এরপর সেখান থেকে ঝুড়ি ও লাই ভরে শ্রমিকেরা মাছ খালাসে নেমে পড়ছেন।
এফবি ফয়সাল নামের ট্রলারের মাঝি আইয়ুব আলী বলেন, তিন দিনের রসদ নিয়ে তাঁরা ১০ জন মাঝি-মাল্লা বঙ্গোপসাগরের ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে জাল ফেলেন। এতে পাঁচমিশালি ছোট মাছের সঙ্গে কোরাল, তাইল্যা, গুইজ্জা, মাইট্টাসহ কয়েকটি ইলিশও পেয়েছেন। ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে তাঁরা ঘাটে ফিরে খালাসের পর আবারও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
জেলে ও ট্রলারমালিকেরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে নামা যায়নি। এখন সাগর শান্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ির পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এসেছেন ইলিশ মাছ কিনতে। ইলিশ না পেয়ে তিনি বড় আকারের সামুদ্রিক কোরাল, তাইল্যা, পোপা, রুপচাঁদা ও মাইট্টা মাছ কিনে ট্রাকভর্তি করছেন। তিনি বলেন, ‘অল্পস্বল্প ইলিশ এসেছে। তবে দাম চড়া, আকারও ছোট। খালি হাতে ফিরে না গিয়ে অন্য মাছ নিয়ে যাচ্ছি।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ইলিশ ধরার বড় ও মাঝারি ট্রলারগুলো ফিরতে আরও অন্তত তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে। এতে ইলিশের সরবরাহ কম।
এ বছর ভর মৌসুমে সাগর উত্তাল ছিল জানিয়ে ট্রলারমালিক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘এ কারণে সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারেননি জেলেরা। অধিকাংশ ট্রলারমালিককে লোকসান গুনতে হয়েছে। এখন শান্ত সাগরে ইলিশ ও বড় সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়বে।’
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সময়ে মাছ ধরায় ৬৫ ও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এর সুফল ভোগ করতে পারছেন জেলে ও ট্রলারমালিকেরা। কারণ, সাগরে এখন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আকারে যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরে অফডকগুলোয় যখন-তখন কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাইম মুভার শ্রমিকেরা। এতে থেমে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানির চাকা। এদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৮ মের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের সব বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।
২৭ মিনিট আগেনীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে পাথর। দুই মাস ধরে চলছে অবৈধভাবে পাথর তোলার এই মহোৎসব। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তুলে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
৩১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অশান্ত হয়ে পড়েছে যমুনা। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি। জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলেও আটকানো যাচ্ছে না নদীর রুদ্ররূপ।
৩৫ মিনিট আগেদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক তৈরির জন্য নেই বিশেষায়িত কোনো সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল। এই অভাব দূর করার জন্য সরকার ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প নেয়...
৩৮ মিনিট আগে