Ajker Patrika

তদন্তে জানা গেল তাঁরা সবাই রোহিঙ্গা

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২২, ১১: ৪৭
তদন্তে জানা গেল তাঁরা সবাই রোহিঙ্গা

২০১৮ সালের মার্চ মাসের শুরুর দিকের ঘটনা। কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আবু নঈমের অফিসে পাসপোর্টের জন্য আটটি আবেদন আসে। প্রতিটি আবেদনের সঙ্গে ছিল পুলিশের ইতিবাচক প্রতিবেদন। তবু সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। ফলে আবেদনগুলো স্থগিত রেখে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কক্সবাজারের পুলিশ বিভাগে। পরে কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের তদন্তে বেরিয়ে আসে, পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী এই আটজনের সবাই রোহিঙ্গা।

শুধু এই আটজন নন, বিভিন্ন সময়ে এ রকম শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক প্রতিবেদন বলছে, ১৫৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে একটি সিন্ডিকেট। শুধু কক্সবাজার নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পাড়িও জমিয়েছেন। এ কাজে তাঁদের সহায়তা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী ও পুলিশ। 
দুদকের অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহবশত আবেদন স্থগিত হওয়া আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কক্সবাজার সদর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) দ্বীন মোহাম্মদ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো আবেদনকারী তাতে সাড়া দেননি। পুলিশ খুঁজেও পায়নি। আর তাঁদের পাসপোর্টের আবেদনে সত্যয়নকারী ইউপি চেয়ারম্যানরা দাবি করেছেন, আবেদনপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর তাঁদের নয়।

এসব আবেদনের আরেক সত্যয়নকারী ছিলেন নোটারি পাবলিক অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র মিত্র। তিনি বলেন, স্থানীয়রা তাঁর কাছে এসব আবেদন নিয়ে আসার কারণে তিনি তা সত্যায়ন করেছেন। ভবিষ্যতে আর পাসপোর্টের আবেদনে সত্যায়ন করবেন না বলেও জানান এই আইনজীবী।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাইয়ে দিতে সহযোগিতার অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি মোট ৭২ জন। এর মধ্যে ৩৬ জন রোহিঙ্গা। বাকিরা সবাই জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী ও বিভিন্ন দপ্তরের জন্মনিবন্ধন কর্মচারী। এই ১৩টি মামলার মধ্যে পাঁচটির বাদী ছিলেন দুদকের সদ্য চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। চারটি মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম এবং বাকি চার মামলার বাদী আরেক সহকারী পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। 
দুদকের অনুসন্ধানে রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার পেছনে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, এর মধ্যে পুলিশের ছয়জন কর্মকর্তা, ১০ জন জনপ্রতিনিধি, একজন নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন অফিসের চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দুই আইনজীবী রয়েছেন।

অভিযুক্ত সাত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন পুলিশ পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম (সাবেক ডিআইও), এএসআই জাহিদুল ইসলাম, এএসআই সাজেদুর রহমান, পরিদর্শক প্রভাষ চন্দ্র ধর, পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন। তাঁদের মধ্যে মিজানুর রহমান, দিদারুল আলম ও জাহিদুল ইসলামকে দুদক একাধিক মামলায় আসামি করেছে। আইনজীবীদের মধ্যে কক্সবাজারের নোটারি পাবলিক ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আরেক আইনজীবী রাখাল চন্দ্র মিত্র ক্ষমা চেয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের পরিদর্শক প্রভাষ চন্দ্র বলেন, ‘এএসআই সাজেদুর রহমানের পাসপোর্টের ভুল প্রতিবেদনের কারণে আমাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। পুলিশ বিভাগ থেকে তদন্ত করে রোহিঙ্গা নারী নুরুন্নাহার বেগমের পাসপোর্ট বাতিলসহ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ দুদকের মামলায় অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেল, কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সালাউদ্দিন, কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) সাবেক কাউন্সিলর হুমায়রা বেগম, কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার সংরক্ষিত (১০, ১১, ১২) ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার, কক্সবাজারের ঈদগাঁ উপজেলার ৩ নম্বর ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর সিদ্দিক ও ২ নম্বর পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহাম্মদ। তাঁদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার ও অফিস সহকারী দিদারুল আলমকে গত বছরের ২৮ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহামদ বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, এখানকার বাসিন্দাদের পাসপোর্টের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করি। এরা এখানে অনেক বছর ধরে বসবাস করে। পরে জানা যায়, তাঁরা অনেকে রোহিঙ্গা নাগরিক।’ সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোন ইউনিয়নের সচিব প্রিয়তোষ দে, কক্সবাজার পৌরসভার অফিস সহকারী দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী সুমন কান্তি গুপ্ত, কক্সবাজার জেলার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা (বর্তমানে কুমিল্লার অঞ্চলিক কর্মকর্তা) মোজাম্মেল হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে দুদকের মামলায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মামলায় অভিযুক্ত কক্সবাজারের সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি, আমি একটা তদন্ত করেছি, দুদকের পছন্দ হয়নি, তাই আমাকে আসামি করা হয়েছে।’ দুদকের মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি নোটারি পাবলিক হিসেবে শুধু সত্যায়ন করেছি। কোনো অন্যায় করিনি।’

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট হাতে দেওয়ার ঘটনায় কয়েকটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। মামলাগুলো এখন কোন অবস্থায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তের প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কক্সবাজারে যাই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৬
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।

নাটোরের বড়াইগ্রামে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কাভার্ড ভ্যানের চালক সোহাগ হোসেন (৩০) এবং যাত্রী বিপ্লব হোসেন (৩৫)। আজ মঙ্গলবার সকালে মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ নলডাঙ্গা উপজেলার বেলঘড়িয়া এলাকার ফরজ আলীর ছেলে। অন্যদিকে নিহত বিপ্লব টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চৌবাড়িয়ার ওহেদ আলীর ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, সকাল ৬টার দিকে নাটোর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক মানিকপুর এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। একই দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও যাত্রী নিহত হন। ওসি আরও বলেন, লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ও আইনগত বিষয় চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।
মনোনয়নপত্রের ফরম সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত তা জমা দেননি বিএনপির বিদ্রোহী নেতারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির চার বিদ্রোহী নেতা। তবে ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দেওয়ার শেষ দিন সোমবার পর্যন্ত তা জমা দেননি তাঁরা। ফলে এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে থাকছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত এক প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ১০ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৫ জন।

মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন বুয়েটের আহসানুল্লাহ হল সংসদের সাবেক ভিপি ও সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম তুহিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি ও বিএনপি নেতা সাহাফুজ আলম অপু। এ ছাড়াও এনসিপি মনোনীত প্রার্থী ও এনসিপির জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হুদা খান রুবেল মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

এই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, বিএনপির প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির মুহা. খুরশিদ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. সাদেকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের মো. ইব্রাহিম খলিল।

দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, ‘দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত যেহেতু পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

মনোনয়ন না পাওয়া আরেক বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়নি, তাই মনোনয়নপত্র জমা দিইনি।’

এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বদলের দাবিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারা এককাট্টা হয়ে অন্তত ১২ বার মশাল মিছিল, মতবিনিময় ও আলোচনা সভা, রেলপথ অবরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের চালক নিহত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেলের চালক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানার কর্মী বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

জানা গেছে, সকাল সোয়া ৭টার দিকে সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহাসড়কের ধীরগতির লেন দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। মহাসড়কের দেওহাটা ফ্লাইওভারের কাছে পৌঁছালে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা আলোকিত মধুপুর নামে যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক ছেড়ে ধীরগতির লেনে ঢুকে পড়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত হন।

দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন জানান, নিহত ব্যক্তি গোড়াই সাউথ ইস্ট কারখানায় চাকরি করতেন বলে জানতে পেরেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪০
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানায় সহকর্মীর গুলিতে বজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামের এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৭টায় উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় লাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আনসার সদস্য বজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের পবিত্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। দুজনই সুলতানা সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানাটিতে ২০ জন আনসার সদস্য কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসেছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগান থেকে গুলি বের হলে বজেন্দ্র দাসের বাঁ ঊরুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত