Ajker Patrika

বাবুল আক্তারের করা দুটি আবেদনই খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ১৮
বাবুল আক্তারের করা দুটি আবেদনই খারিজ

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়। 

এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি। 

মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী। 

এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।  

মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।

বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।

এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

 ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত। 

বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।

গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেনীর গর্ব খালেদার মৃত্যুতে শোকে আচ্ছন্ন জনপদ

ফেনী প্রতিনিধি
ফুলগাজীর দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফুলগাজীর দৌলতপুরে খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পৈতৃক জেলা ফেনীতে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফুলগাজীর দৌলতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে ভিড় করেন স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যায়ে আর কেউ পৌঁছাতে পারেননি। বেগম খালেদা জিয়া প্রথম কর্মসূচিতে ফেনীতে এসে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এরপরও বহুবার এসেছেন। এই শোক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রীর অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।’

বিএনপি নেতা মোশাররফ চৌধুরী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা ফেনীবাসী সব সময় গর্ব করেছি। “ফেনীর মেয়ে খালেদা, গর্ব মোদের আলাদা” এই স্লোগানটি রাজনৈতিক অঙ্গনে অনন্য মাত্রা দিয়েছিল। তার চলে যাওয়ায় আজ সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’

খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, ‘এই বাড়ির সঙ্গে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা আশা করছিলাম, সুস্থ হয়ে আবারও তিনি এখানে ফিরবেন। কিন্তু আজকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ সবকিছু চিরদিনের জন্য ম্লান করে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে তাঁর পক্ষে গতকাল নেতা-কর্মীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

জাবি প্রতিনিধি 
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক প্রকাশ করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক প্রকাশ করে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে কালো ব্যাজ ধারণ করে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সংগঠনটির শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শুধু একটি দলেরই নয়, বরং তিনি গোটা দেশের অভিভাবকে পরিণত হয়েছেন। তিনি যেভাবে আপসহীন নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, সেটা তাঁকে এই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় করে রাখবে।

কর্মসূচি চলাকালে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমাদের জাতির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন মৃদুভাষী, সহনশীল ও মানবিক একজন মানুষ। গত ১৬ বছরে তাঁর ওপর বহু নির্যাতন ও অবিচার হলেও তিনি কখনো কারও প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেননি।’

শামছুল আলম আরও বলেন, ‘তিনি তাঁর প্রিয় বাসা থেকে উৎখাত হয়েও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেননি; দেশকেই তিনি ভালোবেসেছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।’

এ সময় সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’

ড. মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘দুঃসংবাদ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করেছে এবং কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে শোক পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাফরুহী সাত্তারসহ আরও অনেকে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি  
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২০
মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।

গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’

শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত