Ajker Patrika

সাবরেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি, সীতাকুণ্ডে দলিল লেখকদের কলম বিরতি

প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) 
সীতাকুণ্ডে দলিল লেখক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সীতাকুণ্ডে দলিল লেখক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাবরেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিতে রোববার থেকে কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছে দলিল লেখক সমিতি। আজ শনিবার উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ কামাল। তিনি বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব সীতাকুণ্ডে আসার পর থেকে দলিল লেখকদের সঙ্গে মতানৈক্যের সূত্রপাত হয়। তিনি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিমূলে (পণ মূল্য ব্যতীত) কবলার সম্পত্তি ভেঙে বিক্রির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ফি দলিলের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত ৭% পে-অর্ডার সংযুক্ত করেন।

দেশের কোথাও এ ধরনের নিয়ম চালু না থাকলেও ঘুষ বাণিজ্য চালাতে মনগড়া এ নিয়ম চালু করেন তিনি। যা নিয়ে দলিল লেখকদের সঙ্গে একাধিকবার তার মতৈক্যের সূত্রপাত হয়।’

সাইফুল্লাহ কামাল বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর ওয়ারিশ সূত্রে দলিল রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে হেনস্তার শিকার হন দলিল লেখক হারুন অর রশিদ। এ সময় তার কাছে দলিল রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত টাকাও দাবি করা হয়। তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অফিস কর্মকর্তা টিসি মোহরার শহীদুল্লাহ তার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সাবরেজিস্ট্রার দলিল লেখক হারুনুর রশিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। তিনি কারণ দর্শানোর জবাব প্রদান করলেও কমেনি তার ওপর সাবরেজিস্ট্রারের অসন্তোষ।’ তিনি অবিলম্বে এ সাবরেজিস্ট্রারকে অপসারণ না করা হলে রোববার থেকে কলম বিরতি পালনের ঘোষণা দেন।

এ সময় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. রফিক উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, দলিল লেখক বেলাল আহমেদ, ফারুক হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন সাহেদ, মোস্তাফিজুল হাকিম, জাহেদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সাহাব উদ্দিন মো. সুজন, নিপুন কুমার সেন প্রমুখ।

এদিকে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন সাব রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, সংবাদ সম্মেলনে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বর্তমান গেজেট অনুসারে পাওয়ার অব অ্যাটর্নিমূলে কেনা জায়গা ব্যবসার মানসে ভেঙে বিক্রি করলে সরকারি রেজিস্ট্রি মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত ৭% উৎস কর এ অর্ডার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা দলিল লেখকেরা মানতে রাজি নন। তারা গেজেটের বাইরে অনৈতিক পন্থায় দলিল রেজিস্ট্রি করতে তাকে চাপাচাপি করেন।

তিনি তাতে সম্মত না হওয়ায় দলিল লেখকেরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। সম্প্রতি দলিল লেখক হারুনুর রশিদ অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে এমন একটি দলিল রেজিস্ট্রির চেষ্টা করেন। তার দাবি মতে দলিলটি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়া সে বহিরাগত কিছু লোক এনে আমার ওপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা চালায় এবং আমাকে এখান থেকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ারও হুমকি দেয়।

তিনি আরও জানান, দলিল লেখক হারুন যে দলিলটি নিয়ে এসেছিল তা তার মুসাবিদাকৃত নয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় তার কাছে নিয়ে আসা দলিলটি আইনজীবীর মুসাবিদাকৃত ছিল। নিবন্ধন আইনের আলোকে দলিলটি পুনরায় উপস্থাপন করতে বললে তিনি বহিরাগত লোক নিয়ে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

তিনি ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি অশালীন আচরণ করা দলিল লেখককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। তার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিমলায় বুড়ি তিস্তা খনন নিয়ে সংঘর্ষ, আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলায় বুড়ি তিস্তা জলাধার খনন প্রকল্পকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বিরোধ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর চালিয়েছে।

ডিমলার কুটির ডাংগা ও জলঢাকার বড়পুল এলাকায় বুধবার বিকেলে পাউবো জলাধার খনন শুরু করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন উপস্থিত থাকলেও ক্ষুব্ধ জনতা আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো ধরনের জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে খননকাজ শুরু করা হয়েছে। এতে হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কায় পড়েছে। পাশাপাশি বিস্তীর্ণ আবাদি জমি ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের জমি নেওয়ার কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। হঠাৎ মেশিন এনে জমি খনন করছে। আমরা কোথায় যাব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, দেশে রাষ্ট্রীয় শোক চলমান থাকায় আগামী তিন দিনের জন্য খননকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও কেন কাজ শুরু হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’

সংঘর্ষের পর এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করলেও ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার ফোন ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালরের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

নিহত ছাত্রীর নাম লামিসা নওরিন পুষ্পিতা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে আশপাশের রুমের ছাত্রীরা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে রামেক হাসপাতালে পাঠালে কিছু সময় পর তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। একটি আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। মতিহার থানার ওসি আমাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা তাঁর পরিবারকে জানিয়েছি। তাঁর অভিভাবক আসার পর আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জেলহাজতে অসুস্থ আ.লীগ নেতার শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শফিকুল আলম বাবুল খান । ছবি: সংগৃহীত
শফিকুল আলম বাবুল খান । ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী কারাগারে থাকা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল খান (৫৫)। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই দিনই সন্ধ্যার পর তিনি পটুয়াখালী কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

শফিকুল আলম বাবুল খান পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে বাবুল খানকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি পটুয়াখালী জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন।

গতকাল সন্ধ্যার দিকে জেলহাজতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকেরা জানান, তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে।

নিহত শফিকুল আলমের ছোট ভাই মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বসির খান বলেন, মরহুমের প্রথম জানাজা আজ বাদ মাগরিব কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদারীপুরে ঘরে ঢুকে যুবককে গলা কেটে হত্যা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুর সদরের কুনিয়ারহাট এলাকায় ঘরে ঢুকে জাহিদ শেখ (৪০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ একই এলাকার জবেদ শেখের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিকমিস্ত্রি। অপর দিকে আটক সজিব শেখ আব্দুল্লাহ রাজৈর উপজেলার বাজিতপুরের মাচ্চর গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে নিজ ঘরে কাজ করছিলেন জাহিদ শেখ। এ সময় হঠাৎ সজিব শেখ নামের এক যুবক তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জাহিদকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা সজিবকে ধাওয়া করে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ নিহত জাহিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবারের লোকজন।

মীর জামাল সরদার নামের নিহত জাহিদের এক স্বজন বলেন, ‘কী কারণে জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা আমরা জানি না। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

নিহত জাহিদের মামা মোয়াজ্জেম মাতুব্বর বলেন, ‘ঘরে কাজ করা অবস্থায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে আমার ভাগনেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফারিহা রফিক ভাবনা বলেন, ইলেকট্রিকমিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক সজিব শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার কারণ ও ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত