Ajker Patrika

চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে মারধর, মায়েদের ‘নাকে খত’ দেওয়ালেন বিএনপি নেতা

মো. সাহাব উদ্দিন, ফেনী
আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ১৯: ২৯
মায়েদের নাকে খত। ছবি: সংগৃহীত
মায়েদের নাকে খত। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামে হাঁস ও কবুতর চুরির অভিযোগ তুলে দুই কিশোরকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মায়েদের ‘নাকে খত’ দিয়ে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে ইউনিয়নের ‘খালুর দোকান’ নামক স্থানে এক সালিস বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলু।

ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, দেলোয়ার হোসেন দেলু লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং কিশোরদের মা দুই নারী নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইছেন। অন্য এক অংশে কিশোরদের লাঠি দিয়ে আঘাত করার দৃশ্যও দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন আগে স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি থেকে হাঁস ও কবুতর চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাকিব ও তার বন্ধু রিফাতকে সন্দেহ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সালিস ডাকা হয়।

সেই সালিস বৈঠকে দুই কিশোর ও তাদের মায়েদের ডেকে আনা হয়। স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতিতে কিশোরদের মারধর করা হয়। পরে তাদের মায়েদের বলা হয়, সন্তানদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারার দায়ে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে।

রাকিবের মা বলেন, ‘আমার ছেলে যদি ভুল করে থাকে, তার বিচার হতে পারে। কিন্তু আমাকে সবার সামনে এভাবে অপমান করা হবে, তা কল্পনাও করিনি।’

রিফাতের মা বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। শুধু একজন মা হওয়ার কারণে আমাকে এত বড় অপমান সহ্য করতে হলো।’

সালিসের সভাপতি বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, ‘আমি কাউকে মারিনি। অভিযুক্ত কিশোরদের মায়েরা আমাদের কাছে আবদার করেছিলেন—বিষয়টি যেন সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়। তাঁরাই স্বেচ্ছায় নাকে খত দিয়েছেন।’

তবে এ ঘটনায় প্রশাসন ও মানবাধিকারকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা নাসরীন কান্তা বলেন, ‘নারীকে এভাবে হেনস্তা করার অধিকার কারও নেই। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ অভিযোগ করলে সেটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় দপ্তরের নির্দেশে তিনি তদন্ত করছেন। সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দেলোয়ার হোসেনের বিএনপির সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান।

মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, কিশোরদের শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং তাদের মায়েদের জনসমক্ষে অপমান করা আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ঘিরে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ফেসবুকে রাকিব নামে একজন লিখেছেন, ‘ছেলের দোষে মা কখনো দোষী হতে পারে না। ছেলের শাস্তি মা পেতে পারে না।’

শাহাদাত সাগর নামে একজন লেখেন, ‘গ্রাম্য সালিসের নামে একজন নিরপরাধ মাকে জনসম্মুখে নাকে খত দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

রিয়াজ উদ্দিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুধুমাত্র দেলু চেয়ারম্যান নয়, সালিসে আরও কিছু মানুষরূপী জানোয়ার ছিল। তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ঘের থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে মিলন শেখ (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পারনওয়াপাড়া গ্রামে নিজের ঘের থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো পারনওয়াপাড়া এলাকায় নিজের মাছের ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য যান মিলন। সকাল ১০টার পরেও বাড়িতে না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজ ঘেরের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার গভীর রাতে র‍্যাব-৫-এর রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি দল জেলার তানোর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালায়। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১২টি শটগানের গুলি, চারটি পাইপগান, ছয়টি চিকন পাইপসহ অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব এসব তথ্য জানায়। র‍্যাব জানায়, আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে চুনিয়াপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে গোয়ালঘরের পেছনে রান্নার লাকড়ির নিচে, একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে এবং জয়নালের বসতবাড়ির উত্তর পাশে খড়ি রাখার ঘরে খড়ির নিচে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে এসব অস্ত্র উদ্ধার হয়।

উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে অস্ত্রগুলোর উৎস বা মালিকানা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে র‍্যাব জানিয়েছে। তাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্রগুলো তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত