Ajker Patrika

হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী

প্রতিনিধি, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২১, ১০: ৪১
হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফারজানা ইয়াছমিন কলি (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী। গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।

ফারজানা ইয়াছমিন কলি উপজেলার চরম্বা মাইজবিলা এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এবং চরম্বা আতিয়ার পাড়ার প্রবাসী আজিজ মাস্টারের মেয়ে।

নিহতের চাচা মতিউর রহমান জানান, আড়াই বছর আগে মাইজবিলা এলাকার মৃত এনায়েত উল্লাহর ছেলে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাঁর ভাতিজির বিয়ে হয়। ভাতিজি আহত হয়েছেন খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখেন তাঁর মরদেহ। মরদেহ রেখে স্বামীসহ সবাই পালিয়ে যান। হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের শাশুড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে আটক করেন স্থানীয়রা।

নিহতের মা রিজিয়া বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁর মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিহতের শাশুড়ি রাজিয়া বেগম জানান, বাড়ির টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় পুত্রবধূকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে আশপাশ লোকজন এসে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখ মুহাম্মদ ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
 
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু ও লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার রহস্য তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

টেকনাফের লেদা ডেভেলপমেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানান, ক্যাম্পের এক বাসিন্দার ঘরে ফোনের চার্জার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ক্যাম্পের বাসিন্দারা আগুন নেভাতে কাজ করছে।

১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে গিয়াস কাদেরের আসনে গোলাম আকবরকেও মনোনয়ন বিএনপির

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
গিয়াস উদ্দিন কাদের (বাঁয়ে), গোলাম আকবর। ছবি: সংগৃহীত
গিয়াস উদ্দিন কাদের (বাঁয়ে), গোলাম আকবর। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপি হেভিওয়েট নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে এটি জানানো হয়।

একই আসনে ৪ ডিসেম্বর দলীয় প্রার্থী হিসেবে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন।

তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনো রকম ঘোষণা না দিয়ে শেষ মুহূর্তে ওই আসনে আরেক নেতাকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। তবে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন, পরে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে যদিও প্রার্থী ঘোষণার আগে গোলাম আকবর খোন্দকার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

অপর দিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী জানান, রাউজানে আরেকজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া কিংবা তাঁকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে দলীয়ভাবে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি।

গিয়াস উদ্দিন কাদের বলেন, ‘আমার জানামতে, আমিই রাউজানে বিএনপির প্রার্থী। কারণ, হাইকমান্ড প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে, আমি টাকা জমা দিয়েছি, এরপর মনোনয়নের চিঠি পেয়েছি। এরপর আমি যথারীতি ইলেকশন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছি।

‘ইনশা আল্লাহ আগামীকাল (সোমবার) রাউজানে সেটা আমি জমা দেব। আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বা অন্য কাউকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে কি না, আমি জানি না। কারণ, আমাকে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। খুব সম্ভবত অলটারনেটিভ হিসেবে আরেকজনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাউজান আসনে দুজনকেই মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত উভয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে থাকবেন। প্রত্যাহারের সময় একজনকে চূড়ান্ত করে আরেকজনকে প্রত্যাহার করতে বলা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সালের সহযোগী কবির রিমান্ড শেষে কারাগারে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৬
গ্রেপ্তার কবির । ফাইল ছবি
গ্রেপ্তার কবির । ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৩ ডিসেম্বর কবিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গ্রেপ্তার কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন।

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ডে ৬

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ফাইল ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত