মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।
চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তাঁর বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি এক জেলা প্রশাসক। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয়েছিল ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।
৫ আগস্টের পর দীপু মনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।
দীপু মনির সাম্রাজ্যে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে দমন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিগত দেড় দশকে দীপু মনি ও তাঁর লোকদের হাতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি ও ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের (আওয়ামী লীগের) লোকজনও রক্ষা পাননি। জুলুম ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের জবাব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিরাপত্তাসহ এসব কারণে তাঁকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীপু মনির পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি। রাজধানীতে রাজনীতি করা দীপু মনি ২০০৮ সালের আগে চাঁদপুর সদরে এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘন ঘন বিদেশ সফরের কারণে সমালোচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব না পেলেও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তবে ২০১৮ সালে আবার মন্ত্রিত্ব পান, সেবার পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ফলে ক্ষমতার দাপটে হেরফের হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দীপু মনিকে সহযোগিতা করেন ওসমান গণি পাটওয়ারী। তবে ডা. টিপুর কাছে বেশি দিন টিকতে পারেননি ওসমান। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন ডা. টিপু। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের কিছু লোকসহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ হিসেবে পরিচিত লোকজন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান। যিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এই চক্রে আরও ছিলেন সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাইদুল ইসলাম বাবু ওরফে বিহারী বাবু। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বদলি-বাণিজ্যসহ শিক্ষকদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সেলিম খান পিটুনিতে ছেলেসহ নিহত হয়েছেন। বাকি অনুসারীরা আত্মগোপনে।
স্থানীয়রা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় চাঁদপুরের জন্য বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমঝোতা না হওয়ায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষাসহ মেঘনা নদীর বাঁধ প্রকল্প, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে আছে ডা. টিপুর স্বার্থ হাসিল না হওয়া। এ ছাড়া তদবির, বদলি, ঘুষ-বাণিজ্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ নেওয়ার দায়িত্বও ছিল টিপুর।
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: স্থানীয়রা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ‘টাকার মেশিন’ ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিহত সেলিম খান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। তাঁকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচার পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের বালুমহাল থেকে কয়েক শ কোটি টাকা ভাগ পেয়েছেন দীপু মনি ও তাঁর ভাই টিপু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কোষাগারে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকার সমালোচনা করে একই মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনিও পদচ্যুত হন।
এ প্রসঙ্গে ড. মনজুর আহমেদ পরে চাঁদপুরে এসে বলেছিলেন, ‘মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তাদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে আমি মন্তব্য করেছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি আমার পদ হারাই।’
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ: চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এর কার্যক্রম চলছে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার শহরতলির ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় জমি পরিদর্শন করা হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ দীপু মনির লোকজনের লোপাটের নীলনকশা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কায় প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নিজগাছতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম পাঠান বলেন, নির্বাচনের আগে দীপু মনি বিভিন্ন ওয়াদা করতেন; কিন্তু সেগুলো রাখেননি। মেডিকেল কলেজ হয়নি। সরকার অধিগ্রহণ করবে এটা ভেবে ৩০ একর জমির মালিক কয়েক বছর জমিগুলোতে আবাদ করেননি। দীপু মনির লোকজন লুটপাট ও লাভের আশায় উন্নয়নকাজও বাধাগ্রস্ত করেছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনের পরও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দীপু মনির ঘনিষ্ঠদের অধিগ্রহণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানোর নীলনকশার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ডা. টিপু, সেলিম খানসহ দীপু মনির ঘনিষ্ঠরা প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েক গুণ বেশি দেখিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি পকেটে ভরতে কারসাজি করেছেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়; যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশ্য দীপু মনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শহরের খলিশাডুলির একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলছে।
জানা গেছে, ওই কারণে শহর রক্ষায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও ভেস্তে যায়।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী উপকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকার কালু খাঁন, মো. কাজল গাজী ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন। তাঁরা এখনো সম্পত্তি বুঝে পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দীপু মনির ভাইয়ের টিপু নগর: অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনির ক্ষমতার দাপটে তাঁর ভাই ডা. টিপু হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচরে ৪৮ একর খাসজমি দখল করে গড়ে তুলেছেন ‘টিপু নগর’। সেখানে আছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজিবাগান। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীপু মনি ওই জেলা প্রশাসককে নেত্রকোনায় বদলি করান।
আরও যত অভিযোগ: দীপু মনির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ রয়েছে, তদবির-বাণিজ্যের জন্য ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই তদবির-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। কেন্দ্রে থাকতেন ডা. টিপু। তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলেই ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াতের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেরও নিয়ন্ত্রণে ছিলেন টিপু।
আওয়ামী লীগে বিভক্তিতে দীপু মনি: চাঁদপুরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, নিজের স্বার্থে দীপু মনি জেলা আওয়ামী লীগকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশকে নিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই ছিলেন তাঁর চক্ষুশূল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে একজনের কারণে জেলা নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল। এটা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অতীতেও চাননি, এখনো চান না।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।
চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তাঁর বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি এক জেলা প্রশাসক। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয়েছিল ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।
৫ আগস্টের পর দীপু মনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।
দীপু মনির সাম্রাজ্যে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে দমন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিগত দেড় দশকে দীপু মনি ও তাঁর লোকদের হাতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি ও ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের (আওয়ামী লীগের) লোকজনও রক্ষা পাননি। জুলুম ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের জবাব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিরাপত্তাসহ এসব কারণে তাঁকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীপু মনির পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি। রাজধানীতে রাজনীতি করা দীপু মনি ২০০৮ সালের আগে চাঁদপুর সদরে এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘন ঘন বিদেশ সফরের কারণে সমালোচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব না পেলেও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তবে ২০১৮ সালে আবার মন্ত্রিত্ব পান, সেবার পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ফলে ক্ষমতার দাপটে হেরফের হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দীপু মনিকে সহযোগিতা করেন ওসমান গণি পাটওয়ারী। তবে ডা. টিপুর কাছে বেশি দিন টিকতে পারেননি ওসমান। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন ডা. টিপু। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের কিছু লোকসহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ হিসেবে পরিচিত লোকজন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান। যিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এই চক্রে আরও ছিলেন সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাইদুল ইসলাম বাবু ওরফে বিহারী বাবু। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বদলি-বাণিজ্যসহ শিক্ষকদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সেলিম খান পিটুনিতে ছেলেসহ নিহত হয়েছেন। বাকি অনুসারীরা আত্মগোপনে।
স্থানীয়রা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় চাঁদপুরের জন্য বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমঝোতা না হওয়ায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষাসহ মেঘনা নদীর বাঁধ প্রকল্প, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে আছে ডা. টিপুর স্বার্থ হাসিল না হওয়া। এ ছাড়া তদবির, বদলি, ঘুষ-বাণিজ্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ নেওয়ার দায়িত্বও ছিল টিপুর।
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: স্থানীয়রা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ‘টাকার মেশিন’ ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিহত সেলিম খান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। তাঁকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচার পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের বালুমহাল থেকে কয়েক শ কোটি টাকা ভাগ পেয়েছেন দীপু মনি ও তাঁর ভাই টিপু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কোষাগারে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকার সমালোচনা করে একই মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনিও পদচ্যুত হন।
এ প্রসঙ্গে ড. মনজুর আহমেদ পরে চাঁদপুরে এসে বলেছিলেন, ‘মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তাদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে আমি মন্তব্য করেছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি আমার পদ হারাই।’
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ: চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এর কার্যক্রম চলছে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার শহরতলির ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় জমি পরিদর্শন করা হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ দীপু মনির লোকজনের লোপাটের নীলনকশা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কায় প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
নিজগাছতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম পাঠান বলেন, নির্বাচনের আগে দীপু মনি বিভিন্ন ওয়াদা করতেন; কিন্তু সেগুলো রাখেননি। মেডিকেল কলেজ হয়নি। সরকার অধিগ্রহণ করবে এটা ভেবে ৩০ একর জমির মালিক কয়েক বছর জমিগুলোতে আবাদ করেননি। দীপু মনির লোকজন লুটপাট ও লাভের আশায় উন্নয়নকাজও বাধাগ্রস্ত করেছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনের পরও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দীপু মনির ঘনিষ্ঠদের অধিগ্রহণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানোর নীলনকশার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ডা. টিপু, সেলিম খানসহ দীপু মনির ঘনিষ্ঠরা প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েক গুণ বেশি দেখিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি পকেটে ভরতে কারসাজি করেছেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়; যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশ্য দীপু মনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শহরের খলিশাডুলির একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলছে।
জানা গেছে, ওই কারণে শহর রক্ষায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও ভেস্তে যায়।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী উপকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকার কালু খাঁন, মো. কাজল গাজী ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন। তাঁরা এখনো সম্পত্তি বুঝে পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দীপু মনির ভাইয়ের টিপু নগর: অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনির ক্ষমতার দাপটে তাঁর ভাই ডা. টিপু হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচরে ৪৮ একর খাসজমি দখল করে গড়ে তুলেছেন ‘টিপু নগর’। সেখানে আছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজিবাগান। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীপু মনি ওই জেলা প্রশাসককে নেত্রকোনায় বদলি করান।
আরও যত অভিযোগ: দীপু মনির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ রয়েছে, তদবির-বাণিজ্যের জন্য ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই তদবির-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। কেন্দ্রে থাকতেন ডা. টিপু। তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।
একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলেই ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াতের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেরও নিয়ন্ত্রণে ছিলেন টিপু।
আওয়ামী লীগে বিভক্তিতে দীপু মনি: চাঁদপুরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, নিজের স্বার্থে দীপু মনি জেলা আওয়ামী লীগকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশকে নিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই ছিলেন তাঁর চক্ষুশূল।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে একজনের কারণে জেলা নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল। এটা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অতীতেও চাননি, এখনো চান না।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৪ মিনিট আগে
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৩ ডিসেম্বর কবিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেলে কবিরকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৩ ডিসেম্বর কবিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর কবিরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার কবির পটুয়াখালী সদরের টিটকাটা এলাকার মৃত মোজাফফরের ছেলে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নবোদয় হাউজিং সোসাইটিতে বসবাস করেন।
শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদি মৃত্যুবরণ করার পর মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৪ মিনিট আগে
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।
শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া ছয়জন হলেন—শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা, মো. আমিনুর ওরফে দরজি আমিন, মো. শাফিয়ার রহমান ফকির, আছিয়া বেগম (পলাতক আসামি ও ওই মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আল আমিনের স্ত্রী), ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা। তাঁদের মধ্যে পুরুষদের ৭ দিন করে এবং নারী আসামিদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
হাসনাবাদের চার কক্ষের একটি একতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালিত উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় গত শুক্রবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের একাংশ ধসে পড়ে। আহত হন চারজন। পুলিশ সেখান থেকে ককটেল, রাসায়নিক, বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
ওই মাদ্রাসার পরিচালক শেখ আল আমিন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িটির একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ শনিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ছয়জনকে আজ আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আসমানী খাতুন এর আগেও জঙ্গিসম্পৃক্ততার অভিযোগে কারাগারে ছিলেন। শাহিনের বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে।
শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী এক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। স্বামী অপরাধ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁরা নির্দোষ। তাঁর (আছিয়ার) ভাইয়ের স্ত্রী আসমানী শুধু তাঁদের দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ মামলায় আসমানী খাতুন ছাড়া অন্য আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আসমানীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আগের মামলায় কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই আসমানী খাতুন খালাস পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে এই মামলায় রিমান্ডে নেওয়ার মতো উপাদান নেই। এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস।
৩১ মিনিট আগে
রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪৩ মিনিট আগেটাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলীকে পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার শর্তের ব্যত্যয় ঘটায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মধুপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলীকে দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি উভয় উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে জনসংযোগও করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণের সময় নির্বাচনী বিধিমালার শর্ত অনুসরণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে।
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস। এই জটিলতার কারণে মনোনয়নঝুঁকি এড়াতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আসনে অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলীকে পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার শর্তের ব্যত্যয় ঘটায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মধুপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলীকে দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি উভয় উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে জনসংযোগও করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণের সময় নির্বাচনী বিধিমালার শর্ত অনুসরণ করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে।
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস। এই জটিলতার কারণে মনোনয়নঝুঁকি এড়াতে নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৪ মিনিট আগে
রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া
৪৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৭৫৭ নম্বর বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘মৃত ওয়াং পিং লিউ একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার চীনে থাকে। গতকাল তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বিষয়টি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও মৃত ওয়াংয়ের ব্যবসায়িক পার্টনারকে জানান। এরপর বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’
এসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। জানতে পেরেছি, তাঁর ডায়াবেটিসহ আরও কিছু রোগ ছিল। তাঁর শরীরে কোনো জখম পাওয়া যায়নি। আমরা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আজ মৃত চীনা নাগরিকের স্বজনদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কেউ যোগাযোগ করেননি। দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, মৃত চীনা নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করতে চাইলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির নাম ওয়াং পিং লিউ। তিনি ঢাকায় কেমিক্যালের ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তাঁর মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার এলে তাদের চাওয়া অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের ২৩ নম্বর সড়কের ৭৫৭ নম্বর বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, ‘মৃত ওয়াং পিং লিউ একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার চীনে থাকে। গতকাল তাঁর স্ত্রী তাঁকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি বিষয়টি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও মৃত ওয়াংয়ের ব্যবসায়িক পার্টনারকে জানান। এরপর বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়িক পার্টনার ও পুলিশ গিয়ে তাঁকে একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।’
এসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘তিনি আগেই মারা গিয়েছিলেন। পরে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরাও জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এখনো জানা যায়নি। জানতে পেরেছি, তাঁর ডায়াবেটিসহ আরও কিছু রোগ ছিল। তাঁর শরীরে কোনো জখম পাওয়া যায়নি। আমরা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেখানেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে আমরা বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছি।’
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আজ মৃত চীনা নাগরিকের স্বজনদের ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কেউ যোগাযোগ করেননি। দূতাবাসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। স্বজনেরা এলে তাঁদের চাওয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক বলেন, মৃত চীনা নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করতে চাইলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু।
০৫ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
২২ মিনিট আগে
ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় ছয়জনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৪ মিনিট আগে
মধুপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল কাদির জানান, নির্বাচনী বিধিমালা অনুসারে সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবসরের তিন বছর সময় অতিবাহিত হতে হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. মোন্তাজ আলী মধুপুর সরকারি কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তফসিল ঘোষণার দিন পর্যন্ত তাঁর সময় হয়েছে ২ বছর ৭ মাস।
৩১ মিনিট আগে