Ajker Patrika

দীপুর সাম্রাজ্যে টিপুই সব

  • ৪৮ একর খাসজমিতে ভাই গড়েছেন ‘টিপু নগর’
  • অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সেলিম ছিলেন ‘টাকার মেশিন’
  • বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি জেলা প্রশাসকও
মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ১৫
দীপু মনি ও জে আর ওয়াদুদ টিপু। ছবি: সংগৃহীত
দীপু মনি ও জে আর ওয়াদুদ টিপু। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।

চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তাঁর বিরাগভাজন হয়ে টিকতে পারেননি এক জেলা প্রশাসক। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ হারাতে হয়েছিল ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।

৫ আগস্টের পর দীপু মনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।

দীপু মনির সাম্রাজ্যে ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলকে দমন, নিপীড়ন, হামলা ও মামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ও জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বিগত দেড় দশকে দীপু মনি ও তাঁর লোকদের হাতে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতা-কর্মী গায়েবি মামলার আসামি ও ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের (আওয়ামী লীগের) লোকজনও রক্ষা পাননি। জুলুম ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের জবাব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিরাপত্তাসহ এসব কারণে তাঁকে চাঁদপুরের আদালতে হাজির করা হচ্ছে না।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দীপু মনির পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের রাড়িরচর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ি। রাজধানীতে রাজনীতি করা দীপু মনি ২০০৮ সালের আগে চাঁদপুর সদরে এসে চিকিৎসাসেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পেয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘন ঘন বিদেশ সফরের কারণে সমালোচিত হন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিত্ব না পেলেও ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তবে ২০১৮ সালে আবার মন্ত্রিত্ব পান, সেবার পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর হয়েছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। ফলে ক্ষমতার দাপটে হেরফের হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

অভিযোগ রয়েছে, শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় দীপু মনিকে সহযোগিতা করেন ওসমান গণি পাটওয়ারী। তবে ডা. টিপুর কাছে বেশি দিন টিকতে পারেননি ওসমান। সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন ডা. টিপু। তাঁর সঙ্গী হন আওয়ামী লীগের কিছু লোকসহ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ হিসেবে পরিচিত লোকজন। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বালু উত্তোলনকারী সেলিম খান। যিনি ইউপি চেয়ারম্যানও ছিলেন। এই চক্রে আরও ছিলেন সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যাপারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাইদুল ইসলাম বাবু ওরফে বিহারী বাবু। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বদলি-বাণিজ্যসহ শিক্ষকদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। সেলিম খান পিটুনিতে ছেলেসহ নিহত হয়েছেন। বাকি অনুসারীরা আত্মগোপনে।

স্থানীয়রা বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় চাঁদপুরের জন্য বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এনেছেন। মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কিন্তু লুটপাট ও ভাগ-বাঁটোয়ারায় সমঝোতা না হওয়ায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষাসহ মেঘনা নদীর বাঁধ প্রকল্প, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে আছে ডা. টিপুর স্বার্থ হাসিল না হওয়া। এ ছাড়া তদবির, বদলি, ঘুষ-বাণিজ্য ও অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার ভাগ নেওয়ার দায়িত্বও ছিল টিপুর।

মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: স্থানীয়রা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির ‘টাকার মেশিন’ ছিলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিহত সেলিম খান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর হাত ধরেই উত্থান হয় সেলিম খানের। তিনি মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন। তাঁকে বারবার ডিও লেটার দিয়ে নির্বিচার পদ্মা-মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ করে দেন দীপু মনি।

অভিযোগ রয়েছে, সেলিম খানের বালুমহাল থেকে কয়েক শ কোটি টাকা ভাগ পেয়েছেন দীপু মনি ও তাঁর ভাই টিপু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ২৬৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কোষাগারে জমা দিতে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁকে বদলি হতে হয়েছে। দীপু মনির নাম উল্লেখ না করে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকার সমালোচনা করে একই মাসে বক্তব্য দিয়েছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনিও পদচ্যুত হন।

এ প্রসঙ্গে ড. মনজুর আহমেদ পরে চাঁদপুরে এসে বলেছিলেন, ‘মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তাদের সঙ্গে একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে বলে আমি মন্তব্য করেছিলাম। ওই ঘটনার পর আমি আমার পদ হারাই।’

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ: চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে এর কার্যক্রম চলছে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের একটি ভবনে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার শহরতলির ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় জমি পরিদর্শন করা হলেও জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই জমি অধিগ্রহণের অর্থ দীপু মনির লোকজনের লোপাটের নীলনকশা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কায় প্রকল্পই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

নিজগাছতলা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম পাঠান বলেন, নির্বাচনের আগে দীপু মনি বিভিন্ন ওয়াদা করতেন; কিন্তু সেগুলো রাখেননি। মেডিকেল কলেজ হয়নি। সরকার অধিগ্রহণ করবে এটা ভেবে ৩০ একর জমির মালিক কয়েক বছর জমিগুলোতে আবাদ করেননি। দীপু মনির লোকজন লুটপাট ও লাভের আশায় উন্নয়নকাজও বাধাগ্রস্ত করেছে।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনের পরও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে দীপু মনির ঘনিষ্ঠদের অধিগ্রহণের অর্থ নিজেদের পকেটে ঢোকানোর নীলনকশার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ডা. টিপু, সেলিম খানসহ দীপু মনির ঘনিষ্ঠরা প্রস্তাবিত জমির দাম কয়েক গুণ বেশি দেখিয়ে ৩৫৯ কোটি টাকা বাড়তি পকেটে ভরতে কারসাজি করেছেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠির সূত্র ধরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়; যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। অবশ্য দীপু মনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শহরের খলিশাডুলির একটি ভাড়া বাড়িতে অস্থায়ীভাবে চলছে।

জানা গেছে, ওই কারণে শহর রক্ষায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পও ভেস্তে যায়।

লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের মেঘনা নদী উপকূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত এলাকার কালু খাঁন, মো. কাজল গাজী ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় হবে বলে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করেন। তাঁরা এখনো সম্পত্তি বুঝে পাননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ তাঁদের সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দীপু মনির ভাইয়ের টিপু নগর: অভিযোগ রয়েছে, দীপু মনির ক্ষমতার দাপটে তাঁর ভাই ডা. টিপু হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের বাহেরচরে ৪৮ একর খাসজমি দখল করে গড়ে তুলেছেন ‘টিপু নগর’। সেখানে আছে মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার ও সবজিবাগান। বিষয়টি জানতে পেরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দীপু মনি ওই জেলা প্রশাসককে নেত্রকোনায় বদলি করান।

আরও যত অভিযোগ: দীপু মনির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ২০১৯ সালে তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর। অভিযোগ রয়েছে, তদবির-বাণিজ্যের জন্য ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মশিউর রহমানকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেন। এই তদবির-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতেন পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। কেন্দ্রে থাকতেন ডা. টিপু। তিনি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদায়ন, পদোন্নতি ও বদলি-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।

একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি। চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, টিপু ও রতন মজুমদারের মনমতো না হলেই ওই শিক্ষক হয়ে যেতেন বিএনপি-জামায়াতের। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলামবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে খাগড়াছড়ি বদলি করা হয়েছিল।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেরও নিয়ন্ত্রণে ছিলেন টিপু।

আওয়ামী লীগে বিভক্তিতে দীপু মনি: চাঁদপুরের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা অভিযোগ করেন, নিজের স্বার্থে দীপু মনি জেলা আওয়ামী লীগকে কয়েক ভাগে বিভক্ত করেছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাংশকে নিয়ে একক রাজত্ব কায়েম করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ প্রথম সারির প্রায় সব নেতাই ছিলেন তাঁর চক্ষুশূল।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে একজনের কারণে জেলা নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল। এটা সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি অতীতেও চাননি, এখনো চান না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপাচার্য ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আবাসন বৃত্তি নীতিমালার পুনর্বিন্যাস ও সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ভবন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘আস-সুন্নাহ মেধাবী প্রজেক্ট’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিসি ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) আন্দোলনকারীরা ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে থাকা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁরা আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার দাবি জানান।

‎বাংলা বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শফিক বলেন, ‘আমরা আস-সুন্নাহতে ফ্রিতে থাকি না, আমাদের কিছু নিদিষ্ট অর্থ দিতে হয়। আমাদের সিটটা অনিশ্চিত, যেকোনো সময় বের করে দিতে পারে। আমাদের বিশেষ বৃত্তি থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, তাই আমাদের এই আন্দোলন।’  

‎ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের তিন দফা দাবি না মানলে আমরা এখান থেকে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই দাবি না মানা হবে, আমরা এখানেই অবস্থান করব।’

‎শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হলো— ‎আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মেধাবী প্রজেক্টে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীর ন্যায় আবাসন বৃত্তি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা; আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না করে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ রাখার লক্ষ্যে সিলেকশন মানদণ্ডে আরোপিত ৭০% উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; রি-অ্যাডমিশনসংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।

‎এর আগে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশেষ বৃত্তি নীতিমালায় সংযোজিত অযৌক্তিক শর্তগুলোর সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন আস-সুন্নাহ প্রকল্পের শিক্ষার্থীরা। এরপর ১১ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আজ ভিসি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাঁরা।

‎উল্লেখ্য, ৮ ডিসেম্বর ‘বিশেষ বৃত্তি নীতিমালা-২০২৫’ অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে নিয়মিত পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের (স্নাতক চারটি ও স্নাতকোত্তর একটি) শিক্ষার্থীরা বৃত্তির জন্য যোগ্য হবেন। বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে অসচ্ছলতা, মেধা, শ্রেণি-উপস্থিতি ও ফলাফল। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাওয়া, সচ্ছল পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থাকা, শৃঙ্খলাভঙ্গ, পুনর্ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অযোগ্য হবেন বলে জানানো হয় নীতিমালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনাপোলে ভারতীয় ট্রাকে কোটি টাকার অবৈধ পণ্য

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা পণ্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ফেলে যাওয়া ভারতীয় ট্রাক আড়াই মাস পরে তল্লাশি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় ট্রাকটিতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আমদানিনিষিদ্ধ মেডিসিন, শাড়ি ও কসমেটিকস পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা পণ্যের বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটির সিলগালা ভেঙে তল্লাশি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তারা ট্রাকটি থামতে বললে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে ভারতীয় ট্রাকটি (নম্বর HR-3811248) ফেলে পালিয়ে যান চালক।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাকিবুর রহমান জানান, প্রাথমিক পরীক্ষণে গাড়ির ভেতর ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাজি (পটকা) পাওয়া গেছে।

অবৈধ পণ্যের চালানটি ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পণ্যটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, অবৈধ পণ্যের চালানের মালিক আমদানিকারক রাইস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।

সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাস্টমসের এক শ্রেণি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বেড়েছে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য আমদানি। অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পথে পণ্য পাচার। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপের খনন শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাসের ২০০ আবাসিক চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাসের ২০০ আবাসিক চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে একটি নতুন (২৮ নম্বর) গ্যাসকূপ খননের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। আজ সোমবার সদর উপজেলার সুহিলপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের সি লোকেশনে এ কূপ খননের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, কূপটির খনন শেষ হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে গ্যাসের সন্ধানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের সি লোকেশনে জরিপ চালানো হয়। পরে ২০২০ সালে ওই জরিপ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা নেয় জিএফসিএল। এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরে অবস্থিত কামতা গ্যাস ফিল্ডেও একটি কূপ খনন করা হবে।

তিতাস ও কামতা ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কূপগুলোর খনন শেষ হলে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদনে থাকা ২২টি কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিতাসের ২৮ নম্বর কূপটির খননকাজ করছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। খনন শেষ করতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। কাজ শেষ হলে কূপটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, তিতাস ও মেঘনা ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে প্রতারণা: মেইন স্টেজের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের কনসার্ট বাতিলের পরও টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ব্যারিস্টার আহসান হাবীব ভূঁইয়া প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী আহসান হাবীব ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তদন্ত সংস্থা ডিবিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘মেইন স্টেজ ইনক’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা কাজী রাফসান, ব্রিতি সাবরিনা খান, চলঘুরি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসিফ ইকবাল ও চেয়ারম্যান প্রমি ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল খান ও ব্রিতি সাবরিন খান অপর আসামিদের যোগসাজশে কনসার্ট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচারণা চালান এবং টিকিট বিক্রি শুরু করেন।

চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর ১ নম্বর আসামির দ্বারা পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলাম ঢাকায় লাইভ কনসার্ট করতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রথম দিকে অনুষ্ঠানস্থল প্রকাশ না করা হলেও পরে ওই পেজেই জানানো হয়, কনসার্টটি পূর্বাচল নিউটাউনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। ১ নম্বর আসামির এমন প্রচারণায় সংবাদটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

এ সময় ২ নম্বর আসামি ১ নম্বর আসামির বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাঁর ‘মারভেল’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত কনসার্টের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে থাকেন।

পরে নির্ধারিত সময়ে কনসার্ট না হওয়ায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চান। মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে কিছু অর্থ ফেরত দিলেও পরে একাধিক তারিখ ঘোষণা করেন। একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর ফেসবুকে জানানো হয়, সরকার থেকে কনসার্টের অনুমতি পাওয়া যায়নি এবং আগামী নির্বাচনের পর কনসার্টটি আয়োজন করা হবে।

এরপর বাদী আসামিদের কাছে টাকা ফেরত ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তবে আসামিরা ক্ষমা না চাওয়ায় তিনি এ মামলা করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, কনসার্ট বাতিলের পর আসামিরা মামলার অন্যান্য সাক্ষীর কাছ থেকে ৮৬ হাজার ৬৩২ টাকাসহ টিকিট কাটা বহু মানুষের অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পরে তাঁরা পাওনা অর্থ ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন, যা পরিকল্পিত প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের শামিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

সিঙ্গাপুর যাত্রার আগে হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল মেডিকেল বোর্ড

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত