নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদালত লাশ গুমের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই আদেশ দেন। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায় ও সম্পর্কে মামা-ভাগনে হন।
এর আগে ২০২০ সালের ২ অক্টোবরে নগরের আকবরশাহ থানাধীন হারবাতলী এলাকায় একটি ঝোপের ভেতর থেকে জেসমিন বেগম নামের এক নারী পোশাককর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় আকবরশাহ থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিহত জেসমিন বেগমের স্বামী মো. ফরহাদ ও চট্টগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ফরহাদ ও তাঁর মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
একই আদালত ওই নারীর লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আসামিদের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে রায়ের সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাঁরা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন জেসমিন। অন্যদিকে ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। বিয়ের পর সংসারের নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হলে তাঁকে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর খুনের পরিকল্পনা করেন ফরহাদ।
ওই দিন জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে তাঁকে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তাঁরা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে হত্যা করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তাঁরা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এই হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ আদালত এ রায় দিয়েছেন।
চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদালত লাশ গুমের ঘটনায় প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই আদেশ দেন। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায় ও সম্পর্কে মামা-ভাগনে হন।
এর আগে ২০২০ সালের ২ অক্টোবরে নগরের আকবরশাহ থানাধীন হারবাতলী এলাকায় একটি ঝোপের ভেতর থেকে জেসমিন বেগম নামের এক নারী পোশাককর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় আকবরশাহ থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিহত জেসমিন বেগমের স্বামী মো. ফরহাদ ও চট্টগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, মামলায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ফরহাদ ও তাঁর মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
একই আদালত ওই নারীর লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আসামিদের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে রায়ের সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাঁরা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন জেসমিন। অন্যদিকে ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। বিয়ের পর সংসারের নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হলে তাঁকে ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর খুনের পরিকল্পনা করেন ফরহাদ।
ওই দিন জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে তাঁকে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তাঁরা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে হত্যা করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তাঁরা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এই হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ আদালত এ রায় দিয়েছেন।
নেত্রকোনার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে মাদ্রাসাশিক্ষকসহ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ও গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৩০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চরবাটার ভূঁইয়ারহাট বাজারে অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভ্যানভর্তি এই মাছ জব্দ করে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়। পরে এসব মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেরোববার বিকেলে স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বহিরাগত ছেলেরা রিমনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা রিমনের পিঠে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিমনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা মদনে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে বজ্রপাতে আরাফাত (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
১ ঘণ্টা আগে