Ajker Patrika

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ৩৪
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন (২৯), মীর হোসেন (৩৭) ও আনোয়ার হোসেন (৪১; সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ (৩৬) ও মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫); ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিসু (২২); শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন; তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া এবং আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান (২৩); সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন (৪১); হাজি আ. সামাদের ছেলে আবুল কাশেম পিচ্চি কাশেম (৪২); মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার (৫৫); নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ (৩২) ও মো. সোহাগ (২৬); সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন (৩৫); সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ এবং মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু (৩৫)। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে সকাল ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালান আসামিরা। এ সময় তাঁরা চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে। 

এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। 

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটি চার্জ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টা থেকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তা সাময়িকভাবে শেষ করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী স্লোগানে কর্মসূচিস্থল মুখর হয়ে ওঠে।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীদের এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং অস্ত্র উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ কেন নেই—এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বিচার নিশ্চিত ও গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু না হবে, ততক্ষণ আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

আরও বক্তব্য দেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা, মুখ্য সংগঠক আনিসুর রহমান সজল, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবরার নাদিম ইতু, জনি বিশ্বাস, শাহ মো. আরাফাতসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘আমরা অনেকে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা আমাদের ছাড়বে না। আমাদের আর ঘরে ফেরা যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও ভাঙা হচ্ছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

নিজম্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভেঙেছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি আবারও ভাঙছে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তিন তলা বাড়িটির তৃতীয় তলার বিভিন্ন দেয়াল হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙছে বলে সরেজমিনে তারা।

আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় ‎সরজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৩০-৪০ জন যুবক ৩২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় অবস্থান করছে। ৮-১০টি হাতুড়ি দিয়ে এদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটির দেয়াল ভাঙছে। কেউ ইট নিচে ফেলছে, কেউ কেউ আবার স্লোগান দিচ্ছে।

এ সময়—‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আওয়ামী লীগের কেবলা, মুজিববাদের কেবলা; ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দেয়।

‎‎এ সময়, বাড়িটির পাশের ছয় তলা ভবনটিও ভাঙতে দেখা যায়। ভবনটির ছয় তলা, পাঁচ তলার দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে দেওয়া যায় কয়েকজনকে। ভবনটি জাদুঘর ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার পর থেকে কিছু বিক্ষুব্ধ লোকজন জড়ো হতে থাকে। এরপর ১০-১২টি হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা শুরু করে। ‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, আওয়ামী লীগ, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্টদের কেবলা এই বাড়ি। সেই বাড়ি আমরা গুঁড়িয়ে দেব। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে (শরিফ ওসমান) হাদি ইনসাফের লড়াই করেছে। হাদির খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।

‎‎মেহেদী হাসান নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি লড়াই করেছেন। তাকে যেন আমরা ভুলে না যাই। তার খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’

‎‎এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একদল লোকজন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে দশমিনায় গণঅধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিল

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আজ বেলা ১১টার দিকে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টার দিকে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ কালো পতাকা মিছিল করেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মিজানুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি লিয়ার হোসেন হাওলাদার, সহসভাপতি রফিক মহল্লাদার, সাধারণ সম্পাদক মিলন মিয়া, দশমিনা উপজেলা যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইমরান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।

কালো পতাকা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি বলেন, ‘স্বৈচার আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে পালালেও তাদের দোসর সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একজন জুলাই আন্দোলনের মহানায়ককে এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা মানে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার খুনিরা এই অপকর্মে লিপ্ত। গণঅধিকার পরিষদের স্পষ্ট কথা, খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

পরে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে দশমিনা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সীতাকুণ্ডে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকামুখী কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মো. জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া (৬৮) নামের এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নিহত জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখিল এলাকার বাসিন্দা এবং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের শুকলাল হাটের ভূঁইয়া মেটালের স্বত্বাধিকারী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে শুকলাল হাটের রাস্তা পারাপারের সময় তিনি কাভার্ড ভ্যানের নিচে চাপা পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর পার্কভিউ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাকির রাব্বানী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহত ব্যক্তির মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত