রাশেদ নিজাম, কুমিল্লা থেকে ফিরে

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
প্রশ্ন হলো, ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন কুমিল্লায় যা ঘটেছে, তা কি নিয়ন্ত্রণ করা যেত না? কে বা কারা সেই কাণ্ডের সূত্রপাত করল? ঘটনার পর গ্রেপ্তার ও মামলা হলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্তের অগ্রগতি মন্ত্রণালয়ে জানাচ্ছি।’ পুলিশ সুপার তাঁর দায়িত্বের জায়গা থেকে হয়তো ঠিকই বলছেন। কিন্তু দেশের মানুষ তো প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়?
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য, কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনানি চলছে। সাক্ষী অনেকেই কারাগারে থাকায় শুনানিতে সময় লাগছে। প্রতিবেদন জমা দিতে আমরা আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছি।’ যদিও গত শুক্রবার জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল, তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেবে কমিটি।
যা ঘটেছিল সেদিন
প্রত্যক্ষদর্শীরা সেদিনের যে বর্ণনা দিলেন, তাতে নানুয়া দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে কে পবিত্র কোরআন রেখেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। দিঘির পশ্চিম পাড়ে তিন দশক ধরে বাস করেন ষাটোর্ধ্ব চৌধুরী হাসানুজ্জামান। ঘটনার পরদিন দুপুরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মণ্ডপের সামনেই আলাপ হয় তাঁর সঙ্গে। বললেন, ‘পূজা এলেই এখানে মণ্ডপ হয়, স্থানীয় সবাই উৎসবমুখরভাবেই তাতে অংশ নেন।
গত দুই দশকে অন্তত এ বিষয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। আমরা বয়স্করা প্রতি সকালেই দিঘির পাড়ে হাঁটতে বের হই। ওই দিন বের হয়ে দেখি অনেক মানুষের জটলা। পবিত্র কোরআন পাওয়া নিয়ে সবাই কথা বলেছেন। কিন্তু কে রেখেছে, এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। পরে তো অনেক লোক এসে এখানে হামলার জন্য জড়ো হয়েছে, চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে অনেক।’
মণ্ডপের লাগোয়া নবনির্মিত বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ওই দিন সকালে প্রথম হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ দেখেছিলেন দুজন হিন্দু নারী। তাঁদের কাছ থেকে জেনে জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯-এ ফোন করেন রেজাউল করিম। যিনি নানুয়া দিঘির আশপাশেই থাকেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম পৌঁছে যান সেখানে। উদ্ধার করেন কোরআন শরিফ। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না করে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই মণ্ডপ ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরে এই মণ্ডপসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়।
নানুয়া দিঘির পাশেই বজ্রপুর এলাকায় থাকেন আকরাম উজ জামান চৌধুরী। এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ঘটনাস্থলেই সমাধান করে ফেলা যেত, যদি ফেসবুক লাইভটা না হতো। সেখানে পুরো বিষয়টি উসকানিমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সামনে এক ব্যক্তি এভাবে ফেসবুক লাইভে ধর্মীয় বিষয় প্রচার করলেও তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
ঘটনার দিন নানুয়া দিঘির পাড়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তামূলকব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ কিংবা প্রশাসন। ওই মণ্ডপ থেকে মিনিট তিনেকের দূরত্বে কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বাসা। তিনিও এসেছিলেন অনেক পরে। ঘটনার পর তাঁর বাসায় গিয়ে ডাকাডাকিও করেন স্থানীয় লোকজন।
মেয়র সাক্কু বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার পরেই চলে গেছি। ওসিসাব টেলিফোন করেছেন। বলেছি, আমাকে আধা ঘণ্টা সময় দেন। নয়টার মধ্যে ওখানে পৌঁছে গেছি আমি।’ মেয়র বলেন, ‘আমি যখন গেছি তখন ওখানে কেউ ছিল না। দেখি অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে। সবাই উত্তেজিত। ডিসি, ওসি কেউ ছিল না। সবার হাত ধরে বললাম, ‘আমি নিজে দায়িত্ব নিচ্ছি, আপনারা চলে যান, সবকিছু ঠিক থাকবে। তিনটা পর্যন্ত ছিলাম। পরে প্রশাসনের লোকজন আসেন।’
স্থানীয় কোনো মানুষ ওখানে ভাঙচুর করেনি জানিয়ে মেয়র সাক্কু বলেন, ‘টোকাই গোছের একদল উচ্ছৃঙ্খল ছেলে সেখানে উপস্থিত ছিল। কেউ কারও কথা শুনছিল না। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সিটি করপোরেশন থেকে প্রায় ৭০ জনের মতো লোক স্পটে নিয়ে আসি।’ কাউকে চিনতে পেরেছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নওয়াববাড়ি, তেইল্লা পুকুর পাড়, মুরাদপুর—এসব এলাকা থেকে লোকজন এসেছিল। শহরের কেউ না, ইউনিয়ন থেকে জমায়েত হয়ে তারা শহরে ঢুকেছে।
মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু বলেন, ‘নানুয়া দিঘির ঘটনার পরেই আমাদের পক্ষ থেকে বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। সময়মতো যদি উদ্যোগ নেওয়া হতো, তাহলে মন্দিরগুলো রক্ষা পেত। মানুষের জানমালের ক্ষতি হতো না।’
যেভাবে হামলার শুরু
১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে সাতটার কিছু পরে নানুয়া দিঘির পাড় থেকে ওসি চলে যান। তিনি কোনো আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি। কিন্তু ফেসবুক লাইভের কারণে বিষয়টি তখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। সকাল ১০টার দিকে কিছু লোক জড়ো হয়ে নানুয়ার দিঘির পাড়ের মণ্ডপে হামলা করে। সেটিতে সফল হয়ে তারা আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় চকবাজার। সেখানে অন্যতম বড় মন্দির চানমনি কালীবাড়ি। বেলা ১১টার দিকে এক দফা হামলার চেষ্টা হয় সেখানে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে সফল হতে পারেনি হামলাকারীরা। তবে বেলা ৩টার দিকে তারা আবার ফিরে আসে এবং মই দিয়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পূজামণ্ডপ জ্বালিয়ে দেয়। ওই মণ্ডপের সামনে কথা হয় কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে। নিরাপত্তার কারণে তাঁরা নাম বলতে চাননি। বলেন, ‘পুলিশকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়েছে। বারবারই তাঁরা বলেছেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি, ফোর্স পাঠাচ্ছি। কিন্তু সবকিছু শেষ হওয়ার পরেও তাঁরা আসেননি।’
ওই দিন সন্ধ্যার আগপর্যন্ত রাজগঞ্জ, বজ্রপুর সালাহউদ্দিনের মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় মন্দিরে হামলা হয়। সব জায়গায় সনাতন ধর্মের লোকজনের পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানরাও মন্দির ও মণ্ডপ রক্ষায় সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তাঁদেরই একজন আরেফিন হক। কীভাবে ছোটবেলার বন্ধুদের ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষার চেষ্টা করছিলেন, তা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তাঁর। আরিফ নিজেও আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো দিন এমন অসহায় চেহারা দেখিনি আমাদের পাড়ার হিন্দুদের। কোত্থেকে এরা আসল, মনে হচ্ছিল সব ভেঙেচুরে দেবে।’
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘যদি দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা সকাল থেকে মাঠে নামতে পারতাম, তাহলে হয়তো হামলা রোধ করা যেত। পরের দিন আমি রামঘাট থেকে নিজ উদ্যোগে সবাইকে নিয়ে শান্তির পদযাত্রা আয়োজন করি। সেখান থেকেই মূলত সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।’
কারা হামলা করল
১৩ অক্টোবর রাত থেকেই পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সতর্ক নজরদারি ছিল কুমিল্লায়। কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। চানমনি কালীবাড়ি, কাত্যায়নী কালীবাড়ি, আনন্দময়ী কালীবাড়ি, কালীগাছতলা মন্দিরসহ হামলার শিকার হওয়া মন্দিরগুলোতে গিয়ে সে কথাই জানা যায়। ওই এলাকার স্থানীয় কোনো মুসলমান হামলা করেনি। শহরের লাগোয়া এলাকা থেকে এসেছিল হামলাকারীরা। মিছিলের সামনের দিকে দু-একজন বয়স্ক লোক থাকলেও পেছনে ১২ থেকে শুরু করে ১৮-২০ বছরের কিশোর ও তরুণেরা।
গত বুধবারের হামলায় আহত হওয়া ব্যবসায়ী মিঠুন পাল জানান, কুমিল্লা শহরের পাশে মুরাদপুর নামের একটা এলাকা রয়েছে, সেখান থেকেই এসেছিল বেশির ভাগ ছেলেপিলে। তাদের হাত ছিল লাঠি আর বাঁশি। সামনে থাকা লোকজন নারায়ে তকবির বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিল এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিকভাবে ঘটনাটা মোকাবিলা করার আগে যদি প্রশাসন সংযুক্ত হয়ে যেত, তাহলে ঘটনা এত দূর গড়াত না। হামলার আগে জমায়েত হয়েছে। সেখানে নানা রাজনৈতিক মতের লোকজন ঢুকেছে। আগেই প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা। সাধারণত মণ্ডপে দু-তিনজন করে আনসার থাকে। পুলিশ থাকে, এবার তাও চোখে পড়েনি। কেউ কোনো গুরুত্বই দেয়নি।
সময়মতো সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, যতটুকু সামর্থ্য ছিল সব দিয়েই চেষ্টা করেছেন তাঁরা। বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পটে চলে গেছি। ফোর্স হাতে যা ছিল, সবাইকে কাজে লাগিয়েছি। কিন্তু উত্তেজিত জনতার কারণে পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’
মেয়র সাক্কুর ভাষায়, ‘তারা (প্রশাসন) আরেকটু কঠিন হইলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। অন্য মণ্ডপগুলো কী হলো, চকবাজার, ঠাকুরপাড়া, কাপুড়িয়াপট্টি—এসব মন্দিরে কেন হামলা হলো—প্রশাসনের লোক এর উত্তর দিক। উত্তর তাদের দিতে হবে।’

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
প্রশ্ন হলো, ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহাষ্টমীর দিন কুমিল্লায় যা ঘটেছে, তা কি নিয়ন্ত্রণ করা যেত না? কে বা কারা সেই কাণ্ডের সূত্রপাত করল? ঘটনার পর গ্রেপ্তার ও মামলা হলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্তের অগ্রগতি মন্ত্রণালয়ে জানাচ্ছি।’ পুলিশ সুপার তাঁর দায়িত্বের জায়গা থেকে হয়তো ঠিকই বলছেন। কিন্তু দেশের মানুষ তো প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়?
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য, কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনানি চলছে। সাক্ষী অনেকেই কারাগারে থাকায় শুনানিতে সময় লাগছে। প্রতিবেদন জমা দিতে আমরা আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছি।’ যদিও গত শুক্রবার জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল, তিন কার্যদিবসে প্রতিবেদন দেবে কমিটি।
যা ঘটেছিল সেদিন
প্রত্যক্ষদর্শীরা সেদিনের যে বর্ণনা দিলেন, তাতে নানুয়া দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে কে পবিত্র কোরআন রেখেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। দিঘির পশ্চিম পাড়ে তিন দশক ধরে বাস করেন ষাটোর্ধ্ব চৌধুরী হাসানুজ্জামান। ঘটনার পরদিন দুপুরে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মণ্ডপের সামনেই আলাপ হয় তাঁর সঙ্গে। বললেন, ‘পূজা এলেই এখানে মণ্ডপ হয়, স্থানীয় সবাই উৎসবমুখরভাবেই তাতে অংশ নেন।
গত দুই দশকে অন্তত এ বিষয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। আমরা বয়স্করা প্রতি সকালেই দিঘির পাড়ে হাঁটতে বের হই। ওই দিন বের হয়ে দেখি অনেক মানুষের জটলা। পবিত্র কোরআন পাওয়া নিয়ে সবাই কথা বলেছেন। কিন্তু কে রেখেছে, এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। পরে তো অনেক লোক এসে এখানে হামলার জন্য জড়ো হয়েছে, চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে অনেক।’
মণ্ডপের লাগোয়া নবনির্মিত বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ওই দিন সকালে প্রথম হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ দেখেছিলেন দুজন হিন্দু নারী। তাঁদের কাছ থেকে জেনে জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯-এ ফোন করেন রেজাউল করিম। যিনি নানুয়া দিঘির আশপাশেই থাকেন। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম পৌঁছে যান সেখানে। উদ্ধার করেন কোরআন শরিফ। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না করে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই মণ্ডপ ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পরে এই মণ্ডপসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা হয়।
নানুয়া দিঘির পাশেই বজ্রপুর এলাকায় থাকেন আকরাম উজ জামান চৌধুরী। এলাকায় সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ঘটনাস্থলেই সমাধান করে ফেলা যেত, যদি ফেসবুক লাইভটা না হতো। সেখানে পুরো বিষয়টি উসকানিমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সামনে এক ব্যক্তি এভাবে ফেসবুক লাইভে ধর্মীয় বিষয় প্রচার করলেও তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
ঘটনার দিন নানুয়া দিঘির পাড়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তামূলকব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ কিংবা প্রশাসন। ওই মণ্ডপ থেকে মিনিট তিনেকের দূরত্বে কুমিল্লার মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বাসা। তিনিও এসেছিলেন অনেক পরে। ঘটনার পর তাঁর বাসায় গিয়ে ডাকাডাকিও করেন স্থানীয় লোকজন।
মেয়র সাক্কু বলেন, ‘আমি ঘটনা জানার পরেই চলে গেছি। ওসিসাব টেলিফোন করেছেন। বলেছি, আমাকে আধা ঘণ্টা সময় দেন। নয়টার মধ্যে ওখানে পৌঁছে গেছি আমি।’ মেয়র বলেন, ‘আমি যখন গেছি তখন ওখানে কেউ ছিল না। দেখি অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে। সবাই উত্তেজিত। ডিসি, ওসি কেউ ছিল না। সবার হাত ধরে বললাম, ‘আমি নিজে দায়িত্ব নিচ্ছি, আপনারা চলে যান, সবকিছু ঠিক থাকবে। তিনটা পর্যন্ত ছিলাম। পরে প্রশাসনের লোকজন আসেন।’
স্থানীয় কোনো মানুষ ওখানে ভাঙচুর করেনি জানিয়ে মেয়র সাক্কু বলেন, ‘টোকাই গোছের একদল উচ্ছৃঙ্খল ছেলে সেখানে উপস্থিত ছিল। কেউ কারও কথা শুনছিল না। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে সিটি করপোরেশন থেকে প্রায় ৭০ জনের মতো লোক স্পটে নিয়ে আসি।’ কাউকে চিনতে পেরেছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নওয়াববাড়ি, তেইল্লা পুকুর পাড়, মুরাদপুর—এসব এলাকা থেকে লোকজন এসেছিল। শহরের কেউ না, ইউনিয়ন থেকে জমায়েত হয়ে তারা শহরে ঢুকেছে।
মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু বলেন, ‘নানুয়া দিঘির ঘটনার পরেই আমাদের পক্ষ থেকে বারবার পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। সময়মতো যদি উদ্যোগ নেওয়া হতো, তাহলে মন্দিরগুলো রক্ষা পেত। মানুষের জানমালের ক্ষতি হতো না।’
যেভাবে হামলার শুরু
১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে সাতটার কিছু পরে নানুয়া দিঘির পাড় থেকে ওসি চলে যান। তিনি কোনো আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেননি। কিন্তু ফেসবুক লাইভের কারণে বিষয়টি তখন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। সকাল ১০টার দিকে কিছু লোক জড়ো হয়ে নানুয়ার দিঘির পাড়ের মণ্ডপে হামলা করে। সেটিতে সফল হয়ে তারা আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় চকবাজার। সেখানে অন্যতম বড় মন্দির চানমনি কালীবাড়ি। বেলা ১১টার দিকে এক দফা হামলার চেষ্টা হয় সেখানে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে সফল হতে পারেনি হামলাকারীরা। তবে বেলা ৩টার দিকে তারা আবার ফিরে আসে এবং মই দিয়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পূজামণ্ডপ জ্বালিয়ে দেয়। ওই মণ্ডপের সামনে কথা হয় কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে। নিরাপত্তার কারণে তাঁরা নাম বলতে চাননি। বলেন, ‘পুলিশকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়েছে। বারবারই তাঁরা বলেছেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি, ফোর্স পাঠাচ্ছি। কিন্তু সবকিছু শেষ হওয়ার পরেও তাঁরা আসেননি।’
ওই দিন সন্ধ্যার আগপর্যন্ত রাজগঞ্জ, বজ্রপুর সালাহউদ্দিনের মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় মন্দিরে হামলা হয়। সব জায়গায় সনাতন ধর্মের লোকজনের পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানরাও মন্দির ও মণ্ডপ রক্ষায় সাহসী ভূমিকা পালন করেন। তাঁদেরই একজন আরেফিন হক। কীভাবে ছোটবেলার বন্ধুদের ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষার চেষ্টা করছিলেন, তা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তাঁর। আরিফ নিজেও আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো দিন এমন অসহায় চেহারা দেখিনি আমাদের পাড়ার হিন্দুদের। কোত্থেকে এরা আসল, মনে হচ্ছিল সব ভেঙেচুরে দেবে।’
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ভিপি নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, ‘যদি দলীয় সিদ্ধান্তে আমরা সকাল থেকে মাঠে নামতে পারতাম, তাহলে হয়তো হামলা রোধ করা যেত। পরের দিন আমি রামঘাট থেকে নিজ উদ্যোগে সবাইকে নিয়ে শান্তির পদযাত্রা আয়োজন করি। সেখান থেকেই মূলত সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।’
কারা হামলা করল
১৩ অক্টোবর রাত থেকেই পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সতর্ক নজরদারি ছিল কুমিল্লায়। কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেছে। চানমনি কালীবাড়ি, কাত্যায়নী কালীবাড়ি, আনন্দময়ী কালীবাড়ি, কালীগাছতলা মন্দিরসহ হামলার শিকার হওয়া মন্দিরগুলোতে গিয়ে সে কথাই জানা যায়। ওই এলাকার স্থানীয় কোনো মুসলমান হামলা করেনি। শহরের লাগোয়া এলাকা থেকে এসেছিল হামলাকারীরা। মিছিলের সামনের দিকে দু-একজন বয়স্ক লোক থাকলেও পেছনে ১২ থেকে শুরু করে ১৮-২০ বছরের কিশোর ও তরুণেরা।
গত বুধবারের হামলায় আহত হওয়া ব্যবসায়ী মিঠুন পাল জানান, কুমিল্লা শহরের পাশে মুরাদপুর নামের একটা এলাকা রয়েছে, সেখান থেকেই এসেছিল বেশির ভাগ ছেলেপিলে। তাদের হাত ছিল লাঠি আর বাঁশি। সামনে থাকা লোকজন নারায়ে তকবির বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি ছিল এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। রাজনৈতিকভাবে ঘটনাটা মোকাবিলা করার আগে যদি প্রশাসন সংযুক্ত হয়ে যেত, তাহলে ঘটনা এত দূর গড়াত না। হামলার আগে জমায়েত হয়েছে। সেখানে নানা রাজনৈতিক মতের লোকজন ঢুকেছে। আগেই প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা। সাধারণত মণ্ডপে দু-তিনজন করে আনসার থাকে। পুলিশ থাকে, এবার তাও চোখে পড়েনি। কেউ কোনো গুরুত্বই দেয়নি।
সময়মতো সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, যতটুকু সামর্থ্য ছিল সব দিয়েই চেষ্টা করেছেন তাঁরা। বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্পটে চলে গেছি। ফোর্স হাতে যা ছিল, সবাইকে কাজে লাগিয়েছি। কিন্তু উত্তেজিত জনতার কারণে পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’
মেয়র সাক্কুর ভাষায়, ‘তারা (প্রশাসন) আরেকটু কঠিন হইলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত। অন্য মণ্ডপগুলো কী হলো, চকবাজার, ঠাকুরপাড়া, কাপুড়িয়াপট্টি—এসব মন্দিরে কেন হামলা হলো—প্রশাসনের লোক এর উত্তর দিক। উত্তর তাদের দিতে হবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২২ মিনিট আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪২ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির ১ আসন
নীরব চৌধুরী বিটন, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবুজ পাহাড়ের রাজনীতির হিসাবনিকাশ বুঝতে মূল রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোর ভোটের অঙ্ক কষতে হয় বিশ্লেষকদের। ভোটের সময় সেই অঙ্কে যুক্ত হয় পাহাড়ি-বাঙালি সমীকরণ। এবার জয়ের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে পাহাড়ি ভোটাররা।
২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে বিএনপি, জামায়াত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৬ জন। তাঁরা হলেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, জামায়াতের এয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের মো. কাউসার, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের নুর ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সমীরণ দেওয়ান, সন্তোষিত চাকমা, লাব্রিচাই মারমা, ধর্ম জ্যোতি চাকমা, সোনা রতন চাকমা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিরুনা ত্রিপুরা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মিথিলা রোয়াজা, খেলাফতে মজলিস মনোনীত আনোয়ার হোসাইন মিয়াজী, গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত দীনময় রোয়াজা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনোনীত মো. মোস্তাফা, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি মনোনীত উশোপ্রু মারমা। এদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী মনজিলা সুলতানা ঝুমা।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি দল প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও বেশ কৌশলী এবং শক্তিশালী। কারণ পাহাড়ি ভোটার। স্থানীয় আঞ্চলিক দল ও আঞ্চলিকতার প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটের বাক্সে বেশ এককাট্টা স্থানীয় ভোটাররা।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) নির্বাচনের ব্যাপারে আগে নীরব থাকলেও এখন তারা অনেকটা সরব। পাহাড়ের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা) সরাসরি ভোটে না এলেও পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা বলছে। ফলে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জয়ে আশার বাতিঘরে কিছুটা হতাশাও বেশ প্রকাশ্যে। এ ছাড়া প্রার্থীর যোগ্যতা, ভোটারদের বিগত দিনের বিশ্লেষণ এবং হিসাবনিকাশে জয়ে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে পারে আশাবাদী দলগুলো।
আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগপর্যন্ত পাহাড়ের ভোটের যে সমীকরণ ছিল; এখন সেটা পাল্টে গেছে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটের মাঠ অনেকটা বিএনপি ও জামায়াতের দখলেই থাকত। কিন্তু ইউপিডিএফ ও জেএসএসের নির্বাচনে থাকার ঘোষণা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন মাত্রা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী নির্বাচন সরল-দ্বিমুখী লড়াইয়ের বদলে কোথাও কোথাও কঠিন-ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিএনপি। যদিও আওয়ামী লীগহীন এই নির্বাচনে বিএনপি সারা দেশেই বড় জয়ের আশা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ভোট কোন বাক্সে পড়বে, সেটিও দেখার পালা এবার।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য খাগড়াছড়িতে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী ঘোষণার আগ থেকেই গণসংযোগে রয়েছেন। প্রার্থিতা ও তফসিল ঘোষণার পর প্রচারে আরও সরব হয়ে উঠেছেন তিনি। ইউপিডিএফ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার আগপর্যন্ত এখানে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এয়াকুব আলীকে ধরা হলেও এখন সমীকরণ পাল্টে গেছে।
বিএনপির প্রার্থী ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আগেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণ আমাকে চিনে। জেলার বেশির ভাগ সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বিহার আমার সময়ে নির্মিত হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এরই মধ্যে চাকমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ স্বতন্ত্রভাবে আমার সমর্থনে সমাবেশও করেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করব, যেখানে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপত্তা নিয়ে ভয়হীন দেশে ইনসাফের সঙ্গে বসবাস করবে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেমিশে তৈরি হবে এক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।’
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনমুখী দল। তবে এই নির্বাচনে আমরা সরাসরি কোনো প্রার্থী না দিলেও কোনো না কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেব। তবে কোনো দলকে নয়। খাগড়াছড়ির এবার পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন।’
পাহাড়িদের দীর্ঘদিনের ভূমি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অধিকারসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে জাতীয় দলগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে অভিযোগও বেশ পুরোনো। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বসহকারে দেখছেন স্থানীয় পাহাড়ি ভোটাররা। এখানেই তাঁরা এককাট্টা।

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
২০ অক্টোবর ২০২১
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪২ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কারের আগেই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এ-সংক্রান্ত দুটি ছবি তিনি পোস্ট করেন, যেখানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সংযুক্ত ছিল। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিটে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সিদ্ধান্ত পূর্বনির্ধারিত। আমি আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে হাসান মামুন প্রশ্ন তোলেন, ‘ময়মনসিংহের ফখরুদ্দিন বাচ্চুকে বহিষ্কার, তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে মামলা করার কত দিন পরে ডেকে এনে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সঙ্গে মনোনয়ন দেওয়া হলো?’
এরপর রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আরেক পোস্টে হাসান মামুন লেখেন, ‘বিএনপির সকল সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন হাসান মামুন। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসনটি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই সঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব কর্মকাণ্ড বিএনপির গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে হাসান মামুনকে দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
২০ অক্টোবর ২০২১
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২২ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাঁকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সব কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর জ্বর ও অন্যান্য শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল ইসলাম মারা যান।
এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাঁকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছে।
হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
নিহত শফিকুলের ছোট বোনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরদেহ হালুয়াঘাটে নেওয়ার জন্য একটি ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা গাজীপুরে শফিকের জানাজা শেষে হালুয়াঘাটের উদ্দেশে রওনা হই। বুধবার জানাজা শেষে তাঁর দাফন করা হবে।’
শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, সরকার থেকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। তবে জুলাই যোদ্ধা শফিক বিদেশ যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি গুলির স্থানে ইনফেকশন হয়, যে কারণে জ্বর আসে। পরে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিক মারা যান। চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিউমোনিয়া ও গুলির স্থানে ইনফেকশনের কারণে তিনি মারা গেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, জুলাই যোদ্ধা শফিক গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলিনুর খান বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে মরদেহে হালুয়াঘাটে আনার জন্য ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় তাঁর জানাজা হবে। সেখানে উপস্থিত থেকে যথাযথ মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
২০ অক্টোবর ২০২১
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২২ মিনিট আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪২ মিনিট আগে
রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।
প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপত্য প্রকৌশল সংস্থা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আর্কিটেক্টের কাজ করেছিল, সে সংস্থাকে দিয়েই এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ানো ও বাঁধাই করা হচ্ছে, যাতে মূল নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে।
বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা ২০০২ সালে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানের এই মাজার নতুনভাবে সংস্কার করেন। যেখানে একটি অতি সুন্দর ব্রিজ নির্মাণসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হয়। আজ সেই সুন্দর স্থাপনার অবয়ব ঠিক রেখেই শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে খবর খোঁড়া হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা কবর খোঁড়া ও তাতে মার্বেল পাথর স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলতে চান। কাল সকাল নাগাদ হয়তো কিছু কাজ করা হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংস্কার করা হয়, তখন সেভাবে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। নাহয় তখনই বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জন্য সেভাবে জায়গা রেখে দুটি কবরের জায়গা করে রাখতে পারতেন।
এখন কেন করছেন, এর জবাবে মাসুদুর রহমান জানান, আগে সেভাবে নির্দেশনা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আজ সকালে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তাঁরা সেভাবে কাজ শুরু করেন।
প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরও জানান, তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ডিজাইনসহ স্থাপত্যশৈলী নির্মাণের। সেই সৌভাগ্যক্রমে এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবরের স্থাপত্যশৈলীর কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।
মাসুদুর রহমান জানান, শহীদ জিয়ার মতো বেগম খালেদা জিয়ার কবরেও সেই সাধারণ মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হবে এবং একই ডিজাইনে থাকবে সবুজ ঘাস। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার নতুন কবরের জন্য শহীদ জিয়ার মাজারের মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানে অবস্থিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ঠিক পূর্ব পাশে ৪ ফুট বাই ৭ ফুট নতুন কবর খোঁড়া হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী।
প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপত্য প্রকৌশল সংস্থা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আর্কিটেক্টের কাজ করেছিল, সে সংস্থাকে দিয়েই এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ানো ও বাঁধাই করা হচ্ছে, যাতে মূল নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আসে।
বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁরা ২০০২ সালে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জিয়া উদ্যানের এই মাজার নতুনভাবে সংস্কার করেন। যেখানে একটি অতি সুন্দর ব্রিজ নির্মাণসহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হয়। আজ সেই সুন্দর স্থাপনার অবয়ব ঠিক রেখেই শহীদ জিয়ার কবরের ঠিক পূর্ব পাশে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নতুন করে খবর খোঁড়া হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জমান চৌধুরী জানান, আজ মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা কবর খোঁড়া ও তাতে মার্বেল পাথর স্থাপন করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সেরে ফেলতে চান। কাল সকাল নাগাদ হয়তো কিছু কাজ করা হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বসত আর্কিটেক্ট প্রকৌশল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, ২০০২ সালে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সংস্কার করা হয়, তখন সেভাবে কোনো নির্দেশনা তাঁরা পাননি। নাহয় তখনই বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জন্য সেভাবে জায়গা রেখে দুটি কবরের জায়গা করে রাখতে পারতেন।
এখন কেন করছেন, এর জবাবে মাসুদুর রহমান জানান, আগে সেভাবে নির্দেশনা ছিল না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের আজ সকালে শহীদ জিয়ার কবরের পাশে বেগম খালেদা জিয়ার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তাঁরা সেভাবে কাজ শুরু করেন।
প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান আরও জানান, তাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরের ডিজাইনসহ স্থাপত্যশৈলী নির্মাণের। সেই সৌভাগ্যক্রমে এবার বেগম খালেদা জিয়ার কবরের স্থাপত্যশৈলীর কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে।
মাসুদুর রহমান জানান, শহীদ জিয়ার মতো বেগম খালেদা জিয়ার কবরেও সেই সাধারণ মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হবে এবং একই ডিজাইনে থাকবে সবুজ ঘাস। তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়ার নতুন কবরের জন্য শহীদ জিয়ার মাজারের মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন হবে না।

কুমিল্লা থেকে শুরু হওয়া ঘটনা ছড়িয়েছে পুরো দেশে। ভাঙচুর, সংঘর্ষ, হত্যা, মৃত্যু–কিছুই বাদ যায়নি। আগুন জ্বলেছে। সে আগুনে পুড়েছে বিশ্বাস। শত শত বছর ধরে নিশ্চিন্তে পাশের বাড়ির রহিম-করিমের সঙ্গে পাল-সাহা-ঘোষদের সম্পর্ক। তাহলে এই অবস্থাটা তৈরি করল কে?
২০ অক্টোবর ২০২১
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশাল পাহাড়ি এলাকার তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটি খাগড়াছড়ি। আসনটিতে বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র ও আঞ্চলিক দলের এসব প্রার্থী হেভিওয়েটদের জয়ে বড় বাধা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২২ মিনিট আগে
হাসান মামুন বলেন, ‘সবকিছু বুঝলাম, তাই বলে মজলুম নেত্রীর ইন্তেকালের দিনে দলের ও রাজপথের মজলুম নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা? ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন?’
৪২ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামেদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। তাঁরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করেন।
১ ঘণ্টা আগে