বরিশালে বিএনপির দুই নেতার বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে হেলমেট পরা একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার শিকার বিএনপি নেতাদের ধারণা, দলের প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।

ঘটনার শিকার বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আকবর বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম না। রাত ৮টার দিকে হেলমেট পরা অবস্থায় মুখ ঢাকা একদল সন্ত্রাসী আমার বর্মণ রোডের বাসায় হামলা চালায়। ২০-২৫টা মোটরসাইকেলযোগে সন্ত্রাসী হামলা করে বাসার গ্লাস ভাঙচুর করে। দরজা আঘাত করে। তাতে পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর দিলে কাউনিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’

আকবর আরও বলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হালিম মৃধাকে মারধরের প্রতিবাদে তাঁরা ২৫ জন সাবেক নেতা নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আবার আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা একটি কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছেন। এ খবরে আতঙ্কিত ও ব্যর্থ বিএনপির একদল লোক তাঁর বাসায় হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।

এদিকে গত রাতেই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল হক লিটুর বাসায়ও হামলা খবর পাওয়া গেছে। লিটু নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বিরোধী গ্রুপের নেতা। এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, ‘রাতে যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটুর ব্রাঞ্চ রোডের বাসায় হামলা করেছে হেলমেট বাহিনী। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। দলীয় কিছু লোক এর সঙ্গে জড়িত। বিএনপির হাইকমান্ডকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, তিনি হামলার ঘটনা শুনেছেন। বরিশালে ফিরে তদন্তের পর নিশ্চিত হতে পারবেন কারা হামলা করেছে। তবে ফারুক বলেন, ‘ওই এলাকায় নবজাগরণ ক্লাবে মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হয়। এ নিয়ে হামলা হয়ে থাকতে পারে। আবার অভিযোগকারীরা নিজেরা হামলা করেও আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাতে পারে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই বাসায় হামলার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’