নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। মানুষ সাঁতরে কিংবা হেঁটে হলেও সমাবেশে আসবে বলে দাবি করছেন নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে, বিএনপি শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে চাইলে যা করার তাই করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বিভাগের ৬ জেলায় বাস ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনসহ অনুমোদনহীন নছিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ ও ৫ নভেম্বর ট্রাক-লঞ্চ এমনকি খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমন প্রস্তুতি চলছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে এ তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, প্রশাসন তাদের দাবি না মানলে ৪ ও ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লা পরিবহনের সকল রুটের চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
কিশোর কুমার দে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কথা আমাদের জানা নেই। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনেক আগের। এর সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচি কিংবা সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই।’
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সব চালাকিতে কাজ হবে না। বিএনপির গণসমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। সাঁতরে আসলেও মানুষ সমাবেশে আসবে। ৫ নভেম্বর গণসমাবেশ হবেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সমাবেশে যাতে লোকজন না আসতে পারে, সে জন্য পরিবহন বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যে কোনো মূল্যে আমরা গণসমাবেশ করবই।’
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস মালিক গ্রুপ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ৪ নভেম্বর থেকে ধর্মঘট চলবে। শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নাই। বহু আগেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকে বরিশালে গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। বাস মালিক গ্রুপ বিভাগীয় কমিশনারকে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়ে চিঠি দিয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপির সমাবেশে যাতে মানুষ না আসতে পারে এ জন্য সরকার এমন পরিকল্পনা নিচ্ছে। বাস মালিক সমিতিও সরকারের একটি অংশ। খুলনা, ময়মনসিংহতে একই অবস্থা করেছে, বরিশালে তাই ব্যতিক্রম দেখছি না।’
বিলকিস জাহান বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করব এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য বলি-চলার পথে ডাব মাথায় পড়লে যেন আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা না হয়! বাস মালিক তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপির কাজই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে তারা। জনসভায় আসার জন্য যদি বাস, লঞ্চে তারা ভাড়া না দেয় তাহলে মালিকেরা উঠতে বাধা দিতেই পারে। বরিশালে আওয়ামী লীগের ওই দিন কোনো কর্মসূচি নেই। তবে নগরে বিশৃঙ্খলা করলে আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে যা করার তাই করবে।’
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। এমন কিছু থাকলে সবার আগে আমি জানতাম।’

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। মানুষ সাঁতরে কিংবা হেঁটে হলেও সমাবেশে আসবে বলে দাবি করছেন নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে, বিএনপি শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে চাইলে যা করার তাই করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বিভাগের ৬ জেলায় বাস ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনসহ অনুমোদনহীন নছিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ ও ৫ নভেম্বর ট্রাক-লঞ্চ এমনকি খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমন প্রস্তুতি চলছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে এ তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, প্রশাসন তাদের দাবি না মানলে ৪ ও ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লা পরিবহনের সকল রুটের চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
কিশোর কুমার দে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কথা আমাদের জানা নেই। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনেক আগের। এর সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচি কিংবা সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই।’
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সব চালাকিতে কাজ হবে না। বিএনপির গণসমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। সাঁতরে আসলেও মানুষ সমাবেশে আসবে। ৫ নভেম্বর গণসমাবেশ হবেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সমাবেশে যাতে লোকজন না আসতে পারে, সে জন্য পরিবহন বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যে কোনো মূল্যে আমরা গণসমাবেশ করবই।’
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস মালিক গ্রুপ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ৪ নভেম্বর থেকে ধর্মঘট চলবে। শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নাই। বহু আগেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকে বরিশালে গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। বাস মালিক গ্রুপ বিভাগীয় কমিশনারকে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়ে চিঠি দিয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপির সমাবেশে যাতে মানুষ না আসতে পারে এ জন্য সরকার এমন পরিকল্পনা নিচ্ছে। বাস মালিক সমিতিও সরকারের একটি অংশ। খুলনা, ময়মনসিংহতে একই অবস্থা করেছে, বরিশালে তাই ব্যতিক্রম দেখছি না।’
বিলকিস জাহান বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করব এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য বলি-চলার পথে ডাব মাথায় পড়লে যেন আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা না হয়! বাস মালিক তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপির কাজই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে তারা। জনসভায় আসার জন্য যদি বাস, লঞ্চে তারা ভাড়া না দেয় তাহলে মালিকেরা উঠতে বাধা দিতেই পারে। বরিশালে আওয়ামী লীগের ওই দিন কোনো কর্মসূচি নেই। তবে নগরে বিশৃঙ্খলা করলে আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে যা করার তাই করবে।’
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। এমন কিছু থাকলে সবার আগে আমি জানতাম।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। মানুষ সাঁতরে কিংবা হেঁটে হলেও সমাবেশে আসবে বলে দাবি করছেন নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে, বিএনপি শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে চাইলে যা করার তাই করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বিভাগের ৬ জেলায় বাস ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনসহ অনুমোদনহীন নছিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ ও ৫ নভেম্বর ট্রাক-লঞ্চ এমনকি খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমন প্রস্তুতি চলছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে এ তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, প্রশাসন তাদের দাবি না মানলে ৪ ও ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লা পরিবহনের সকল রুটের চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
কিশোর কুমার দে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কথা আমাদের জানা নেই। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনেক আগের। এর সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচি কিংবা সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই।’
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সব চালাকিতে কাজ হবে না। বিএনপির গণসমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। সাঁতরে আসলেও মানুষ সমাবেশে আসবে। ৫ নভেম্বর গণসমাবেশ হবেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সমাবেশে যাতে লোকজন না আসতে পারে, সে জন্য পরিবহন বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যে কোনো মূল্যে আমরা গণসমাবেশ করবই।’
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস মালিক গ্রুপ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ৪ নভেম্বর থেকে ধর্মঘট চলবে। শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নাই। বহু আগেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকে বরিশালে গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। বাস মালিক গ্রুপ বিভাগীয় কমিশনারকে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়ে চিঠি দিয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপির সমাবেশে যাতে মানুষ না আসতে পারে এ জন্য সরকার এমন পরিকল্পনা নিচ্ছে। বাস মালিক সমিতিও সরকারের একটি অংশ। খুলনা, ময়মনসিংহতে একই অবস্থা করেছে, বরিশালে তাই ব্যতিক্রম দেখছি না।’
বিলকিস জাহান বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করব এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য বলি-চলার পথে ডাব মাথায় পড়লে যেন আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা না হয়! বাস মালিক তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপির কাজই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে তারা। জনসভায় আসার জন্য যদি বাস, লঞ্চে তারা ভাড়া না দেয় তাহলে মালিকেরা উঠতে বাধা দিতেই পারে। বরিশালে আওয়ামী লীগের ওই দিন কোনো কর্মসূচি নেই। তবে নগরে বিশৃঙ্খলা করলে আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে যা করার তাই করবে।’
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। এমন কিছু থাকলে সবার আগে আমি জানতাম।’

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। মানুষ সাঁতরে কিংবা হেঁটে হলেও সমাবেশে আসবে বলে দাবি করছেন নেতারা।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছে, বিএনপি শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে চাইলে যা করার তাই করবে।
গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বিভাগের ৬ জেলায় বাস ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনসহ অনুমোদনহীন নছিমন-করিমন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে তারা ধর্মঘট আহ্বান করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ ও ৫ নভেম্বর ট্রাক-লঞ্চ এমনকি খেয়াঘাটও বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমন প্রস্তুতি চলছে বলে নানা সূত্রে জানা গেছে। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি কিশোর কুমার দে এ তথ্য স্বীকার করে বলেছেন, প্রশাসন তাদের দাবি না মানলে ৪ ও ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লা পরিবহনের সকল রুটের চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
কিশোর কুমার দে বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কথা আমাদের জানা নেই। আমাদের এই সিদ্ধান্ত অনেক আগের। এর সঙ্গে বিএনপির কর্মসূচি কিংবা সরকারের কোনো যোগসূত্র নেই।’
তবে বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সব চালাকিতে কাজ হবে না। বিএনপির গণসমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের নেই। সাঁতরে আসলেও মানুষ সমাবেশে আসবে। ৫ নভেম্বর গণসমাবেশ হবেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সমাবেশে যাতে লোকজন না আসতে পারে, সে জন্য পরিবহন বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যে কোনো মূল্যে আমরা গণসমাবেশ করবই।’
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাস মালিক গ্রুপ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি মানা না হলে ৪ নভেম্বর থেকে ধর্মঘট চলবে। শ্রমিক ইউনিয়ন এ ধর্মঘটের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে।’
তিনি দাবি করে বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে এই ধর্মঘটের কোনো সম্পর্ক নাই। বহু আগেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘অনেক আগে থেকে বরিশালে গণসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। বাস মালিক গ্রুপ বিভাগীয় কমিশনারকে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়ে চিঠি দিয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক। বিএনপির সমাবেশে যাতে মানুষ না আসতে পারে এ জন্য সরকার এমন পরিকল্পনা নিচ্ছে। বাস মালিক সমিতিও সরকারের একটি অংশ। খুলনা, ময়মনসিংহতে একই অবস্থা করেছে, বরিশালে তাই ব্যতিক্রম দেখছি না।’
বিলকিস জাহান বলেন, ‘আমরা সমাবেশ করব এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য বলি-চলার পথে ডাব মাথায় পড়লে যেন আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা না হয়! বাস মালিক তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপির কাজই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে তারা। জনসভায় আসার জন্য যদি বাস, লঞ্চে তারা ভাড়া না দেয় তাহলে মালিকেরা উঠতে বাধা দিতেই পারে। বরিশালে আওয়ামী লীগের ওই দিন কোনো কর্মসূচি নেই। তবে নগরে বিশৃঙ্খলা করলে আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে যা করার তাই করবে।’
এদিকে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। এমন কিছু থাকলে সবার আগে আমি জানতাম।’

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ম
২৬ অক্টোবর ২০২২
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ম
২৬ অক্টোবর ২০২২
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ম
২৬ অক্টোবর ২০২২
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক গ্রুপ। এরই মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারকে লিখিত চিঠি দিয়েছে মালিক পক্ষ। তবে বিএনপি অভিযোগ, আগামী ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষমতাসীন দল বাস, লঞ্চ, খেয়া বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। ম
২৬ অক্টোবর ২০২২
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৬ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
২৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে